সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম ও মানব ধর্মের মধ্যে পার্থক্য

 প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম ও মানব ধর্মের মধ্যে পার্থক্য প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের দাপটে মানব ধর্মের মুমূর্ষ-প্রায় অবস্থা।একারণেই প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের চেয়ে মানব ধর্ম শ্রেষ্ঠ। কারণ, মানব ধর্ম মানুষকে ভালবাসতে শেখায়, কোনো পরিস্থিতিতেই মানুষকে হত্যা অথবা মানুষের মধ্যে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অসাম্যকে স্বীকৃতি দেয় না। অন্যদিকে, প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের নামেই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এবং হচ্ছে। আসলে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম হলো রাজনৈতিক সংগঠনের একটি ছদ্দবেশী রূপ। ক্ষমতা দখলের জন্য কোনো কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠী তার বা তাদের রাজনৈতিক সংগঠনের গায়ে একটি ধর্মীয় আলখাল্লা মুড়িয়ে দিয়ে তাকে অন্যরূপে দেখানোর চেষ্টা করেন। এটা মানুষকে ধোঁকা দিয়ে নিজের বা নিজ গোষ্ঠীর ক্ষমতায়নকে নিশ্চিত করার একটি কৌশলমাত্র। প্রত্যেক প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের পৃষ্ঠপোষকরা এটা বারবার করে বোঝানোর চেষ্টা করে যে মানুষের পার্থিব জীবনের সাফল্য ও ব্যর্থতা পুরোপুরি ঈশ্বর নির্ভর। তোমার অর্থনৈতিক অবস্থা ঈশ্বরী নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি যেভাবে চেয়েছেন মানুষ সেভাবেই জীবন কাটাচ্ছেন। এর থেকে মুক্তি পাবার একমাত্র রাস্তা ধ...

দীনকৃষ্ণ ঠাকুর — আলোর আর এক নাম

দীনকৃষ্ণ ঠাকুর — আলোর আর এক নাম অন্ধকার আলোকে ভয় পায়। তাই সে আলোকে নিভিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আলো সাদাকে সাদা, আর কালোকে কালো বা অন্যকে তার নিজস্ব রূপে সহজেই মানতে পারে। কারণ, সেটা সে দেখতে পায়। তাই সে ভয়ও পায় না কিছুকে। কিছু হারানোর ভয় সেকারণেই সে পায় না। সে কারণে তার হিংস্র হওয়ারও দরকার পড়ে না। কিন্তু অন্ধকারের তো চোখ নেই। সে শুধু কলোকেই দেখতে পায়। তাই আলো দেখলেই সে ভয়ে চমকে ওঠে। দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে, আলোর দিকে তেড়ে যায়। দীনকৃষ্ণ ঠাকুর অন্ধকারে আলো ফেলেছেন। তাই অন্ধকারকে যারা জীবিকার উৎস হিসাবে জানে, তারা অন্ধকারকে ক্ষেপিয়ে দেয় আলোর বিরুদ্ধে লড়ার জন্য। অন্ধরা ছুটে চলে আলোর পিছনে তাকে নিভিয়ে দেয়ার জন্য। তাই আজ দিনো কৃষ্ণর পিছনে ছুটে যাচ্ছে কিছু অন্ধ মানুষ, তাকে নেভানোর জন্য, তাকে থামানোর জন্য। Achinta Das : সত্যি কথা বলতে কি, নূপুর শর্মা সেদিন কী বলেছিলেন তা আজও আমি জানি না। কারণ, তা নিজ কানে শুনিনি। জানার আগ্রহ আমার নেই। কারণ, যে কথাই তিনি বলে থাকুন না কেন, তাতে হজরত মুহাম্মদের মত মানুষের কিছুই যায় আসে না। মানব জাতির ওপর তাঁর যে প্রভাব তার ধারে কাছে নূপুর শর্মা...

কথা বলার নিয়ম ও তার কারণ

 কথা বলার নিয়ম ও তার কারণ শোনো না মেপে, কিন্তু বলো মেপে।  

ফেসবুক ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা

 ফেসবুক ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা Facebook and freedom of expression এটা নতুন কিছু নয়। যারা যে দেশে ক্ষমতায় থাকে, ফেসবুক তাদেরকে মতামতকে অগ্রাধিকার দেয়। এরা ব্যবসা বোঝে, মানুষের ভালো নয়। Ali Hossain তাহলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কোথায়? Mahabbat Hossain যেখানকার সরকার চায় মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে, সেখানে থাকে। যেখানে চায় না, সেখানে থাকে না। আর সরকারের চাওয়া না চাওয়া নিয়ন্ত্রিত হয় সেদেশের মানুষের চেতনার দ্বারা। যে দেশের মানুষ যত গণতান্ত্রিক চেতনায় ও মানবতাবাদের উদ্বুদ্ধ হয় সেই দেশের শাসক ততো বেশি গণতান্ত্রিক ও মানবিক হয়ে ওঠে। আমাদের দেশের জনগণ কি এই চেতনার অধিকারী হয়েছেন? মানবতাবাদের পাঠ তাদের চেতনায় ঢুকেছে যথাযথভাবে? জাত পাত আর ধর্মান্ধতা যাদের নিত্য দিনের সঙ্গী, তাদের মধ্যে এই চেতনা কিভাবে হয় জন্মাবে? সুতরাং যা হওয়ার তাই হচ্ছে। আমাদের করণীয় কী? একটু পরে মতামত জানাচ্ছি। বলে রাখা ভালো, ফেসবুক সহ সোশ্যাল মিডিয়াগুলো নিয়ন্ত্রিত হয় কোন দেশে এই মিডিয়াকে একটিভ রাখতে তারা যে কর্মচারী নিয়োগ করে থাকে, তাদের দ্বারা। কারণ ফেসবুকের কর্ণধার নিজে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ ...

ধর্মের নামে রাজনীতিতে ভুলে থাকবেন?

ধর্মের নামে রাজনীতিতে ভুলে থাকবেন? Forget everything in the name of religious politics? পৃথিবীর ৫ম বড় অর্থনীতির দেশে কেন বিশ্বের সব চাইতে বেশি দরিদ্র মানুষের বাস? ভাববেন না? না কি ‘ধর্মের নামে রাজনীতি’তে ভুলে থাকবেন? 👉 Ali Hossain, Polygamy ta bondho korun ! 💀 👉 Srijann Mallick , কোন্ যুগে আছেন? একটু পড়াশোনা করুন। মাথা থেকে অন্ধকার সরে যাবে। 👉 Ali Hossain,  আপনাকে আমার পড়াশোনা নিয়ে ভাবতে হবে না 😂 comment টা কেনো করলাম , আপনি এখনও সেটাই বুঝতে পারলেন না 😂 আপনিও মাথা থেকে , লাল সরান, সব বুঝবেন। 👉 Srijann Mallick, আমি বুঝিনি? তাই! তা একটু বুঝিয়ে বলুন না। বুঝতে চাই। সত্যি কথা বলতে কি, আপনার মন্তব্যটা আমার কাছে অপ্রাসঙ্গিক লেগেছে। পড়াশোনায় সীমাবদ্ধতা থাকলে এমন অপ্রাসঙ্গিক কথা প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়, যা আপনার হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তাই পড়াশোনার কথা বলেছি। আপনি অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য না করলে, আমাকে পড়াশোনার কথা বলতে হত না। যদিও পড়া কিংবা না পড়া একান্তই আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু আমার বলায় আপনার এত আপত্তি কেন? আপনি নিজে বলবেন, অথচ অন্যের কথা শুনবেন না, সে আবার কেমন কথা! লাল...

রাম মন্দিরের উদ্বোধন

 উৎসবের দিন, পিছিয়ে যাওয়ার উৎসব মধ্য ভারতে (পড়ুন, যুগে) পা রাখলাম। এখন দেখা যাক, প্রাচীন ভারতে পা রাখার ‘সৌভাগ্য’ আমাদের হয় কিনা!

অপরাধ যখন উৎসব

 অপরাধ ও উৎসব সরকার যখন পক্ষে থাকে, অপরাধও তখন উৎসবের চেহারা নেয়।

পুঁজির প্রকৃত মালিক কে?

পুঁজির প্রকৃত মালিক কে? পুঁজির জন্ম হয় কীভাবে এবং কোথা থেকে? পুঁজির প্রকৃত মালিক কে? — আলী হোসেন  পুঁজির জন্ম হয় শ্রম থেকে। কারণ, শ্রমিকের শ্রম যুক্ত না হলে প্রকৃতির কোন সম্পদই প্রকৃত অর্থে সম্পদ হয়ে ওঠে না। প্রকৃতির সেই সব বিষয় বা বস্তু সম্পদ বলে বিবেচিত হয়, মানুষের কাছে যার ব্যবহারিক মূল্য আছে। প্রকৃতির যে সমস্ত বিষয় বা বস্তু মানব সভ্যতার উন্নয়নে কোনদিন, কোনভাবে, কোন কাজেই লাগে না, তাকে কেউ সম্পদ বলে বিবেচনা করে না। বন বা জঙ্গলের আগাছাগুলো একারণেই কোনদিন সম্পদ হয়ে ওঠেনি। আর এই বিষয় বা বস্তুকে সম্পদে পরিণত করার একমাত্র হাতিয়ার হল শ্রমজীবী মানুষের কায়িক শ্রম ও তাদের বুদ্ধিমত্তা। অর্থাৎ প্রকৃতির নানান উপাদান যখন শ্রমজীবী মানুষের কায়িক শ্রম ও বুদ্ধিমত্তা সহযোগে মানুষের ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠে, তখনই জন্ম হয় সম্পদের। আর যুগ যুগ ধরে এই সম্পদই পুঁজির প্রধান উৎস। এদিক থেকে বিচার করলে শ্রমজীবী মানুষই হচ্ছে একমাত্র সম্পদ, যাকে বাদ দিয়ে কোন সম্পদ নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে পারে না। আর এ কারণেই মানুষকে সব সম্পদের সেরা সম্পদ বলা হয়। প্রাচীন যুগে এ কারণেই শ্রমজীবী মানুষকে সম্পদ...

নামতার নামাবলী

নামতার নামাবলী নামতা। পড়িনি এমন মানুষ আছেন? বোধ হয় নেই। নামটা বললেই এক এ চন্দ্র, দুই এ পক্ষ... ইত্যাদি দিয়ে শুরু করি। এবং শেষ করি ‘দশ এ দিক’ দিয়ে। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই নামতার প্রকৃত অর্থ আমরা কি জানি? এই কথার উত্তরও অতি সোজা। না, সবাই জানি না। অর্থাৎ এমন মানুষ অসংখ্য আছেন, যারা নামতার অন্তর্নিহিত অর্থ জানেন না। আসুন জেনে নেয়া যাক নামতায় পাওয়া চরিত্রগুলো আসলে কী বা কারা! ১) এক এ চন্দ্র। অর্থাৎ একটি চাঁদ। কোনো শিশুকে রাতের আকাশের চাঁদকে দেখিয়ে সহজেই ‘এক এ চন্দ্র’ বুঝিয়ে ফেলা সম্ভব । কিন্তু দুইয়ে পক্ষ? একটু কঠিন কাজ। ২) দুই এ পক্ষ। অর্থাৎ দুটি পক্ষ । এই দুটি পক্ষ হলো শুক্লপক্ষ এবং কৃষ্ণপক্ষ । অমাবশ্যার পরদিন থেকে চাঁদের আকার ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং অবশেষে পৌঁছায় পূর্ণিমাতে, আই অমাবশ্যার পরদিন থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত সময়কালকে বলা হয় শুক্লপক্ষ। হিন্দু ধর্ম মতে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আরাধনা হয়ে থাকে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে। আবার পূর্ণিমার পরদিন থেকে চাঁদের আকার ক্রমাগত হ্রাস পেতে থাকে এবং অবশেষে পৌঁছায় অমাবস্যায়, এই পূর্ণিমার পরদিন থেকে অমাবস্যা পর্যন্ত সময়কালক...

প্রাচীন ভারতের ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক

 প্রাচীন ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিষ্ঠা, পৃষ্ঠপোষকতা ও ধ্বংস করেন কারা? Who established, sponsored and destroyed the universities of ancient India? Kapil Mandal প্রাচীনতম নয়, প্রাচীনতমদের মধ্যে অন্যতম। প্রাচীনতা ও উন্নতির দিক থেকে দেখলে গ্রীস প্রথম। তারপর চীন এবং ভারতের স্থান। ১১ শ সালের পর নয়, ঋক বৈদিক পরবর্তী সময় থেকেই ভারতে জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা পিছুতে থাকে। ১১০০ সালের পর যারা শাসক ছিল, তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুবাদ গ্রন্থ হিসেবে প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার সংস্কৃতি নতুন করে জেগে ওঠে এবং আরব ভূমিতে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে ইউরোপে। মৌর্যদের আমলে পুনরায় ভারতীয় সভ্যতা সংস্কৃতির ব্যাপক উন্নতি হয়। গুপ্ত আমলের প্রথম দিক পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে গুপ্ত শাসকদের ব্রাহ্মণ্যবাদী মতবাদের প্রভাবে তা আবার নষ্ট হতে শুরু করে। এ সময় বহু বিশ্ববিদ্যালয় এবং লাইব্রেরী এরা নষ্ট করে ফেলে। বৌদ্ধ পন্ডিত সহ অসংখ্য শিক্ষাবিদ ভারত ছেড়ে পূর্ব এশিয়ায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। আর তার ফলে বৌদ্ধধর্ম কেন্দ্রিক ভারতীয় উন্নত সংস্কৃতি পূর্ব এশিয়ার ছড়িয়ে পড়ে। ভারত  বৌদ্ধ সংস্কৃতির ...

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে, ...

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য সফল হলে, সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম তোমার বাবা-মা। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, তাঁরা চাইলেও আজীবন তোমার সঙ্গে থাকতে পারবেন না। সফল হলে সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম বাবা-মা। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হওয়া জরুরী। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রধান পরিচয় (মানুষ হিসাবে) নির্ণায়ক মাপকাঠি। তাই এই অর্থব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রাথমিক লক্ষ্য। এটা পূর্ণ হওয়ার পরই কেবল অন্যান্য লক্ষ্যে এগোনোর কথা ভাবা উচিৎ। প্রসঙ্গত বলে রাখি, অন্য লক্ষ্য মানে মানুষে জন্য কিছু করা, সমাজের জন্য যতটা সম্ভব অবদান রাখা। একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ এই লক্ষ্যকে অস্বীকার করতে পারেন না। এখন প্রশ্ন হল, এই সাফল্যের প্রধান চাবিকাঠি কী? চাবিকাঠি হল শিক্ষা। উপযুক্ত শিক্ষাই একমাত্র তোমাকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। সুতরাং শিক্ষা অর্জনকে প্রাথমিক পর্যায়ে একমাত্র লক্ষ্য করতে হবে এবং শিক্ষা অর্জনের এই প্রচেষ্টাকে সাধনার পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তবেই তুমি সফল হবে। সফল হলেই সবাই তোমার, সবই তোমার। ----------xx----------

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষার প্রভাব দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে