সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সরকারি স্কুল ও শিক্ষকদের মানসিকতা

সরকারি স্কুল ও শিক্ষকদের মানসিকতা যারা সরকারি স্কুলে নিজে পড়াতে চান, কিন্তু নিজের সন্তানকে পড়ান না, তারা চালাক বিবেচিত হতে পারেন, কিন্তু বুদ্ধিমান মোটেই না।

বেদ কি ধর্মগ্রন্থ?

বেদ কি ধর্মগ্রন্থ? Ashoke Mukhopadhyay ধন্যবাদ সাথি। মনোযোগ দিয়ে পড়া এবং মতামত দেয়ার জন্য। সঙ্গে মূল্যবান পরামর্শ।❤️ পরামর্শের গুরুত্ব বুঝি। কিন্তু মাঝে মাঝে মুখ না খুলে পারি না। কারণ, সবাই যদি বিতর্ক এড়িয়ে চলি, তবে তো মিথ্যা সত্য বলে প্রচারিত হতে থাকবে। আমি আপনি থেমে থাকলেও মিথ্যার পসারিরা তো থেমে থাকবে না। একসময় সত্য মিথ্যা আর মিথ্যা সত্য বলে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে যাবে। আর এক জার্মানির জন্ম হবে। তাই ..... আমার আপনার মত অনেক আলোকপ্রাপ্ত যুক্তিবাদী মানুষের কাছে ওটা প্রাচীনতম সাহিত্যই। কিন্তু লক্ষ কোটি বিশ্বাসী মানুষের কাছে এটাই ধর্ম গ্রন্থ। তাই ধর্ম গ্রন্থ হিসাবেই উল্লেখ করেছি। প্রাসঙ্গিকতাই এই বিবেচনার কারণ। ধর্ম ব্যবসায়ীদের মোকাবিলা ধর্ম দিয়েই করলে ফলপ্রসূ হয় বলে আমার উপলব্ধি। না হলে ধার্মিক মানুষের কাছে তা গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। -----------xx---------- Ali Hossain খুব ভালো লিখেছেন। তবে মার্ক টোয়েন-এর পরামর্শ মনে রাখবেন। সবার সঙ্গে তর্ক করতে যাবেন না। আর একটা কথা। বেদ কোনো ধর্ম গ্রন্থ নয়। বেদ সাড়ে তিন হাজার বছর আগেকার কিছু পশ্চিমি জনজাতি যারা উত্তরে পশ্চিম ভারতে এস

হিন্দু কি ধর্ম?

হিন্দু কী ধর্ম? Is Hindu a religion? লেখাটা পড়ার আগে সুরঞ্জন অধিকারীর মন্তব্যটি, লেখার শেষ অংশে আছে, একটু দেখে নিন। Suranjan Adhikari আমি ভারতীয় সংস্কৃতির পক্ষে বিপদজনক? আপনি বলছেন? তার মানে, আপনি আমাকে ভয় দেখাচ্ছেন?😄 যারা যুক্তি তর্কে ও তথ্যে পারেন না, তারা ভয় দেখান। ওটাই তাদের শেষ অস্ত্র। এটা আমি জানি। সেই সঙ্গে এটাও জানি এবং বুঝিও যে : সততার শক্তি কত, অসৎ জনে জানে না, শিক্ষার শক্তি কত, অশিক্ষিত বোঝে না। সুতরাং ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।  আসুন মূল কথায় আসা যাক। আপনি সনাতন ধর্মকেই হিন্দু ধর্ম বলছেন? 😄 আপনি তো নিজের ধর্মটাই ঠিকঠাক জানেন না বন্ধু। আমাকে কীভাবে ভালো ভাবে চর্চা করার পরামর্শ দিচ্ছেন? আগে তো নিজে ভালো করে জানুন। আসুন জেনে নেই। সনাতন হল একটা ধর্ম দর্শন, যার আর এক নাম ব্রাহ্মণ্য ধর্ম। আরও পূর্বে এটাই বৈদিক ধর্ম নামে পরিচিত ছিল। এর কোন প্রবর্তক নেই। ধর্ম গ্রন্থের নাম হল বেদ, যার কোন লেখক নেই। বৈদিক ধর্মদর্শন অনুযায়ী এটি ঐশ্বরিক গ্রন্থ। ঐতিহাসিকদের মতে, যুগ যুগ ধরে অসংখ্য মনীষীর অবদানে তা গড়ে উঠেছে চতুর্বেদ। বেদটা পড়েছেন কখনও? না পড়লে পড়ে নিন। জানতে পারবেন। আপনি কতটা ভুল

ব্রাহ্মণ ও ব্রাহ্মণ্যবাদ

ব্রাহ্মণ ও ব্রাহ্মণ্যবাদ Goutam Ray ইতিহাস বলে, হিন্দু বলে কোন ধর্মীয় গোষ্ঠী নেই। ইসলাম ও বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি কোন বিশেষ দুর্বলতাও আমার নেই, আপনার যেমন তথাকথিত হিন্দু ধর্মের প্রতি আছে। একমাত্র মানুষের প্রতিই আমি দুর্বলতা অনুভব করি। তাই মানুষের কথা বলি। ব্রাহ্মণ আর ব্রাহ্মণ্যবাদ আলাদা। এটা সম্ভবত আপনার জানা বোঝার বাইরে আছে। সম্প্রদায় এবং সাম্প্রদায়িকতা যেমন আলাদা - এটাও তেমনি। ব্রাহ্মণ হচ্ছে একটা সামাজিক গোষ্ঠী যার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। আর ব্রাহ্মণ্যবাদ একটি পুরোপুরি রাজনৈতিক মতাদর্শ। যার দ্বারা মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করে একটা ক্ষুদ্র গোষ্ঠী রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক আধিপত্য কায়েম করে। যুগ যুগ ধরে পৃথিবী জুড়ে এই আধিপত্যবাদ কায়েম ছিল, গণতন্ত্র আসার আগে পর্যন্ত। কোন কোন দেশে এখনো তা বজায় আছে। একজন মানুষ হিসেবে আমি এর বিরোধিতা করি। এখানে কোন হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নেই।  একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের প্রতি আপনার ভালোবাসা এবং একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের প্রতি ভয় ও বিদ্বেষ আপনাকে আষ্টেপিষ্ট বেধে ফেলেছে। এই ভয় ব্রাহ্মণ্যবাদীরাই আপনার মধ্যে ঢুকিয়েছে। আমি এটারই বিরোধিতা ক

ইরফান হাবিব ও নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়

 ইরফান হাবিব ও নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ইরফান হাবিব প্রথিতযশা ঐতিহাসিক। তাকে অশ্রদ্ধা জানানোর স্পর্ধা আমার নেই। কিন্তু বিনয়ের সঙ্গে বলছি : ১) তিনি যখন এই গ্রন্থ লিখেছেন নিশ্চয়ই তার কাছে এ বিষয়ে আধুনিক গবেষণার ফলাফল ছিল না।  ২) এই গ্রন্থটি নালানন্দ বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত কোনো গবেষণা গ্রন্থও নয়। মধ্যযুগের ইতিহাস বর্ণনায় একটি সাধারণ তথ্য হিসাবে তিনি এ কথা বলেছেন, যেটা আমি আপনি দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আসছি।  ৩) আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন এই বিতর্কিত তথ্যের সমর্থনে তিনি কোন তথ্যসূত্র উল্লেখ করেননি। সুতরাং ইরফান হাবিব বলেছেন বলেই তা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। এই আলোচনায় বেশ কয়েকজন মন্তব্যকারী বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ করেছেন। সেগুলো দেখুন। আমার কাছেও প্রচুর তথ্য আছে যার ভিত্তিতে আমি আমার মতামত রেখেছি। সমসাময়িক কোনো ঐতিহাসিক আকর গ্রন্থ নেই যা দিয়ে প্রমাণ করা যায় বক্তিয়ার খিলজী নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধংস করেছেন।  উল্লেখ্য, এ কারণেই নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ‘ ইতিহাস এবং পুনরুজ্জীবন ’ নামক পাতায় এই বিষয়টির উল্লেখ পর্যন্ত করা হয়নি। দেখে নিন

কারা কেন অশিক্ষিত বলে বিবেচিত হয়?

 Moti Lal Deb Nath ঠিকই, যিনি যেমন দেখবেন, এবং যেমন বুঝবেন, তেমনই বলবেন। এতে কোন দ্বিমত নেই। তা দোষেরও নয়। দোষের তখনই হয়, যখন কেউ অপ্রাসঙ্গিক বিষয় টেনে আনেন। আমি আপনার ভিতরটা যদি স্পস্ট করে বুঝতে পারতাম, ‘অশিক্ষিত' এবং অথবা দিয়ে 'জেনে বুঝে না বোঝার ভান’ - এভাবে শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করতাম না। আমি যাকে যেভাবে বুঝি, তাকে সেভাবেই সোজা সাপটা বলতে স্বচ্ছন্দ্যবোধ করি। আপনাকে ওই দুটোর কোনটাই বলিনি। কারণ, আমি এখনও বুঝিনি, কেন আপনি অপ্রাসঙ্গিক কথা টেনে এনে পোষ্টের মূল উদ্দেশ্যকে অন্যদিকে নিয়ে গেলেন। বুঝিনি বলেই আগের মন্তব্যে দু-দুবার ‘অবাক হওয়ার’ কথা উল্লেখ করেছি। যদি বুঝতাম, তাহলে সরাসরি আপনাকে হয় অশিক্ষিত বলতাম, আর না হয় ‘না বোঝার ভান করছেন’ বলে অভিযোগ করতাম। কারণ, মারপ্যাঁচ করে কথা বলা, আমার স্বভাবের বিরুদ্ধ। আমি শুধু বলেছি, এভাবে যারা প্রসঙ্গ ছেড়ে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে নিয়ে যায়, তারা ওই দুটোর কোন একটার কারণে নিয়ে যান। সেই অপশন দুটো আপনার সামনে তুলে এনেছি মাত্র। আপনি ওই দুটোর কোনটার মধ্যে পড়েন, অথবা আদৌ পড়েন কি না, সেটা তো আমি জানি না। কারণ, জানাটা অতটা সহজ কাজ নয়। ওটা আপনিই

মুসলিম ভোট সব তৃণমূল পায়?

মুসলিম ভোট সব তৃণমূল পায়? Does the Muslim vote get all TMC? যারা বলে মুসলিম ভোট সব তৃণমূল পায়, তারা জেনে বুঝেই এই মিথ্যাটা বলে। উদ্দেশ্য, হিন্দু ভোটের সিংহভাগ কৌশলে বিজেপির পক্ষে নিয়ে যাওয়া। ---------xx-------- এটা একমত হ‌ওয়া গেল না । সব ভোট না গেলেও গত দুটি বিধানসভা এবং সাম্প্রতিক লোকসভা ভোটে একটা বড় অংশের ভোট‌ রাজ্যের শাসকদলের অনুকূলে গেছে । খুব যে ভালোবেসে গেছে তা হয়তো নয় , কিন্তু গেছে এটা সত্য । আগে এই ভোটটা বামেরা পেতো । এখন আর পায় না । আপনার কথা যদি সত্য হতো তাহলে অধীর চৌধুরী ভোটে হারার কথা নয় । এবার আপনি বলতে পারেন ভোট দিতে বাধ্য হয় । কেন বাধ্য হয় তার দুটো দিক আছে । প্রথমটা হলো পক্ষপাতদুষ্ট প্রচারে মুসলিম জনমানসে একটা ভীতির সঞ্চার হয়েছে । আর দ্বিতীয়টা হলো রাজ্যের শাসকদল এমন একটা ইমেজের সৃষ্টি করতে সফল হয়েছে যে তারাই হলো সংখ্যালঘুদের রক্ষাকর্তা। আর সংখ্যালঘুরাও ধর্মনিরপেক্ষ সংখ্যাগুরু জনগণের চেয়ে একটা রাজনৈতিক দলকেই বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে করেছে । এটার একটা বিরাট কুফল আছে । তবে সেটা বুঝতে একটু সময় লাগবে । ------------- Moti Lal Deb Nath সাথি, আপনার ব্যাখ্যার উত্তর

এক্সিট পোল অবৈজ্ঞানিক অনুমান মাত্র।

এক্সিট পোল অবৈজ্ঞানিক অনুমান মাত্র। Exit polls are just unscientific guesses. একজিট পোল অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে করা একটি অনুমান মাত্র। টিভির টিআরপি বাড়ানোর একটি জনপ্রিয় কৌশল। তাই নাচানাচি না করে ৪ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। মিডিয়া বললেই সেটা সত্যি বা মিথ্যা হয় না। হতে গেলে পদ্ধতিটা বিজ্ঞান সম্মত হওয়া প্রয়োজন। বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতির মাধ্যমে করা সমীক্ষার বিশ্লেষণ, ফলাফল এবং ডাটা বা তথ্য প্রকাশ্যে আনতে হয়। এরা তা করে না। শুধু ফলাফল বলে। তাই এই ফলাফল বিশ্বাস করার মত কোন বিষয় নয়। এদের ফলাফল লটারি ফলাফলের সংগে তুলনা করা যায়। যতটা মেলার সম্ভানা থাকে, ততটাই না মেলার সম্ভাবনা থাকে। তাই নাচানাচি করার কিছুই নেই। ৪ তারিখ বলে দেবে মানুষ কী করেছেন। একটাই সতর্কতা দরকার গণনা প্রক্রিয়া যেন নিরপেক্ষ হয় ও বিজ্ঞানসম্মত হয়।

শিক্ষা সম্পর্কে আলী হোসেন

শিক্ষা সম্পর্কে আলী হোসেন শিক্ষার আর এক নাম আলো। আলো যত উজ্জ্বল হয়, অন্ধকার ততো মুছে যায়। তাই, প্রকৃত শিক্ষার আলো যত উজ্জ্বল হবে, সমাজ থেকে উঁচুনিচু, জাতপাত, ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, ইত্যাদির মত অন্ধকার (অসুস্থ ভাবনা চিন্তা) তত মুছে যায়। তাই সমাজ পরিবর্তনের জন্য দরকার প্রকৃত শিক্ষার প্রসার ঘটানো। আর এ কারণেই বলা হয় : শিক্ষা আনে চেতনা, আর চেতনা আনে বিপ্লব।

মানুষে মানুষে বিভাজনের কারণ কী?

প্রকৃত (আসল) ধর্ম কি? What is the real religion? মানুষের মধ্যে বিভাজন কিংবা ভেদাভেদ - যাই বলুন না কেন, তা করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হল প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম। কারণ, মানুষের জন্য যে ধর্ম, সে ধর্ম মানুষকে ভাগাভাগি করেনা।  প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম, যার ভিত্তি হল অলৌকিক শক্তিতে বিশ্বাস, ভীরু মানুষেরা তার দ্বারা সহজেই প্রভাবিত হন। কারণ, প্রচলিত ধারণা হল, এই বিশ্বাসের সঙ্গে একটু ভক্তি মেশালেই ঈশ্বরের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।  মৃত্যু ভয় আর সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা প্রত্যেক মানুষকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। একটা বহল প্রচলিত ধারণা হল, সাফল্য লাভ কিংবা মৃত্যু ভয় এড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় অলৌকিক শক্তিতে বিশ্বাস এবং তার ভজনা করা। সহজেই পাওয়ার আশ্বাস থাকে বলে, এমন বিষয় ও বিশ্বাসের প্রতি মানুষ বেশি আগ্রহ দেখায়। এবং সে কারণেই এই পথকেই মানুষ বেশি বেশি করে আঁকড়ে ধরতে চায়। এই মৃত্যুকে জয় করা যাবে না জেনেও, তাকে ঠেকিয়ে রাখার আকাঙ্খা থেকেই অলৌকিক শক্তির প্রতি বিশ্বাস তৈরি হয়। কিন্তু এটা প্রকৃত ধর্ম নয়। ধর্মের স্বঘোষিত প্রচারক যারা, তারা নির্দিষ্ট কিছু রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে এই ধারার ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। এই

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন