Bhabani Sankar Chatterjee সাথি, যেগুলো বললেন সেগুলোর সঙ্গে অবশ্যই একমত। কিন্তু কিছু কথা বাদ দিয়ে গেলেন। মনে হয় আপনার রাজনৈতিক মত ও পথের সঙ্গে মিলবে না বলেই তা করলেন। যেমন, ১) নেতাজির জাতীয়তাবাদ ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদ। তথাকথিত হিন্দু জাতীয়তাবাদ নয়। ২) তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে ছিলেন। হিন্দু-মুসলিম সহ সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের সমানাধিকার ও সাবস্থানে বিশ্বাসী ছিলেন। ৩) ধর্মনিরপেক্ষ নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। তার আজাদ হিন্দ বাহিনীর গঠন বিশ্লেষণ করলেই তা বোঝা যায়। ৪) তিনি হিন্দু-মুসলমানের স্বার্থকে অভিন্ন বলে ভাবছেন। ৫) তিনি বাংলা ভাগ সহ ভারতবর্ষের ভাগ চাননি। ৬) তিনি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বিশ্বাসী ছিলেন। ৭) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল তিনি ধনতন্ত্রের বিপক্ষে এবং সম্পদের সামাজিক মালিকানায় বিশ্বাসী ছিলেন। ৮) জাতিভেদ ও বর্নভেদ ব্যবস্থার বিরোধী ছিলেন। এগুলো কোনোটাই আপনার দলের কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত নয়। বরং এর ঠিক উল্টো দিকে তার অবস্থান। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...