সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নেতাজির নীতি ও আদর্শ

Bhabani Sankar Chatterjee সাথি, যেগুলো বললেন সেগুলোর সঙ্গে অবশ্যই একমত। কিন্তু কিছু কথা বাদ দিয়ে গেলেন। মনে হয় আপনার রাজনৈতিক মত ও পথের সঙ্গে মিলবে না বলেই তা করলেন। যেমন, ১) নেতাজির জাতীয়তাবাদ ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদ। তথাকথিত হিন্দু জাতীয়তাবাদ নয়। ২) তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে ছিলেন। হিন্দু-মুসলিম সহ সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের সমানাধিকার ও সাবস্থানে বিশ্বাসী ছিলেন। ৩) ধর্মনিরপেক্ষ নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। তার আজাদ হিন্দ বাহিনীর গঠন বিশ্লেষণ করলেই তা বোঝা যায়। ৪) তিনি হিন্দু-মুসলমানের স্বার্থকে অভিন্ন বলে ভাবছেন। ৫) তিনি বাংলা ভাগ সহ ভারতবর্ষের ভাগ চাননি। ৬) তিনি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বিশ্বাসী ছিলেন। ৭) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল তিনি ধনতন্ত্রের বিপক্ষে এবং সম্পদের সামাজিক মালিকানায় বিশ্বাসী ছিলেন। ৮) জাতিভেদ ও বর্নভেদ ব্যবস্থার বিরোধী ছিলেন। এগুলো কোনোটাই আপনার দলের কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত নয়। বরং এর ঠিক উল্টো দিকে তার অবস্থান। প্রসঙ্গ জানতে  এখানে ক্লিক করুন

প্রসঙ্গ : নেতাজিকে শ্রদ্ধা ও কিছু কথা

প্রসঙ্গ : নেতাজিকে শ্রদ্ধা ও কিছু কথা Context: Tribute to Netaji and some words Senjuti Saha প্রথমত, 'সহমত' হলে পরের মন্তব্যগুলো আসা উচিত নয়। কারণ, সত্যিই সহমত হলে, এই মন্তব্যগুলো প্রাসঙ্গিকতা হারায়। দ্বিতীয়তঃ উচিত না হলেও তোমার উত্থাপিত প্রশ্নগুলোকে উপেক্ষা করা যায় না। তাই কিছু আলোচনা করা প্রয়োজন। ১) নেতাজিকে কে কী বলেছিলেন তার দায় একান্তই তাঁর বা তাঁদের। আমার বা তোমার নয়। ২) তবু যদি বিচার করতেই হয়, তবে তা তৎকালীন পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে বিচার করেই তা করা উচিত। কারণ, প্রত্যেকটা ঘটনার পিছনে যে কার্যকারণ সম্পর্ক থাকে, তাতে নির্দিষ্ট একটি সময় এবং পরিস্থিতি  অর্থাৎ প্রেক্ষাপট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তাই যিনি বলেছিলেন, তার বক্তব্যের প্রেক্ষাপট আমাদের আগে জানা উচিত। সেটা না জেনে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে (বর্তমান প্রেক্ষাপটে) সেই মন্তব্যকেই উদ্ধৃত করা অযৌক্তিক। কারণ, তা কখনোই বাস্তব সম্মত হবে না। যদিও নীতি-আদর্শহীন ধান্দাবাজ রাজনীতিকরা তা হামেশাই করে থাকে। কিন্তু শিক্ষিত ও সচেতন মানুষ তা কখনোই করতে পারেন না। তবে, কোটেশনের মধ্যে যে শব্দটি উহ্য রয়েছে তাকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যা

নেতাজি বিরোধীরাই এখন নেতাজির ভক্ত

নেতাজি বিরোধীরাই নেতাজিকে নিয়ে মাতামাতি করছেন চিন্তায়-চেতনায় যাঁরা পুরোমাত্রায় নেতাজি বিরোধী, তাঁরাই নেতাজিকে নিয়ে মাতামাতি করছেন বেশি। শুধুমাত্র ভোটের আশায়। এদের সঙ্গ দেওয়া মানে নেতাজিকে অসম্মান করা। 24/01/2021

শিক্ষা ও অপনপর সম্পর্ক

পরকে আপন করতে পারা নিশ্চয়ই শিক্ষার অঙ্গ। কিন্তু সেটা আপনজনকে পর করার বিনিময়ে হলে তা অসম্পূর্ণ শিক্ষা। উৎস জানতে এখানে ক্লিক করুন

মুসলিমরা কেন পিছিযে?

Ayesha Khatun দুঃখিত। আপনি আমার লক্ষ্যটা ধরতে পারেন নি। সাচার কমিটির তথ্যের কোনো বিরোধিতা এখানে করিনি। 😀 বোঝার চেষ্টা করেছি এই অবস্হার জন্য ঠিক কে কতটা দায়ী। সরকার না আমরা নিজেরা। এবং কেন। তাছাড়া, টাকা দিয়ে কিনতে গেলেও একটা যোগ্যতার লেবেল লাগে। এবং টাকা দিয়ে যখন চাকরি পাওয়া যায়, তখন কে হিন্দু আর কে মুসলিম বিষয়টি গুরুত্ব হারায়। যার টাকা তার চাকরি। আমি নিজে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলাম। দুই ও তিন নম্বরের পার্থক্য সামনে রেখে আমি প্রথম হয়েছিলাম। স্কুল কমিটি আমাকেই প্রথম অফার দিয়েছিল চাকরি নেওয়ার জন্য। আমার দেওয়ার ক্ষমতাও ছিল না, দেওয়ার ইচ্ছাও ছিল না। তাই আমার চাকরিটি হই নি। হল কার? দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানের অধিকারীর মধ্যে টাকা দেওয়ার লড়াইয়ে তৃতীয় জনই শেষমেশ চাকরিটা নিলেন। বলে রাখি ওই দুজনের কেউই আমার সম্প্রদায়ের ছিল না। সুতরাং এখানে সম্প্রদায়টা কোনো ফ্যাক্টর নয়। এখানে টাকাটাই প্রধান শর্ত। আমার পোস্টের লক্ষ্য সম্প্রদায় হিসাবে মুসলিমরা কেন পিছিযে তার উৎস বোঝার চেষ্টা। দুর্নীতি আমার পোস্টের লক্ষ্য নয় সাথি। যাই হোক, ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। শুভসন্ধ্যা। উৎস জানতে এখানে ক্লিক করুন

মানবতায় হিন্দু-মুসলমান থাকে না, থাকে মানুষের ভালো

Prosenjit Roy Chowdhury সাথি, Ranjankanti Bhattacharjee ইতিহাস বিকৃত করেন নি বা বিকৃত ইতিহাস তিনি বলছেনও না। ইতিহাসের বাম-ডান হয় না। হয় সত্য-মিথ্যা। বামপন্থীরা সত্য ইতিহাসের চর্চা করেন এই যা। কিন্তু বিজেপি ও তার আইটি সেল ইতিহাস বিকৃত করে এবং রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তা প্রচার করে। তারই বিরোধিতা করেছেন এবং সত্য ইতিহাসটাই তুলে ধরেছেন উনি।  এক কাজ করুন। রাজনীতি-নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আছে এমন আধুনিক গবেষকদের বই কিংবা তাঁদের লেখা উদ্ধৃত করে প্রমাণ করুন যে, রঞ্জন বাবুর তথ্য ভুল। শুধু শুধু একতরফা ইতিহাসের ভিত্তিতে মন্তব্য করে কোনো লাভ নেই। আর ওনার বক্তব্যের সমর্থনে একাধিক ব্যক্তির গবেষণা লব্ধ বইয়ের নাম আমার ওয়ালে খুঁজলেই পেয়ে যাবেন। একতরফা বলছি এই কারণে যে, ইতিহাসের পাতার একটা পিঠ দেখিয়ে আপনারা দাবি করছেন এটাই আসল ইতিহাস। কিন্তু তার উল্টো পিঠটাকে বেমালুম চেপে যাচ্ছেন। উল্টো পিঠে, এদেশ থেকেও লাখ লাখ মানুষ ওই দুই দেশে যেতে বাধ্য হয়েছেন তাদের দুঃখ যন্ত্রণার কথা, তা লেখা আছে। আর লেখা আছে ওই দুই সম্প্রদায়ের (হিন্দু-মুসলিম) মানুষ নিজের স্বার্থে দেশ ভাগ চাননি। দেশভাগ চেয়েছিলেন রা

এখনকার বিষয়কে এখনকার নিরিখে বিচার করুন দেখবেন আপনার বক্তব্যে অসম্পূর্ণতা বা অসারতা প্রকাশ পাচ্ছে।

Amit Mandal আপনি কোন দেশের নাগরিক এখানে সেটা বিচার্য নয়। তার ওপর সত্য মিথ্যা নির্ভরও করে না। আর পাকিস্তানকে নিয়ে গর্ব করার মত বিষয় এখানে উপস্থাপিতও হয় নি। যেটা বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে তাহল সেখানকার সুপ্রিমকোর্ট একটি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেটা আগে ভাবাই যেত না। আর এই যুগোপযোগী অবস্থান ভারত আগাগোড়া নিয়ে আসছিল দুএকটি ব্যতিক্রম ছাড়া।  কিন্তু এখন ভারত তার সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারছে না। আর উপমহাদেশের কোন দেশটা করাপ্টেড নয় বলুন তো? আপনার দেশ কি মুক্ত? আমার দেশ পূর্বের সীমা অতিক্রম করেছে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। আমিই বা কোথায় দাবি করলাম যে পাকিস্তান করাপ্টেড নয়? একটু ভালো করে পড়ে-বুঝে মন্তব্য করাটা বোধ হয় শিক্ষিত (শুধু লেখা পড়া জানা নয়) মানুষেরই কাজ। বলতে হবে বলেই বলে দিলাম এটা বড়ই হাস্যকর। অথবা 'যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা ' বললে তো সমাজ মানবে না তাই না? আপনাদের সঙ্গে পাকিস্তানের অন্যায় অত্যাচারের কথা মাথায় রেখেই একথা বলছি। সব সময় অতীত আকড়ে বসে থাকলে চলে না। সময়ের নিরিখটাও সামনে রেখে অতীতের বিচার করাটা জরুরী। কী বলেন?😀😀 মনে রাখবেন একটা দেশ নিজে নিজে চলে না। তা চালায় সরকার তথা

খবরটি মিথ্যাও নয়, আবার 'বাম মনোভাবাপন্ন'ও নয়

Debajyoti Dey সাথি, বেশ হাস্যকর দুটো তথ্য তুলে ধরলেন। সত্যকে সহজভাবে নেয়াই কল্যাণকর। এটা প্রত্যেক মানুষের মনে রাখা উচিত। বিদ্বেষ নয় সহানুভূতি ও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে ভাবুন। দেখবেন সত্য উপলব্ধি সহজ হয়ে যাচ্ছে। হাস্যকর বলছি, তার কারণ আপনি মনগড়া ও অসম্পূর্ণ তথ্য তুলে ধরেছেন। ১) আপনি বোধহয় ভুলে গেছেন দেশ ভাগ সাধারণ মানুষ চায় নি। চেয়েছিলেন ধান্দাবাজ রাজনীতির কারবারিরা। সেখানে দুই সম্প্রদায়ের রাজনীতিক ছিলেন। ২) আপনি বোধহয় এও ভুলে গেছেন যে শুধুমাত্র  ওদেশ থেকে সংখ্যালঘু এদেশে আসেনি, এদেশ থেকেও প্রচুর সংখ্যালঘু ওদেশে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। ৩) খবরটা মিথ্যাও নয়, 'বাম মানসিকতার' ফসলও নয়। প্রসঙ্গত আপনার মতামতটা যে বিজেপি মনোভাবাপন্ন তা কিন্তু পরিষ্কার। যাই হোক, জানুয়ারির ২ তারিখের পেপার খুলুন (আজকাল কিংবা আনন্দবাজার) আর ভেতরের ছোট করে দেওয়া খবরের দিকে চোখ রাখুন দেখবেন খবরটা পিটিআই এর খবর।

চাঁদমামা বললে যেমন চাঁদ মামা হয় না, ভারত মাতা বললেও তেমন ভারত আমার মা হবেনা।

Bhabani Sankar Chatterjee 😀😀 এতো বাচ্চাদের মত কথা বললেন। কী হবে বললে? আমার জাত চলে যাবে? যে মানুষটা মানুষ ছাড়া অন্যকোন জাতধর্মে বিশ্বাস করে না তাকে আপনি বলছেন .......। আপনি তো একজন শিক্ষক জানি। এতো হাস্যকর প্রস্তাব দিলেন? আমি সবই বলতে পারি। জয় শ্রীরামও বলতে পারি। কারণ আমি যাই বলিনা কেন সেটা কেবলই কথার কথা। বললেও কিছু হবে না। না বললেও কিছু হবে না। চাঁদমামা বললে যেমন চাঁদ মামা হয় না, ভারত মাতা বললেও তেমন ভারত আমার মা হবেনা। সুতরাং বললে কিছুই যায় আসে না। (আমার মা যেমন একজনই, তেমনি অপনারও তা-ই)।  দেশকে মাতা বলাটা নিছকই উপমামাত্র।  পৃথিবীর কটা দেশের মানুষ দেশকে মাতা বলে সম্বোধন করে জানেন? জানেন না। এটা একান্তই ভারতীয় উপমহাদেশের একটি দেশপ্রেমের প্রকাশ সম্বলিত শ্লোগান মাত্র। তাই বললেও কিছু হয় না, না বললেও কিছু হয় না। সারা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মানুষ দেশকে মা বলেন না, বলেন জন্মভূমি। তাতে কি তাদের দেশভক্তি নেই বলবেন? ভুল জায়গায় টোপ দিয়েছেন। বুঝলেন কিনা?😀😀😀😀😀😀😀😀 প্রসঙ্গ জানতে এখানে ঠিক করুন

আধুনিক ভারতীয় জাতীয়তাবাদী চেতনার জন্মদাতা হচ্ছেন বাঙালি

Bhabani Sankar Chatterjee ওটা আপনার ভাবনা। এবং আমার মতে সেটা ভুল। বাঙালি ভারতের মধ্যে সবচেয়ে সচেতন জাতি ছিল এবং এখনও আছে বলেই আমার বিশ্বাস। আধুনিক ভারতীয় জাতীয়তাবাদী চেতনার জন্মদাতা হচ্ছেন বাঙালি। বাংলাকে ইংরেজরা জাতীয়তাবাদের আঁতুরঘর বলতো। ভুলে গেলেন? আপনাকে কে বলেছে যে বাংলা স্বাধীন সার্বভৌম শক্তি হতে চায়? এসব আপনাদের কষ্টকল্পনা মাত্র।  এসব বলে লেখাপড়া না জানা মানুষকে বিভ্রান্ত করা গেলেও শিক্ষিত মানুষকে করা যাবেনা। জাতীয় জীবন মানে যদি হয় বিজেপির ধ্যানধারণাকে মান্যতা দেয়াকে বোঝান তবে তা ভুল। এটা জোর করে চাপাতে গেলে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে যাবে। সেটা ভারতের ঐক্য ও সংহতির পক্ষে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রের জন্ম ও শক্তিবৃদ্ধির মূল ভিত্তি হচ্ছে এই যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনকাঠামো। হ্যা, আমি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কথাই বলছি। আপনি হয় তো জানেন, অথবা জানেন না যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের আলাদা পতাকা ও সংবিধান আছে। আর এটাই তাদের শক্তির প্রধান উৎস। বিজেপি এটাকেই ভাঙতে চাইছে। চারিদিকে এত অস্থিরতার এটাই মূল কারণ। এটাই ভারতের ক্ষয়িষ্ণু হয়ে যাওয়ারও অন্যতম কার

বাংলা ভাষা ও বাঙালি বিদ্বেষ নতুন নয়।

Bhabani Sankar Chatterjee আপনি বোধ হয় পুরো খবরটি পড়েন নি। পুরোটা পড়ুন, দেখবেন তার কাগজপত্র সবই ছিল। না থাকলে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হল কেন? ভাষার ব্যাপারটাও মন গড়া নয়। আসামে ভাষা আন্দোলন ও বাংলা ভাষা শহীদদের কথা বোধ হয় আপনার জানা নেই। একটু খোঁজ করুন। জানতে পারবেন। বাংলা ও বাঙালি বিদ্বেষ বহু পুরানো। বিজেপি সেটাকে উসকে দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে আসামে। তাই পুরনো আগুন আবার জ্বলে উঠেছে। এর বিরুদ্ধে প্রত্যেক বাঙালির রুখে দাঁড়ানো উচিত। না হলে আমি আপনিও রেহাই পাবো কিনা যথেষ্ট সন্দেহ আছে। স্বাধীনতার সময় বাঙালিকে একবার মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে হিন্দি বলয়ের নেতারা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিকে হাত করে। অসংখ্য উদ্বাস্তু মানুষের জীবন বিপন্ন হওয়ার ইতিহাসটা একবার পড়ুন জানতে পারবেন। ভারতীয় রাজনীতিতে বাঙালির যে অবদান ছিল এবং তাদের যে জনসংখ্যা ও আয়তন ছিল তাতে ভারতের রাজনীতির নিয়ন্ত্রক ছিল  বাঙালিই। সুপরিকল্পিত ভাবে ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়ে বাঙালির সেই শক্তিকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে একটি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীতে পরিণত করা হয়েছে। (সবচেয়ে শক্তিশালী দুটি প্রদেশ বাংলা ও পাঞ্জাবকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে হিসাব কষে।) বাংলা ভাগ ও বাঙালি জাতির ইত

ডিটেনশন ক্যাম্প ও জেল যখন সমার্থক

Bhabani Sankar Chatterjee নিশ্চয়ই এক নয়। কিন্তু ঘটনার প্রক্রিয়া ও পরিণতি দেখলে বোঝা যায় পার্থক্যটা শুধু নামেই। কারণ, ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকার কথা বিদেশিদের যারা অবৈধভাবে এদেশে এসেছে। এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদেরকে তার দেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে তার দেশে ফেরত পাঠাতে হয়। এই প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করাও আর্ন্তজাতিক আইন অনুযায়ী প্রত্যেক গণতান্ত্রিক দেশের কর্তব্য। কিন্তু এখানে যাকে দীর্ঘ দিন আটকে রাখা হয়েছে সে এদেশেরই নাগরিক। সে অপরাধ করলে কেবল জেলেই থাকার কথা বিচার শেষে। এবং বিচার চলাকালীন জামিনে কিংবা জেল হাজতে থাকার কথা তার। ডিটেশন ক্যাম্পে নয়!! কিন্তু বাংলা ভাষায় কথা বলার কারণে যদি কোন দেশীয় নাগরিককে দুবছর আটকে রাখা হয় ডিটেনশন ক্যাম্পে তাহলে কোন যুক্তিতে তাকে আর ডিটেনশন ক্যাম্প বলা যায় বলুন? এতো বিনা অপরাধে হাজতবাস। কারণ, দেশের মানুষকে তো ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকার কথা নয়। অপরাধ করলে জেল হাজতে থাকার কথা তার। (আর ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখার কথা বিদেশিদের।) সুতরাং নাম ডিটেনশন ক্যাম্প হলেও তাকে ব্যবহার করা হচ্ছে জেলের মত করেই। তাও আবার বিনা অপরাধে। এবং সেদিক থেকে দেখলে ডিটেনশন ক্যাম্পের স

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে