আপনার মতামতকে সম্মান জানাই। সেই সঙ্গে কটা কথা যুক্ত করি। ১) ধর্মের আনুষ্ঠানিকতা মেনে চলাই একমাত্র 'ধর্ম পালন' নয়। ২) ধর্ম মানুষকে ভাগ করার জন্য জন্ম নেয়নি। বিভক্ত মানুষকে একসূত্রে বাঁধার জন্য জন্ম নিয়েছিল। ৩) কিন্তু যুগযুগ ধরে কিছু মানুষ এর উল্টো কাজ করে আসছেন। আমার কথা তদের ধর্ম ও মতের বিরুদ্ধে। আপনার বোঝার ভুল হচ্ছে না তো? আপনি যদি ইসলাম ধর্মের কথাই বলেন, তবে বলুন তো ইসলাম কি মানুষকে ভাগ করার কথা বলেছে? আপনি বলছেন 'আপন ধর্ম' এর কথা। আচ্ছা বলুন তো ধর্মের আপন পর হয় কিভাবে? পৃথিবীর প্রত্যেকটা জীবের/পদার্থের নিজস্ব কিছু ধর্ম আছে। সেই শ্রেণির সকলের মধ্যেই তা সমভাবে বিরাজ করে। তা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ নেই। একমাত্র ব্যতিক্রম মানুষ। কেন? এরা হাজার ধর্মীয় বিশ্বাসে বিভক্ত। মানুষ তো একমাত্র জীব যার বিশেষ চেতনা আছে। এই মানুষের ধর্ম আলাদা আলাদা হয় কী করে? 'আপন ধর্ম' বললেই তো মানুষে মানুষে ভাগ করা হয়ে গেলো। এভাগ কি ইসলাম চেয়েছে। চাই নি। অন্য হাজারও ধর্মের মতো তথাকথিত মুসলিমরাও মানুষকে ভাগ করছেন আর বিরোধ বাধিয়ে রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিক ফায়দা তুলছেন। আমার জানা মতে পৃথিব
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ