সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অন্ধ-বিশ্বাস দিয়ে ধর্মপ্রতিষ্ঠান চালানো যায়, দেশ না।

অন্ধ-বিশ্বাস দিয়ে ধর্মপ্রতিষ্ঠান চালানো যায়, দেশ চালানো যায় না। কারণ, আধুনিক রাষ্টব্যবস্থা ও জগৎ চলে যুক্তি ও কার্যকারণ সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা নিয়ম-কানুনের দ্বারা। তাই ধর্মান্ধদের হাতে দেশের শাসনভার পড়লে দেশে বিপর্যয় নেমে আসে। আমাদের দেশ তার জলন্ত উদাহরণ হয়ে রইলো ইতিহাসে।

দলবদল ও গণতন্ত্র : একটি চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা

দলবদল একটা চুড়ান্ত অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। গণতন্ত্র মানে জনগণের তন্ত্র অর্থাৎ জনগণের শাসন। জনগণই এখানে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। জনমতই এখানে শাসকের মত। কিন্তু জনপ্রিনিধি যখন দল বদলান তখন তিনি নিজের মতকেই প্রাধান্য দেন। যাদের ভোটে তিনি নির্বাচিত হলেন তাদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে অন্য দলে চলে যাচ্ছেন। একটা নির্দিষ্ট দলকে জনগন পছন্দ করেন না বলেই তো তিনি আপনাকে ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনের পরে যদি সেই দলেই চলে যান তবে অন্যায়, ভোটারের প্রতি অসম্মানজনক ও চূড়ান্তভাবে অগণতান্ত্রিক। এক কথায় এটা একধরনের চিটিংবাজি। রাজনৈতিক দল গুলি এসব জানে। কিন্তু কিছুই বলে না। কারণ, তারা অধিকাংশই এই ধরণেরচিটিংবাজি করতে সিদ্ধহস্ত। জনগন তাদের কাছে ক্ষমতা দখলের হাতিয়ার মাত্র। হাতিয়ার যেমন কাজের সময় যত্ন পায়, কাজ ফুরালে অনাদরে অযত্নে ফেলে রাখা হয়, জনগণও ঠিক সেরকমই মূল্য পায় রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে। তাই এর বিরুদ্ধে জনগণকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। দলবদল করলেই, যাঁরা ভোট দিয়েছেন তাঁদের দলবদল করা জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে মুখ খোলা দরকার। এমনকি দরকার হলে অরাজনৈতিক সংগঠন তৈরি করে আইনেই কাঠগড়ায় তোলা দরকার। না হলে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যব

ভ্যাকসিন ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন

কেন কেবল দু’টি সংস্থা? আইসিএমআর'র গবেষণা থেকে টিকা তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক। কেবল একটি বেসরকারি সংস্থাকে উৎপাদনের দায়িত্ব। সরকারি বা বেসরকারি অন্য সংস্থাগুলিকে দায়িত্ব দেওয়া হল না কেন? বাতিল রাষ্ট্রায়ত্ত টিকা সংস্থা। কিন্তু কেন কার স্বার্থে? সাতটি (৭টি) রাষ্ট্রায়ত্ত টিকা উৎপাদক সংস্থাকে বসিয়ে রেখেছিল কেন্দ্র। ভারত ইমিউনোলজিক্যালস অ্যান্ড বায়োলজিক্যালস কর্পোরেশন, হাফকাইন বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কর্পোরেশন, হিউম্যান বায়োলজিক্যালস ইনস্টিটিউট, এইচএলএল বায়োটেক, বিসিজি ভ্যাকসিন ল্যাবরেটরি, সেন্ট্রাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, পাস্তুর ইনস্টিটিউট। ১৬ এপ্রিল প্রথম দু’টিকে উৎপাদনে যুক্ত করা হয়। সুপারিশ ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার মধ্যমে টিকা উৎপাদনের পক্ষে। কিন্তু বাতিল হল কেন? ২০০৮-এ তিন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার লাইসেন্স বাতিলের বিরোধিতা করা হয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পরপর দু’টি রিপোর্টে। মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টেও। জাবিদ চৌধুরি কমিটি তিন সংস্থা- সিআরআই, পিআইআই এবং বিসিজিডিএল পুনরুজ্জীবনের পক্ষেই সুপারিশ করেছিল। রিপোর্টে দেখানো হয় যে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বন্ধের ফলে ২০০৮-০৯ এবং ২০০৯ ১০ অর্থবর্ষে

বাংলা নববর্ষ : উৎপত্তি ও বিকাশ

এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির, কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। এই কৃষিকাজের সুবিধার্থেই মুগল সম্রাট   আকবর  ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০/১১ মার্চ বাংলা সন প্রবর্তন করেন এবং তা কার্যকর হয় তাঁর সিংহাসন-আরোহণের সময় থেকে (৫ নভেম্বর ১৫৫৬)। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌরসনকে ভিত্তি করে বাংলা সন প্রবর্তিত হয়। নতুন সনটি প্রথমে ‘ফসলি সন’ নামে পরিচিত ছিল, পরে তা   বঙ্গাব্দ  নামে পরিচিত হয়। বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত আকবরের সময় থেকেই। সে সময় বাংলার কৃষকরা চৈত্রমাসের শেষদিন পর্যন্ত জমিদার, তালুকদার এবং অন্যান্য ভূ-স্বামীর খাজনা পরিশোধ করত। পরদিন নববর্ষে ভূস্বামীরা তাদের মিষ্টিমুখ করাতেন। এ উপলক্ষে তখন মেলা এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। ক্রমান্বয়ে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশে পহেলা বৈশাখ আনন্দময় ও উৎসবমুখী হয়ে ওঠে এবং বাংলা নববর্ষ শুভদিন হিসেবে পালিত হতে থাকে

হিন্দু নববর্ষ : কল্পনা ও বাস্তব

হিন্দু নববর্ষের সূচনা করেছিলেন নাকি বিক্রমাদিত্য। বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের এই দাবিটি নিতান্তই হাস্যকর। কারণ, ১) বিক্রমাদিত্য বলে কোন রাজা আদতে ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত ভাবে প্রমাণ হয় নি। লোককাহিনীর একটি চরিত্র বিখ্যাত হয়ে আছে। ২) সবচেয়ে বড় কথা, এই লোককথার রাজার (বিক্রমাদিত্যের) সময় হিন্দু শব্দটিরই উৎপত্তি হয় নি। ঊনবিংশ শতাব্দীতে Hinduism বা হিন্দুধর্ম শব্দটি ইংরেজি ভাষায় সূচিত হয় ভারতীয়দের ধর্ম বিশ্বাস, দর্শন এবং সংস্কৃতিকে বোঝানোর জন্য। ৩) লোককথার রাজার প্রবর্তিত বর্ষের নাম বিক্রম সংবৎ। বাংলা অনুবাদের বিক্রমাব্দ। আসলে এটা গুপ্তাব্দ। গুপ্তাব্দের প্রথম ব্যবহার দেখা যায় দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের মথুরা স্তম্ভলেখতে। তিনি তার রাজত্বের ৫৬ বছর পূর্বে প্রথম চন্দ্রগুপ্তের দ্বারা গুপ্ত সাম্রাজ্যের সূচনার সময়কালকে এবং একই সঙ্গে নিজের রাজত্বের সূচনাকালকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রবর্তন করেন।
ছি!!  প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন। ...... আমার ধারণা বিজেপি আসতে পারবে না। কারণ, বাঙালি জাতি অনেক বেশি চিন্তা চেতনায় প্রগতিশীল ও রাজনীতি সচেতন। এটা ইতিহাস বলছে। যদি এর উল্টো হয়, তবে জানবেন জাতি হিসাবে বাঙালি পুনরায় অধঃপতিত হয়েছে। যেমন হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধের সময়। ফল স্বরূপ প্রায়, দুশো বছর ধরে ব্রিটিশদের গোলামী ও অপশাসনের শিকার হতে হয়েছিল বাঙালিকে। তেমনি আবার নতুন করে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের দাসত্বের জীবন কাটাতে হবে এদের। স্বাধীনতার সময় এরাই একবার বাঙালিকে ভাগ করে বাঙালির মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে। এবার দ্বিতীয়বার আঘাতের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। বাঙালি না বুঝলে তার খেসারত বাঙালিকেই দিতে হবে।

গনতন্ত্র, না নিধনতন্ত্র?

গণতন্ত্র, না নিধনতন্ত্র? ------------------------ চুপ করে আছেন? ভাবছেন চারটে মুসলমান মরেছে? ভুল। চারজন নিরিহ গরিব মানুষ মরেছে। মেরেছে রাষ্ট্রশক্তি। গণতন্ত্রের নামে নিধনতন্ত্র চালাচ্ছে এরা। থামাতে না পারলে, আপনাকেও ছাড় দেবে না। খোঁজ নিন আর স্মরণ করুন রোহিঙ্গাদের কথা। রাষ্ট্রশক্তির রোষে যখন রোহিঙ্গারা নির্যাতিত ও খুন হচ্ছেন, তখন  জননেত্রী সুকি ও তার দলবল চুপ করে থেকেছেন ধর্ম-পরিচয়কে সামনে রেখে। ভেবেছেন মরছে কিছু গরিব রোহিঙ্গা মুসলিম। আমাদের কিছু হবে না। আজ সেখানে নির্বিচারে মরছে সাধারণ মানুষ। তার বড় অংশই অমুসলিম। রাষ্ট্রশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে এই পরিণতির স্বীকার সবাইকেই হতে হবে একদিন। মনে রাখুন, ক্ষমতা ধর্ম চেনে না। সে ধর্ম-কানা। ধর্মের কালো চশমা ব্যবহার করে নিজেকে আড়াল করার জন্য। তার কাছে ধর্ম-পরিচয় নিছকই একটি আবরণ, বিত্তশালী ক্ষমতার দখলদারদের একটি অস্ত্র ও কৌশল মাত্র। মনে রাখুন আপনিও ছাড় পাবেন না এদের হাত থেকে। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন পাঠকের মতামত ও আমার উত্তর -------------------------------------- ⬛ কই জঙ্গলমহলে তো প্রথম দফায় ভোট হয়ে গেছে এখানে কিন্তু এরকম হয়

নাস্তিকদের ভগবান নেই। তাই বিপদে মানুষের পাশে চায়, পাশে যায়।

নাস্তিকদের ভগবান নেই। তাই বিপদে মানুষের পাশে চায়, পাশে যায়। আর অস্তিকরা ধর্মের নামে ছুটে বেড়ায় ও হোঁচট খেয়ে মরেও। প্রসঙ্গ : চিন। 27/03/2020 উৎস দেখুন এখানে ক্লিক করে

মানুষের তো কোন ধর্ম নেই, মানবধর্ম ছাড়া

শ্রীজাত নিজের জাত চিনিয়েছেন। সেই জাতের নাম মানুষ। মানুষ তো মানুষের জন্য ভাববেন, ভাবাবেন; কখনোও কাঁদবেন,  অন্যকে কাঁদাবেন। সত্যিকারের মানুষের তো কোন ধর্ম নেই, মানবধর্ম ছাড়া। সেই ধর্মকে বাঁচাতেই কবি কলম ধরেছেন। তাতে কার কোন ধর্ম কিম্বা ধর্মগুরু বা তার চ্যালারা খেপে গিয়ে অসভ্যতা করলো তাতে কবির কিছু এসে যায় না। হিন্দু হোন বা মুসলিম ধর্মগুরু, যে-ই হোন 'শ্রীজাত'রা প্রতিবাদ করবেনই। তাতে কোন চ্যালা কতটা ক্ষেপে যাবেন তা বোধ হয় ওঁদের মাথায় রাখার দায় বা দায়িত্ব কোনটাই নেই। আমরা আপনার সাথে আছি কবি। কোনও মুসলিম ধর্ম গুরুর এমন কোন নোংরা ভাসনের বিরুদ্ধে কবিতা লিখলেও থাকবো। কথা দিলাম। উৎস জানতে এখানে ক্লিক করুন

মানুষের প্রতিভা ও মূল্যবোধের সম্পর্ক : কিছু কথা

প্রতিভা। বিশেষ্য পদ। পদটি (শব্দটি) স্বভাবজাত ও অসামান্য বুদ্ধি অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন কবিপ্রতিভা, বৈজ্ঞানিক প্রতিভা ইত্যাদি। এছাড়া  প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব, উদ্ভাবনী বুদ্ধি, সৃজনশীল প্রজ্ঞা, প্রভা বা দীপ্তি অর্থেও এর ব্যবহার রয়েছে। আসলে সকল সৃষ্টিধর্মী প্রয়াসই প্রতিভা বলে চিহ্নিত হয়। অন্যদিকে মূল্যবোধ শব্দের মধ্যে দুটো কথা আছে। মূল্য আর বোধ। কিসের মূল্য? মানুষের অর্থাৎ জীবনের মূল্য। এখানে উল্লেখ্য, জীবন বা মানুষ খুব মূল্যবান সম্পদ। শুধু মূল্যবান নয়, সব সম্পদের সেরা সম্পদ  হল মানব সম্পদ। কারণ, মনুষ্য সম্পদ ছাড়া অন্য কোনো সম্পদই আসলে সম্পদে পরিণত হতে পারে না। তাই মানুষ তথা  মানুষের জীবন খুবই মূল্যবান সম্পদ হিসাবে বিবেচিত হয় অর্থনীতিতে। বোধ মানে কী? চেতনা। তাহলে দাঁড়াচ্ছে মানুষের মূল্য সম্পর্কে সম্যক চেতনা থাকাই হল মূল্যবোধ। মানুষের প্রতিভা ও মূল্যবোধ অধিকাংশ সময়ই সমানুপাতিক বা সমান্তরাল হয় না। উল্টে ব্যস্তানুপাতিক বা অসমান্তরাল হতে দেখা যায় আকছারই। কারণ, এই দুটির মধ্যে অনেক সময়ই সহবস্থানিক সম্পর্ক থাকলেও উভয়ের মধ্যে একটি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। প্রতিভা মূলত জন্মগত (সচেতন ভাবেই বংশগত বলছি না)। স

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে