সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সম্মান কী শুধু শিক্ষকের প্রাপ্য?

সম্মান কী শুধু শিক্ষকের প্রাপ্য? শিশুমঙ্গল (রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান) থেকে নিজের কান দেখিয়ে ফিরছি। ওষুধ কিনতে হবে, তাই অটো থেকে নেমে গেলাম। ঢুকলাম ওষুধের দোকানে...। ওষুধও নেওয়া হল। এবার দাম মেটানোর পালা। এমন সময় করিম ভাই ঢুকলেন। সঙ্গে একজন ভদ্রলোক। করিম ভাই আমাকে দেখেই অবাক হয়ে গেলেন। জিজ্ঞাস করলেন, আপনি এখানে? আমি বললাম, ‘হু...।’ ওষুধ নিচ্ছি— বলার সুযোগ দিলেন না। জিজ্ঞেস করলেন, অফিস জাননি? আমি বললাম, ছুটি তো! করিম ভাই দ্বিতীয়বার অবাক হলেন! তারপর, যেন সম্বিত ফিরে পেলেন। বললেন, ‘ওহ! আপনি তো আবার মাস্টারমশাই। মাস্টার মানেই ছুটি।’ সঙ্গে এক গাল (দাঁত বের করে) হাসি। হাসির মধ্যে যে উপহাসটা ছিল, সেটা ওনার সঙ্গে থাকা ভদ্রলোক, সম্ভবত আমার আগেই বুঝেছেন। তাই আমার প্রতিক্রিয়া দেওয়ার আগেই বললেন, এভাবে বলবেন না। শিক্ষকতা অত্যন্ত সম্মানের পেশা এবং শিক্ষক সমাজ সবচেয়ে বেশি সম্মান পাওয়ার যোগ্য একমাত্র সাম্প্রদায়। কথাগুলো বলার সাথে সাথে তিনি অভিনয় করে দেখালেন, ওনার শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা হলে, এই বয়সেও কীভাবে তাঁদের প্রণাম করেন। ভদ্রলোকের উল্টো দিকে বসে আছেন আর একজন ভদ্রলোক (সম্ভবত, ওষুধের

পৃথিবীজুড়ে অশান্তির মূল কারণ

পৃথিবীজুড়ে অশান্তির মূল কারণ পৃথিবীর সিংহভাগ মানুষ শান্তির পক্ষে, ভালোবাসার পক্ষে। তবুও পৃথিবীতে শান্তি ও ভালোবাসা ‘বড়ই বাড়ন্ত’। কারণ, সিংহভাগ রাজনীতিক ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অথবা ক্ষমতায় আসার জন্য এ-দুটোকে জিম্মি করে আর হিংসা ও ঘৃণার বেসাতি করে।

ধর্ম চেনার উপায়

ধর্ম চেনার উপায় হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিকদের দেখে যেমন হিন্দু ধর্মকে বোঝা যায় না, তেমনি ইসলামিক রাষ্ট্রবাদীদের কার্যকলাপ দেখে ইসলাম ধর্মকে চেনা যাবে না।

ভুল ধরার সময় যা আমরা ভুলে যাই

ভুল ধরার সময় যা আমরা ভুলে যাই কেউ যদি কিছু করে এবং তা যদি ভুল হয়, মনে রাখতে হবে, আমরা যদি সেটাই করি, তবে সেটাও সমান ভুল। আমাদের সমস্যা হল, অন্যের ভুলকে ভুল বলার সময়, নিজের করা ভুলকে ভুলে যাই এবং সগর্বে সেটাকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করি এই বলে যে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করা উচিত --------xx-------

প্রিয় হয়ে ওঠার কারণ কী?

প্রিয় হয়ে ওঠার কারণ কী? প্রিয় হওয়ার উপায় কী? আমরা হর-হামেশাই বলে থাকি ‘সে আমার প্রিয়’ বা ‘আমি তার খুব প্রিয় মানুষ’। কিংবা বলে থাকি, ও আমার ভালবাসার মানুষ। কেউ কেউ গর্ব করে বর্ননা করেন, কারও কাছে কীভাবে তিনি একজন প্রিয় মানুষ হয়ে উঠেছেন তার দারুণ কাহিনি। প্রশ্ন হল, একজন মানুষ কীভাবে আরেকজন মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন? এই প্রশ্নটার একটি যথাযথ উত্তর দীর্ঘদিন ধরে খুঁজেছি। কারণ, আমি কখনও কারও প্রিয় মানুষ হয়ে উঠতে পেরেছি বলে মনে হয়নি। বলা ভালো, তেমন গুণের অধিকারী বলে কেউ আমাকে এখনও প্রত্যায়িত করেনি। কেউ করলেও তার মধ্যে যে কতটা নিঃশর্ত আন্তরিকতা রয়েছে, সে বিষয়ে আমি এখনও সংশয়াতীত হতে পারিনি। অথচ প্রিয় মানুষ বা ভালো মানুষ হয়ে ওঠার বাসনা, অন্য অনেকের মত, আমার মধ্যেও আছে। ছোটবেলা থেকেই রয়েছে। বিশেষ করে মায়ের কাছে প্রিয় সন্তান হয়ে ওঠার অদম্য বাসনা আমার এখনও পূরণ হয়নি। ফলে সব সময় এই বিষয়টা আমার মাথায় ঘুরপাক খায়। মাঝে মাঝে অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব করি। ব্যর্থতার চাপে। সঙ্গে চেষ্টা করি, প্রত্যেক মানুষের কাছে, বিশেষ করে আমার মায়ের কাছে, তার একজন প্রিয় সন্তান হিসেবে নিজেকে তুলে ধর

বড়ো হওয়ার বয়স কত?

বড়ো হওয়ার বয়স কত? বড়ো হওয়ার কোন শেষ নেই। তা মৃত্যুর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। শারীরিক ও বৌদ্ধিক —কোনদিক দিয়েই কেউ দাবি করতে পারে না, বড়ো হওয়ার শেষ সীমা সে অতিক্রম করেছে। একজন মানুষ প্রতিদিন এবং প্রতি মুহূর্ত বয়সে এবং বুদ্ধিতে বাড়তে থাকে।

পড়াশোনার সঙ্গে শিক্ষার সম্পর্ক

পড়াশোনার সঙ্গে শিক্ষার সম্পর্ক কিভাবে পড়াশোনা করা উচিত এবং কেন পড়াশোনা যদি বুঝে বুঝে না করা হয়, তবে তা মানুষের জীবনে কোন কাজে আসে না। কারণ, পড়াশোনার মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষিত হওয়া। এবং শিক্ষিত হওয়ার একমাত্র উপায় হল পড়াশোনা করা। আর এই পড়াশোনা যখন বুঝে বুঝে করা হয় তখনই বেরিয়ে আসে জগৎ ও জীবনের গভীর রহস্য ও সত্য। জগৎ ও জীবন সম্পর্কে এই সত্য উপলব্ধি করার অর্থই হলো শিক্ষা। আপনি শিক্ষিত মানে এই সত্য আপনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন, সেই উপলব্ধি কি আপনি ব্যবহারিক বা তাত্ত্বিক জীবনে প্রয়োগ করতে পারেন, এবং তার ফলাফল মূল্যায়ন করতে পারেন। সেই সঙ্গে সেই সত্যই যে আসল সত্য তা যাচাইও করতে পারেন। এই সামগ্রিক সক্ষমতার নামই হল শিক্ষা।  এই শিক্ষাই মানুষের জীবনে কাজে লাগে। নিজের জীবন এবং সমাজকে উন্নততর পর্যায়ে পৌঁছে দিতে এই শিক্ষাই একমাত্র হাতিয়ার। এটাই শিক্ষার কাজ । বুঝে বুঝে না পড়লে, এই হাতিয়ার আপনি স্পর্শ করতে পারবেন না। জোর করে স্পর্শ করার চেষ্টা করলে, তা অনর্থক, কখনো কখনো ননর্থক ফলাফল বয়ে আনবে। যা জীবনকে সহজ করার পরিবর্তে আরো জটিল আবর্তের মধ্যে ঠেলে দেবে। তাই আমাদের মনে রাখতে হবে : পড়াশোনা

মৌলবাদী কারা?

মৌলবাদী কারা? মৌলবাদের কোন দেশ হয় না সাথি Goutam Ra y আমার কাছে মানুষের একটিই পরিচয় আর তা হল, সে শুধুমাত্র মানুষ। সেখানে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান... —এসবের কিছুই নেই। ধর্মীয় পরিচয় ধুরন্ধর রাজনীতিকদের (যাদের সিংহভাগ স্বৈরশাসক) তৈরি করা ও তাদের দ্বারা চাপিয়ে দেওয়া একটি কৃত্রিম সত্তা। যতদিন না আপনি নিজে এবং পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে এই চাপিয়ে দেওয়া পরিচয় সম্পর্কে সচেতন করতে পারবেন এবং এই পরিচয়ের বাইরে মনুষ্যত্বের সার্বিক পরিচয়ের আঙিনায় জড়ো করতে পারবেন, ততদিন মুক্তি নেই। তাই মানুষ আর মানবতার পক্ষে আমার কণ্ঠ কখনও বন্ধ হয় না। সে পৃথিবীর যে প্রান্তেই হোক। আমি আমার লেখার মাধ্যমে তা প্রকাশও করি। সময় পেলে। সবকিছু আমি ফেসবুকে লিখিনা। আমার নিজস্ব ব্লগ আছে। চাইলে সেখানে উঁকি (https://alirkotha.blogspot.com) দিতে পারেন। সমস্যা কোথায় জানেন? এই চেষ্টা যুগ যুগ ধরে কিছু মানুষ করে চলেছেন। কিন্তু কেউই সম্পূর্ণ সফল হতে পারেননি। এই না পারার পিছনেও রয়েছে পরবর্তীকালের রাজনৈতিকদের ক্ষমতালিপ্সা। এটা করতে গিয়েই যীশু খ্রীষ্ট ক্রুশবিদ্ধ হয়েছেন, হযরত মুহাম্মদ বিষ প্রয়োগের শিকার হয়েছেন, শ্রী চৈতন

শিক্ষার কাজ কী?

শিক্ষার কাজ কী? “শিক্ষা সত্যের সন্ধান দেয়, অসত্যকে চিহ্নিত করে।” জগৎ এবং জীবন পরিচালিত হয় দুই ধরনের নিয়ম অনুযায়ী। একটি প্রাকৃতিক নিয়ম, অন্যটি রাষ্ট্রীয় আইন। এই দুই আইন জানা বোঝা ও প্রয়োগ করার সক্ষমতাই হল শিক্ষা। এই সক্ষমতা অর্জন করতে পারলেই সত্যের সন্ধান পাওয়া যায়।  এই সত্যই মানদণ্ড হিসাবে ব্যবহার করলে অসত্য খুঁজে পাওয়া যায়। তাই শিক্ষার কাজ হল সত্যের সন্ধান দেয়া এবং অসত্যকে খুঁজে বের করতে সাহায্য করা।  যিনি এই কাজ সঠিকভাবে করতে পারেন তিনিই শিক্ষিত। মনে রাখতে হবে, এ পৃথিবীতে সম্পূর্ণ শিক্ষা অর্জন করা কোন ব্যক্তির পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয়। তাই পূর্ণাঙ্গ শিক্ষিত মানুষ আপনি পাবেন না এবং নিজেও হতে পারবেন না। অর্থাৎ শিক্ষা একটা চলমান এবং সীমাহীন প্রক্রিয়া, যা যুগ যুগ ধরে পরিমার্জিত ও পরিবর্তিত হচ্ছে। এই ধারা পৃথিবীর অস্তিত্ব যতদিন থাকবে ততদিন বজায় থাকবে। সুতরাং সুতরাং, প্রতিটি মানুষের কাজ হল জগৎ ও জীবন পরিচালিত হবার নিয়ম অর্থাৎ প্রাকৃতিক ও রাষ্ট্রীয় আইন গুলো সম্পর্কে জানা বোঝা এবং তা প্রয়োগ করার সক্ষমতা অর্জন করার আজীবন প্রক্রিয়ায় নিজেকে নিয়োজিত রাখা।  এই কাজ যে ব্যক্তি য

ধনতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোর স্বরূপ

ধনতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোর স্বরূপ সরকার পাল্টায় কিন্তু সমাজ পাল্টায় না কেন? ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্র-ব্যবস্থায় বিশ্বাসী প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল আসলে একটি আরেকটির পরিপূরক। একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। তাই প্রকৃতপক্ষে কোন সরকারের দুর্নীতির বা সাধারণ জনগণের ওপর চালানো শোষণ বা নির্যাতনের কোন বিচার হয় না। বিচারের দাবিতে আন্দোলন হয়, শুধুমাত্র ক্ষমতায় ফেরার তাগিদে। ক্ষমতায় আসলে তারা বেমালুম চেপে যায় দুর্নীতি শাসন নির্যাতন সম্পর্কে সঠিক বিচারের প্রক্রিয়াকে। রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন করে অন্যায় অবিচার বা দুর্নীতি রোধ করার জন্য নয়, করে ক্ষমতায় আসার জন্য। ফলে সরকার পাল্টায়, কিন্তু সমাজ সংসার পাল্টায় না। অন্যায় অপরাধ দুর্নীতি কমে না, উল্টে আরও এক নতুন পর্বের সূচনা হয়। জনগণ সমাজ বদলের নেশায় অঘোরে শুধু জীবন দিয়ে যায়। বদলা নয়, বদল চাই। শুনতে দারুন ভালো লাগে। মানবিক মূল্যবোধে মোড়া এই স্লোগানের মধ্যে রয়েছে এক দারুণ মন্ত্র যা রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিশ্রুতি ভুলে যাওয়া এবং নিজেকে আর একজন শোষকে পরিণত করার কার্যকরী উপায়।  বদলা শব্দের মধ্যে যে প্রতিহিংসা রয়েছে তাকে তো মান্যতা দেয়া যায়

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন