সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ

এই কথাগুলি যিনি বলেছেন তিনি একজন মহাপুরুষ। এই কথাগুলো পড়ার পর আপনার কি মনে হচ্ছে না, যিনি কার্টুন আঁকলেন, যিনি কার্টুন টিকে ছাত্রদের দেখালেন, আর দেখানোর অপরাধে যিনি ওই শিক্ষককে হত্যা করলেন এই তিনজনই আসলে উন্মাদ।

প্রসঙ্গ ফ্রান্স: আমি কিছু বলব কি না

Sk Minhajul এটাতো ফ্রান্স-এর ঘটনা। এখান থেকে অনেক দূর। ওখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করা অনেকটাই কঠিন কাজ। আগে একটু তথ্য সংগ্রহ করি। ভালো করে বোঝার চেষ্টা করি। তখন যদি প্রয়োজন মনে হয় নিশ্চয়ই বলবো। কোন ঘটনা ঘটলো, আর ভালো করে না জেনে, না বুঝে মন্তব্য করে দিলাম। এটা আমার স্বভাব নয়। পৃথিবীর সব কিছুর সঙ্গে রাজনীতি জড়িয়ে থাকে। আর রাজনীতি বোঝাটা অতটা সহজ কাজ না। অনেক সময় লাগে। পক্ষে-বিপক্ষে ওঠা কথাগুলো সোনা লাগে। তারপর যুক্তি-বুদ্ধি তথ্য দিয়ে তা বিচার বিশ্লেষণ করে মতামত দিতে হয়। তাই সময় লাগে। আমি তো  তসবি গোনা  কোন হুজুর নই, কিংবা টিকি ধারী কোন পন্ডিতও নই, যাদের সাথে নাকি  স্বয়ং উপরওয়ালার  যোগাযোগ থাকে। দুনিয়ার কেউ না বুঝুক, তারা সব আগে ভাগে বুঝে ফেলে। তেমন ক্ষমতা তো আমার নেই। তাই না? আমি একজন সাধারণ মানুষ। তাই সময় লাগে। তাই বুঝতে পারলে বলি। না-বুঝতে না পারলে সে সম্পর্কে চুপ থাকি। কারণ, এক্ষেত্রে চুপ থাকাটাই শিক্ষিত মানুষের কাজ। বলার মত তথ্য যখন পাবো। চেষ্টা করবো বলার। ঘটনাটা ঘটেছে ফ্রান্সে। সেখানে তো মানুষ আছে। তারা তো তাদের মতো করে প্রতিবাদ করছে। সপক্ষে বিপক্ষে তারা নিশ্চয়ই আলোচনা কর

এটা স্পর্শকাতর' বিষয় নয়, দুই ভাইয়ের সমস্যা।

Monoj Bag আমার কাছে এটা কোন স্পর্শকাতর বিষয় বলে মনে হয় নি। এটা একটা সামাজিক সমস্যা। একটা পরিবারের দুই ভাইয়ের মধ্যে যেমন মতপার্থক্য থাকে এবং তা কখনো কখনো সমস্যা সৃষ্টি করে, আমার কাছে এটা সেই ধরনের একটা সমস্যা। এই সমস্যা গোপন করলে বা এড়িয়ে গেলে পারস্পরিক দূরত্ব বেড়ে যায়। এবং সেই দূরত্ব একসময় মহাসমুদ্রের আকার ধারণ করে। সেই সমুদ্রেই একসময় দুই ভাইকে ডুবিয়ে মারে। তাই পালিয়ে যাওয়া নয়, কিংবা এড়িয়ে যাওয়া নয়, শ্রদ্ধেয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মত সত্যকে উপলব্ধি করা এবং সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমাদের চেষ্টা করা খুবই উচিত বলেই আমার মনে হয়েছে। কবিগুরুর কথায়, ভালো-মন্দ যাহাই আসুক সত্যরে লও সহজে। আশা করি বিষয়টি আমরা সহজেই নিতে পারব এবং আপনাকে পাশে পাব। এবং সে কারণেই এই পোস্ট টা করা। আসুন দূরত্বটা কমানোর চেষ্টা করি, এবং আস্তে আস্তে মুছে দেয়ার চেষ্টা করি। যদিও এই আহ্বানটাই ছিল আমার পোষ্টের মূল বক্তব্য বা লক্ষ্য। তবু আপনি এবং প্রভাতদা ভুল বুঝলেন - এটা আমার দুর্ভাগ্য।

সংখ্যালঘু, ধর্মনিরপেক্ষতা ও ভারতীয় সংবিধান

Subhankar Chakaraborty বা! বেছে বেছে সেইটুকুই বললেন, যেটুকু দিয়ে আপনার বিভেদ নীতিকে গ্রহণযোগ্য প্রমাণ করা যায়। আর বাকিটুকুকে বাদ দিয়ে দিলেন! ১) সংখ্যালঘু শব্দটার অস্তিত্ব স্বীকার করেন? যদি করেন, তাহলে বলুন তো, পৃথিবীতে যত ভাষার অভিধান আছে বা আপনার ডিকশনারিতে সংখ্যালঘু শব্দটা কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য বলে বলা আছে? সেখানে কি ধর্ম কথাটা বাদ দেয়া আছে? অর্থাৎ ধর্মের ভিত্তিতে সংখ্যালঘু হওয়ার বিষয়টি অভিধানিক শব্দ নয় কিংবা সংবিধানসম্মত নয়? ২) এক দেশ ভিন্ন আইন মানে কী? একজন হিন্দু খুনিকে আইনের যে ধারায় বিচার করা হয়, একজন মুসলিম খুনিকে কি সেই ধারায় বিচার করা যায় না? অর্থাৎ আলাদা ধারায় বিচার করা হয়? যদি না হয় তাহলে এক দেশ ভিন্ন আইন হলো কোথায়? বিনয়ের সঙ্গে আপনাকে একটা পরামর্শ দেই, যদি মানেন, বন্ধু হিসেবেও ধরতে পারেন, পরের মুখে ঝাল খেলে ঝালের স্বাদটা ঠিকঠাক বোঝা যায় না। ঝালটা একটু নিজের মুখে নিজে দিয়ে দেখুন বুঝতে পারবেন, ঝালের আসল স্বাদটা কী।😀 ৩) ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থা। উদ্দেশ্যটা নিশ্চয়ই মাদ্রাসা শিক্ষা। বেশ বলেছেন। ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থা দেশ থেকে উঠে যাওয়াই উচিত। আপনি তার

ধার্মিক হওয়ার আগে মানুষ হয়ে ওঠা জরুরি

ধার্মিক হওয়ার আগে মানুষ হয়ে ওঠা জরুরি। আর মানুষ হয়ে উঠতে পারলে কারও আর ধার্মিক সাজার প্রয়োজন হয় না।

প্রসঙ্গ সাম্প্রদায়িকতা ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

Soumitra Chakraborty  উদ্ধৃতিটা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়-এরই। এবং একটি বিশেষ ধর্মের অনুসারী সব মানুষকে তিনি সাম্প্রদায়িক বলেননি। আমার তো অন্তত তা মনে হয় নি। একটু বোঝার ভুল হয়ে যাচ্ছে হয়। আর একবার উদ্ধৃতিটা পড়ুন। নিশ্চয় বিষয়টা আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে। খেয়াল করে দেখুন, তিনি 'সব হিন্দু সাম্প্রদায়িক' এই অর্থে কথাটা বলেননি। বলেছেন হিন্দুদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতাটা বেশি - এই অর্থে। অর্থাৎ লক্ষ্য 'সব হিন্দু' নয়, লক্ষ্য 'সাম্প্রদায়িকতার পরিমাণ'। কথা দুটোর মধ্যে গুরুতর পার্থক্য আছে। অর্থাৎ বিষয়টি সংখ্যাবাচক (সব হিন্দু) নয়, পরিমাণ বাচক (কতটা সাম্প্রদায়িক। আশা করি আপনার জিজ্ঞাসার বিষয়টি পরিষ্কার করতে পেরেছি।

আপডেটেড হওয়ার অর্থ কী?

Monoj Bag ছি ছি। মাপ চাইছেন কেন? আপনি আপনার মতামত বলবেন, এটা তো আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার। শুধুমাত্র ভাষাটা সংযত হওয়া খুবই জরুরী। কারো কথায় কেউ যাতে আঘাত না পায়, অসম্মানিত বোধ না করেন সেদিকটা একটু খেয়াল রাখা দরকার। তবে আপনার আগের মন্তব্যে সংযত শব্দচয়নের ক্ষেত্রে কিছুটা ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে বৈকি। সাথি, আপনি কি জানেন, উদ্ধৃতির মধ্যে থাকা কথাটা কার? আমার মনে হয় কোনভাবে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আপডেটেড মানে কি সত্য গোপন করা, এবং অসংযত ভাষা প্রয়োগ করা? নিশ্চয় নয়। আশা করি আপনি এটা মানেন। আমার মনে হয় আপনি ভুল বুঝে শব্দ চয়নের ক্ষেত্রে অসতর্ক হয়ে পড়েছেন। যাই হোক ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন এবং অবশ্যই শারদীয়ার শুভেচ্ছা গ্রহন করুন। ◾আবারও অনুরোধ করছি, আপডেটেড হাওয়া বলতে আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন অনুগ্রহ করে যদি একটু খুলে বলেন। চেষ্টা করব আপনার মতামতকে সম্মান জানানোর।

রোগ গোপন করে শরীরকে সুস্থ রাখা কি সম্ভব?

Prabhat Choudhuri জানলাম। কিন্তু সত্য কীভাবে উস্কানিমূলক হয় সেটা বোধগম্য হলো না। সত্যকে সামনে আনা এবং তার ভিতরে থাকা সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করাই তো বুদ্ধিমান ও সচেতন মানুষের কাজ। রোগ গোপন রেখে কি শরীরকে সুস্থ করা সম্ভব? আমার যদিও কথাটা উস্কানিমূলক মনে হয়নি। কিন্তু এটা মনে হয়েছিল যে, কেউ কেউ এটাকে উস্কানিমূলক ভাবতে পারেন। আর সেটা ভেবেই আমার কিছু কথা নিচে যোগ করেছি, যাতে ভুল বার্তা না যায়। আমার কথাগুলো মাথায় রাখলে উদ্ধৃতির কথাগুলো আর উস্কানিমূলক থাকে না বলেই আমার মনে হয়েছে। যাই হোক, আপনি শ্রদ্ধেয় মানুষ। আপনার মতামতকে অশ্রদ্ধা বা উপেক্ষা করতে পারিনা। আশা করি যারা দেখছেন পোস্টটা, তারা আপনার পরামর্শটা মাথায় রেখেই বিষয়টি নিয়ে ভাববেন এবং তা গ্রহণ করবেন।

মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্প্রীতি প্রকৃতির নিয়ম বিরুদ্ধ নয় বরং তার উল্টোটাই প্রকৃতির নিয়ম বিরুদ্ধ কাজ

Bhabani Sankar Chatterjee আপনি ধর্ম নিয়ে থাকুন। আমরা ধর্ম নিয়ে মাথা ঘামাই না। শ্রদ্ধেয় সৌমিত্র বাবুও নির্দ্বিধায় জানিয়েছেন, তিনিও ধর্ম নিয়ে মাথা ঘামান না। ধর্ম মানুষের বিশ্বাসের বিষয়, ঘরের কোণে নিভৃতে বসে তাকে ঈশ্বরকে স্মরণ করাই ধার্মিক এর কাজ। এখানে দেখনদারির কিছু থাকেনা। কিন্তু ধর্মের নামে যারা মানুষে মানুষে বিভেদ ছড়ায় তাদের তিনিও যেমন মানুষ ভাবেন না, আমিও তেমনি তাদের মানুষ ভাবি না। সাপ আর  নেউল দুটো ভিন্ন প্রজাতির প্রাণী। তাদের মধ্যে সখ্যতা না হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মানুষ তো ভিন্ন প্ৰজাতির নয়, মানুষকে মানুষ ছাড়া আর অন্য কিছু কি বলা হয় পৃথিবীতে? হয় না। সাপের সঙ্গে নেউলের মিলনে সন্তানের জন্ম হওয়া সম্ভব নয়। কারণ তাদের মিলন প্রকৃতির আইন অনুযায়ী  নিষিদ্ধ। তাই কোনমতেই তাদের মধ্যে অপত্য ভ্রূণ জন্মানোও সম্ভব নয়। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো  বিধি নিষেধ প্রকৃতির নিয়মের মধ্যে নেই। পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের নর-নারীর মধ্যে  মিলন হলেই অপত্যের জন্ম হয়। কোন ধর্মের তা এখানে বিচার্য বলে বিবেচিত হয় না। তাহলে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্প্রীতিতে আপনার কোথায় বাধে, বুঝলাম না।

অপেক্ষা, অহিংসা অস্ত্র

উপেক্ষা হলো একটি অহিংস অস্ত্র যা সশস্ত্রতার চেয়েও শক্তিশালী। শুধু প্রয়োগের উপযুক্ত কৌশল এবং সময় জানাটার উপর এই অস্ত্রের কার্যকারিতা নির্ভর করে।

ধর্ম ও ধর্মান্ধতা

ধর্মকে স্বীকার করে, ধর্মান্ধতাকে অস্বীকার করা খুবই কঠিন কাজ।

হিন্দু মুসলিম নয়, সবার আগে আমরা মানুষ

◾জানতাম, জানিও। আপনি উচ্চারণ করলেন, তাই সাহস পাচ্ছি বলতে। এটা সব দেশের সংখ্যালঘুদের সমস্যা। সত্য জেনেও চুপ করে থাকতে হয় সাম্প্রদায়িক তকমা লেগে যাওয়ার ভয়ে। কিন্তু আপনার সে সমস্যা নেই। তাই বললেন : 'তবে একটা জিনিস খুব চোখে পড়তো, মুসলিমরা যত হিন্দুদের বাড়ি যেতেন, হিন্দুরা তত যেতেন না মুসলমানদের বাড়ি। সে দিক থেকে আমি বলব, হিন্দুরা অনেক বেশি সাম্প্রদায়িক। এখন তারই উগ্র চেহারা দেখতে পাচ্ছি।' আচ্ছা, এ সত্যকে আমরা অসত্য প্রমাণ করতে পারি না? পারি। আসুন একসাথে লড়াই করি। বলুন, হিন্দু-মুসলিম নয়, আমরা সবার আগে মানুষ। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন   তথ্য সূত্র : গণশক্তি, শারদ সংখ্যা ১৪২৭, নিবন্ধ ' এখনও বিশ্বাস করি, বামপন্থাই বিকল্প'। পৃষ্ঠা - ৫২

ব্যক্তির সঙ্গে পদের পার্থক্য আছে

Bhabani Sankar Chatterjee আপনাকে বিনয়ের সঙ্গে একটা প্রশ্ন করি। 'ব্যক্তিগত' বলতে আপনি কী বোঝেন? নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনদিন কথা বলতে শুনেছেন আমাকে? প্রধানমন্ত্রী আমার আপনার মত সাধারন কোন ব্যক্তি নয়, তা কি আপনি জানেন? নরেন্দ্র মোদী আপনার যেমন প্রধানমন্ত্রী, আমারও তেমনই প্রধানমন্ত্রী। প্রত্যেকটা ভারতবাসীর তিনি প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কোন ভুল থাকলে আর তার ফল সবাইকে ভুগতে হলে, তার সমালোচনা করার অধিকার প্রত্যেক ভারতবাসীরই আছে। সেই সমালোচনাকে ব্যক্তি সমালোচনা বলে না। অর্ণব গোস্বামী একজন সাংবাদিক। তার ব্যক্তিগত জীবন তিনি কিভাবে কাটান, তা নিয়ে কেউ প্রশ্ন করে না। আমিও করিনি। তিনি সাংবাদিকতার পেশাটাকে যেভাবে নিচে নামিয়েছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে তার দৃষ্টান্ত খুবই বিরল। সাম্প্রদায়িক বিভেদ ছড়ানোর যে কাজ তিনি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন, তার সেই কাজের বিরোধিতা করাকে ব্যক্তি আক্রমণ বলে না। এটা আপনাকে বুঝতে হবে। না হলে আপনার এই ভাবনা থেকে বের হতে পারবেন না। ব্যক্তির সঙ্গে প্রতিষ্ঠান বা পদের যে পার্থক্য আছে, সেটা জানা না থাকলে এ ধরনের ভুল বোঝাবুঝি হয়। আশা করি আপনাকে আশ্বস্ত

সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব

কর্পোরেট মিডিয়া (টিভি, সংবাদপত্র ইত্যাদি) আপনার কথা শোনে না, আপনার কথাও বলে না। বলে কর্পোরেট দুনিয়ার কথা, আর শোনাতে চায় তাদেরই কথা তাদের স্বার্থে। তাই আপনার পিডিয়া সোশ্যাল মিডিয়া। সেখানেই মুখ খুলুন।এই মিডিয়াই আপনার কথা পৌঁছে দেবে আপনার সহযাত্রীর কাছে। সরকারের কাছে।

বামপন্থী কারা?

বামপন্থী তো তারাই, যাদের কথায়, যাদের ব্যবহারে, বিতর্কের সময়ে শব্দচয়নে যুক্তি থাকে, তথ্য থাকে, আর থাকে অহংকারহীন বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণ। যা দেখে অথবা শুনে একজন অবামপন্থী মানুষও মুগ্ধ হয়ে যায়। বামপন্থাকে ভালবেসে ফেলে।  আপনারা যারা বিতর্ক করছেন, আমার মনে হচ্ছে না, তারা বামপন্থার জন্য, বামপন্থীদের দ্বারা বামপন্থার কথা উচ্চারণ করছেন। প্রায় অধিকাংশের কথার মধ্যেই নিজের মধ্যে বামপন্থী মানসিকতা থাকার জন্য অহংকার বোধ ঝরে পড়ছে। কে কত বড় বামপন্থী তা প্রমান করা, আর প্রমাণ চাওয়ার অহংকার আছড়ে পড়ছে। মার্জনা করবেন,  এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি বামপন্থী মানুষদের জন্য বড়ই বেমানান। এই বিতর্ক বামপন্থার স্বাস্থ্যহানি ছাড়া আর কোন কাজে আসবে না। আমার মনে হয় এবার আপনাদের থামা উচিত। এত সুন্দর একটা পোস্টকে কেন্দ্র করে যে উচ্চমানের আলোচনা এবং তা যে মার্জিত ভাষায় হওয়ার কথা ছিল, তা হচ্ছে না বলেই আমার ধারণা। বামপন্থীদের বক্তব্য, বক্তব্য প্রকাশের ভঙ্গি এবং তার দৃষ্টিকোণ যদি অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে আলাদা না হয়, তাহলে কীভাবে সাধারণ মানুষ আমাদেরকে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে এবং তাদের কর্মীদের থেকে আলাদা করব

সমাজতন্ত্র গণতান্ত্রিক পথেই আসবে।

সমাজতন্ত্র গণতান্ত্রিক পথেই আসবে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে লক্ষ্যে পৌঁছানোর পদ্ধতি এবং প্রকৌশল বদলায়। বিংশ শতাব্দীর পৃথিবীতে যে পদ্ধতিতে বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে, সেই পদ্ধতিতে বিপ্লব (পরিবর্তন) করা আজ অনেক কঠিন। তার প্রয়োজন আছে বলেও আমার মনে হয় না। আর মতপার্থক্যের কথা বলছেন? তা তো থাকবেই। ধনতান্ত্রিকদের মধ্যে মত পার্থক্য নেই? তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত নয়? সুতরাং মতপার্থক্য থাকবেই। আর এটাই স্বাভাবিক। এই মতপার্থক্যকে মতৈক্যে পরিণত করার দায় এবং দায়িত্ব একমাত্র জনগণেরই নিতে হয়। আমার, আপনার এবং আমাদের। আমরা যদি বুঝতে পারি, দুটো অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে কোনটা আমাদের জন্য উপযুক্ত, তাহলে সেই ব্যবস্থার সমর্থকদেরকে আমাকে নির্বাচিত করতে হবে। তারা বহু দলে বিভক্ত হলেও, একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শের ভিত্তিতে তারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। ঐক্যবদ্ধ যে হতে পারে, তার উদাহরণ বামফ্রন্ট তৈরি হওয়া, ইউপিএ তৈরি হওয়া এবং এনডিএ তৈরি হওয়া। মানুষ যেদিকে যাবে, রাজনৈতিক দল সেই দিকেই পথ হাঁটতে বাধ্য হবে। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা। এখন আমি বা আপনি, এককথায় আমাদেরকেই ঠিক করতে হবে, আমরা কোন মতাদর্শের পক্ষে থাকবো। যেটা আমার শ্রে

বিকল্প সমাজতন্ত্র, বিকল্প সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা

Bhabani Sankar Chatterjee সংকট থাকলে সংকট থেকে বের হওয়ার পথও থাকে। প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছা এবং উপযুক্ত পরিকল্পনার। দায়সারা সমালোচনা করা আমার কাজ নয়। বিকল্প কারা হতে পারে সে সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েই সাধারণত আমি পোস্ট করি। শুনুন তাহলে...... বিশ্ব ক্ষুধা তালিকায় ভারতের স্থান এখন  বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মায়ানমারের মত দেশেরও পিছনে। গ্লোবাল হাংগার ইনডেক্স এর রিপোর্ট অনুযায়ী 107 দেশের মধ্যে ভারতের স্থান 94 নম্বরে। পাকিস্তান 88 বাংলাদেশ 75 আর নেপাল 73।  এই পরিসংখ্যান থেকে আপনি কি কোন ধারনা করতে পারছেন? কারা বিকল্প হতে পারে? পাচ্ছেন না তো? এই দেশগুলোর মধ্যে জনসংখ্যা এবং প্রাকৃতিক সম্পদে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া দেশ হল নেপাল। তা সত্ত্বেও তারাই ক্ষুধার তালিকায় সবার চেয়ে নিচে। এবার নিজের মনের কাছে প্রশ্ন করুন এই দেশটা এখন কারা চালাচ্ছে? প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকলে শুনে নিন। এ দেশটা চালাচ্ছে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে বিশ্বাসী একটি রাজনৈতিক দল। পৃথিবীতে আর যে কটা রাষ্ট্র ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ঝেড়ে ফেলে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কায়েম রেখেছে তাদের সবারই স্থান আরো নিচে। কিউবা, ভিয়েতনাম,

ক্ষুদ্র বলা মানেই ছোট করা বোঝায় না : পর্ব - ২

শেখ আবুল কালাম আজাদ অহেতুক বিতর্ক উচিত নয়। ঠিকই বলেছেন। কিন্তু বিতর্ক বিষয়টা খুবই জরুরী একটা বিষয়। কারণ, বিতর্ক মানুষকে সমৃদ্ধ করে, চেতনার মান বাড়িয়ে দেয়। আপনার সঙ্গে আমার যে বিতর্ক, সেটা যদি  অহেতুক হয়, তবে তার দায় কিন্তু আমার না। কারণ, সেটার আপনিই সূচনা করেছেন। আশাকরি মানবেন। আপনার মতে 'ছোট' শব্দটি এখানে জুতসই হত। হয়তো হতো। সেটা আপনার মত। আপনার মতকে অসম্মান করার স্পর্ধা আমার নেই। এই শব্দ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমারও কোন দ্বিধা থাকার কথা নয়। কারণ, আমার বক্তব্যের উদ্দেশ্য কখনোই ছিল না প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে ছোট (অসম্মান) করা। আমার ব্যবহার করা 'ক্ষুদ্র' শব্দটি আপনাকে কষ্ট দিয়ে দিয়েছে জেনে ব্যাখ্যা দেওয়াটা আমার জরুরী ছিল। এটা আমার দায়িত্ব বা বক্তব্যও বটে। তাই দিয়েছি। কিন্তু একবারও ভেবে দেখেছেন কি? ১) 'ক্ষুদ্র' শব্দের জায়গায় 'ছোট' শব্দটা ব্যবহার করলে আপনি হয়তো খুশি হতেন কিন্তু অন্য কেউ যে অখুশি হতেন না তার গ্যারান্টি কোথায়? ২) ক্ষুদ্র এবং ছোট - দুটো আলাদা শব্দ। কোনটা কোথায় ব্যবহার হবে সেটা নির্ভর করে বক্তব্য প্রকাশের মোটিভের ওপর এবং বিষয়ের

ক্ষুদ্র বলা মানেই ছোট করা বোঝায় না : পর্ব - ১

শেখ আবুল কালাম আজাদ সাথি, একটা শব্দ ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে। অর্থাৎ একটা শব্দ একাধিক অর্থে ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী তার অর্থ অনুধাবন করতে হয়। আমার পোস্টটি আরেকবার পড়ুন। আর ভাবুন, যে ঠিক আপনি যেভাবে ভাবছেন, আমি সেভাবে ক্ষুদ্র শব্দটা ব্যবহার করেছি কিনা। একটু খেয়াল করলেই দেখবেন ক্ষুদ্র শব্দটা এখানে 'আয়তন' বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে, 'নীচতা' বোঝাতে নয়। হীনমন্যতায় ভুগবেন না। সুতরাং অহেতুক কষ্ট পাবেন না। একই শব্দের ভিন্ন ভিন্ন অর্থ থাকার ব্যাপারটা মাথায় রেখে ভাবুন, দেখবেন কষ্ট আর থাকবে না, এরং বুঝতে পারবেন অভদ্রতারও কিছুই এখানে নেই। আয়তনে বড় হলে একটা বৃহৎ রাষ্ট্র যে সুবিধা পায় আয়তনে ক্ষুদ্র হলে  বা ছোট হলে সেদেশ সেই ধরনের সুবিধা পায় না। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে তাদের চলতে হয়। সেই সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তাদের জিডিপি যদি বাড়ে এবং তা স্বীকার করা হয় কোনো পোষ্টে, তাতে অভদ্রতার প্রকাশ হয় বলে আমি মনে করিনা। উল্টে এই ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলোর প্রশংসা করার অর্থই প্ৰকাশ পায় এবং এটা তাদের কাছে গর্ব করার বিষয় হিসাবে বিবেচিত হয়। সুত

ড. কালাম, ধান্দাবাজি বীর পূজায় বিশ্বাস করতেন না

Bhabani Sankar Chatterjee এটা কবিতা। বলা ভালো ছড়া। অবশ্যই রাজনৈতিক ছড়া। ভুল বুঝেছেন। ব্যক্তি আক্রমণ করা আমার কাজ না। সিস্টেম এর দুর্বলতা ও অসঙ্গতি তুলে ধরাই এর মূল উদ্দেশ্য। পুরানো কাসুন্দি ঘাটা এ পোস্টের উদ্দেশ্য নয়। এটা সমকালীন ছড়া। সময়কে ধরাই এর উদ্দেশ্য। এখানে কাসুন্দি ঘাটার সুযোগ নেই বললেই চলে। পুরানো কাসুন্দি ঘাঁটতে হলে ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখতে হবে। চাইলে নিশ্চয় ইতিহাস বিষয়ক পোস্ট যখন করবো তখন হবে। তৈরি থাকুন। আমি অপেক্ষায় থাকলাম। আর আজ শুধু ড. কালামের জন্মদিন নয়। অসংখ্য ভারতীয় সন্তান এই দিনে জন্মেছেন। যাঁদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তাঁরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, যাওয়ার চেষ্টা করছেন এবং করে গেছেন। অসংখ্য মানুষ যাঁরা কৃষক, ক্ষেত মজুর, শ্রমিক এবং অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত থেকে দেশকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। দেশের সেবা করে যাচ্ছেন। সেবা করে গেছেন। ভুলে যাবেন না তাঁদের অনেকেরও আজ জন্মদিন। ড. কালামকে ভালো করে পড়লে জানবেন তিনি নিজেকে এঁদেরই একজন বলে ভাবতেন। কারণ, তিনি জানতেন, একজন বিজ্ঞানীর চেয়ে দেশমাতার সেবায় একজন কৃষক বা শ্রমিকের অবদান কোনও অংশে কম নয়। আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা তাঁর কথা গর্

বাপের সম্পত্তির গুরুত্ব

ফকির হওয়ার আগে কেউ বুঝবে না বাপের থেকে পাওয়া সম্পত্তির গুরুত্ব কত ছিল। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

ব্যক্তিস্বার্থটা আসলে ক্ষুদ্র স্বার্থ

ব্যক্তিস্বার্থ আসলে ক্ষুদ্র স্বার্থ। সে (ব্যক্তি স্বার্থ) নিজেই নিজের পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারে না। তাই ব্যক্তি স্বার্থে শিক্ষিত মানুষ চুপ করে থাকলে, সমাজ পিছিয়ে পড়ে, অশিক্ষিত মানুষের দৌরাত্ম্য বাড়ে। তাই ভুল বা অন্যায় দেখলেই মুখ খুলন, জাত-ধর্ম না দেখেই। Sk Minhajul রাস্তায় নামাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সময়টা রাস্তায় নামার পক্ষে ততটা অনুকূল নয়। তাই ফেসবুকে মুখ খেলাটা খুবই প্রাসঙ্গিক ও জরুরি। কারণ এটা একটা সামাজিক মাধ্যম, যা কর্পোরেট মিডিয়ার একমাত্র বিকল্প। কর্পোরেট মিডিয়া (ডিজিটাল মিডিয়া), যাকে আমরা টিভি বা খবরের কাগজ বলে জানি, তারা কখনোই সাধারন মানুষের স্বার্থে কথা বলে না। তারা ততটুকুই বলবে, যতটুকু কর্পোরেট গোষ্ঠীগুলির স্বার্থ চরিতার্থ হয়। তাই সাধারণ মানুষের, পথে নামার সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্ খোলাও খুব জরুরী। কারণ আমার আপনার কথা, কর্পোরেট মিডিয়া নয়, সোশ্যাল মিডিয়াই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে। Nazrul Islam Molla অশিক্ষিত মানুষের মুখের ভাষা নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না। ভুল বুঝে অন্যায় ভাবে যদি কেউ বাজে কথা বলে, তার দায় আপনার নয়। অপরাধটাও আপনার নয়। সে দায়

ধর্ষণ ও তার প্রতিবাদ এর ধরণ

Moti Lal Deb Nath মার্জনা চাওয়ার কিছু নেই। আপনি আপনার মতামত বলবেন - এটা আপনার অধিকার। তবে আমার পোস্টটি আর একবার মন দিয়ে পড়ে দেখুন। দেখবেন সেখানে আমার কথার সঙ্গে আপনার কথার তেমন কোনো পার্থক্য নেই। শুধুমাত্র ভাষার এবং বাক্য গঠনের ধরনের পার্থক্য রয়েছে। আর মুখোশ খুলে দেয়ার কথা বলছেন? সম্ভবত এখানকার শাসকদলের কথা বলছেন। আমি তাদের মুখোশ খোলার কথাও বলেছি। কিন্তু সতর্ক থাকতে বলেছি মুখোশ খুলতে গিয়ে অপরাধী এবং অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করছেন যারা, তাদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা প্রতিবাদের ভার ও ধার যেন ভোতা হয়ে না যায়। সারাবছর চুপ করে থাকলে, আর যখন অন্য রাজ্যে বা অন্য কোনোখানে একই রকমের জঘন্যতম ঘটনা (ধর্ষণ, হত্যা এবং লুকিয়ে ধর্ষিতার দেহ জ্বালিয়ে দেয়া) ঘটলে এবং মানুষ তার প্রতিবাদ করলে, তখন পিছনের কোন ঘটনাকে টেনে এনে বর্তমান ঘটনাকে তুলনা করতে গেলে মুখোশ খোলার ইচ্ছা ও সার্থকতা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠে যাবে। অর্থাৎ মুখোশ খোলার জন্য উপযুক্ত সময়ে নির্বাচন করতে হবে। সারাবছর পড়ে আছে, বছরের পর বছর চলে যাচ্ছে। আমি-আপনি প্রতিবাদ করছি না, মিছিল করছি না। এক কলম লিখছি না। অথচ যখনই আরেকটা অপরাধ ঘটছে এবং মানুষ প্রতিব

ধর্ষণ এবং প্রতিবাদ-এর ধরন

Sk Nasrat Ali  প্রথমেই আপনার মতামতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তারপর কিছু কথা বিনিময়......... আপনার একটু বোঝার ভুল হচ্ছে বোধ হয়। ১) সংঘটিত দল হিসেবে কোন রাজনৈতিক দলকে ছাড় দেয়া হয়নি আমার মতামত এর মধ্যে। উল্টে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কথা বলা হয়েছে। ২) ভারতবর্ষের যে প্রান্তেই ধর্ষণ সংঘটিত হোক না কেন, যারাই এর সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবে, আন্দোলন হবে, এটাই স্বাভাবিক। এর বিরুদ্ধে তো কোনো কথা আমি তো বলিনি! কিন্তু সারাবছর চুপ করে থাকব, আর যখন অন্য একটা অন্যায় সংঘটিত হবে, তখন সেটাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য পিছনে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনাকে তুলে আনবো - সেটা এক ধরনের রাজনৈতিক চালাকি। আর এই চালাকির পরিণতির কথাই পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ৩) রাজনৈতিক দল বা রাজনীতি নিরপেক্ষ থাকার কথাই বা কোথায় বলা হলো? যা বলা হয়েছে তার মূল কথা সাধারণ মানুষের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে রাজনৈতিক দলগুলোর উপর। সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক দলকে নিয়ন্ত্রণ করবেন? না রাজনৈতিক দল সাধারণ মানুষকে নিয়ে করবে? পরোক্ষে এই প্রশ্নই তোলা হয়েছে এখানে। ৪) রাজনৈতিক দল যদি জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে সেই রাজনৈ

আধুনিক রাজতন্ত্র

গণতন্ত্রের চারটি স্তম্ভ। বিচার বিভাগ, আইনসভা, শাসন বিভাগ এবং সংবাদমাধ্যম। এরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় এবং মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষিত হয়। বর্তমান ভারতে এই চারটি স্তম্ভই এখন একটি রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠী এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। কোন বিভাগই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত দুটি মামলার রায়, হাতরাসে মনীষা বাল্মীকির ধর্ষণ কাণ্ড এবং পুলিশের ভূমিকা, দিল্লির সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং সিএবি কিংবা এনআরসির সময় প্রশাসনের ভূমিকা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আসলে আমরা এক আধুনিক রাজতন্ত্রের নাগরিক হিসাবে সময় কাটাচ্ছি। এখানে শাসকের ধর্মই শাসিতের ধর্ম বলে বিবেচিত হচ্ছে, শাসকের কথাই আইন বলে বিবেচিত হচ্ছে। এবং তার বিরুদ্ধে কথা বললেই দেশদ্রোহী হিসাবে আখ্যায়িত হচ্ছেন। ঠিক যেমন প্রাচীন ও মধ্যযুগে রাজা বা সামন্ত প্রভুরা দেশ শাসনের জন্য করতেন। তবে পার্থক্য শুধু একটাই যে, তা করা হচ্ছে গণতন্ত্র নামে এক আধুনিক আলখাল্লার মোড়কে।

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে