সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মাননীয় গৌতম বাবুর প্রতি এক মূর্খের মুর্খামি

Goutam Ray দাদা, নিজেকে পন্ডিত ভাবাটা, আর অন্যকে মূর্খ ভাবাটা একটু কম করুন। কাউকে সম্মান করতে না পারেন, অসম্মান করা উচিত নয় এই বোধটা আপনার একটু জন্মানো উচিত। মানুষের সঙ্গে কথা বলতেই তো এখনও শেখেন নি দেখছি। 'এই আলী হোসেন অন্তত 50 বছর আগের বুদ্ধুশুদ্ধিতে আছে' মানে কী দাদা? আমি যদি বলি আপনি কটা বই পড়েছেন মশাই? আপনার ভালো লাগবে? মার্ক্সবাদ আমি পড়িনি, আপনি পড়েছেন? পড়েছেন বলে আম্বানিদের প্রশংসা করছেন? কাল মার্কস পুঁজিপতিদের প্রশংসা করে গেছেন? কোন বইতে দাদা।নাম বলুন তো? আপনি তো আবার পন্ডিত মানুষ। নিশ্চয়ই মনে আছে। টুপ করে পৃষ্ঠা নাম্বার টা একটু বলে ফেলুন তো। যাদের নাম বললেন, তারা কখন কোথায় আর কোন বিষয়ে কথা বলেছেন শুধু আপনিই জানেন বুঝি জানেন? যাদের মতবাদগুলো সময়ের দাবিতে কারকারীতা হারিয়েছে তাদের নিয়ে নাচানাচি করাটা খানিকটা পিছিয়ে থাকারই প্রমাণ দেয়া বোধ হয়! কী বলেন? এক কাজ করুন। আমার অন্য মন্তব্য গুলির  উত্তর তৈরি করুন। তারপর এখানে পোস্ট করুন। পুঁজিপতিদের বস্তা পচা কথা শুনে শুনে 50 টা বছর পার করে ফেলেছি। চোর চুরি করবে বলে কোন উৎপাদন না করে বসে থাকব, নিজের জমি বিক্রি করে দেব, নিজের

মাননীয় গৌতম বাবুর প্রতি এক মূর্খের মুর্খামি

Joyanta Roy Chowdhury অসুবিধা তুলে ধরেছো। ঠিক। কিন্তু যে প্রশ্নগুলো করেছিলাম তার উত্তর এড়িয়ে গেছো। এর মধ্যেই রয়েছে আসল সত্য। মৌলিক চাহিদা সবার সমান। তুমি মিষ্টি কম খাও। আমি মিষ্টি বেশি খাই। তুমি লাল পছন্দ করনা, আমি লাল পছন্দ করি। এই পার্থক্য দেখিয়ে সমাজে আর্থিক বৈষম্য থাকাটার ব্যাখ্যা দেওয়াটা হাস্যকর। একদল সমাজপতি দিয়ে দেশ চলে তোমাকে কে বলেছে? আমাদের দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে সবাই কি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে? তুমিও কি নেতা নাকি? আমিও কি নেতা হিসেবে কাজ করি? আমাদের মন্ত্রিসভায় কতজন লোক আছে? 130 কোটি? না। এখানেও তো একদল লোক এই দেশটা শাসন করছে।😀😀 সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় জনপ্রতিনিধিত্বের সংখ্যা আরো বেশি থাকে। সেখানে জনগণ প্রত্যক্ষ ভাবে প্রশাসকদের নির্বাচন করে। ধনতান্ত্রিকদের ভাবনা মাথায় গেঁথে থাকলে, সমাজতন্ত্রকে বোঝা যাবে না। আগে যে কথাগুলো বললাম সে কথাগুলো ভালো করে বোঝার চেষ্টা কর। আজকে যে ধনতন্ত্র দেখছো, সেই ধণতন্ত্রের জন্ম কতদিন হয়েছে জানো? আমাদের দেশে মেরেকেটে 70 বছর। তার আগে কি ছিল? স্বাধীনতার পরপর যে ধণতন্ত্র ছিল সেই ধণতন্ত্র কি এখনো আছে? নেই। তাহ

ধণতন্ত্র বনাম সমাজতন্ত্র

Joyanta Roy Chowdhury অসুবিধা তুলে ধরেছো। ঠিক। কিন্তু যে প্রশ্নগুলো করেছিলাম তার উত্তর এড়িয়ে গেছো। এর মধ্যেই রয়েছে আসল সত্য। মৌলিক চাহিদা সবার সমান। তুমি মিষ্টি কম খাও। আমি মিষ্টি বেশি খাই। তুমি লাল পছন্দ করনা, আমি লাল পছন্দ করি। এই পার্থক্য দেখিয়ে সমাজে আর্থিক বৈষম্য থাকাটার ব্যাখ্যা দেওয়াটা হাস্যকর। একদল সমাজপতি দিয়ে দেশ চলে তোমাকে কে বলেছে? আমাদের দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে সবাই কি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে? তুমিও কি নেতা নাকি? আমিও কি নেতা হিসেবে কাজ করি? আমাদের মন্ত্রিসভায় কতজন লোক আছে? 130 কোটি? না। এখানেও তো একদল লোক এই দেশটা শাসন করছে।😀😀 সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় জনপ্রতিনিধিত্বের সংখ্যা আরো বেশি থাকে। সেখানে জনগণ প্রত্যক্ষ ভাবে প্রশাসকদের নির্বাচন করে। ধনতান্ত্রিকদের ভাবনা মাথায় গেঁথে থাকলে, সমাজতন্ত্রকে বোঝা যাবে না। আগে যে কথাগুলো বললাম সে কথাগুলো ভালো করে বোঝার চেষ্টা কর। আজকে যে ধনতন্ত্র দেখছো, সেই ধণতন্ত্রের জন্ম কতদিন হয়েছে জানো? আমাদের দেশে মেরেকেটে 70 বছর। তার আগে কি ছিল? স্বাধীনতার পরপর যে ধণতন্ত্র ছিল সেই ধণতন্ত্র কি এখনো আছে? নেই। তাহ

ধর্ম ও যুক্তি বিজ্ঞান

সি এস নীহার আমার কথায় কি আপনার তাই মনে হল? যে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসার আগে সে বিষয়ে যথেষ্ট খোঁজখবর নিতে হয়। সেটা যদি আর নিজের শত্রু সম্পর্কে হয়, তাহলেও। এটাই আমার দৃষ্টিভঙ্গি। যুক্তিবিজ্ঞান এটাই বলে। কাউকে সন্দেহের তালিকার বাইরে রাখতে নেই। আমার কথা নয়। মস্ত বড় দার্শনিকের কথা। আর আমি এটাও জানি এবং মানি খবর আর তথ্য এক জিনিস নয়। খবরকে যুক্তি বুদ্ধি এবং তথ্য দিয়ে বিচার করার পর, তার সত্যাসত্য যাচাই করার পর তাকে তথ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় যুক্তিবিজ্ঞান। আর অন্ধত্ব আমার মধ্যে নেই কিনা। তাই যুক্তিবিজ্ঞান এর নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করি। সি এস নীহার একদমই তাই। প্রাতিষ্ঠানিক এবং আনুষ্ঠানিক ধর্মকে আমি কোনরকম গুরুত্ব দেই না। মানুষের একটাই ধর্ম আছে তার নাম মানব ধর্ম। জগৎ আর জীবন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা আছে যার, সে এর ভাইরে ভাবতে পারে না। আনুষ্ঠানিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মটা যুগ যুগ ধরে ধান্দাবাজ লোকেদের অস্ত্র হিসেবে কাজ করে আসছে। ইতিহাস আর আমার নিজস্ব উপলব্ধি তা-ই বলছে। বর্তমানে ভারতীয় উপমহাদেশসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এর বাড়বাড়ন্ত  নজরে পড়ছে। Anirban Chowdhury আপনার ধারনা সঠিক হওয়ার

মুসলিম মৌলবাদ ও হিন্দু মৌলবাদ

কথাকার নিহার চক্রবর্তী। কবিতাও লেখেন। মাঝে মাঝে রাজনীতি বিষয়ক দু একটা পোস্ট করেন। বলাই বাহুল্য রাজনৈতিক মতাদর্শের দিক থেকে উনি আর আমি সম্পন্ন দুই মেরুর মানুষ। সুতরাং মতপার্থক্য হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই মতান্তর কখনো মনান্তরের কারণ হয়ে ওঠেনি। অন্তত এখনো পর্যন্ত আমার তাই মনে হচ্ছে। নিহার বাবুর ফেসবুকীয় বন্ধু অমিতাভ মিত্র। উনিও কবিতা লেখেন। নিহার বাবুর মত আমিও তাকে কবি হিসাবে তার প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদা দিতে কুন্ঠা করিনা। যদিও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর আর আমার মধ্যে কোন জানাশোনা নেই। ফেসবুকের দৌলতে দুই একটা লেখা পড়েছি। খারাপ লাগেনি। সম্প্রতি প্রতিদিন সংবাদপত্রে একটি খবর বেরিয়েছে। খবরটি পেপার কাটিং এখানে রাখলাম। এই খবরটা কে উল্লেখ করে নেহার বাবু একটা পোস্ট করেছেন, যেটা বর্তমানে আমি আর খুঁজে পাচ্ছিনা। এই পোস্টে নিহার বাবু জানতে চেয়ে ছিলেন বাঙালি মুসলমানদের, বিশেষ করে শিক্ষিত মুসলিমদের মতামত। এই পোস্টে কবি অমিতাভ মিত্র মুসলিমদের সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছিলেন তা আমাকে খুবই অসম্মানিত করেছে। একজন মানুষ হিসেবে এই অসম্মান আমাকে আঘাত দিয়েছে বলতে পারেন। তিনি যে মন্তব্য করেছিলেন

ইতিহাসের বিকৃতিএবং কিছু তথ্য

Goutam Ray এতদিন পর আপনার আসল চেহারা বেরোলো বোধ হয়! যে গল্পগুলো বললেন না, এগুলো প্রতিনিয়ত বিজেপির লোকেরা বলে। আপনিও তাই বলছেন। আতাহার আলী ছেড়ে দিন। বিপান চন্দ্র, হরবংশ মুখিয়া, রোমিলা থাপার, জয়া চ্যাটার্জীর নাম শুনেছেন? নিশ্চয়ই শুনেছেন। কারণ, আরএসএসের গল্পের বিরুদ্ধে এরাই তো বের করে এনেছেন আসল ইতিহাস। যার মাথা বিক্রি হয়ে আছে, তাকে বোঝানোর সাধ্য আমার নেই। আপনি বিক্রি করেছেন কিনা জানিনা। তবে আপনাকে চুপিচুপি বলে রাখি, আতাহার আলী আমি পড়িনি। পড়ার ইচ্ছা আছে। গল্প না বলে যুক্তি দিয়ে বলুন, তথ্য দিয়ে বলুন। মনে রাখবেন, সবাই মাথা বিক্রি করে রাখেনি। সিপিএম বলুন, কংগ্রেস বলুন, তৃণমূল-বিজেপি বলুন, কোন দলের কাছে মাথা বিক্রি করে নেই আমি। আপনার বক্তব্যের পুরোটাই এখন মনে হচ্ছে সাম্প্রদায়িক। ভেক ধরে আছেন। আগের দিন হুট করে আমাকে সাম্প্রদায়িক বলে দিলেন। মৌলবাদী বলে দিলেন। আজ আপনার বক্তব্য শুনে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, আসলে আপনিই সাম্প্রদায়িক। আপনি কি প্রমাণ পেয়েছেন যে, আপনার লেখা কেউ ডিলিট করে নি, যে লেখার জন্য আপনি আমাকে সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী বললেন? আসলে যার মাথার মধ্যে সাম্প্রদায়িক ভাবনা চিন

বঙ্কিমচন্দ্র ও বাংলার ইতিহাস

Goutam Ray আপনি আরএসএসের ইতিহাস বিবেচ্য নয় বলছেন। অথচ আর এস এস সি হিন্দু মুসলমানের বিভেদ বিভাজন চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। ভারতীয় নিম্ন শ্রেণীর মানুষ হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করার কারণ হিসেবে তারা মুসলিম শাসকদের দায়ী করে থাকে। সেটা যে সম্পূর্ণ ভুল তা বোঝানোর জন্য বঙ্কিমচন্দ্রের উদ্ধৃতি পোস্ট আকারে দিয়েছি। সুতরাং তাদেরকে বাদ দিয়ে আলোচনার কোন মূল্য হয় না। যাই হোক, বঙ্কিমচন্দ্র যে তার উপরের মত থেকে সরে এসেছেন এর স্বপক্ষে আপনাকে বঙ্কিমচন্দ্র থেকে তথ্য দিতে বলেছিলাম। আপনি তার পরিবর্তে অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় এর বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস পড়তে বললেন। বাংলা সাহিত্য বুঝতে গেলে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস পড়া নিশ্চয়ই দরকার। সেখান থেকে ধর্ম-সমাজ-সংস্কৃতি সংক্রান্ত কিছু ঐতিহাসিক উপাদান সংগ্রহ করা যায় বটে কিন্তু তা মোটেই ইতিহাস নয়। এটা আগে বুঝতে হবে।  তাই এ সম্পর্কে তথ্য দিতে গেলে আপনাকে বঙ্কিমচন্দ্রের রচনাবলী উপরই নির্ভর করতে হবে। বিশেষ করে তার ইতিহাস সংক্রান্ত যে প্রবন্ধ আছে তার সাহায্য নিতে হবে। আপনি সেদিকে গেলেন না। আমি আপনাকে কিছু তথ্য দিচ্ছি যা দিয়ে প্রমাণ হবে যে বঙ্কিমচন্দ্র নিম্নবর্ণের হিন্দ

প্রসঙ্গ ঔরঙ্গজেব জিজিয়া কর

Tapas Das আমাদের ইংরেজ প্রভুরা যেখানে যতটা বিকৃত করার প্রয়োজন মনে করেছিলেন ততটাই করেছিলেন। তারা যতটা বিকৃত করেছিলেন ততটাই আমরা বিকৃত বা ভুল জেনেছিলাম। আর বিকৃত টুকু তো অবশ্যই ভুল। যেমন ধরুন, আপনি জিজিয়া করের কথা বলেছেন। একটু আগে কোন একজনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে। সেটাই এবার শুনে নিন। কতটা কিভাবে বিকৃত করা হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী নীতিকে গ্রহণযোগ্য করার জন্য বিভাজনের নীতি প্রয়োগ করার জন্য কীভাবে কতটুকু বিকৃত করেছেন। হিন্দুদের জিজিয়া কর দিতে হয়েছে। ওরঙ্গজেব নতুন করে চালু করেছেন। এ কথা মিথ্যা কেউ কি আপনাকে বলেছে? কেউ বলেননি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে বিকৃতিটা কোথায়? সেটাই আপনাকে কেউ জানায় নি। ১) আপনাকে জানানো হয়নি, হিন্দুদের যেমন জিজিয়া কর দিতে হতো, তেমনি মুসলিমদের যাকাত দিতে হতো। এটা জানালে হিন্দু মুসলমানের মধ্যে বিভাজন করা যেত না। অনতিবিলম্বেই আরেকটা সিপাহী বিদ্রোহের সুচনা হত। যেখানে হিন্দু মুসলমানের মিলিত শক্তি ব্রিটিশদের প্রায় পাততাড়ি গুটিয়ে ফিরে যাবার ব্যবস্থা করে ফেলেছিলো। শিখসহ কয়েকটি রেজিমেন্ট বিদ্রোহীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করায় সাময়িকভাবে তা আটকে গেছিল। ২) আপনি দেশে

মধ্যযুগের ইসলামিক শাসকদের দয়া-দাক্ষিণ্যে হিন্দুরা টিকে ছিল এ কথা কেউ বলে না

Pritam Roy মধ্যযুগের ইসলামিক শাসকদের দয়া-দাক্ষিণ্যে হিন্দুরা টিকে ছিল এ কথা কেউ বলে না। এই প্রথম আপনার মুখ দিয়ে শুনলাম। ১) মধ্যযুগের ইসলামিক শাসকরা মানবিক মূল্যবোধ, সাম্যবাদী মনোভাব নিয়েই এদেশে এসেছিলেন। এই মনোভাবের মূল কথাই হচ্ছে মানুষের মানুষের বিভেদ নয় পারস্পরিক সহমর্মিতা ই মানুষের আসল ধর্ম। এই মতের বিশ্বাসই তাদেরকে মানবিক করে তুলেছিল। অমানবিক কোনো সিদ্ধান্ত তাঁরা নেন নি। এটাই টিকে থাকার অন্যতম প্রধান কারণ। ২) ভারতবর্ষের অধিকাংশ সামন্ত প্রভুরা হিন্দু ছিলেন। কেন ছিলেন? কারণ মুসলিম শাসকদের মধ্যে ধর্ম নিরপেক্ষ ভাবনা আগাগোড়াই কার্যকর ছিল। তাই রাজ্য জয় করার পরও হিন্দু প্রশাসক নিয়োগ করেছিলেন। যে সমস্ত হিন্দু প্রশাসন তাদের বশ্যতা স্বীকার করেনি, তাদের সরিয়ে বিশ্বস্ত লোককে প্রশাসক নিয়োগ করার প্রচুর উদাহরণ আছে। সুতরাং আপনার যুক্তি যথাযথ নয়। ৩) মারাঠা থেকে শুরু করে সারা ভারত জুড়ে হিন্দু শাসক গোষ্ঠীর মধ্যে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছিল তা অস্বীকার করার চেষ্টা করাটা খুবই হাস্যকর। ভারতের হিন্দু শাসকরাই তার প্রতিবেশী শাসককে আবার কখনো কখনো নিজের রাজ্যের প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করার জন্য মুসলিম

বঙ্কিমচন্দ্রের ভারতীয় জনজাতিকে আর্য ও অনার্য ---এভাবে ভাগ করা কীভাবে এবং কতটা সংগত?

Ranjankanti Bhattacharjee ইতিহাস বলছে সারা পৃথিবীর মানুষই এখন মিশ্র জনগোষ্ঠীর। আর এই মিশ্রণ হঠাৎ নয়, প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই ঘটে চলেছে। এবং এখনো তা অব্যাহত। এই ব্যাখ্যা আসলে নৃতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা। মানব জাতির বিবর্তন সংক্রান্ত আলোচনায় এই নৃতাত্তিক ব্যাখ্যা প্রযোজ্য। আমাদের মনে রাখতে হবে, নৃতত্ত্ব আর রাষ্ট্র তত্ত্ব এক জিনিস নয় । রাজনীতিকরা রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভের জন্য যেমন নৃতত্ত্বকে কখনো কখনো কাজে লাগিয়েছেন, তেমনি একে উপেক্ষা করার নজিরও কম নেই। পৃথিবীজুড়ে রাজনৈতিক স্বার্থে নৃতত্ত্বকে উপেক্ষা করার প্রবণতাই বেশি। তাই বঙ্কিমচন্দ্র যে ব্যাখ্যা করেছেন সেই ব্যাখ্যার মূল ভিত্তি হচ্ছে রাজনৈতিক। তাই রাষ্ট্রতত্ত্বের নিরিখে এর বিচার করতে হবে, নৃতাত্ত্বিক নিরিখে নয়। আসলে যারা নিজেদের আর্য বলে দাবি করে, তারা নিজেরাও নিখুঁত আর্য নয়। বর্তমান পৃথিবীতে কোথাও নেই। কিন্তু কিছু মানুষ নিজেদের আর্য বলে পরিচয় দিয়ে পৃথিবীর ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে। এই চেষ্টা হিটলার যেমন করেছিলেন, ভারতের ক্ষেত্রেও গুপ্ত যুগের পর থেকে তার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে তারা সংখ্যায় কম, কিন্তু ক্ষমতায়

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন