সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অর্থনীতি মিথ্যা - শব্দবন্ধটি অর্থহীন

Joyanta Roy Chowdhury ধ্বস নামবে কেন বলছ? ইতিমধ্যেই ধ্বস নেমেছে। কিন্তু ধনতান্ত্রিক দেশগুলোর অর্থনীতি যেভাবে ভেঙে পড়েছে, সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর অর্থনীতি সে ভাবে ভেঙে পড়েনি। মৃত্যুহারও সেখানে কম। এখানেই সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার সাফল্য। আর 'অর্থনীতি মিথ্যা' এই শব্দটা প্রকৃত অর্থে অর্থহীন। পৃথিবীতে দুই ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু আছে। একটা ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি আর অন্যটি সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি। এই দুটো মিলে 'সমগ্র অর্থনীতি'। তাই 'অর্থনীতি মিথ্যা' এই কথাটা প্রকৃত অর্থেই অর্থহীন। রাষ্ট্রশক্তি হিসেবে চিনকে আমরা সন্দেহ করতেই পারি। আর যেহেতু সীমান্ত নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ রয়েছে, সেহেতু তারা রাষ্ট্রশক্তি হিসেবে সন্দেহের বাইরে নয়। কিন্তু অর্থনীতি নিয়ে সন্দেহ করার তেমন কোনো কারণ নেই। সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর অর্থনীতির অবস্থা এবং মৃত্যু হার যথাক্রমে ভালো এবং কম। ভিয়েতনামের দিকে তাকালেও তুমি সেটা বুঝতে পারবে। যাই হোক, ভালো থেকো। সাবধানে থেকো। উৎস জানতে এখানে ক্লিক করুন

নেতাজী ও মোদি জি - লজ্জাজনক তুলনা

হাসি পায়, কষ্ট হয় যখন নেতাজিকে দেখিয়ে মোদিরজির ভক্তরা দেশপ্রেমিক' সাজার চেষ্টা করে। নেতাজি পুরো মাত্রায় অসাম্প্রদায়িক এবং সমাজতান্ত্রিক। ভক্তরা ঠিক তাঁর উল্টো। এক আসনে বসাতে গেলে লজ্জা লাগে না? আমার তো ভয়ঙ্কর লাগে। Dibakar Mandal আপনি চোখ কান খোলা রাখুন। যুক্তি বুদ্ধি ব্যবহার করুন। ইতিহাসের শিক্ষক যখন, তখন ইতিহাসের সাহায্য নিন। ঠিক উত্তর পেয়ে যাবেন। আমার ভাবনার বিষয় টা আজকের কোন নেতা কতটা সাম্প্রদায়িক তা নিয়ে নয়। বিষয়টা হচ্ছে রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে। নেতাজির দর্শন কি মোদিজীর দর্শনের সঙ্গে যায়? উত্তর হবে হ্যাঁ অথবা না। যদি না যায় তবে আমাদের ভাবতে হবে, মোদিজীর ভক্তরা নেতাজি কে আঁকড়ে ধরছেন কেন? এভাবে নেতাজিকে একটা সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতের অস্ত্র হতে দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত। অথবা হতে দিলে ভবিষ্যৎ ভারতের অবস্থা কি হতে পারে তা নিয়ে ভাবা। সাম্প্রদায়িকতা কমবেশি সব দলের মধ্যেই আছে। কিন্তু সেটা আছে দলের ভিতরের কিছু ঘাপটি মেরে থাকা সাম্প্রদায়িক নেতার মধ্যে। বিজেপির বাইরে যে দলগুলো আছে তারা আদর্শগতভাবে সাম্প্রদায়িক নয়। কিন্তু তাদের ভিতর কিছু মানুষ আছেন যারা সাম্প্রদায়িক। সব

মোয়াজ্জেম ভাতা ও পুরোহিত ভাতা

মোয়াজ্জেম ভাতা ও পুরোহিত ভাতা এক ভুলের ক্ষত ঢাকতে আর এক ভুল। মোয়াজ্জেম ভাতা'র মোকাবেলায় পুরোহিত ভাতা। ধর্মীয় আবেগ কেনা বেচায় দুটো দল এখন পাল্লা দিচ্ছে।  আর্থিক নয়, কল্পিত ধর্ম-সংকট এখন রাজনীতির মূল উপজীব্য।  মানুষকে ধর্মান্ধ করে ফেলাই রাজনীতিকদের প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠেছে। একটা দেশের পক্ষে যা মারাত্মক ক্ষতিকর। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এবং তার জনগণ ধর্মের সঙ্গে রাজনীতিকে মিশিয়ে ফেলার খেসারত দিয়ে চলেছে। ভয় পাচ্ছি, আমরাও সেই দিকে পা বাড়াচ্ছি না তো? Nazrul Islam Molla অনেকেই সেটা জানে। কিন্তু সরকার সেকথা স্পষ্টভাবে এবং খোলাখুলিভাবে প্রকাশ্যে বলে না। এই না বলাটা একটা সমস্যা। দ্বিতীয়তঃ সরকারের ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে পাওয়া টাকা সংখ্যালঘু মানুষের শিক্ষার বিস্তারে খরচ করা উচিত ছিল। তা না করাটাও ভুল। ধর্মগুরু তথা ধর্মব্যবসায়ীদের ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের খুশি করাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। এভাবে ভোটে হয়তো জেতা যায়, কিন্তু দেশের কল্যাণ হয় না। সংখ্যালঘুদের প্রকৃত অর্থে কোন লাভ হয় না উৎস দেখুন এখানে Rafikul Islam এর জন্য মুসলমানদের দায়িত্ব কিন্তু কম নয়। অশিক্ষার অন্ধকারে থেকে যতদিন ন

রুখে দাঁড়ানোর সময়

Md Samim  সময় হয়েছে বুঝে নেয়ার, সময় হয়েছে রুখে দেয়ার। আসুন রুখে দাঁড়াই, এবং ঘুরে দাঁড়াই।

চুক্তি চাষ - ২০২০

চুক্তি চাষ। ইংরেজ সরকারের সৌজন্যে নীলকরদের কাছে কৃষক ফাঁসানোর হাতিয়ার। পরিণতিতে নীল বিদ্রোহ। দেশি 'নীলকরদের' জন্য ফিরিয়ে আনছেন সেই চুক্তি চাষ। সৌজন্যে দেশি সরকার। বিস্তারিত পড়ুন এখানে ক্লিক করে  পাঠকের মতামত এখানে দেখুন 

চুক্তি চাষ

চুক্তি চাষ। ইংরেজ সরকারের সৌজন্যে নীলকরদের কাছে কৃষক ফাঁসানোর হাতিয়ার। পরিণতিতে নীল বিদ্রোহ ১৮৫৯-৬০। দেশি 'নীলকরদের' জন্য ফিরে আসছে সেই চুক্তি চাষ। সৌজন্যে দেশি সরকার। বিস্তারিত আজ সন্ধ্যায়। এখানে দেখুন

গণতন্ত্রের গোড়ায় গলদ

Monojit Bhowmick আসলে গণতন্ত্রের নাম করে, এ দেশে যা হচ্ছে, তা খুবই লজ্জা কর। আমরা গণতন্ত্রের যে কাঠামোটাকে অনুসরণ করি তাতে রয়েছে ভয়ঙ্কর গলদ। তারই সুযোগ নিচ্ছে অশিক্ষিত এবং অসাধু রাজনীতির কারবারিরা। আপনি ঠিকই ধরেছেন। তবে, এদেশের জন্মানোটা ভুল। এটা বলে মনকে সান্ত্বনা দেয়া যায়। কিন্তু সংকটের মূলে কিন্তু পৌঁছানো যাবে না। তাছাড়া কোন বিশেষ দেশে জন্মানোটা তো আমার আপনার হাতে নির্ভর করে না। সুতরাং সে কথা ভেবে লাভ নেই।😀😀 কি বলেন? আসুন আমরা জনমত গড়ে তুলি, যাতে সবাই মিলে এই দেশটাকে সুন্দর এবং সবার জন্য ভালোবাসার ও ভালোলাগার এবং মায়ের কোলের মত নিরাপদ করে গড়ে তুলতে পারি। শুভকামনা জানবেন। শুভরাত্রি। প্রসঙ্গে জানতে এখানে ক্লিক করুন

রাজনৈতিক ক্ষেত্রে শিক্ষিত মানুষেরা ব্যক্তিপূজায় ও ব্যক্তি-বিরোধিতায় বিশ্বাস করে না।

Debdip Dutta রাজনৈতিক শিক্ষা যাদের আছে  অর্থাৎ শিক্ষিত মানুষেরা কখনো কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে যায় না, আবার তার পুজোও করে না (ব্যক্তির পুজো না।) রাজনৈতিকভাবে শিক্ষিত মানুষেরা তাই ব্যক্তিমানুষের নয়, তার সরকারের নীতির বিরোধিতা করে। সুতরাং বুঝতেই পারছিস আমি তো অশিক্ষিত নই। তাই ব্যক্তি মোদির বিরোধিতা আমি করিনা, তার পূজাও করি না। অর্থাৎ আমি তার ভক্ত নই। মোদির সরকারের যে নীতি, আমি তার বিরোধিতা করি। উপরের পোস্টারে তার সরকারের যে নীতির উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে, আমি ওই নীতির অবশ্যই বিরোধী। ওটাকে ভন্ডামি বলে। আর শিক্ষিত মানুষ এই ভন্ডামি কখনো সমর্থন করতে পারে না, তা মোদি করলেও পারবেনা। রাহুল গান্ধী করলেও পারবেনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করলেও পারবেনা। বা বা অন্য কোন নেতা করলেও নয়। যদি কেউ করে, তাহলে সে রাজনৈতিকভাবে অশিক্ষিত মানুষ। আর এই অশিক্ষিত মানুষ গুলোর জন্যই দেশের নেতারা ভন্ডামি করে যাচ্ছে নিশ্চিন্ত মনে। প্রকৃত রাজনৈতিক শিক্ষা যার মধ্যে ঢোকে, সে পরিষ্কার বুঝতে পারে, যে ব্যক্তি সেখানে একটা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মোদি বিজেপি সরকারের এমনই একটি অস্ত্র। তার বিরোধিতা করে কোন লাভ হয় না। মোদি যে স

সংস্কার ও কুসংস্কার এর পার্থক্য

সংস্কারের জন্ম বিশ্বাস থেকে। কুসংস্কারের জন্ম অন্ধবিশ্বাস থেকে।

রাষ্ট্ররোগ

না। একে বলে রাজনৈতিক দ্বিচারিতা। এটা এক ধরণের রাষ্ট্ররোগ। যে দেশের অধিকাংশ মানুষ রাজনৈতিকভাবে অশিক্ষিত হয়, সেদেশেই এই রোগের বাড়বাড়ন্ত হয়, যা ভন্ড নেতার জন্ম দেয়।

মারাঠাদের সম্পর্কে জগন্নাথ সরকার

10. Atrocities and devastation committed by the Marathas, All over the country from which the Nawab’s authority had disappeared, the Maratha hordes committed wanton destruction and unspeakable outrage on the roads and villages. Utter terror raged throughout Bengal in consequence of their atrocities. The state of the country is thus graphically described in the English factory letters : “The Marathas are plundering Birbhum (July, 1742) which has put a stop to all business, the merchants and weavers flying whenever they can. " An eye-witness, the Bengali poet Gangaram, thus des- cribes the sufferings of the people : “The Bargis began to loot the villages. Every class of men took to flight with their property, when suddenly the Bargis came up and encircled them in the plain. They snatched away gold and silver, rejecting eversrthing else. Of some people they cut off the hand, of some the nose and ears ; some they kill- ed outright. They dragged away the beautiful women, tying their fi

প্রসঙ্গ : ৩% অন্য ধর্মকে নিয়ে নিরপেক্ষতা প্রমান এবং পালন প্রশ্ন চিহ্ন রেখে যেতে পারে - সুকুমার বর্মন

প্রশ্নচিহ্ন ওঠাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। পৃথিবীর এমন কোন দেশ নেই, যার বিরুদ্ধে (শাসকের বিরুদ্ধে) প্রশ্ন চিহ্ন নেই, এমন দাবী করা যাবে। গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র, সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্র ইত্যাদির যেকোন রাষ্ট্রদর্শনকে অবলম্বন করে পৃথিবীব্যাপী যে রাষ্ট্রব্যবস্থা বা সরকার চলছে তার কোনটাই প্রশ্নশূন্য নয়। প্রত্যেকটা দেশের বিরুদ্ধে কোন না কোন অভিযোগ বিপক্ষ শিবিরের লোকজন করে থাকে। সুতরাং 'প্রশ্ন তোলার সম্ভাবনা থেকে যেতে পারে' বলার মধ্যে কোন বিশেষ বার্তা নেই। যা আছে, তা সাধারন। কোন কোন দেশের ক্ষেত্রে তা অতি সাধারণ। সুতরাং প্রশ্ন তোলার ক্ষেত্রে ধর্মটা এবং তার পার্সেন্টেজটা (৩%) কোন গুরুত্ব বহন করে না। কারণ, একটা রাষ্ট্র ব্যবস্থা, সে ধর্মনিরপেক্ষ হবে, না ধর্মীয় শাসন নীতি মেনে চলবে, তা পার্সেন্টেজ এর উপর নির্ভর করে চলেনা। তা যদি হতো, তাহলে : ১) ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার সাথে সাথে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে আত্ম প্রকাশ করত। ২) বর্তমান বাংলাদেশ সংবিধান থেকে 'রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম' বলে যে শব্দবন্ধটি লিপিবদ্ধ আছে ( যা  সামরিক শাসক  তার অবৈধ ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দেওয়া বা টিকিয়ে রাখার জন্য ইসলামকে রাষ্ট্রধ

যুক্তি ছাড়া মুক্তি নেই, ভক্তিতে সে শক্তি নেই

মুছাদুল ইসলাম  আপনার মতামত প্রকাশের ভঙ্গিটা খুব সুন্দর। শব্দ চয়নের পরতে পরতে রয়েছে সহনশীলতার মসৃন প্রলেপ, যা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আপনার সাথে আমি একমত যে, শব্দ চয়নে আমাদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। আমার খুশির প্রকাশ প্রক্রিয়া বা ভঙ্গি যেন কাউকে কষ্ট না দেয়, তা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা মেনে চলার চেষ্টা করি। কাউকে আঘাত করা নয়, তাকে সম্মানের সঙ্গে তার ভ্রান্ত ভাবনা (যদি থাকে) থেকে আমার কাছেই (সত্যের কাছে) অনাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। তাই বিনয়ের সঙ্গেই আপনাকে আশ্বস্ত করছি যে, শব্দ চয়নের ব্যাপারটায় আমি অসতর্ক ছিলাম না। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন যে, 'মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত' এটা একটা শব্দবন্ধ বা প্রবচন। এখানে 'মোল্লা' শব্দটা একা কোনো অর্থ প্রকাশ করতে পারে না। পুরো প্রবচনটার অর্থ হচ্ছে 'যে দুর্বল সে বেশি দূর যেতে পারে না।' ভক্ত এবং মন্দির সংক্রান্ত বাক্যাংশটিও একই অর্থ বাহক।  সুতরাং বুঝতেই পারছেন শব্দ চয়নে কোনো ত্রুটি আমি জ্ঞানত রাখিনি। যুক্তির ক্ষেত্রে আমি একটু ভিন্ন ধারণা পোষণ করি। সেটা বলার আগে আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা মনের থাকতে থাকতেই বলে নি। আমার সঙ্

সুদান। ধর্মনিরপেক্ষরাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ

৯৭% মুসলিম। সুদানের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ। আপনি কাঁদতে পারেন। আমি কিন্তু খুব ....খুব খুশি। ভক্তরা কি বলবেন? প্রথম প্রকাশ এখানে দেখুন

আলো-আঁধারের খিচুড়ি

Shilpi Dutta Paul আপনার মতামত খুবই ন্যায্য এবং প্রাসঙ্গিক। শিক্ষাকে যদি ধর্মীয় মোড়ক-মুক্ত না করা যায়, এ রোগ থেকে আমরা মুক্তি পাবো না। আধুনিক শিক্ষার একমাত্র অর্জন হওয়ার কথা হল যুক্তিবাদ, বিজ্ঞানমনস্কতা ও মানবতাবাদ। কিন্তু দুঃখের হলেও সত্যি, এবং আমাদের দুর্ভাগ্য যে, স্বাধীন ভারতের শিক্ষাঙ্গন এখনো ধর্মীয় সংস্কার ও কুসংস্কারে আবহে আচ্ছন্ন হয়ে আছে। সাধারণ স্কুল বলুন কিংবা মাদ্রাসা - সবক্ষেত্রেই একই ছবি। সব জায়গায় বিজ্ঞান পড়ানোর সাথে সাথে সাড়ম্বরে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান উদযাপিত হচ্ছে। পড়াশোনা শিখতে গিয়ে একজন ছাত্র বা ছাত্রী যদি শিক্ষকদের কাছ থেকেই ভাগ্য আর ভগবান বা আল্লার ওপর নির্ভরতাকে একান্ত ও অপরিহার্য বলে ভাবতে শেখে, তবে সে কীভাবে ধর্মীয় কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাস থেকে বেরিয়ে একজন আধুনিক ও আত্মবিশ্বাসী মানুষ হবার সাহস অর্জন করবে? নিজের ভাগ্যকে নিজে জয় করার মানসিক শক্তি কীভাবে অর্জন করবে? মনে রাখতে হবে, এই মানসিক শক্তিই তো আজ পৃথিবীতে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগোষ্ঠীকে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত করেছে। চীন যে আজ পৃথিবীর দ্বিতীয় মহাশক্তিধর জা

শিক্ষাল্পতা। এক ধরনের রোগ

নামিদামি খাবার খেয়েও যেমন আমরা কেউ কেউ রক্তাল্পতায় (রোগে) ভুগি, তেমনি নামিদামি প্রতিষ্ঠান থেকে লেখাপড়া শিখেও কেউ কেউ শিক্ষাল্পতায় (রোগে) ভুগি। দুর্ভাবনার বিষয় হল, দেশে প্রতিদিন এই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রথম প্রকাশ এখানে দেখুন দেখুন ফেসবুকে এখানে ক্লিক করে

লেখাপড়া আর শিক্ষার সম্পর্ক

Rita Basu 100% ঠিক কথা বলেছেন। সেই জন্যেই আমি সচেতন ভাবেই 'লেখাপড়া' কথাটা না লিখে 'শিক্ষা' কথাটা লিখেছি। লেখাপড়া শিখলেই আর নিজের ঝুলিতে একটা বড় সার্টিফিকেট থাকলেই কেউ নিজেকে লেখাপড়া জানা মানুষ দাবি করতে পারেন ঠিকই, কিন্তু শিক্ষিত দাবি করা যায় না। পূর্বে আমি আমার বিভিন্ন পোস্টে লেখাপড়া জানা মানুষের সঙ্গে শিক্ষিত মানুষের পার্থক্যটা তুলে ধরেছি। লেখাপড়া আর শিক্ষা, দুটো আলাদা শব্দ এবং এদের অর্থ আলাদা। লেখাপড়া জেনেও অনেক মানুষ অশিক্ষায় ডুবে থাকেন, অর্থাৎ শিক্ষাহীনতায় (বা শিক্ষাল্পতা রোগে) ভোগেন। আবার অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা লেখাপড়া বিশেষ শিখতে পারেননি, কিন্তু শিক্ষায় অনেক লেখাপড়া জানা মানুষের তুলনায় অনেক গুণ এগিয়ে থাকেন। জগৎ এবং জীবনকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে তিনি শিক্ষিত হয়ে উঠেছেন, যাকে বলা হয় স্বশিক্ষা। তাই শিক্ষা শব্দটা তখনই শিক্ষা বলে বিবেচিত হবে যখন তার পূর্বে 'যথার্থ' - এই বিশেষণটি, দৃশ্য-শ্রাব্য  না হলেও, উহ্য আবস্থায় নিশ্চিতভাবে থাকবে। আমি আমার পোস্টে এই 'যথার্থ শিক্ষার' কথাই বলেছি। আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদসহ প্রীতি, শুভ

শিক্ষাই একমাত্র বন্ধু, যে কখনও কোন প্রতিদান চায় না

Babay Mondol শিক্ষাই একমাত্র বন্ধু, যে কখনো কোন প্রতিদান চায়না। তাই তাকে যত আপন করবে, ততই তোমার চলার পথ সহজ হবে।  দেখুন ফেসবুকে দেখুন এখানেও

প্রসঙ্গ : আদর্শ শিক্ষক হওয়ার সঙ্গে বিশেষ সম্প্রদায়ের সম্পর্ক

Goutam Ray আপনার সঙ্গে সহমত। তবে ভুল ধারণাটা আমার মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে নেই। কিন্তু তবু কথাটা আজকের পোস্টের মধ্যে উল্লেখ করাটা খুবই প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে বলেই ওভাবে বলা। আমরা যা জানি, আমরা যা মানি, তার বাইরেও কিছু বিষয় থাকে, যাকে মান্যতা দেয়া যায় না অথচ তা সমাজে থাকে এবং কিছু মানুষ তার মান্যতা দেয়। সেগুলোকে আমরা ব্যতিক্রম বলি। আর ব্যতিক্রম হলেও, সেগুলোও বিষয় এবং তার প্রভাব সমাজে পড়ে। আমি আমার পোস্টে ওই ব্যাতিক্রমী মানুষদের কথাই বলেছি এবং তাদের উদ্দেশ্যেই বলেছি। বলেছি তার কারণ, ব্যতিক্রমকেও উপেক্ষা করা যায় না। উপেক্ষা করলে, ব্যতিক্রমই একদিন সাধারণ হয়ে সাধারণের বুকে দাপিয়ে বেড়ানোর চেষ্টা করে। এবং সে-ই একদিন নিজেকে সাধারণ বলে দাবি করতে থাকে। তাই আঙ্গুলটা সুযোগ বুঝে সেদিকেই তুললাম। আশাকরি আপনি আমাকে ভুল বুঝবেন না। সময় করে মতামত দেয়ার জন্য আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও একরাশ ভালোবাসা। আপনার জন্য। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

দ্বিতীয় পিতা। পাঠকের মতামত ও আমি

Amaresh Biswas সময় করে পড়েছেন, মতামত দিয়েছেন। আমি আপ্লুত হয়েছি। গল্পের বিষয় ভালো লেগেছে বা লাগবে এ বিশ্বাস আমার ছিল এবং আছে। আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে। কিন্তু গল্প হিসেবে গল্পটা কতটা গল্প হয়ে উঠতে পেরেছে, সেটা জানতে পারাই গল্পকারের সবচেয়ে বড় পাওনা।  আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে গল্পটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ পাওয়াটা আপনার অধিকারের মধ্যেই পড়ে। সে অধিকার থেকে বঞ্চিত করার ইচ্ছা ও স্পর্ধা আমার নেই। ভালো থাকুন। সাবধানে থাকুন। যেভাবে, যতটা পারেন, আসুন আমরা মানুষের পাশে থাকি, মানুষের জন্য কথা বলি। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের এবং পরস্পরের শিক্ষক

Tapas Das অনেক অনেক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও  ভালোবাসা। আপনার মতামত জেনে ভালো লাগছে, এ কথা অস্বীকার করবো না। কিন্তু আসল কথা কি জানেন, আমরা প্রত্যেকেই পরস্পরের শিক্ষক। শুধু তাই নয়, প্রকৃতিই আমাদের সবচেয়ে সম্মানিত শিক্ষক। কারণ, তার কাছ থেকেই আমরা সবচেয়ে বেশি শিক্ষা অর্জন করি (যেটাকে স্বামী বিবেকানন্দ স্বশিক্ষা বলেছিলেন) । আমরা যখন স্কুলে পড়াই, ( যদিও ব্যক্তিগতভাবে 'পড়াই' শব্দটা ব্যবহারের আমি পক্ষে নই) অর্থাৎ পড়তে সাহায্য করি, তখন এ কথাটাও আমি ভুলি না যে, সামনের হাঁ করে বসে থাকা ছেলে বা মেয়েটা, যে আমাকে সবজান্তা ভেবে শ্রদ্ধা করে, তার কাছ থেকেও আমার শেখার আছে। সুতরাং.......... আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের শিক্ষক। ভালো থাকুন। সাবধানে থাকুন। যে যেভাবে পারি, যতটুকু পারি, আসুন জাত-ধর্ম নয়, মানুষের পাশে থাকি। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

ফেসবুকের ভালো মন্দ

Moti Lal Deb Nath সরে গেলে, উইপোকার দাপট বেড়ে যাবে। তাদের সামলাবে কে? আমার মতে, খুবই ভুল সিদ্ধান্ত।  শরীর না পারলে আলাদা কথা। আমরা যতই নিন্দামন্দ করি না কেন, এটা কিন্তু জনগণের একটা মিডিয়া। যেখানে কর্পোরেটদের নিয়ন্ত্রনটা অনেকটাই সীমাবদ্ধ। টেলিভিশন দেখা বন্ধ করে দিন। ক্ষতি নেই। কিন্তু ফেসবুক ছাড়বেন না। প্লিজ। আপনার কথা গদি মিডিয়া মানুষের কাছে পৌছানোর দায়িত্ব নেবে না। কিন্তু এখানে কিছুটা হলেও আপনি আপনার কথা আপনার মত করে শেয়ার করতে পারবেন। কোন প্রতিক্রিয়া না জানালেও জানবেন, অনেক মানুষই দেখছেন আপনাকে। পড়ছেনও।  মনে রাখবেন, আপনি সরে গেলেও উইপোকা কিন্তু সরে যাবে না। সাধারণ মানুষের কাছে কিন্তু এই মিডিয়া গদি মিডিয়ার চেয়েও শক্তিশালী। আপনাদের মত মানুষ এখানে না থাকাটা দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকারক হবে। প্রচুর মানুষ কিন্তু এই মিডিয়াকে ফলো করে। এখানে নিজের মনের কথা বলার সুবিধা আছে বলে তারা এখানে আসেন কথা বলেন। আপনি ছেড়ে গেলে উইপোকা গুলো তাদের মাথা খাবে। উইপোকা কিন্তু ফেইসবুক ছাড়বে না ভেবে দেখার অনুরোধ রাখলাম। বিচক্ষণ মানুষ আপনি। আশা করি বুঝতে পারছেন আমার কথাটা। এ প্রসঙ্গে জানতে এখানে ক্লি

আমার দ্বিতীয় পিতা।

আজ শিক্ষক দিবস। ম্যাসেঞ্জার-এ উপচে পড়া শুভেচ্ছা বার্তা আর  শ্রদ্ধার বন্যা দেখে আমি আপ্লুত না হয়ে পারিনি। ছেলেমেয়েদের এই ভালোবাসাই মনে করিয়ে দিল কিছু স্মৃতি, যা  অবশ্যই স্কুল জীবনের। আজ ভারতজুড়ে যে অবিশ্বাসের ঝোড়ো হাওয়া মানুষকে অস্থির করে তুলছে প্রায়শঃই, তা আমি প্রায় দেখিনি বললেই চলে। ছোট থেকে যে পরিমন্ডলে বড় হয়ে উঠেছি সেখানে এসবের প্রায় কিছুই ছিলোনা। যা ছিল তা একেবারেই অন্য রকম। আর আমার এই অন্য রকম অভিজ্ঞতা হওয়ার মূলে যে মানুষটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তিনি একজন শিক্ষক। তবে তিনি কোনও স্কুলে পড়াতেন না। বুঝতেই পারছেন তিনি আসলে একজন গৃহ-শিক্ষক। আজ এই শিক্ষক দিবসে ছেলেমেয়েদের ভালোবাসার জোয়ারে ভাসতে ভাসতে তাই কখন যেন পৌঁছে গেলাম গাইঘাটার যমুনা নদীর পাড়ে, যেখানকার একটি অনামি গ্রামের মানুষ আমার জীবনে দ্বিতীয় পিতা হয়ে এসেছিলেন। তিনি এসেছিলেন বলেই আজ আমি অসংখ্য ছেলেমেয়ের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছি। কী নাম তাঁর? নিশ্চয় অনুমান করছেন রহিম, করিম, বা এই রকম কেউ হবেন তিনি? ভুল বুঝেছেন। এমন হলে এলেখার সূচনা অন্য রকম হত। কে সেই মানুষ, যাকে আমি দ্বিতীয় পিতার আসনে বসিয়েছি?

আপনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করে আমি সম্মানিত বোধ করছি।

আমার প্রতি আপনার গভীর ভালবাসা এবং শ্রদ্ধার কথা জেনে আমি আপ্লুত ।  আপনার মধ্যেও যে ধর্মনিরপেক্ষ মনোভাব, বিজ্ঞানমনষ্কতা,   ইতিহাসবোধ ও সর্বোপরি মানবিক   মূল্যবোধের পক্ষে থাকা মনোভাব   লক্ষ্য করেছি, তা  আমাকে মুগ্ধ করে। আপনাদের মত মানুষ আজকের জগতের জন্য খুব জরুরী। মানুষই একজন মানুষের সবচেয়ে বড় এবং একমাত্র পরিচয় হওয়া উচিৎ, এই ভাবনা থেকে আমি, আপনি, অন্য কেউ কোনদিন যেন বেরিয়ে না আসি, সেটাই আমাদের শপথ হোক। যারা সত্যকে  মিথ্যার মোড়কে  ঢেকে তাকে হেনস্থা হতে দেয় না, বা মিথ্যাকে সত্যের মোড়কে আনার বিপক্ষে মুক্তকন্ঠে প্রতিবাদ করেন, আপনাকে তাদেরই একজন বলে মনে হয় আমার। তাই আপনার প্রতি আমার দুর্বলতাও কম নয়। আমি চাই, আপনি আমাদের পাশে থাকুন। এবং সত্যকে মাথা তুলে দাঁড়াতে সাহায্য করুন, আপনার সমর্থন ও সহযোগিতা অক্ষুন্ন রেখে।। ভালো থাকুন, ভালোবাসা নিন। সাবধানে থাকুন। আপনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করে আমি সম্মানিত বোধ করছি।

সম্পর্কের গভীরতাও সৌজন্যের সম্পর্ক

এই 👆উত্তরটা দিলেন না তো? 'বাংলা সাহিত্য' গ্রূপে আমার লেখার নিচে মন্তব্য আকারে যে শব্দটা লিখেছেন (গু,)  তার ব্যাখ্যা দিলেন না তো? বাংলা সাহিত্যের পাতায়ও দেন নি। এখানেও দিলেন না। আশা করি এবার দেবেন। দেওয়াটা বোধায় আমাদের দুজনের সম্পর্কের গভীরতার খাতিরে, সৌজন্যের মধ্যেই পড়ে। কি বলেন? আর একটা অনুরোধ। ফেসবুকের আমার একটা লিঙ্ক আপনাকে দিয়েছি। যেখানে ইতিহাসের বিকৃতির বিষয়ে কলকাতা টিভির একটা ভিডিও প্রতিবেদন আছে। অনুরোধ রইল একটু দেখবেন। যেহেতু আগের দিন আপনার সঙ্গে আমার ফোনালাপে ইতিহাস বিষয়ক আলোচনায় আপনাকে সন্তুষ্ট করতে পারি নি, যার জন্য আমাকে পন্ডিত বলেছিলেন। তাই এই ভিডিওটা পাওয়ার পর আপনাকে শেয়ার করার লোভটা সামলাতে পারলাম না।😀😀 ছোট্ট একটা জায়গা ছাড়া বাকি কথাগুলো আমার ইতিহাসবোধ ও উপলব্ধির সঙ্গে হুবহু মিল আছে। সেদিন এই কথাগুলোই বোঝাতে চাইছিলাম বারবার। কিন্তু আপনার শোনার অনিচ্ছার অথবা আপনার সময়ের অভাবের কারণে গুছিয়ে বলে উঠতে পারেনি। তাই, এই বিষয়ে আপনার ভাবনা জানার ইচ্ছা রইল। আশা করি এই ইচ্ছাটাও পূরণ করবেন। যদি আপনার সময় হয়। আপনিও তো আমার মতো ব্যস্ত মানুষ।

ধর্ম ও কর্মের সম্পর্ক

ধর্মকে কর্মের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলবেন না। ধর্মের অনুশীলন ক্ষেত্র নিজের নিভৃত কক্ষ। বিশ্বাসের ডানায় ভর করা এক স্বপ্ন-রাজ্যের চারণক্ষেত্র। আর কর্মের অনুশীলন ক্ষেত্র সমস্ত জগৎ জুড়ে। এ জগৎ সেই জগৎ, যা যুক্তির নিয়মে চলে, বুদ্ধির নিয়মে বলে, আর বিজ্ঞানের আলোকে আলোকিত হয়।

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে