আজ শিক্ষক দিবস। ম্যাসেঞ্জার-এ উপচে পড়া শুভেচ্ছা বার্তা আর শ্রদ্ধার বন্যা দেখে আমি আপ্লুত না হয়ে পারিনি। ছেলেমেয়েদের এই ভালোবাসাই মনে করিয়ে দিল কিছু স্মৃতি, যা অবশ্যই স্কুল জীবনের। আজ ভারতজুড়ে যে অবিশ্বাসের ঝোড়ো হাওয়া মানুষকে অস্থির করে তুলছে প্রায়শঃই, তা আমি প্রায় দেখিনি বললেই চলে। ছোট থেকে যে পরিমন্ডলে বড় হয়ে উঠেছি সেখানে এসবের প্রায় কিছুই ছিলোনা। যা ছিল তা একেবারেই অন্য রকম। আর আমার এই অন্য রকম অভিজ্ঞতা হওয়ার মূলে যে মানুষটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তিনি একজন শিক্ষক।
তবে তিনি কোনও স্কুলে পড়াতেন না। বুঝতেই পারছেন তিনি আসলে একজন গৃহ-শিক্ষক। আজ এই শিক্ষক দিবসে ছেলেমেয়েদের ভালোবাসার জোয়ারে ভাসতে ভাসতে তাই কখন যেন পৌঁছে গেলাম গাইঘাটার যমুনা নদীর পাড়ে, যেখানকার একটি অনামি গ্রামের মানুষ আমার জীবনে দ্বিতীয় পিতা হয়ে এসেছিলেন। তিনি এসেছিলেন বলেই আজ আমি অসংখ্য ছেলেমেয়ের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছি। কী নাম তাঁর? নিশ্চয় অনুমান করছেন রহিম, করিম, বা এই রকম কেউ হবেন তিনি? ভুল বুঝেছেন। এমন হলে এলেখার সূচনা অন্য রকম হত। কে সেই মানুষ, যাকে আমি দ্বিতীয় পিতার আসনে বসিয়েছি? যদি জানতে চান তবে একটু কষ্ট করে, একটু ধৈর্য ধরে সময় নিয়ে যেতে হবে আমারই লেখা একটি গল্পের আঙিনায়। সেখানেই তিনি আছেন স্বমহিমায়। যাবেন নাকি? আসুন, যারা যেতে চান। ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে।
আর আমি এই ফাঁকে সেরে নি তাঁর প্রতি আমার অকৃত্রিম শ্রদ্ধার্পন। 'দাদা, তুমি না থাকেলে সারাদিন আজ আমার হত না।' ভালো থেকো, সুস্থ থেকো, আর তোমার মত মানুষ যেন আমি হতে পারি সেই সাহস দিও ওই মজে যাওয়া যমুনার পাড়ে বসেই।
প্রথম পোস্ট টি দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন