বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী মুসলমান এবং কিছু প্রশ্ন : Goutam Ray যে কেবল মানুষ হয়েই বাঁচতে চায়, তাঁর কাছে হিন্দু, মুসলমান, ভারতীয়, পাকিস্তানি, বাংলাদেশী, ইউরোপীয়ান, আমেরিকান —এসব কথা খুব একটা গুরুত্ব পায় না। এ পৃথিবীটা এক সময় শুধু মানুষের ছিল। সঙ্গে অন্যান্য প্রাণী ও উদ্ভিদ থাকতো পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে। স্বাধীনভাবেই। তারা এখনও অনেকটাই স্বাধীনভাবে বাঁচে। যদিও আমরা তাদের অসভ্য বলি। আর আমরা সভ্য হয়ে একদল মানুষ, অন্য দলকে পরাধীন করে রেখেছি, নানা অজুহাতে শোষণ করে চলেছি। দলে দলে শাসক নামক দস্যু সেজে সমগ্র পৃথিবীটা দখল করে ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছি। আর সাধারণ মানুষের পায়ে শিকল পরিয়ে দিয়েছি। এই যখন অবস্থা, তখন একজন সাধারন মানুষ হিসাবে—কে কোথায় গেল, কে কী খেলো— এসব ভেবে আদেও কি কোন লাভ আছে? এসব কন্ট্রোল করার মতো ক্ষমতাও কি আমার আপনার মত সাধারণ মানুষের আছে? আমার মতে নেই। এসব ভাবনা দেশের শাসকের। তারাই যখন ভাবেনা, তখন আমরা চুনোপুটিরা এসব কঠিন কঠিন কথা ভেবে কী করব? তবুও, আপনার কথা মতো যদি আমি ভাবতে যাই, এমন এমন সব প্রশ্ন মাথায় আসে, যার কারণে সবকিছু ঘেঁটে ‘ঘ’ হয়ে যায়। প্রথম প্রশ্ন :  লক্ষ...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়   ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...