সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2023 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পুঁজির প্রকৃত মালিক কে?

পুঁজির প্রকৃত মালিক কে? পুঁজির জন্ম হয় কীভাবে এবং কোথা থেকে? পুঁজির প্রকৃত মালিক কে? — আলী হোসেন  পুঁজির জন্ম হয় শ্রম থেকে। কারণ, শ্রমিকের শ্রম যুক্ত না হলে প্রকৃতির কোন সম্পদই প্রকৃত অর্থে সম্পদ হয়ে ওঠে না। প্রকৃতির সেই সব বিষয় বা বস্তু সম্পদ বলে বিবেচিত হয়, মানুষের কাছে যার ব্যবহারিক মূল্য আছে। প্রকৃতির যে সমস্ত বিষয় বা বস্তু মানব সভ্যতার উন্নয়নে কোনদিন, কোনভাবে, কোন কাজেই লাগে না, তাকে কেউ সম্পদ বলে বিবেচনা করে না। বন বা জঙ্গলের আগাছাগুলো একারণেই কোনদিন সম্পদ হয়ে ওঠেনি। আর এই বিষয় বা বস্তুকে সম্পদে পরিণত করার একমাত্র হাতিয়ার হল শ্রমজীবী মানুষের কায়িক শ্রম ও তাদের বুদ্ধিমত্তা। অর্থাৎ প্রকৃতির নানান উপাদান যখন শ্রমজীবী মানুষের কায়িক শ্রম ও বুদ্ধিমত্তা সহযোগে মানুষের ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠে, তখনই জন্ম হয় সম্পদের। আর যুগ যুগ ধরে এই সম্পদই পুঁজির প্রধান উৎস। এদিক থেকে বিচার করলে শ্রমজীবী মানুষই হচ্ছে একমাত্র সম্পদ, যাকে বাদ দিয়ে কোন সম্পদ নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে পারে না। আর এ কারণেই মানুষকে সব সম্পদের সেরা সম্পদ বলা হয়। প্রাচীন যুগে এ কারণেই শ্রমজীবী মানুষকে সম্পদ হিস

নামতার নামাবলী

নামতার নামাবলী নামতা। পড়িনি এমন মানুষ আছেন? বোধ হয় নেই। নামটা বললেই এক এ চন্দ্র, দুই এ পক্ষ... ইত্যাদি দিয়ে শুরু করি। এবং শেষ করি ‘দশ এ দিক’ দিয়ে। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই নামতার প্রকৃত অর্থ আমরা কি জানি? এই কথার উত্তরও অতি সোজা। না, সবাই জানি না। অর্থাৎ এমন মানুষ অসংখ্য আছেন, যারা নামতার অন্তর্নিহিত অর্থ জানেন না। আসুন জেনে নেয়া যাক নামতায় পাওয়া চরিত্রগুলো আসলে কী বা কারা! ১) এক এ চন্দ্র। অর্থাৎ একটি চাঁদ। কোনো শিশুকে রাতের আকাশের চাঁদকে দেখিয়ে সহজেই ‘এক এ চন্দ্র’ বুঝিয়ে ফেলা সম্ভব । কিন্তু দুইয়ে পক্ষ? একটু কঠিন কাজ। ২) দুই এ পক্ষ। অর্থাৎ দুটি পক্ষ । এই দুটি পক্ষ হলো শুক্লপক্ষ এবং কৃষ্ণপক্ষ । অমাবশ্যার পরদিন থেকে চাঁদের আকার ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং অবশেষে পৌঁছায় পূর্ণিমাতে, আই অমাবশ্যার পরদিন থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত সময়কালকে বলা হয় শুক্লপক্ষ। হিন্দু ধর্ম মতে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আরাধনা হয়ে থাকে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে। আবার পূর্ণিমার পরদিন থেকে চাঁদের আকার ক্রমাগত হ্রাস পেতে থাকে এবং অবশেষে পৌঁছায় অমাবস্যায়, এই পূর্ণিমার পরদিন থেকে অমাবস্যা পর্যন্ত সময়কালক

প্রাচীন ভারতের ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক

 প্রাচীন ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিষ্ঠা, পৃষ্ঠপোষকতা ও ধ্বংস করেন কারা? Who established, sponsored and destroyed the universities of ancient India? Kapil Mandal প্রাচীনতম নয়, প্রাচীনতমদের মধ্যে অন্যতম। প্রাচীনতা ও উন্নতির দিক থেকে দেখলে গ্রীস প্রথম। তারপর চীন এবং ভারতের স্থান। ১১ শ সালের পর নয়, ঋক বৈদিক পরবর্তী সময় থেকেই ভারতে জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা পিছুতে থাকে। ১১০০ সালের পর যারা শাসক ছিল, তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুবাদ গ্রন্থ হিসেবে প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার সংস্কৃতি নতুন করে জেগে ওঠে এবং আরব ভূমিতে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে ইউরোপে। মৌর্যদের আমলে পুনরায় ভারতীয় সভ্যতা সংস্কৃতির ব্যাপক উন্নতি হয়। গুপ্ত আমলের প্রথম দিক পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে গুপ্ত শাসকদের ব্রাহ্মণ্যবাদী মতবাদের প্রভাবে তা আবার নষ্ট হতে শুরু করে। এ সময় বহু বিশ্ববিদ্যালয় এবং লাইব্রেরী এরা নষ্ট করে ফেলে। বৌদ্ধ পন্ডিত সহ অসংখ্য শিক্ষাবিদ ভারত ছেড়ে পূর্ব এশিয়ায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। আর তার ফলে বৌদ্ধধর্ম কেন্দ্রিক ভারতীয় উন্নত সংস্কৃতি পূর্ব এশিয়ার ছড়িয়ে পড়ে। ভারত  বৌদ্ধ সংস্কৃতির প্রায় বধ

দূর আরবের স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশের কুটির হতে

দূর আরবের স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশের কুটির হতে। -- কাজী নজরুল ইসলাম। কোন আক্কেলে নজরুল এই কথা লিখেছিলেন? প্রশ্ন তুলেছেন ইভেন্ট হরাইজন সম্মানীয় সাথি, যে ‘আক্কেল’ প্রাপ্তির কারণে কাজী নজরুল ইসলাম এই কথা বলেছিলেন, ওই ধরনের ‘আক্কেল’ প্রাপ্তি আপনার জীবনে যতদিন না ঘটবে, ততদিন আপনি বুঝবেন না যে, তিনি কেন এই কথা লিখেছিলেন। আর ওই ‘আক্কেল’ প্রাপ্তির অন্যতম কিছু প্রধান শর্ত হল : ১) কোনো লেখকের লেখার বক্তব্য বুঝতে গেলে, আপনাকে লেখকের ওই লেখার সময়কালে পিছিয়ে যেতে হবে। তবেই তা বোঝা যাবে। ২) সময়কে সম্পূর্ন অতিক্রম করা যায় না। পৃথিবীতে কেউ তা পারেননি। (আপনিও পারবেন না।) আর পারেন না বলে, তাঁর ভাবনার কোন গুরুত্ব নেই, এই ধরনের ভাবনা থেকে সরে আসতে হবে। ৩) লেখার প্রেক্ষাপট জানতে হবে। কারণ, প্রেক্ষাপট পাল্টে গেলে লেখার অর্থ পাল্টে যায়। কখনও কখনও তা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায়। ৪) ‘আরব’ মানেই শুধু একটি বিশেষ ‘প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম’ (যা প্রশংসার সাথে সাথে, নানাভাবে সমালোচিত হয়ে আসছে) — এই সরল ভাবনা আমার আপনার চেতনায় পূর্ব থেকে গেঁথে থাকলে, তাকে সরাতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম ছাড়াও আরবীয় সভ্যতা পৃথিবীকে অনেক কিছু

হিন্দু মুসলমান কখনও বন্ধু হতে পারে?

হিন্দু মুসলমান কখনও বন্ধু হতে পারে? Can Hindus and Muslims ever be friends? বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য। ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি এবং স্কুল কলেজে পড়েও এসেছি এই কথাগুলো। ফলে ভারতের সর্বত্র ছেলে মেয়েদের মধ্যে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এক ধরনের ঐক্যবোধ পরস্পরের প্রতি আত্মীয়তাবোধ হয়ে উপস্থিত হতো। স্কুল কলেজে জাতীয় সংহতির কথা বোঝানো হতো। কেন সেই সংহতি প্রয়োজন, এই সংহতির অভাব হলে ভারতের প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে কীভাবে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সেটা জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষের উপরেই তার পড়বে, তারই পাঠ চলত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি রাজনৈতিক সভা সমিতি ও সামাজিক অনুষ্ঠান — সর্বক্ষেত্রেই। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবন্ধ রচনার ক্ষেত্রে এটা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ফলে হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান ইত্যাদি শব্দগুলো কখনোই কোনো বৈরিতার অর্থ বয়ে আমাদের সামনে আসেনি। কিন্তু আজ সোস্যাল মিডিয়া ও কিছু টেলি মিডিয়া জুড়ে বিদ্বেষ আর বিচ্ছিন্নতার বীজ ঘুরে বেড়াচ্ছে লাগামহীন প্রশ্রয়ে। পরিবারের মধ্যে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠছে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান ধর্মের মানুষরা পরস্পরের কতটা শত্রু এবং ক

ধর্মীয় হিংসার মূল কারণ কী?

ধর্মীয় হিংসার মূল কারণ কী? সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মূল কারণ কী? What is the root cause of religious violence? What-is-the-root-cause-of-religious-violence মানুষ যদি ধর্মগুরু ও রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে ধর্ম বিষয়ক পরামর্শ না নিয়ে মূল ধর্মগ্রন্থগুলো মাতৃভাষায় পড়ে ধর্ম পালন করত, তবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাসহ ধর্মীয় বিদ্বেষজনিত একটা মৃত্যুও হতো না পৃথিবীতে। অথচ পৃথিবীর অধিকাংশ হিংসাজনিত অস্বাভাবিক মৃত্যু এভাবেই হয়। বড়ই বেদনার বিষয়, মানুষের মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও বিদ্বেষ বন্ধ করার জন্যই জন্ম হয়েছিল ধর্মের। অথচ সেই ধর্মই হয়ে উঠেছে সবচেয়ে বড় ঘাতক। শুধুমাত্র ধর্ম ব্যবসয়ীদের ও রাজনীতির কারবারীদের জন্য প্ররোচনায়।

বিদ্যাসাগরের ইসলামোফোবিয়া বিষয়ে Krishanu Naskar ও আলী হোসেন

বিদ্যাসাগরের ইসলামোফোবিয়া বিষয়ে Krishanu Naskar ও আলী হোসেন Ali Hossain সারিব হোসেন যিনি আমিনুল ইসলামের লেখা share করেছেন তিনি মোটেও বিদ‍্যাসাগরকে কলঙ্কমুক্ত করার চেষ্টা করেননি। তিনি চরম বিদ‍্যাসাগর বিদ্বেষী। তাঁর ঐ পোস্টে সায়ন ভট্টাচার্যের মন্তব্য ও তার উত্তরে সারিব হোসেনের মন্তব্য দেখলেই বুঝবেন।  আর আমিনুল ইসলামও সত‍্যানুসন্ধানের পরিবর্তে কাদা ছুঁড়তেই বেশি আগ্রহী ছিলেন তা ওঁর লেখার ধরন দেখলেই বোঝা যায়। বিদ‍্যাসাগরকে কলঙ্কমুক্ত করতে চাইলে ওঁরা সত‍্য সন্ধান করতেন। অন্নদাশঙ্করের reference বিহীন উদ্ধৃতি তুলে এনে তার ভিত্তিতে বিদ‍্যাসাগরকে malign করার চেষ্টা করতেন না। Krishanu Naskar দাদাভাই, আগে প্রশ্নটা ভালো করে বুঝতে হবে। তারপর তার উত্তর দিতে হবে। নাহলে আলোচনাটা অর্থহীন হয়ে যায়। আপনি যখন কোন বিষয়ের ওপর সমালোচনা করবেন তখন সেই বিষয়টা যিনি আলোচনায় এনেছেন, তাঁর নাম উল্লেখ করেই করতে হয়। এটাই আধুনিক ইতিহাস চর্চার রীতি। শিবাশীষ বাবু সেটা না করে একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের সবাইকে টেনে এনেছেন। এবং মুসলিম সমাজের পিছিয়ে পড়ার জন্য এই সম্প্রদায়ের সবাই বিদ্যাসাগরকে দায়ী করেছেন —এমন মন্তব্য

বিদ্যাসাগরের ইসলামোফোবিয়া বিষয়ে শীবাশীষ বসু ও আলী হোসেন

বিদ্যাসাগরের ইসলামোফোবিয়া বিষয়ে শীবাশীষ বসু ও আলী হোসেন  Shibashish Basu and Ali Hossain on Islamophobia in Vidyasagar শিবাশীষ বসু বিদ্যাসাগরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ কোন্ মুসলিম ঐতিহাসিক বা বুদ্ধিজীবী তুলেছেন, সেটা জানা গেল না। যে কারণে পরামর্শ দিলেন এবং প্রশ্ন তুললেন, “ নিজেদের পূ্বপুরুষদের আয়নার সামনে না দাঁড় করিয়ে সব দোষ বিদ্যাসাগরের ঘাড়ে চাপিয়ে দিলে হবে ?” সেটাও পরিষ্কার হল না। কারণ, আমার জানা মতে, প্রত্যেক শিক্ষিত মুসলিম জানে যে, এর দায়, তাদের পূর্বপুরুষদের, যাঁরা আধুনিক শিক্ষাকে গ্রহণ করতে পারেননি। যদিও তার একটি সুনির্দিষ্ট মনস্তাত্বিক সমস্যা ছিল, যেটা তারা অতিক্রম করতে পারেননি। এটা তাদের সমস্যা, বিদ্যাসাগরের নয়। বিস্তারিত মতামত এখানে । পড়ার পর আপনার সুচিন্তিত মতামত জানালে বাধিত হবো। ----------xx---------- Ali Hossain বাবু, অধমের লেখাকে এতোটা গুরুত্ব দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এবার আপনার প্রবন্ধের বিষয়ে আসা যাক। প্রথমত, অন্নদাশঙ্কর রায় ছাড়াও বাংলাদেশের প্রখ্যাত লেখক আহমদ শরীফও বিদ্যাসাগরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন যে, "তাঁর মেট্রোপলিটান স্কুলেও সম্ভবত একই আশঙ্কায় মুসল

বিদ্যাসাগর ইসলামোফোবিক ছিলেন — এ অভিযোগ কার?

নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুসলমানদের প্রবেশাধিকার দেননি বিদ্যাসাগর - এ অভিযোগ কার? সঠিক ও জরুরি মূল্যায়ন। ইতিহাস খুঁড়ে এভাবেই সত্য বেরিয়ে আসুক, মিথের অবসান ঘটুক।   —  Anirban Choudhury Anirban Choudhury এখানে কোন্ সত্য বের হলো, যা মাটিতে চাপা পড়ে ছিল? এতো প্রকাশ্য সত্য। এ ব্যাপারে কোনও মিথ নেই। কোনও মুসলিম, যারা দাবি করে আমরা পিছিয়ে পড়েছি, পাশ্চাত্য জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চার সুযোগ না পাওয়ায়, তারা বিদ্যাসগরকে দোষ দিতে যান না। যাবেনই বা কেন? কারণ, বিদ্যাসাগর তো দাবি করেননি যে, তিনি মুসলিম সমাজের সংস্কার ও সেখানে নবজাগরণ ঘটানোর উদ্দেশ্যে তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। যাঁরা বিদ্যাসাগরকে সমালোচনা করেন সেটার একটা নির্দিষ্ট দিক আছে। এই বিষয়টার জন্ম দিয়েছেন তারা, যারা বিদ্যাসাগরের প্রশংসা করতে গিয়ে তাঁকে মানব থেকে মহামানব এবং সেখান থেকে অতিমানবীয় চেহারায় তুলে ধরতে গিয়েছেন। প্রত্যেক মানুষের মধ্যে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। যুগকে একশ শতাংশ অতিক্রম করা কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। বিদ্যাসাগরও পারেননি। একথা, এই অতিভক্তরা মনে রাখেনি। তাই তাঁর মূল্যায়ন করতে গিয়ে নির্দ্বিধায় বলে দেওয়া হল বাংলার

হামাস কী সন্ত্রাসবাদী?

হামাস কী সন্ত্রাসবাদী? ১৯৪৭ সালের আগের ভারতবর্ষের কথা ভাবুন। সে সময়, ইংরেজ সরকার ছিল ভারতের ওপর দখলদার শক্তি। গান্ধীবাদী কংগ্রেস ছিল গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে স্বাধীনতা সংগ্রামী। সুভাষ বসু, সূর্যসেনরা ছিলেন সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামী। একই রকমভাবে আজকের ইজরায়েল হচ্ছে প্যালেস্টাইনের দখলদার। পি এল ও-র মাহমুদ আব্বাসরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে স্বাধীনতা সংগ্রামকারী। আর হামাস, সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভের চেষ্টা করছে। যদি সুভাষচন্দ্র বসু ও সূর্য সেনরা বিপ্লবী ও স্বাধীনতা সংগ্রামী হন, তাহলে হামাস্ কীভাবে সন্ত্রাসবাদী হয়? আমার মোটা মাথায় ঢুকছে না। ভারতীয় মিডিয়ার পরিচালক, প্রশাসক ও অ্যাংকর — এরা, পৃথিবীর ইতিহাস বাদ দিলাম, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসও কী পড়েনি? হয়তো কেউ কেউ বলবেন, ভারতীয় বিপ্লবীরা সাধারণ জনগণকে তো মারতেন না। কিন্তু হামাস মারছে। তাদের পণবন্দী করছে। কথাটা সত্যি। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও সত্যি যে, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামও বর্তমান প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপট এক নয়। এবং ইসরাইল নানা অজুহাতে ফিলিস্তিনদের বিনা বিচারে বছরের পর বছর বন্দী করে রেখেছে। ইসর

মানুষের চেয়ে ধর্ম কীভাবে বড় হয়?

মানুষের চেয়ে কী ধর্ম বড়? মানুষের চেয়ে ধর্ম কীভাবে বড় হয়? What-religion-is-higher-than-people মানুষের চেয়ে ধর্ম কীভাবে বড় হয়? ইতিহাস অনার্স পড়তে পড়তে সেই যে বিষয়টা মাথায় ঢুকলো, এখনও একটা যুক্তিপূর্ন উত্তর খুঁজে পেলাম না। কেউ সাহায্য করতে পারেন?

মানুষের প্রধান এবং প্রকৃত পরিচয় কি তার ধর্ম?

মানুষের প্রধান এবং প্রকৃত পরিচয় কি তার ধর্ম? হিন্দু হন বা মুসলিম, আদতে আপনি একজন মানুষ। যারা ভুলিয়ে দিতে চায়, তারা ভন্ড ও ধান্দাবাজ। ভুলেছেন কী মরেছেন। ধর্মকে বাদ রেখে সাম্রাজ্যবাদকে হারানোর স্বপ্ন খালি বড়শি ফেলে মাছ ধরার বাসনা মাত্র। মানুষের মধ্যে ধর্মের প্রভাব, অভাবের চেয়েও বেশি। এমন অসংখ্য মানুষ আছেন, যারা না খেয়ে থাকা তো সামান্য বিষয়, জীবন পর্যন্ত বাজি রাখতে পারেন। এটাকে হাতিয়ার করেই প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের প্রধানরা রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেন। এবং সমাজে ধনবৈষম্যকে প্রাতিষ্ঠানিক চেহারা দিয়েছেন এবং তার বৈধতা নিশ্চিত করেছেন। মনে রাখা দরকার, ধর্মে ধন বৈষম্যের স্বীকৃতি, মানুষকে সাম্রাজ্যবাদী শাসন কায়েমকে উৎসাহিত করেছে।

স্রষ্টাকে পাওয়ার উপায় কী?

স্রষ্টাকে (আল্লাহ, ভগবান,...) পাওয়ার উপায় কী? What is the way to get the Lord? স্রষ্টার সৃষ্টি যদি যুক্তির দ্বারা পরিচালিত হয় এবং নিয়ন্ত্রিত হয় তবে স্রষ্টা সম্পর্কিত আলোচনা বা তাকে উপলব্ধি করার প্রক্রিয়াটা শুধুমাত্র বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে থাকে কী করে? সেখানেও তো যুক্তি প্রধান হাতিয়ার হওয়া উচিত।

দেশ বড়, না রাজনৈতিক দল বড়?

দেশের স্বার্থ বড়, না দলের স্বার্থ বড়? Is the interest of the country greater than the interest of the party? ভারতীয় রাজনীতিকদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তারা দেশ ও দেশের মানুষের চেয়ে দলের স্বার্থকে বড় করে দেখে। তারা মনেই রাখে না, দেশের জন্য দল, দলের জন্য দেশ নয়। The biggest weakness of Indian politicians is that they see the interests of the party more than the country and the people of the country. They do not remember, the party for the country, not the country for the party.

ধর্ম বিষয়ে সাধারণ মানুষের ভাবনা ও তার দুর্বলতা

ধর্ম বিষয়ে সাধারণ মানুষের ভাবনা কেমন? Common people's ideas about religion? ধর্ম হলো একটা বিশাল বড় পুকুরের মতো। সেখানে সুস্বাদু মাছ যেমন আছে, তেমনই বিষাক্ত কীটপতঙ্গও আছে। আমরা যারা মানুষ, তারা কেউ জলে নেমে দেখিনা, সত্যিকারে সেখানে কী কতটা আছে। আমরা (ধর্ম নামক) পুকুরকে দেখলে বা নাম শুনলেই দু’ভাগে ভাগ হয়ে যাই। দাঁড়িয়ে যাই বিপরীত দুই পাড়ে। একপক্ষ সাপকে দেখেই সিদ্ধান্ত করে ফেলি, পুকুর মানেই সাপে ভরা একটা ভয়ংকর জলাভূমি। অন্য পক্ষ সুস্বাদু মাছ দেখে সিদ্ধান্ত করে ফেলে ওটা একটা স্বচ্ছ ও নিরাপদ জলাশয়, যেখানে শুধু সুস্বাদু মাছই থাকে। সুতরাং নিশ্চিতে, চোখ বুঁজে তাতে নামা যায়, যেমন খুশি সাঁতার কাটা যায় এবং ইহলৌকিক ও পারলৌকিক জীবনের সব কিছুরই প্রাপ্তি ঘটে। মূলত, এই ভাবনা থেকেই আমরা পড়ে যাই অন্ধবিশ্বাস নামক এক ভয়ংকর রোগের কবলে।  আমরা, একপক্ষ তখন ভুলে যাই, ধর্ম জগৎ ও জীবন বিষয়ক একটা দর্শন। তাই তাকে বুঝতে গেলে নৈর্বক্তিক দর্শন চিন্তার অধিকারী হতে হয় এবং অন্য পক্ষ ভুলে যায়, এই ধরনের দর্শন চিন্তার অধিকারী হতে হলে তাকে একটি যুক্তিবাদী চিন্তাধারার সাহায্য নিতে হয় এবং তার অধিকারীও হতে হ

তথ্য ও সত্যের পার্থক্য

তথ্য ও সত্যের পার্থক্য কী? What is the difference between information and truth? জানলে পাওয়া যায় তথ্য, আর বুঝলে পাওয়া যায় সত্য। আমরা যারা সাধারণ মানুষ, তারা একটা বিষয়ে অধিকাংশ সময় ভুল করে থাকি। ভুলটা সাধারণ চোখে ধরা পড়ে না। ফলে যা জানলাম, সেটাকেই সত্য বলে মেনে নেই। এটা এক ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত। জানা বিষয়কে যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্যের ভিত্তিতে বিচার বিশ্লেষণ করলে তবেই সত্যে পৌঁছানো সম্ভব। সত্যে পৌঁছানোর এই প্রক্রিয়া অধিকাংশ সময় আমরা অনুসরণ করি না। ফলে, যেটা সত্য বলে ভাবি, তা অধিকাংশ সময়, হয় মিথ্যা হয়ে যায়, নতুবা আপাত সত্য বলে চিহ্নিত হয়ে যায়। কখনও কখনও বিষয়টি সত্য বলেও চিহ্নিত হয়ে যায় বটে, তবে সেটা খানিকটা আন্দাজে ঢিল মেরে আম পারতে সফল হওয়ার মত। এখন প্রশ্ন হল, আমরা বুঝবো কীভাবে কোনটা তথ্য আর কোনটা সত্য। এটা বুঝতে গেলে আগে যুক্তি, বুদ্ধি, তথ্য এবং বিচার বিশ্লেষণ শব্দগুলোর অর্থ জানা ও বোঝা দরকার। যুক্তি হল এমন এক ধরনের চিন্তন প্রক্রিয়া যা কার্যকারণ সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে তথ্যের সঙ্গে মিশে আসা অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো খুঁজে বের করা যায় এবং

আপনি কি আল্লাহকে সত্যিই ভালোবসেন?

আপনি কি আল্লাহকে সত্যিই ভালোবসেন? আপনি বলছেন, ধর্মের জন্য হাসতে হাসতে প্রাণ দিতে পারি। প্রশ্ন হল, আপনি প্রাণ দিয়ে দিলে ধর্মটা পালন করবে কে? এভাবে সব মুসলমান যদি সত্যিকারের আল্লাহ প্রেমিক হয়ে যান, তবে আল্লাহই তো তাঁর তৈরি পৃথিবীতে অস্তিত্বের সংকটে পড়ে যাবেন। আপনি বলছেন আল্লাহর সেবায়, প্রাণ দিতে পারি। বেশ। প্রশ্ন হল, আপনি যদি প্রাণ দিয়ে দেন, তবে তার খেদমত করবে কে? তাছাড়া, আল্লাহর যদি আপনার সেবার এতটাই দরকার হয় ভাবেন, তবে তিনি সর্ব শক্তিমান — এটা মানছেন কই? সর্ব শক্তিমান কখনই নিজের সেবা চান না, চাইলে তার সৃষ্টির সেবাই চাইবেন। আদৌ তার যদি তা দরকার হয়! সুতরাং অতিভক্তি ধার্মিকতা নয়, মানুষের কল্যাণ ও ভালোবাসাই আসল ধর্ম।

বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের সমস্যা সংক্রান্ত আলোচনা ও পাঠকের মতামত

বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের সমস্যা সংক্রান্ত আলোচনা ও পাঠকের মতামত  Discussions and Readers' Opinions on the Problems of the World Muslim Community পাঠকের মতামত ও তার উত্তর ১) ধর্মান্ধতা জ্ঞানবিজ্ঞানের অন্তরায়। গত ১৫০০ বছর ধরে তরবারির সাহায্যে অন্য ধর্ম ও জাতিকে নির্মমভাবে হত্যা ও ধ্বংস করে বেশিরভাগ ইসলামী রাষ্ট্রগুলো গঠিত হয়েছিল। মধ্যযুগীয় ধর্মান্ধতা জ্ঞানবিজ্ঞানের অন্তরায়। Suranjan Adhikari সাথি, আপনার প্রথম বাক্যটা যতটা আধুনিক ও যুক্তি সম্মত, দ্বিতীয়টা ততটাই অযৌক্তিক ও অনাধুনিক। কারণ, প্রাচীন আর মধ্যযুগ তরবারির যুগই ছিল। গণতান্ত্রিক নয়। ইংরেজরা (পড়ুন খ্রিস্টানরা) যখন এসেছিল এবং এই দেশ জয় করেছিল, সেটাও তরবারির জোরেই করেছিল। জনগনের ভোটে জিতে, ভালোবেসে করেনি।  আধুনিক আমেরিকা এবং তাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সূচনা হয়েছিল দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের পরে। তারা যে, আমেরিকার আদিম অধিবাসীদের সেদেশ থেকে নিশ্চয়ই করে দিয়েছিল, সেটা যুদ্ধের মাধ্যমেই করেছিল। এই পলিসি যদি মুসলিম শাসকরা নিত, তবে আফ্রিকা, এশিয়া (আমাদের দেশ সহ) ও ইউরোপের বিস্তীর্ণ এলাকায় দেশীয় জনজাতির চিহ্ন থাকত না। উত্তর ও দক্ষিণ

বিশ্ব মুসলিম সমাজের সবচেয়ে বড় সমস্যা

বিশ্ব মুসলিম সমাজের সবচেয়ে বড় সমস্যা The biggest problem of world Muslim society বিশ্বের মুসলিম সমাজ কবে বুঝবে, অস্ত্র-ভিক্ষা করে, কিনে কিম্বা নকল করে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চিৎকার করলেই বিপ্লব ঘটে যাবে না। এর জন্য দরকার আধুনিক জ্ঞান ও বিজ্ঞানের নিরন্তর গবেষণা। ইজরাইল সেটাই করে। তাই অন্যায় করেও বারবার সে জিতে যায়। When will the Muslim community of the world understand that the revolution will not take place if they shout 'Allahu Akbar' by begging, buying or copying weapons. This requires constant research of modern knowledge and science. Israel does that. So he wins again and again despite wrongdoing. -------–xx-------- 👁️‍🗨️ এ বিষয়ে পাঠকের মতামত এখানে দেখুন অথবা, 👁️‍🗨️ ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সভ্যতার আসল কারিগর ও ধ্বংসকারী কারা?

সভ্যতার আসল কারিগর ও ধ্বংসকারী কারা? Who are the real builders and destroyers of civilization? সভ্যতার যত উন্নয়ন, তা করে চলেছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। সঙ্গে থেকেছে বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানী। আর পৃথিবীজুড়ে তা ধ্বংস করে চলেছে রাষ্ট্রনেতা তথা রাজনৈতিক নেতারা, যুগ যুগ ধরে, যারা কোনদিন কোনো কায়িক পরিশ্রম করে না। কায়িক শ্রম ছাড়াই সভ্যতার এই সুফলগুলো দখল ও ভোগ করার তাগিদে তারাই বাধায় বিধ্বংসী লড়াই। মজার কথা দেখুন, এই লড়াইয়ে কিন্তু কোন রাষ্ট্রনেতা বা তার পরিবারের মানুষ মারা যায় না, মারা যায় সেই সাধারণ মানুষই, যারা এই সভ্যতাকে তিলে তিলে গতর খাঁটিয়ে গড়ে তুলেছে। কবে হবে এর পরিবর্তন! আদৌও হবে কোনদিন?

মানুষে মানুষে বিভেদের প্রকৃত কারণ

মানুষে মানুষে বিভাজনের প্রকৃত কারণ The real cause of division among people প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মকে মানা বা তাকে শ্রদ্ধা করার কোন কারণ বা যুক্তি খুঁজে পাওয়া যায় না। কারণ, এই প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মই মানুষকে বিভক্ত করে দিয়েছে বিভিন্ন সম্প্রদায়, জাতি ও বর্ণে। আর তা থেকেই শুরু হয়েছে মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব ও খুনোখুনি। যদিও ধর্মের প্রয়োজন হয়েছিল  স্বার্থের অন্যায্য বণ্টন ব্যবস্থাকে আটকাতে। আর এ থেকেই প্রমাণ হয়, এই প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের সৃষ্টিকর্তা হচ্ছে মানুষ। কারণ প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা মানুষকে এভাবে ভাগ করেনি, কারণ করতে পারেন না। সৃষ্টিকর্তার তুলনায় অতি নগন্য ও ক্ষুদ্র একটা জীব হচ্ছে মানুষ। সে যদি তার সন্তানকে আলাদা চেহারা, বর্ন আকৃতি হওয়া সত্ত্বেও কাউকে আপন পর বা কেউ সুখে থাক আর কেউ দুঃখে থাক — এভাবে ভাবতে পারে না, তবে সৃষ্টিকর্তার মত সর্বশক্তির আধার কোন মহান ও দয়ালু সত্ত্বা এতটা নির্দয় কীভাবে হয়?

ধর্ম কখন অশান্তির কারণ হয়ে উঠেছে?

অশান্তির মূল কারণ কী ধর্ম? When did religion become a cause of unrest? যার জন্ম পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য, সেই ধর্মই হয়ে উঠেছে পৃথিবী জুড়ে অশান্তির অন্যতম প্রধান কারণ। শুধু আজ নয়, যুগ যুগ ধরেই চলছে ধর্মের নামে এই হত্যাযজ্ঞ। এটাই প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, প্রত্যেকটি ধর্মের মূল উদ্দেশ্যই হলো শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।  কিন্তু শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যে ধর্মের উৎপত্তি, সেই ধর্ম যখনই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, দলে দলে মানুষ তাকে মান্যতা দিয়েছে, জায়গা করে দিয়েছে নিজ হৃদয়ের গভীরে; তখনই ধর্মকে রাজনীতিকরা কব্জা করার চেষ্টা করেছে এবং সফলও হয়েছে। আর তখন থেকেই ধর্ম অশান্তির কারণ হয়ে উঠেছে। এভাবে বৌদ্ধ ধর্ম হীনযান ও মহাযান হয়েছে, ইসলাম ধর্ম শিয়া ও সুন্নি সহ অসংখ্য মযহাব - এ বিভক্ত হয়ে গেছে, সনাতন ধর্মে এক ব্রহ্মা ৩৩ কোটি দেবতায় বিভক্ত হয়ে গেছেন। আমাদের দেশের সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হল মতুয়া ধর্ম। যে ধর্ম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ এই ধর্মমতের উদ্ভব, তারাই রাজনৈতিকভাবে তাকে ব্যবহার করা শুরু করেছেন। এবং বর্তমানে মতুয়াদের বিভিন্ন গোষ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে