প্রকৃত প্রেমিকে প্রেমিক হওয়ার ভান করতে হয় না। নীহার চক্রবর্তী, আপনার কি মনে হয়, আপনি কী, তা আমি জানি না? জানি দাদা। শিক্ষক বলে আপনার মত ভাষা ব্যবহার করিনা। কারণ, লজ্জা লাগে। প্রকৃত শিক্ষকরা এমন ভাষা ব্যবহার করতে পারেন না। এমন ভাবতেও পারেন না। তাই করি না, ভাবিও না। কথায় (যুক্তি তর্কে) পেরে না উঠলে আপনি গালাগাল দেন, অন্য প্রসঙ্গ টেনে আনেন। এটা আপনার পুরোনো রোগ। আমি এতে কিছু মনে করি না। আর ফেসবুকটা তো ভারত-প্রেম দেখানোর জায়গা না। ভারত প্রেম দেখানো জায়গা হচ্ছে, ভারতের মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়া। আমার ক্ষমতা অনুযায়ী আমি সেটা করি। ফেসবুকে যুদ্ধ করে পাকিস্তানকে হারানো যায় না। যা করলে হারানো যায়, সে যোগ্যতা আমারও নেই, আপনারও নেই। যাঁদের আছে তাঁরা করেছেন। তাঁদের সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই। আর সেই প্রণাম জানানোর জন্য লোককে জানানোর প্রয়োজন হয় না। প্রণামটা অন্তরের জিনিস। লোক দেখানো জিনিস নয়। একজন ভারতবাসী হিসেবে আমি তাঁদের সঙ্গে ছিলাম এবং আছি। আপনার মত দেশপ্রেমিক সাজার ভান করতে হয় না আমার। আচ্ছা, আপনি তো আমাকে ব্লক করে দিয়ে ছিলেন। ফিরে এলেন কবে? আপনার মতো মানুষদের জন্য ফেসবুকে আসতে অনিহা ...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...