সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2025 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

SIR কী সর্বজনীন ভোটাধিকার নিশ্চিত করবে!?

SIR কী সর্বজনীন ভোটাধিকার নিশ্চিত করবে! পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন কর্মসূচি (SIR)-২০২৬ শুরু হতে চলেছে ৪ নভেম্বর ২০২৫ থেকে।  সঙ্গে রাখবেন কোন্ নথি? সরকারি বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পরিচয়পত্র ১ জুলাই ১৯৮৭-র আগে জারি হওয়া কোনও সরকারি নথি বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া জন্ম সার্টিফিকেট পাসপোর্ট যে কোনও বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট (সাল, তারিখ উল্লেখ থাকতে হবে) স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেট (জেলাশাসক বা সমতুল কারও দেওয়া) বনপালের সার্টিফিকেট কাস্ট সার্টিফিকেট এনআরসি অন্তর্ভুক্তির প্রমাণ (যেখানে প্রযোজ্য) পারিবারিক রেজিস্টার (রাজ্য সরকার বা প্রশাসন প্রদত্ত) সরকার প্রদত্ত জমি বা বাড়ির নথি (দলিল বা পর্চা) মনে রাখতে হবে :  ২০০২ সালের জানুয়ারির ভোটার তালিকায় নাম থাকলে নথি দেখানোর প্রয়োজন নেই। এখন প্রশ্ন হল : এই ডকুমেন্টসগুলো কাদের কাছে সহজলভ্য? মুষ্টিমেয় কিছু পয়সাওয়ালা লেখাপড়া জানা মানুষের কাছে। একটু চিন্তা করে দেখুন। লেখাপড়া না জানা গরিব মানুষের কাছে কোনগুলো সহজলভ্য? ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, আধার কার্ড। অন্যগুলোর মতো এগুলোও সরকার...

বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী মুসলমান ও কিছু প্রশ্ন

বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী মুসলমান এবং কিছু প্রশ্ন : Goutam Ray যে কেবল মানুষ হয়েই বাঁচতে চায়, তাঁর কাছে হিন্দু, মুসলমান, ভারতীয়, পাকিস্তানি, বাংলাদেশী, ইউরোপীয়ান, আমেরিকান —এসব কথা খুব একটা গুরুত্ব পায় না। এ পৃথিবীটা এক সময় শুধু মানুষের ছিল। সঙ্গে অন্যান্য প্রাণী ও উদ্ভিদ থাকতো পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে। স্বাধীনভাবেই। তারা এখনও অনেকটাই স্বাধীনভাবে বাঁচে। যদিও আমরা তাদের অসভ্য বলি। আর আমরা সভ্য হয়ে একদল মানুষ, অন্য দলকে পরাধীন করে রেখেছি, নানা অজুহাতে শোষণ করে চলেছি। দলে দলে শাসক নামক দস্যু সেজে সমগ্র পৃথিবীটা দখল করে ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছি। আর সাধারণ মানুষের পায়ে শিকল পরিয়ে দিয়েছি। এই যখন অবস্থা, তখন একজন সাধারন মানুষ হিসাবে—কে কোথায় গেল, কে কী খেলো— এসব ভেবে আদেও কি কোন লাভ আছে? এসব কন্ট্রোল করার মতো ক্ষমতাও কি আমার আপনার মত সাধারণ মানুষের আছে? আমার মতে নেই। এসব ভাবনা দেশের শাসকের। তারাই যখন ভাবেনা, তখন আমরা চুনোপুটিরা এসব কঠিন কঠিন কথা ভেবে কী করব? তবুও, আপনার কথা মতো যদি আমি ভাবতে যাই, এমন এমন সব প্রশ্ন মাথায় আসে, যার কারণে সবকিছু ঘেঁটে ‘ঘ’ হয়ে যায়। প্রথম প্রশ্ন : লক্ষ...

তিলোত্তমা মজুমদার কি একজন বুদ্ধিজীবী

তিলোত্তমা মজুমদার কি একজন বুদ্ধিজীবী? ভালো গল্প লিখতে পারাটা পূর্ণাঙ্গ মানুষ হয়ে উঠতে পারার কোন আবশ্যকীয় পূর্বশর্ত নয়। সুতরাং অবাক হবার কিছু নেই। তিলোত্তমা মজুমদার যা বলেছেন, অনেক সাধারণ মানুষ অহরহ একথা বলে থাকেন। এবং মনে রাখতে হবে, এভাবে  যারা বলেন, তারা সবাই শিক্ষিত মানুষ। আমি যদিও তাদের ‘ তথাকথিত শিক্ষিত ’ বলি। এ ধরনের মানুষরা, হিন্দু হলে মুসলমানের বিরুদ্ধে বলেন, মুসলমান হলে হিন্দুর বিরুদ্ধে বলেন। উপমহাদেশ জুড়েই এরা এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। উপমহাদেশ ছড়ালেই শুধুমাত্র সম্প্রদায়টা পাল্টে যায়। কিন্তু তারাও বলে। সুবিধাবাদী রাজনীতির এটা একটা শক্তিশালী অস্ত্র। তাই এটা বন্ধ করা কঠিন। সুতরাং তিলোত্তমা মজুমদার এমন আহামরি কিছু বলেননি। অনেকেই ভাবছেন, তিলোত্তমা মজুমদার তো সাধারণ মানুষ নন। তাঁর কথা উপেক্ষা করি কী করে?  তাহলে আপনি কি করবেন? রেগে যাবেন! গালাগালি করবেন? হুমকি দেবেন! দুশ্চিন্তায় পড়বেন! আমার কেমন জানি মনে হচ্ছে, এগুলোর কোনটারই প্রয়োজন নেই। এদেরকে উপেক্ষা করুন। এবং যে উপেক্ষা করছেন, সেটা নির্দ্বিধায় এবং জোর গলায় বলুন এবং মানবিক ভাষায় বলুন। না হলে আপনার কথা গুরুত্ব ...

নীতিহীন রাজনীতি ও নীতি রাজনীতি

 নীতিহীন রাজনীতি ও নীতি রাজনীতি : Unprincipled politics and ethical politics বর্তমান ভারতের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল নীতিহীন রাজনীতির বাড়ন্ত। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ভারতীয় রাজনৈতিক দের মধ্যে কিছুটা হলেও নীতি রাজনীতির চর্চা ছিল। কিন্তু ৯০ এর দশকের পর, এর চূড়ান্ত অবনমন শুরু হয়। আজ তা এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে, বিশ্বের কাছে সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে যে গর্ববোধ আমাদের উষ্ণতা প্রদান করত তা শেষের মুখে।  এই অবনবনের অন্যতম প্রধান কারণ হলো ভারতীয় জনগণের মধ্যে আধুনিক রাজনীতি সম্পর্কে অপ্রতুল উপলব্ধি। তারা বুঝতেই পারেন না, নীতিহীন রাজনীতি শুধুমাত্র কিছু ক্ষুদ্র স্বার্থ গোষ্ঠীর মঙ্গল সাধন করে। কিন্তু মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন নীতি ও আদর্শ যুক্ত নীতি রাজনীতি আপামর জনসাধারণের মঙ্গল বয়ে আনতে পারে। এই অজ্ঞানতার সুযোগ নিয়ে চলেছে আমাদের দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলগুলো। ‘নীতিহীন রাজনীতি’ শুধুমাত্র কিছু ক্ষুদ্র স্বার্থ-গোষ্ঠীর মঙ্গল করে। কিন্তু মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন ও নীতি আদর্শ যুক্ত ‘নীতি রাজনীতি’ আপামর জনসাধারণের মঙ্গল বয়ে আনতে পারে। আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমাদের দেশের অধিকাংশ অধিকাংশ জ...

মৌলবাদের সমর্থকদের উভয় সংকট

মৌলবাদের সমর্থকদের উভয় সংকট : Dual crisis of fundamentalist supporters সময় বড়ই নির্মম ও নির্মোহ। আফগানিস্তানের তালিবান আর ভারতের বিজেপি যে এক সারিতে অবস্থান করে তা সময়ই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। আধুনিক শিক্ষা, রাজনীতি ও চিন্তা চেতনার সঙ্গে তুলনা করলে তারা যে এখনও প্রাচীন যুগের ধ্যান-ধারণাকে বহন করেন, তা জলের মতো স্পষ্ট হয়ে ওঠে।  ভারতীয় তথাকথিত ধার্মিক মুসলমান ও তথাকথিত ধার্মিক হিন্দু সম্প্রদায় এই মুহূর্তে এক গভীর সংকটে পড়েছেন। কারণ— ১) কিছু মুসলিম আছেন, যারা প্রকাশ্যে সমর্থন না করলেও আফগান সরকারের নীতিকে প্রকাশ্যে সমালোচনা করতেন না। এবং সেটা করতেন না এই ভেবে যে তারা ইসলাম ধর্মের সমার্থক ও রক্ষক। এই সমস্ত মুসলিম নিজের ধর্মকে প্রিয় ও পবিত্র ইসলাম মনে করেন। ইসলামের কিছু নীতি আদর্শ তাদের কাছে ইতিবাচক মানবিক হিসাবে বিবেচিত হয়। দিকে সামনে রেখে। ২) অন্যদিকে হিন্দুত্ববাদীরা প্রকাশ্যে এবং জোরেশোরে তালিবানদের বিরুদ্ধে গলা ফাটাতেন। এমন করতেন, যেন ভারতের সমস্ত মুসলমান তালেবান নীতিকে সমর্থন করে এবং এখানে তালিবানীর শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। স্বয়ং আমাদের প্রধানমন্ত্রী এক সময় বল...

রাগ ও তার প্রভাব

রাগ ও তার প্রভাব : Anger and its effects রাগ এমন এক আবেগ, যা ক্ষতি ছাড়া অন্য কোন কাজে লাগে না। —আলী হোসেন

পিতা-মাতা সম্পর্কে সন্তানের ধারণা

পিতা-মাতা সম্পর্কে সন্তানের (সাধারণ) ধারণা : Child's perception of parents পিতা-মাতা সম্পর্কে সন্তানের ধারণার তিনটি স্তর লক্ষ্য করা যায়। শৈশবে সে বাবা-মাকে অনুসরণীয় এবং সর্বজ্ঞ ব্যক্তি হিসাবে ভালোবাসে ও শ্রদ্ধা করে। কৈশোর ও যৌবনে সে বিদ্রোহ করে ও বিচার করে। প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছে মূল্যায়ন করে। খানিকটা শৈশবের ধারণায় ফিরে যায়। এককথায় — একজন মানুষ তার পিতা-মাতাকে শৈশবে শ্রদ্ধা, কৈশোর ও যৌবনে বিদ্রোহ ও বিচার এবং প্রৌঢ়ত্বে গিয়ে মূল্যায়ন করে।  কেন এমন হয়?

পুঁজিবাদের প্রধান শত্রু

পুঁজিবাদের প্রধান শত্রু : পৃথিবীজুড়ে পুঁজিবাদীদের প্রধান শত্রু হলো সাম্যবাদ। তাই পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলোর প্রধান শত্রু হলো সাম্যবাদী রাষ্ট্রগুলো। পৃথিবীতে সাম্যবাদী রাষ্ট্রগুলিকে মোটা দাগে দুই চেহারায় দেখা যায়। একটি বামপন্থী রাজনৈতিক শক্তি রূপে, অন্যটি ইসলামের সাম্যবাদী দর্শনে বিশ্বাসী রাজনৈতিক শক্তি রূপে। এই দুটো শক্তিই কম বেশি সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সমার্থক ও পৃষ্ঠপোষক। এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় অপেক্ষাকৃত অধিক পরিমাণে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সমানাধিকারের কথা বলে। যেকোনো ধরনের বিভাজন ও শোষনের এরা বিরোধীতা করে। পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকটি দেশে আমরা বামপন্থী রাজনৈতিক দল দেখতে পাই। কমিউনিস্ট, সোসালিষ্ট ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে তৈরি ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া, আফ্রিকা সহ পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশে আমরা এই বামপন্থী দলগুলোকে দেখতে পাই। আমাদের দেশে এরাই সিপিআই, সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপি ইত্যাদি নামে পরিচিত। কিন্তু উদারপন্থী এবং সাম্যবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী ইসলামিক শক্তিগুলোকে আমরা সেভাবে দেখতে পাই না। কারণ, এগুলোর কথা আমেরিকান লবি দ্বারা সমর্থিত, পরিচাল...

পুঁজিবাদের প্রধান হাতিয়ার বা অস্ত্র

পুঁজিবাদের প্রধান হাতিয়ার বা অস্ত্র : The main tool of capitalism Prantik Ghosh পুঁজিবাদের প্রধান দুটি অস্ত্র হল, সাম্রাজ্যবাদ ও মৌলবাদ। কারণ, শ্রমের শোষণ ছাড়া পুঁজি জমে না। আর শোষণের প্রধান হাতিয়ার হল এই দুটি অস্ত্র। সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ধর্মনিরপেক্ষতা, সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতা ইত্যাদি আধুনিক ও উন্নত ধ্যান ধারণার আড়ালে পরোক্ষ সাম্রাজ্যবাদ কায়েম করে। অর্থনৈতিক দিক থেকে দেখলে, এরা খোলা বাজার (উদার) অর্থনীতির নাম করে শোষণের রাস্তাকে একতরফা করে নিতে চায়। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা সহ ইউরোপীয় দেশগুলোর পুঁজিবাদী রাজনৈতিক দলগুলোর সবাই সাম্রাজ্যবাদী। কেউ ঘোর সাম্রাজ্যবাদী, কেউ একটু নরমপন্থী।  পুঁজিবাদ এ-দুটোকে ছাড়া বাঁচে না। তাই তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থে যখন যেটা প্রয়োজন হয়, সেটাই প্রয়োগ করে। আর মৌলবাদীরা সেকুলারিজমকে পছন্দ করে না, ঘেন্না করে। যারা সেকুলারিজমকে ঘেন্না করে এবং পুঁজিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে, তাদের সঙ্গে এদের সম্পর্ক খুবই মধুর। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের বর্তমান সরকারের দহরম মহরম সম্পর্ক একারনেই তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদিকে সংযুক্ত ...

ধর্ম আর রাজনীতির পার্থক্য

ধর্ম আর রাজনীতির পার্থক্য: Alvito D Chuna না। মুসলিম কোন ধর্ম নয়। ধর্ম হল ইসলাম। এখানে এই পোস্টে ভোটের কথা বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কথা বলা হয়েছে। ধর্ম আর রাজনীতি আলাদা। রাজনীতিতে হিন্দু মুসলমান হয় না। রাজনীতিতে বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস —এসব হয়। যদিও কিছু দল আমাদের বোকা ভেবে রাজনীতি আর ধর্ম এক করে দেখানোর চেষ্টা করছে।  প্রত্যেক শিক্ষিত মানুষ এটা জানে। রাজনীতি হচ্ছে পলিটিক্স। সে সম্পর্কিত বিষয়ের নাম হচ্ছে পলিটিক্যাল সাইন্স বা রাষ্ট্রবিজ্ঞান। যারা এটা পড়েছেন, তারা জানেন, রাজনীতি আর ধর্ম এক বইয়ের বিষয় থাকে না। এর জন্য আলাদা গ্রন্থ লাগে। দা প্রিন্স, অর্থশাস্ত্র —এগুলো রাজনীতির বই। বেদ, গীতা, বাইবেল, কোরআন —এগুলো ধর্মগ্রন্থ। ধর্মের বই। ধর্মের বইতে লেখা থাকে কীভাবে ধর্ম পালন করতে হয়। ঈশ্বরের অর্থাৎ আল্লাহ বা ভগবানকে পাওয়ার জন্য কী ধরনের আচার-আচরণ করতে হয়, কোন কোন নিয়ম মেনে চললে ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন। সুতরাং ধর্ম ঈশ্বর বিষয়ক বিষয়। অন্যদিকে, রাজনীতি হল রাষ্ট্র পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়। রাষ্ট্র কীভাবে পরিচালনা করতে হয়, পরিচালনার আধুনিক নিয়ম-কানুন কী, সেসব কথা সেখানে ব...

প্যালেস্টাইনের পক্ষে ভারতের ভোটদান

প্যালেস্টাইনের পক্ষে ভারতের ভোটদান গুতো খেয়ে, সরকার বোধ হয় বুঝেছে, আমেরিকা আর ইসরাইল কী জিনিস! তাই প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের পক্ষে ভোট দিয়েছে। — আলী হোসেন। ফেসবুক। একটু ভুল হচ্ছে,, পুরোটা শোনেন নি হয়তো ,,  বলেছে ,, হামাস কে বাদ দিয়ে প্যালেস্তাইন কে সমর্থন জানিয়েছে ,, আর আপনি আর আমি দুজনেই জানি ,, ইসলাম দেশ আর জঙ্গি সংগঠন,, কোন দিন আলাদা হতেই পারবে না ,, Bittu Dutta তাই! তা এই কথাটা বলতে দশ বছর লাগলো কেন? তার কী ব্যাখ্যা আছে? প্যালেস্টাইন সম্পর্কে অটল বিহারী বাজপেয়ীর বক্তব্য শুনেছেন? তারই বা কী ব্যাখ্যা দেবেন? Ali Hossain ব্যাখ্যা পরিস্কার,, ইরান ও আরব দেশ গুলোর সাথে আমাদের ব্যাবসার সম্পর্ক ভালো ,, আর ইসরাইল আমাদের পরম বন্ধু,, শুধু ধর্ম দিয়ে বিচার নয় ,, প্রতিটা ভারত বাসীর ইসরাইল কে সমর্থন করা উচিত,, সেই কারগীল যুদ্ধ থেকে তারা আমাদের পূর্ন সমর্থন জানিয়ে আসছে ,, প্রয়োজনে সমস্ত টেকনোলজি দিয়েছে,, অস্ত্র দিয়েছে ,, কিন্তু বেঁচে থাকতে গেলে লোকসমাজে অনেক কিছু বলতে হয় ,, Bittu Dutta ব্যবসার সম্পর্কও তো নতুন না। তাহলে? আর রাজনীতিতে স্থায়ী বন্ধু বলে কিছু তো হয় না। ট্রাম্পের সঙ্গে ...

সত্যকে সহজে দেখা যায় না

সত্য সহজবোদ্ধ নয় : The truth is not easy to understand সত্যকে সহজে দেখা যায় না। কারণ, সত্য নিজেই নিজেকে একটা অদৃশ্য মোড়কে মুড়ে রাখে। এই মোড়ক তাকে সুরক্ষা দেয়, তাকে মূল্যবান করে তোলে। আমরা আমাদের শরীরের মূল্যবান অংশগুলিকে বাইরে থেকে দেখতে পাই না। অথচ তারাই আমার দেহের মূল চালিকাশক্তি। সেই চালিকাশক্তিই হল প্রকৃত সত্য। সে নিজেকে রক্ষা করছে, ত্বক, পাঁজর, চুল ইত্যাদি নানান ধরনের বাইরের আবরণ বা মোড়কের সাহায্যে। তেমনি আমরা দেখছি সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। কিন্তু আসল সত্য হল— সূর্য নয়, পৃথিবীই সূর্যের চারিদিকে ঘুরছে।  সুতরাং সত্যকে উপলব্ধি করতে গেলে নিবিড় গবেষণা প্রয়োজন। লেখাপড়া শেষ করে, এর জন্য প্রয়োজন হয় জগৎ ও জীবন সম্পর্কে নিরবিচ্ছিন্ন এবং সার্বিক পড়াশোনা। প্রয়োজন হয় পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ-সহ সর্বাধুনিক গবেষণা করার সর্বাধুনিক রীতিনীতি ও টুলস ব্যবহার করার সক্ষমতা। আমি যদি তা না করতে পারি অর্থাৎ এগুলো ব্যবহারের সক্ষমতা যদি আমার না থাকে, তবে আমার কাছে যা সত্য হিসাবে উপস্থিত হবে, তা সব সময় সত্য নাও হতে পারে। হতে পারে তা সত্যের আবরণ মাত্র। অর্থাৎ আপনি যা সহজেই বুঝে ফেলছেন, তা ...

মৌলবাদ, পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক

মৌলবাদ পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক : Fundamentalism mutually complementary মৌলবাদ, সে যে ধর্মকে কেন্দ্র করে বেড়ে উঠুক না কেন, তারা পরস্পরের পরিপূরক। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে অক্সিজেন যোগায়।

সম্পদের সৃষ্টি ও ভোগকারী

সম্পদের সৃষ্টি ও ভোগকারী সম্পদ সৃষ্টি করে গরিব মানুষ, জমা হয় কতিপয় ধুরন্ধর মানুষের কাছে। Creator and consumer of wealth Creator-and-consumer-of-wealth

প্রকৃত বন্ধু কে?

প্রকৃত বন্ধু কে? Who is a real friend? যিনি বলছেন, আমি মুসলিমদের বন্ধু। অথবা যিনি বলছেন আমি হিন্দুদের বন্ধু; তিনি আসলে কেউ কারুর বন্ধু নন। আসল বন্ধু তিনি, যিনি বলছেন আমি মানুষের বন্ধু। কারণ, মানুষের কোন জাতিগত বিভাজন কোন স্বাভাবিক বিষয় নয়। এটা ধান্দাবাজ মানুষের তৈরি। বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে তা করা হয়েছে।  সুতরাং যারা হিন্দু বা মুসলমানের বন্ধু হতে চায় তারা আসলে মানব জাতির শত্রু।

স্বাধীনতা, স্বেচ্ছাচারিতা ও আত্মপরিচয়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক

স্বাধীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতা, আত্মপরিচয়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক প্রত্যেক শিক্ষিত বাবা-মা চায়, তার সন্তান তার নিজস্ব আইডেন্টিটি (পরিচয়) গড়ে তুলুক। বাবা-মায়ের পরিচয়ের বাইরেও তার নিজস্ব পরিচয় গড়ে উঠুক। বাবা মায়ের পরিচয় হল একটি জৈবিক পরিচয়, যা জন্ম সূত্রে পাওয়া। পারিবারিক সম্পর্কের আলিঙ্গনে বাধা এক অদৃশ্য কিন্তু অটুট ও শক্তিশালী বন্ধন। এই বন্ধনকে ছিঁড়ে ফেলার সঙ্গে আত্মপরিচয়ের কোন নিকট সম্পর্ক নেই। বা বলা ভালো, জন্মসূত্রে পাওয়া পারিবারিক সম্পর্কের বন্ধন, যার সঙ্গে নিজস্ব পরিচয় গড়ে তোলার কোন বৈপরীত্যের সম্পর্ক নেই। কেননা, এই সম্পর্ক ছিড়ে ফেললে আত্মপরিচয় গড়ে তোলার ভীত দুর্বল হয়ে পড়ে। কারণ, এই ভিত গড়ে তুলতে, এই সম্পর্কের সাপোর্ট খুবই জরুরী। এই সাপোর্ট ছাড়া ধণতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আত্মপরিচয়ের ভীত এবং তার উপরে ইমারত গড়ে তোলার পরিকল্পনা দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়। এই পরিচয় তখনই গড়ে ওঠে, যখন তার নিজস্ব আর্থিক শক্তি তৈরি হয়। এই শক্তি অর্জনের মূল হল ইচ্ছা শক্তি। এই ইচ্ছা শক্তি তখনই তার মধ্যে বাড়তে থাকে, যখন সে বোঝে, বাবা-মায়ের সম্পদ আসলে তার সম্পদ নয়। পরবর্তী সংসা...

লেখাপড়া ও পড়াশোনার মধ্যে পার্থক্য

লেখাপড়া ও পড়াশোনার মধ্যে পার্থক্য : Difference between read and study শিক্ষা প্রধানত দুই পর্বে সম্পন্ন হয়। একটির নাম লেখাপড়া। অন্যটির নাম পড়াশোনা। অধিকাংশ মানুষ লেখাপড়া শেষ করেন কিন্তু পড়াশোনাটা আর শুরু করেন না। এর পরিণতি হল অর্ধশিক্ষিত মানুষের পরিণত হওয়া। একদিন করে যায়, অর্জিত জ্ঞান হয় ভোঁতা হয়, নয় আপডেট না হওয়ায় বাতিলের খাতায় নাম লেখানোর জন্য ছুটতে থাকে। আপাত দৃষ্টিতে লেখাপড়া ও পড়াশোনার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কিন্তু গভীরভাবে জগৎ এবং জীবনকে উপলব্ধি করতে চাইলে এই দুটোরই প্রয়োজন গভীরভাবে অনুভূত হয়। আর তখনই এদের মধ্যের পার্থক্যটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আসলে লেখাপড়া শব্দের মধ্যে রয়েছে লেখা এবং পড়ার গুরুত্ব। পড়ার মধ্যে দিয়ে অর্জিত উপলব্ধি কতটা সত্যকে ছুঁতে পারল, তা যাচাই করার প্রক্রিয়ার নাম লেখা। সুতরাং লেখা এবং পড়া দুটোই সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। মূলত স্কুল-কলেজের অ্যাকাডেমিক পর্বকেই বলা হয় লেখাপড়া বা পড়ালেখা।  আসলে লেখাপড়ার মধ্য দিয়ে শিক্ষা নামক ইমারতের ভিত তৈরি হয়। তাই লেখাপড়াটা খুব মনোযোগ দিয়ে করা দরকার। এই ভিত দুর্বল হলে ইমারত গড়ার কাজ যথাযথভাবে সম্ভব ন...

চালাকি ও বুদ্ধিমত্তার সম্পর্ক

চালাকি ও বুদ্ধিমত্তার সম্পর্ক: The relationship between cunning and intelligence চালাক নয়, বুদ্ধিমান হও। চালাকির মধ্যে অসততা আছে, যা সমস্যাকে জটিল করে তোলে। আর বুদ্ধির সংগে থাকে সততা, যা সমস্যা সমাধানের পথকে সহজ করে তোলে। সুতরাং চালাকি ও বুদ্ধিমত্তার সম্পর্ক পরস্পর বিরোধী। উভয়ের অবস্থান উভয়ের বিপরীত মেরুতে। চালাকির চরিত্র নেতিবাচক আর বুদ্ধিমত্তার চরিত্র ইতিবাচক। তাই চালাক ও বুদ্ধিমান শব্দের মধ্যে পার্থক্য  কোথায়, তা বোঝাটা খুবই জরুরী। ------------xx-----------

বিশ্বাস, সংস্কার, কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস ও বিজ্ঞান

বিশ্বাস, সংস্কার, কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস ও বিজ্ঞান ঈশ্বর আছেন। এটা এক ধরনের  বিশ্বাস । এটা এমন এক বিশ্বাস যা প্রাথমিক ও অদ্বিতীয়। এর উল্টো মেরুতে রয়েছে আর এক বিশ্বাস। তা হল, ঈশ্বর নেই। বাকি সব বিশ্বাসের মধ্যে আছে এমন কিছু বিশ্বাস, যা মানলে ক্ষতি নেই। তা হল   সংস্কার । অন্যদিকে এমন কিছু বিশ্বাস আছে, যা মানলে ক্ষতি হয়। এগুলো আসলে কুসংস্কার । ক্ষতি হবে জেনেও যদি তা মানা হয়, তাহলে তা আমার  অন্ধবিশ্বাস । আর প্রাথমিক বিশ্বাসের ভিত্তিকে যখন যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্য দিয়ে খোঁজার চেষ্টা হয় এবং কার্যকারণ সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে তাকে প্রতিষ্ঠিত করার অথবা প্রত্যাখ্যান করার চেষ্টা করা হয়, তখন তা বিজ্ঞান। অধিকাংশ মানুষই বিশ্বাস করেন, ঈশ্বর আছেন। তিনিই সমস্ত কিছুর সৃষ্টিকর্তা। এতে সমস্যা নেই। এই বিশ্বাসকে সামনে রেখে যদি যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্য দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে এগোনো যায়, তবে যে সত্য সামনে আসে, তা হল এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত কিছুই কিছু নির্দিষ্ট নিয়মের বাঁধনে বাঁধা আছে। সূর্য ওঠা থেকে অস্ত যাওয়া, ঋতু পরিবর্তন হওয়া, গাছের পাতা নড়া, মাথার উপর ঘুরতে থাকা ফ্যানটি হঠাৎ ব...

অপরাধ কমানোর উপায়

অপরাধ কমানোর উপায় : Ways to reduce crime দেশে আর্থিক বৈষম্য বাড়লে অপরাধ বাড়ে। গণতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা ‘আইনের শাসন’ এই গাল ভরা নীতির কথা বলে অপরাধ দমনের চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে অপরাধ কমেনা। কারণ যার উৎপত্তি হয় বৈষম্য থেকে, দমনপীড়ন চালিয়ে তাকে দমানো যেত না। বৈষম্যের অবসানই তার (অপরাধ দমনের) একমাত্র পথ। গত রবিবার ২৯ জুন ২০২৫। আমেরিকার ইদাহোতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছিল দমকলকর্মীরা। সেখানে গিয়েই আচমকা গুলিবৃষ্টির মুখে পড়ে তারা। দুজন দমকল কর্মী মুহূর্তেই প্রাণ হারান। অন্যজন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।  শেরিফ বব নোরিস বলেছেন, “একটি প্লটে আগুন লাগার খবর এসেছিল আমাদের কাছে। আমাদের ধারণা বন্দুক বাজই ওই আগুন লাগিয়েছিল। দমকলের টিম সেখানে পৌঁছতেই তাদের লক্ষ্য করে শুরু হয় গুলিবৃষ্টি। দমকল কর্মীরা নিজেদের বাঁচানোর সময়টুকু পাননি।” এই ঘটনার খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, একটি ২০ বছরের ছেলে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। প্রশ্ন হল, এই অপরাধের কোনো ব্যাখ্যা আছে আমাদের কাছে? ধণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পৃষ্ঠপোষক যারা, তারা বলবেন ছেলেটির মানসিক সমস্যা ছিল। হ্যাঁ, ছ...

এর চেয়ে বড় মিথ্যে নেই

এর চেয়ে বড় মিথ্যে নেই মুসলিম মুসলিম ভাই ভাই, এর ভেতরে সত্য নাই , হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই ! এটাও ভাবার যুক্তি নাই। ধর্ম বেচে খাচ্ছে যারা, এসব কথা শেখায় তারা এর ভেতরের গহীন মানে সে সব শুধু তারাই জানে এবং বোঝে এবং মানে, যাদের মাথায় গোবর নাই, হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই ! এর চেয়ে বড় মিথ্যে নাই।  রাজায় রাজায় দোস্তি করে, উলু খাগড়ায় কুস্তি লড়ে  রাজায় এটা ভালই জানে, ওরা নিজের সাথে নিজেই লড়ে মুচকি হেসে মুখটা তুলে চায়ের কাপের ধোঁয়ায় ভুলে বোঝায় কাদের শত্রু বলে ধর্ম রক্ষার নানান ছলে  গুলিয়ে দিয়ে শত্রু কারা, ভায়ের বুকে ত্রিশূল ছোড়ে নিজের জীবন বাজি রেখে,রোজ সাজে সে রাজার বোড়ে ---------xx---------

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শত্রু হল অসৎ রাজনীতিকরা

নিপীড়িত মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শত্রু হল অসৎ রাজনীতিকরা। এরা সাধারণ মানুষকে নানান প্রতিশ্রুতি দেয়, ক্ষমতায় আসে। তারপর বিশ্বাসঘাতকতা করে পুঁজিপতিদের দালাল হয়ে যায়।

মানুষ কারা?

মানুষ কারা? Who are the Human? মানুষকে যারা জাত ধর্মে ভাগ করেছে, তারা মানব জাতির শত্রু। মানলে মানুষ, না মানলে অমানুষ।

সরকারি স্কুল উঠে যাওয়ার কারণ

সরকারি স্কুল উঠে যাওয়ার কারণ সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা নিজের সন্তানকে সরকারি স্কুলে পড়ান না কেন? শিক্ষক মহাশয়। সরকারি স্কুলে চাকরি করেন। সম্মানজনক মাইনেও পান। গড়ে ৪০ থেকে ১ লাখ। সেই মাইনের অর্থ দিয়ে নিজের সন্তানকে বেসরকারি স্কুলে বহু অর্থ খরচ করে পড়ান। সেখানে যিনি পড়ান, তিনি মাইনে পান, সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। তাঁর এই মজুরি সম্মানজনকও নয়, পর্যাপ্তও নয়। এত অল্প অর্থে তিনি পড়ান কেন? কারণ, সরকারি স্কুলে চাকরি করতে গেলে যে পরীক্ষা দিতে হয়, সে পরীক্ষায় তিনি উন্নীত হতে পারেননি।  সরকারি স্কুলের শিক্ষক মহাশয় মনে মনে ভাবেন, তিনি উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত। তাই তো চাকরিটা তিনি পেয়েছেন। এজন্য তিনি গর্ববোধও করেন। সঙ্গে ভাবেন, তিনি শুধু শিক্ষিত নন, বুদ্ধিমানও বটে। সেই বুদ্ধি দিয়ে বিশ্লেষণ করেই তিনি উপলব্ধি করেছেন, সরকারি স্কুলে পড়াশোনা হয় না। সুতরাং সেখানে তিনি নিজের সন্তানকে পড়াবেন কেন? কিন্তু শিক্ষক মহাশয়ের এই বুদ্ধি এতটাই ক্ষুরধার যে, সাধারণ কোন ভাবনা সেখানে ঠাই পায় না। সেকারণেই তিনি ভেবেই পান না : ১) তিনি নিজেই যদি নিজের সন্তানকে নিজের (সরকারি) স্কুলে না পড়ান, তবে সা...

যুদ্ধের প্রকৃত কারণ

যুদ্ধের প্রকৃত কারণ The real cause of the War পৃথিবীতে কোন যুদ্ধই সাধারণ মানুষের মঙ্গলের জন্য হয়নি , এখনোও হয় না। অতীতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে, শুধুমাত্র রাজনীতিকদের গদি দখল অথবা বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে। মজার কথা হল, এর পিছনে থাকে ‘পুঁজির কঙাল’দের সীমাহীন লোভ। তারাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কলকাঠি নাড়ে, রাজনীতিকদের নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে। দেশের অর্থনৈতিক নীতিকে পুঁজিবাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার জন্য। এখন প্রশ্ন হল পুঁজিবাদ কী? পুঁজিবাদ হল এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে ব্যক্তির হাতে পুঁজির সীমাহীন সঞ্চয়কে স্বীকৃতি দেয়। পূর্ব শর্ত হিসেবে শুধুমাত্র কিছু কর প্রদানের বাধ্যবাধকতাকে সামনে রাখা হয়।

প্রকৃত প্রেমিককে প্রেমিক হওয়ার ভান করতে হয় না

প্রকৃত প্রেমিককে প্রেমিক হওয়ার ভান করতে হয় না। নীহার চক্রবর্তী, আপনার কি মনে হয়, আপনি কী, তা আমি জানি না? জানি দাদা। শিক্ষক বলে আপনার মত ভাষা ব্যবহার করিনা। কারণ, লজ্জা লাগে। প্রকৃত শিক্ষকরা এমন ভাষা ব্যবহার করতে পারেন না। এমন ভাবতেও পারেন না। তাই করি না, ভাবিও না। কথায় (যুক্তি তর্কে) পেরে না উঠলে আপনি গালাগাল দেন, অন্য প্রসঙ্গ টেনে আনেন। এটা আপনার পুরোনো রোগ। আমি এতে কিছু মনে করি না। আর ফেসবুকটা তো ভারত-প্রেম দেখানোর জায়গা না। ভারত প্রেম দেখানো জায়গা হচ্ছে, ভারতের মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়া। আমার ক্ষমতা অনুযায়ী আমি সেটা করি। ফেসবুকে যুদ্ধ করে পাকিস্তানকে হারানো যায় না। যা করলে হারানো যায়, সে যোগ্যতা আমারও নেই, আপনারও নেই। যাঁদের আছে তাঁরা করেছেন। তাঁদের সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই। আর সেই প্রণাম জানানোর জন্য লোককে জানানোর প্রয়োজন হয় না। প্রণামটা অন্তরের জিনিস। লোক দেখানো জিনিস নয়। একজন ভারতবাসী হিসেবে আমি তাঁদের সঙ্গে ছিলাম এবং আছি। আপনার মত দেশপ্রেমিক সাজার ভান করতে হয় না আমার। আচ্ছা, আপনি তো আমাকে ব্লক করে দিয়ে ছিলেন। ফিরে এলেন কবে? আপনার মতো মানুষদের জন্য ফেসবুকে আসতে অনিহা...

চোখ থাকলেই দেখা যায়?

চোখ থাকলেই দেখা যায়? Can you see if you have eyes? চোখ থাকলেই দেখা যায় না। চোখকে দেখার উপযুক্ত করে তুলতে হয়। উপযুক্ত করতে লাগে ১) যুক্তিবাদী চিন্তা, ২) বিজ্ঞানমনস্ক মন এবং ৩) এই দুটি ব্যবহার করে জগৎ ও জীবনকে স্টাডি (গবেষণা) করার ইচ্ছাশক্তি। এই তিনটি বিষয়কে সমন্বয় করে যদি একযোগে এই প্রক্রিয়াকে চালু রাখেন, তবে আপনি আপনার চোখকে দেখার উপযুক্ত করার কাজটি জারি রেখেছেন। প্রতিদিন আপনার চোখ একটু একটু করে দেখার (সত্য উপলব্ধির) উপযুক্ত হয়ে উঠছে। এটা আজীবন চলমান একটি প্রক্রিয়া। যুক্তিবাদী চিন্তা কী? পৃথিবীতে যা কিছু ঘটে চলেছে তার কোনটাই এমনি এমনি ঘটছে না। এই ঘটার পিছনে কোনো না কোন কারণ আছে। এই কারণ বা কারণগুলোর কোনোটা আমাদের কাছে দৃশ্যমান, আবার কোনোটা দৃশ্যমান নয়। এই ‘কার্যের পিছনে কারণ থাকার এই অনিবার্য সম্পর্ককে কার্যকারণ সম্পর্ক বলে। এখন আপনি যদি কার্যকারণ সম্পর্ককে বোঝেন এবং তার ওপর আস্থা রাখেন এবং তাকে সত্য উপলব্ধির হাতিয়ার হিসাবে গ্রহণ করতে শতভাগ সম্মত হন তবে আপনি যুক্তিবাদী । এবং আপনার এই যুক্তি দ্বারা পরিচালিত চিন্তাকে যুক্তিবাদী চিন্তা বলা হয়। Can you see if you have eyes?

মানুষের ভাবনার গতিপ্রকৃতি

মানুষের ভাবনার গতিপ্রকৃতি : মানুষ কাকে বিশ্বাস করে? অধিকাংশ মানুষ সেই তথ্যই বিশ্বাস করে এবং তা প্রচার করে, যা তার মধ্যে আগে থেকেই ঠিক করে রাখা ধারণার সঙ্গে মিলে যায়। কারণ, তার সচেতন কিংবা অবচেতন মনে থাকা এই ধারণা বা ভাবনার সঙ্গে যখন কোন ভাবনা মিলে যায়, তখনই সে তাকে ‘সত্য’ বলে গ্রহণ করে। প্রশ্ন হতে পারে, এই পূর্ব ধারণা সে পায় কোথা থেকে? উত্তর হল, তার চারপাশ থেকে। দুই শ্রেণির মানুষ এই ধারণা তৈরি করে দেয়। একপক্ষ হল রাজনৈতিক নেতা, এবং অন্যপক্ষ ধর্মীয় নেতা। অধিকাংশ মানুষ সেই তথ্যই বিশ্বাস করে এবং তা প্রচার করে, যা তার মধ্যে আগে থেকেই ঠিক করে রাখা ধারণার সঙ্গে মিলে যায়। ঘটনা হল, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যদি একজন মানুষ সত্য নির্ধারণ করে, তবে সত্যের পরিবর্তে সে এক মিথ্যার জটিল আবর্তে জড়িয়ে পড়ে। কারণ, সত্য মানুষের ব্যক্তিগত বিশ্বাস বা ভাবনা-নির্ভর নয়। মানুষের পছন্দ-অপছন্দের উপরও তা নির্ভর করে না। সত্য পরিচালিত হয় প্রাকৃতিক ও রাষ্ট্রীয় বিধি-বিধান দ্বারা, এবং প্রমাণিত হয় তার ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশ পাওয়ার মাধ্যমে। ইতিবাচক ফলাফল হল সেটাই, যা মানুষের কল্যাণ বয়ে আনে। যে ভাবনা মানুষের অকল্য...

হিংসার আগুন, শুধু অন্যের নয়, নিজেকেও পোড়ায়

হিংসার আগুন, শুধু অন্যের নয়, নিজেকেও পোড়ায় The fire of jealousy burns not only others, but also oneself. দুটো কথা সমাজমাধ্যমে খুব জোরের সঙ্গেই প্রচার চলছে। একটি হল সন্ত্রাসবাদের লোকাল সাপোর্ট, এবং অন্যটি হল অধিকাংশ কাশ্মীরিই প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসবাদের সহায়ক। এর সমর্থনে সামনে আনা হচ্ছে বহু পুরনো কিছু ভিডিও ক্লিপ, যার স্থান কালের কোন উল্লেখ নেই। এখন লোকাল সাপোর্ট ছাড়া পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডের মত কোন কাজ যে করা যায় না —একথা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু এটা বোঝার ও বোঝানোর জন্য বহু পুরনো কোন ভিডিও ক্লিপ সামনে আনার প্রয়োজন হয় কী? হয় না। এটা এমনিতেই বোঝা যায়। তাহলে প্রশ্ন হল, এই পুরনো ক্লিপগুলো প্রচারে আনা হচ্ছে কেন? আর গোটাকয়েক বাদে কাশ্মীরের প্রায় সবাই সন্ত্রাসবাদী, একথাও একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নিচুতলার কর্মীদের প্রোপাগান্ডা ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ, এই অভিযোগ এখনও পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, এমনকি গোয়েন্দা বিভাগও দাবি করেছে বলে আমি অন্তত শুনিনি। সরকারও সে দাবি করেনি। তাহলে আমরা এগুলো ছড়াবো কেন? ছড়ালে কার লাভ, কীভাবেই বা সেই লাভ হওয়া সম্ভব? আমি বা...

ফ্যামিলি পলিটিক্স

ফ্যামিলি পলিটিক্স সম্পর্কে আলী হোসেন Ali Hossain on Family Politics “ফ্যামিলি পলিটিক্স একটা পরিবারকে ধুদুলের খোসার মত ঝাঁঝরা করে দেয়।” — আলী হোসেন Ali-Hossain-on-Family-Politics

ভর্তুকি, কে কাকে দেয়?

ভর্তুকি, কে কাকে দেয়? ভর্তুকি দেওয়ার কারণ ভর্তুকি কেন দেওয়া হয়, কাদের দেওয়া হয়, দেওয়া উচিৎ কিনা — এমন একাধিক প্রশ্ন আম জনতার মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে। কেউ এর পক্ষে, কেউ আবার বিপক্ষে। সাধারণ মানুষের সহজ উত্তর হল, সরকার শ্রমজীবী মানুষকে দেয়। প্রশ্ন তোলা হয়, এভাবে কি একটা দেশ চলে? একটা সমাজ চলে? উত্তর হল, না। কিন্তু এর পরের প্রশ্ন হল, এই ভর্তুকি দিতে হয় কেন? দিতে হয় তার কারণ, শ্রমজীবী মানুষের শ্রমের ন্যায্য ভাগ, তাদের দেওয়া হয় না। না দেওয়ার কারণে, দুটো ঘটনা ঘটতে পারে : ১) ন্যায্য ভাগ না পাওয়ার ক্ষোভ বিদ্রোহ আকারে ফেটে পড়তে পারে। অথবা, ২) অর্ধাহারে এবং অনাহারে থাকার কারণে অপুষ্টিতে ভুগে শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে অকাল মৃত্যু মহামারীর আকার নিতে পারে। এই দুটো ঘটনাই পুঁজিবাদী ব্যবস্থার বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। একদিকে যেমন সস্তায় শ্রম পাওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে এবং অন্যদিকে তেমনি এর অভিঘাতে পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। এই দুটো ঘটনার কোনটাই তাই পুঁজিবাদী শাসকদের কাছে কাম্য নয়। এ কারণেই তারা ভর্তুকের বিরুদ্ধে গলা তুললেও, ভর্তুকীর ব্যবস্থাকে তারাই...

টাকার মূল্য কত?

টাকার মূল্য কত? টাকা আসলে মূল্যহীন এক টুকরো কাগজ। কারণ, সে নিজে সক্রিয় হয়ে কখনোই কোন সম্পদ সৃষ্টি করতে পারে না। মানুষের জীবনের কোন প্রয়োজন সে মেটাতে পারেনা। একে মূল্যবান করে তোলে মানুষের শ্রম এবং কর্মকৌশলতা। সুতরাং শ্রমজীবী মানুষের শ্রম ও কর্মকৌশলতাই হল প্রকৃত সম্পদ।  মানুষের শ্রম এবং তার কর্মকুশলতা যখন প্রকৃতিতে ছড়িয়ে থাকা উপাদানগুলিকে ব্যবহারযোগ্য করে তোলে তখন তা সম্পদে রূপান্তরিত হয়। এই সম্পদের সঙ্গে কাগজের টুকরোকে সম্পর্কমক্ত করে দিলে তার আর কোন মূল্য থাকে না।  সুতরাং টাকা বা অর্থ হল এমন একটা মাধ্যম যার সাহায্যে, মানুষের শ্রম ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে প্রাকৃতিক উপাদানকে সম্পদের রূপান্তরিত হওয়ার পর, তা হস্তান্তর করা হয় মাত্র। এই মাধ্যমকে বৈধ কিংবা অবৈধ পথে যদি কেউ জমা করে এবং তাকে ব্যবহার করে সম্পদের দখলদারিত্ব নেয়, তবে সেই মালিকানা কতটা বৈধ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠা মোটেও অবৈধ নয়।  কিন্তু মজার কথা হল, রাষ্ট্রশক্তি তার পেশি শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষের শ্রমের চেয়ে মূল্যহীন কাগজের টুকরোকে দামি করে তুলেছে। ফলে শ্রমের চেয়ে কাগজের টুকরার, যা বৈধ বা অবৈধ যেভাবেই সংগৃহীত ...

ইংরেজ শাসন হিন্দুদের জন্য আশীর্বাদ?

ইংরেজ শাসন হিন্দুদের জন্য আশীর্বাদ? Was British rule a blessing for Hindus? অনেকেই মনে করেন, ইংরেজ শাসন ছিল হিন্দুদের জন্য আশীর্বাদ। এর কারণ, ইংরেজরা চলে যাওয়ার পর এদেশের শাসন ক্ষমতায় হিন্দুদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইংরেজরা না এলে ভারত এখনও মুসলমানদের শাসনাধীনেই থেকে যেত। মজার কথা হল, ঠিক এ কারণেই হিন্দুত্ববাদীরা আজ ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলে না, এবং এই ভাবনা থেকেই তারা স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণও করেনি। আজ ইংরেজদের বাদ দিয়ে প্রায় ৩০০ বছর আগের মুসলিম শাসকদের অযৌক্তিকভাবে, ইতিহাস বিকৃত করে, কাঠগড়ায় তুলছে। অথচ প্রায় ১০০ বছর ধরে (১৭৫৭-১৮৫৭) ইংরেজদের বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই চালিয়ে গেছে যারা, তাদের বড় অংশ এই মুসলিম শাসকরাই, যারা ইংরেজদের মতো এদেশের সম্পদ লুটেপুটে নিঃস্ব করে দেশের বাইরে নিয়ে যায়নি। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে হিন্দুত্ববাদীদের এই ভাবনাকে সত্য বলে মনে হয়। তথ্য ও যুক্তির নিরিখে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার বিশ্লেষণ করলে এই ভাবনার মধ্যে গভীর দুর্বলতা ধরা পড়ে।  কারণ, প্রধান শাসক মুসলিম হলেই সেটা মুসলমানদের শাসন হয়ে যায় না। যদি তাই হতো, তাহলে স্বাধীনতা ...

শিক্ষা ও সততার সম্পর্ক

শিক্ষা ও সততার সম্পর্ক শিক্ষার গুরুত্ব আপনি যত শিক্ষিত হয়ে উঠবেন, ততই আপনি সৎ হয়ে উঠবেন; হয়ে উঠবেন মানবতাবাদী। ঠিক এর উল্টোটার মতই। অর্থাৎ আপনার মধ্যে সততা এবং মানবতাবোধ যত কম, আপনি ততই অশিক্ষিত। হ্যাঁ, লেখাপড়া জানা ডিগ্রিধারী অশিক্ষিত। কারণ, শিক্ষার সঙ্গে সততার সম্পর্ক ইতিবাচক এবং সমানুপাতিক। ঠিক তেমনি, শিক্ষার সঙ্গে অসততার সম্পর্ক নেতিবাচক এবং ব্যস্তানুপাতিক। কেন? আসলে জগত এবং জীবনের রহস্য যত উদঘাটিত হবে আপনার বা আমার কাছে, আমরা ততই দেখতে পাবো আমরা সবাই পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক। কারণ, প্রকৃতি বা ঈশ্বর যেভাবেই আপনি ভাবুন, দেখবেন তিনি এই জগৎ ও জীবনের নিরাপত্তা বিধানের জন্য একটা বিকল্পহীন সূত্র ব্যবহার করেছেন। সেই সূত্রের মূল কথা হল, প্রত্যেকটি জীব পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক। উদ্ভিদ জগৎ ভিন্ন যেমন প্রাণীজগৎ অচল, প্রাণীজগৎ ভিন্ন উদ্ভিদজগৎও ঠিক ততটাই অচল।  এই যে পারস্পরিক নির্ভরশীলতার নিয়ম, তা অর্জনই শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য। এই লক্ষ্য অর্জন এবং উপলব্ধি করার জন্যই আমরা লেখাপড়া করি, স্কুল-কলেজে যাই। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, আমরা প্রকৃত শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারি না। প্রকৃত শিক্ষা অর্জন আমাদ...

স্বাধীনতা কী?

স্বাধীনতা কী? চার অক্ষরের স্বাধীনতা-র মধ্যে কোনও স্বাধীনতা নেই। ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে আত্মনির্ভরতার মধ্যে, যা নিশ্চিত করা যায় একমাত্র নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম ও নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যমে।

অভিবাসন কী?

অভিবাসন কী? অভিবাসন এক স্বাস্থ্যকর, উন্নত ও প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া আমরা সকলেই আসলে অভিবাসী। তাই অবৈধ অভিবাসনের নাম করে মানুষকে লাঞ্ছিত করা অযৌক্তিক এবং অমানবিক। মানবজাতির উৎপত্তির ইতিহাস মানলে আমাদের আদি বাসভূমি পৃথিবীর কোন এক ও অদ্বিতীয় এবং কোনো অজানা কিন্তু নির্দিষ্ট স্থান। এখনও পর্যন্ত যে আর্কিওলজিক্যাল প্রমাণ মিলেছে, তাতে আফ্রিকাই সেই পবিত্র ভূমি। অভিবাসন একটি স্বাস্থ্যকর এবং উন্নত প্রক্রিয়া। এবং আমরা প্রত্যেকেই আসলে এক একজন অভিবাসী। তাই অবৈধ অভিবাসনের নাম করে মানুষকে লাঞ্ছিত করা অযৌক্তিক এবং অমানবিক। এই অভিবাসন প্রক্রিয়া মানবজাতির জন্য কল্যাণকর। কারণ, অভিবাসনের ফলেই মানবজাতির ভিন্ন ভিন্ন প্রাকৃতিক ও জলবায়ুগত অবস্থানে আগমন ঘটেছে এবং অভিযোজনের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতিতে পরিণত হয়েছে। এই অধিবাসী হওয়ার প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই আবার ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির মানুষের মধ্যে মিশ্রণ (সংকরায়ন) ঘটেছে। আর এই সংকরায়নের মাধ্যমেই মানব প্রজাতি ক্রমান্বয়ে উন্নত থেকে উন্নততর পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাই অভিবাসন একটি স্বাস্থ্যকর এবং উন্নত প্রক্রিয়া। জাতিরাষ্ট্রের নাম করে এই প্রক্রিয়াকে জোর করে আটকালে মান...

শিক্ষিত মানুষের ধর্ম

শিক্ষিত মানুষের ধর্ম : আমরা স্কুল কলেজের লেখাপড়া শেষ করে নিজেদের পন্ডিত মনে করি, আর চাকরি পাওয়ার পর মহাপন্ডিত । বস্তুত, জগৎ ও জীবনের প্রকৃত রহস্য (সত্য) এত ব্যাপক ও জটিল যে, এই সময়কালের মধ্যে তা অনুধাবন করা অত্যন্ত দুরূহ কাজ।  সুতরাং স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ করে চাকরি-জীবনে প্রবেশ করার পর আমরা নিজেদেরকে যে জায়গায় তুলে ধরি, তা প্রকৃতপক্ষে এক অসম্পূর্ণ অবস্থা। তাকে সম্পূর্ণতার কোনো গ্রহণযোগ্য অবস্থায় নিয়ে যেতে হলে ‘ লেখাপড়া ’ শেষে ‘পড়াশোনা’ র কাজ নতুন উদ্যোগে শুরু করতে হয়। এই কাজটা প্রকৃতপক্ষে এই সময় থেকেই শুরু হয়। নিরন্তর পড়াশোনা এবং গবেষণার মধ্য দিয়েই কেবল তা সম্পূর্ণতার দিকে এগিয়ে নেওয়া যায়। মনে রাখতে হবে, এই প্রক্রিয়ার কোনো নির্দিষ্ট সময়রেখা বা সীমারেখা নেই। আজীবন তা ক্রিয়াশীল রাখতে হয়। এক জীবন কেন, হাজার জীবনেও তা কোনভাবেই সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। সুতরাং শিক্ষিত মানুষের ধর্ম হল লেখাপড়া শেষ করে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া। এবং জগৎ ও জীবনের প্রকৃত সত্যের (রহস্য) সন্ধানে নিজেকে নিয়োজিত রাখা। আর এক আছে তার প্রধান অস্ত্র হল বিশ্বাস নয়, যুক্...

বিজ্ঞানের সঙ্গে পুঁজিবাদের সম্পর্ক

বিজ্ঞানের সঙ্গে পুঁজিবাদের সম্পর্ক বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীরা যে সমস্ত বৈপ্লবিক আবিষ্কার করেন, তার মধ্যে সেটুকুই কর্পোরেটপুঁজি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে, যা তার পুঁজির বৃদ্ধিকে নিশ্চিত করে। বাকিগুলো নির্দ্বিধায় আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেয়। আর রাষ্ট্র যখন তার সহায়ক হয়, তখন তা বিধ্বংসী রূপ নেয়। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল, জলবায়ু পরিবর্তন ও তার বিপদজনক পরিণতি সংক্রান্ত আবিষ্কারকে পৃথিবীর সব কর্পোরেট মালিক উপেক্ষা করে চলেছেন। এর সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হল, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত। সেইসঙ্গে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে এনার্জি এমার্জেন্সি ঘোষণা করেছেন, যাতে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারে কোন বাধা না থাকে। এরফলে ১.৫° সেলসিয়াস তাপমাত্রা নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা অন্ধকারের অতল গহ্ব ঘরে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।  আসলে জলবায়ু পরিবর্তন হয়ে যাওয়া সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর প্রত্যক্ষ শিকার কর্পোরেট মালিকরা হন না। এর শিকার হন দরিদ্র ও নিম্নমধ্যবিত্ত সম্প্রদায়। কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যখন কোন বিপর্যয় নেমে আসে, তার সরাসরি শিকার হয় এই সমস্ত সাধারণ মানুষ...

সত্য ও মিথ্যার গন্ধ

সত্য ও মিথ্যার গন্ধ সত্যের সুগন্ধ আর মিথ্যার দুর্গন্ধ, দুটোই এমন প্রকট যে, কাউকেই চেপে রাখা যায় না। আজ এই মাত্র ছোটো মেয়েকে বললাম। ও স্নান করা নিয়ে মিথ্যা বলল। কিন্তু এমন ভাবে বলল যে, মিথ্যাটা ধরা পড়ে গেল। আমার ‘এই কথা’ শুনে হাসতে হাসতে পালাল। ওর একটা বৈশিষ্ট্য হল, সচরাচর মিথ্যা বলে না। কারণ, মিথ্যা কথা ও চেপে রাখতে পারে না। ধরা পড়ে গিয়ে গোসল খানায় ঢুকে গেল। এই অবেলায়। তবু ভালো যে, বেলা গেলেও গেল।

মূল শত্রুকে চেনা জরুরী

মূল শত্রুকে চেনা জরুরী একদিকে আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্স (ধনতান্ত্রিক দেশ)। অন্যদিকে সোভিয়েট ইউনিয়ন (সমাজতান্ত্রিক দেশ)। নীতি ও আদর্শগত দিক থেকে দুই মেরুর দুটি জোট। কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে তারা যদি মূল শত্রুকে চিহ্ণিত করতে না পারতো এবং পরস্পরের কাছে না আসতো, হিটলারকে (ফ্যাসিবাদকে) থামানো যেত না। আজ বাঙালির সময় হয়েছে বিষয়টি ভেবে দেখার। -----------xx----------- লেখাটি উৎস ও প্রসঙ্গ জানুন ফেসবুকে

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...

ইতিহাস কী?

ইতিহাস কী? ইতিহাস হচ্ছে মানুষের তৃতীয় নয়ন। এই তৃতীয় নয়ন মানুষকে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ বিষয়ে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে। এই পর্যবেক্ষণই জগত এবং জীবনের প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। একজন মানুষ, জগত ও জীবন সম্পর্কে  প্রকৃত সত্য যতটা উপলব্ধি করতে পারেন, তিনি ততটাই শিক্ষিত বলে বিবেচিত হন। তাই ইতিহাস জানা এবং বোঝা ছাড়া একজন মানুষ পূর্ণাঙ্গ শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারেন না। ইতিহাস কেন তৃতীয় নয়ন? একটা উদাহরণ নেওয়া যাক। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা ধরুন। আমরা এই ঘটনাকে যখন প্রত্যক্ষ করি, তখন দেখি দুটি ভিন্ন ধর্মের মানুষ পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে সহিংস হয়ে উঠছে। আমরা খুব সহজেই এই ঘটনাকে ধর্মের সঙ্গে জুড়ে দিই এবং ধর্মকে এর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করি। ধর্মীয় বিদ্বেষের ফল হিসেবে সেগুলোকে ব্যাখ্যা করি। কিন্তু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ইতিহাসকে কার্যকারণ সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, এই দাঙ্গাগুলোর পিছনে ধর্মের চেয়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য খুবই শক্তিশালী ভূমিকায় রয়েছে। অর্থাৎ মূলত, ...

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে, ...

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা? বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষার প্রভাব দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে