সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2022 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অশিক্ষিত কে?

আমি চাকরি করি। সরকারি কিম্বা সরকার পোষিত কোন সংস্থায়। মাইনে কত পাই? একটা বেসরকারি সংস্থার থেকে তিন থেকে চার গুণ। বিশাল ভালো না থাকলেও অনেকটাই নিশ্চিন্তে আছি। কারণ, চাকরি যাওয়ার ভয় নেই। মাইনে যা পাই তাতে অভাবটাও বুঝতে পারি না। কিন্তু কাজে ফাঁকি দেওয়া কিম্বা ঘুষ নেওয়ায় আমি ওস্তাদ। কারণ,তাতে আমার কোন ক্ষতি দেখিনে। উল্টে ঘুষ নিতে পারলে বাড়তি পাওনা। আমার মত চালাক কে আছে? ঠিক। আমি খুব চালাক। বুদ্ধিমান কি? আচ্ছা একটু ভেবে দেখি তো! দেবে দেখলাম। কী পেলাম?পেলাম - ১) আমার এই ফাঁকি দেওয়া দেখে আর একজন ফাঁকি দিতে অথবা ঘুষ নিতে উৎসাহিত হবে। কারণ,এই কাজে আমি আমার যদি কোন দোষ না দেখি, অন্য মানুষ কেন দোষ দেখবে?সেও আমারই মত সুযোগ পেলে আমার কাছ থেকেও ঘুষ চাইবে। না দিলে সময়মত কাজটা করে দেবে না। ২) সবাই আমার মত ফাঁকি দেয় না বা ঘুষ নেয় না জানি। আমার মত গুটিকতক চালাক লোকই এটা করতে পারে। বোকারা পারে না। আপনিও তাই ভাবেন?যদি ভাবেন, তাহলে আপনিও আমার মত মস্তবড় চালাক বটে,কিন্তু সেই সঙ্গে মস্তবড় লেখাপড়া জানা ও ডিগ্রিধারী একজন মানুষ। সেই সঙ্গে আমার মতই আপনিও মস্তবড় একজন অশিক্ষিত মানুষ। কেন? সেটাও ভেবে

পড়াশোনার ফলাফল বা পরিণতি

যত পড়তে থাকি, জীবন তত ছোট হয়ে আসতে থাকে।

প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম কত দিন টিকবে

প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম ততদিন থাকবে যতদিন অশিক্ষার অন্ধকার থাকবে।

ধর্ম ও ধর্মব্যবসায়ীর সম্পর্ক

ধর্ম ও ধর্মব্যবসায়ীর সম্পর্ক  Relationship between religion and religious traders যে ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে মানুষের মুক্তির জন্য, সেই ধর্মই যখন মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে ওঠে,তখন বুঝতে হবে সে-ধর্ম ধর্মব্যবসয়ীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। ধর্মব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হল ধর্মপ্রাণ মানুষদের ধর্মগুরু বা ধর্মীয় নেতাদের প্রতি অন্ধবিশ্বাস, যা আসলে একধরণের অন্ধত্ব। আধুনিক শিক্ষার আলোয় যারা আসতে পারেনি, তারাই এই  অন্ধত্বের শিকার। ধর্মব্যবসায়ীরা মানুষের এই অন্ধত্বকে খুব সহজে কাজে লাগাতে পারে। কারণ, এই ধর্ম প্রাণ মানুষগুলো অলৌকিক শক্তির উপর ভরসা ও বিশ্বাস করে। সঙ্গে, এও বিশ্বাস করে যে, ধর্মগুরুদের অনুসারী হয়ে চললে এবং ধর্মের অনুষ্ঠানিকতা, আচার-বিচার অনুসরণের সাথে সাথে ধর্মীয় নেতা ও সংগঠনে দান-ধ্যান করলেই ইহলৌকিক ও পরলৌকিক জীবনে সাফল্য অর্জন সহজ হয়ে যায়। এদের এই বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়েই ধর্মব্যবসায়ীরা নিজেদের অর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করে।

নামাজ সম্পর্কে প্রচলিত ধারণার সঙ্গতি ও অসঙ্গতি

১) হযরত মুহাম্মদ এর জন্ম ৫৭০ খ্রিস্টাব্দ। ২) নবুয়ত পেয়েছেন ৬১০ খ্রিস্টাব্দে ৪০ বছর বয়সে ৩) নবীজি মেরাজে গেছেন ৬২২ খ্রিস্টাব্দে নবুওয়াতের ১২ তম বছরে ৪) হিজরত করেছেন ৬২৩ খ্রিস্টাব্দে। অর্থাৎ মদিনায় গেছেন। বলা হয় নবীজি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে এসেছেন মেরাজে গিয়ে ( ৬২২সালে)  আল্লাহর কাছ থেকে। ---- সূত্র হলো  ১) বুখারী শরীফের 349 নম্বর হাদিস  ২) মুসলিম শরীফ 401 নম্বর হাদিস। বলা হচ্ছে  ১) সূরার রুম এর ১৭ এবং ১৮ নম্বর আয়াতে চার ওয়াক্ত নামাজের কথা বলা আছে। ২) সূরা তোহা ১৩০ নম্বর আয়াতে ৫ ওয়াক্ত নামাজের ইঙ্গিত করা হয়েছে ৩) সূরা নূরের 58 নম্বর আয়াতে এশার নামাজের কথা বলা হয়েছে। ৪) সূরা মায়েদার ২৩ নম্বর আয়াতে দায়নি সালাতের (সার্বক্ষণিক সালাত) কথা বলা হয়েছে। এই সালাতকে দু ভাগে ভাগ করে আদায়ের কথা বলা আছে। একটি প্রকাশ্য  অন্যটি অপ্রকাশ্য - আত্মসমালোচনা করার জন্য। ৫) সূরা নিসার ১৫১ ও ৫২ নম্বর আয়াতে নামাজের কথা বলা হয়েছে এখন দেখুন : ১) সূরা রুম নাজিল হয়েছে ৬১৫ সালে। অর্থাৎ নবুয়াতের পাঁচ বছর পর এবং মেরাজের ৭ বছর আগে। ২) সূরা ত্বহা আবির্ভূত হয়েছে ৬১৬ সালে। অর্থাৎ ন

চিন্তার রোগ কী?

চিন্তারও রোগ হয়  ফটাস করে বিশ্বাস, নয় তো ফটাস করে অবিশ্বাস - এটা আমাদের বহুচর্চিত বদ-অভ্যাস। এটা আসলে এক ধরণের রোগ। চিন্তা যখন রোগের কারণ হয়, তখন তাকে 'চিন্তারোগ' বলে। আর যখন চিন্তায় রোগ বাসা বাঁধে তখন তাকে বলে  ‘চিন্তার দৈন্যতা’ । এটাই চিন্তার রোগ । আসলে, চিন্তা করার একটি বিজ্ঞানসম্মত পন্থা আছে। সেই পন্থা অনুসরণ করেই সিদ্ধান্ত টানতে হয়। তারপর বিশ্বাস কিংবা অবিশ্বাস করতে হয়। সেটা না করলেই এটা রোগ হিসাবে  চিন্তায় বাসা বাঁধে।  আমরা অধিকাংশ মানুষই সেই পন্থা অনুসরণ করি না। করি না, তার কারণ, জানিনা।  চিন্তাকে ত্রুটিমুক্ত করতে গেলে তিনটি জিনিসের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। আর তা হল, যুক্তি, বুদ্ধি আর তথ্য। এই তিনটি বিষয়ের সঙ্গে পূর্ব অভিজ্ঞতা যুক্ত হলে এবং তাঁকে সঠিক পন্থায় কাজে লাগাতে পারলে কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়। যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্য সিদ্ধান্ত টানতে সাহাজ্য করে। আর পূর্ব অভিজ্ঞতা সেই সিদ্ধান্তকে প্রামাণ্যতা দেয়। তাই সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে গেলে মানুষকে যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্য দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে, তার সত্যাসত্য যাচাই করে, তবেই তা গ্রহণ অথবা বর্জন করতে হয় ।  আমরা অধিকাংশ মানুষই এই পদ

মানুষের প্রকৃত বন্ধু কে এবং কেন?

মানুষের প্রকৃত বন্ধ  Who is the true friend of man and why? শিক্ষাই একমাত্র বন্ধু, যে কখনো প্রতিদান চায়না। আমৃত্যু শুধু দিয়েই যায়: নিঃশর্ত সঙ্গ, সমর্থন ও সহযোগিতা। তাই বন্ধুত্ব যদি পাতাতেই হয়, তবে তা শিক্ষার সঙ্গেই পাতাও। কারণ, একমাত্র শিক্ষাই পারে তোমাকে বিপদে-আপদে, সংশয়ে-সংকটে - সব সময়ই নিঃশর্ত সঙ্গ দিতে। বিপদে পড়লে শিক্ষাই তোমাকে বাতলে দেবে কীভাবে তুমি সেই বিপদ থেকে মুক্তি পাবে। সাফল্য বা আনন্দের খবর এলে, সে-ই বলে দেবে কীভাবে তুমি তা উদযাপন করবে। আবার যদি গভীর সংকটে ডুবে যেতে থাকো, তবে তোমার শিক্ষাই তোমাকে বলে দেবে, এ সংকট মুক্তির প্রকৃত উপায় ও তা কার্যকর করার পদ্ধতি কী হবে। অর্থাৎ শিক্ষাই একটু একটু করে উন্মুক্ত করে দেবে জগত ও জীবনের মূল চালিকাশক্তির হদিস।  তাহলে প্রশ্ন হল শিক্ষা কী? কীভাবে তাকে অর্জন করতে হয়? বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

শান্তি স্থাপনের উপায় কী

শক্তি প্রদর্শন কী জয়লাভের একমাত্র চাবিকাঠি?  শক্তির আস্ফালন ও তার প্রদর্শনী যদি জয়লাভ ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হতো তবে আস্ত ভূগোলকটাই আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মানচিত্র হতো। এটা না বুঝে যারা কাশ্মীর, প্যালেস্টাইন মায়ানমার-সহ বিশ্বব্যাপী জাতি-সমস্যার সমাধান করতে চাইছেন তাঁরা গহীন সমুদ্রে ডুব দিয়ে মুক্ত খোঁজার চেষ্টা করছেন। What is the way to make peace?

শিক্ষিত হওয়ার উপায়

শিক্ষিত হতে গেলে এমএ, বিএ, এমএসসি, এম কম ইত্যাদি পাস করতেই হয়, বিষয়টা মোটেই তেমন নয়। মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পাস করলেই চলে। প্রয়োজন শুধু নিরন্তর পড়াশোনা (পড়া আর শোনা) করা। চাই জগৎ ও জীবনকে জানার উদগ্র বাসনা। ‘পড়াশোনা’ শব্দটার মধ্যে দুটো জিনিস আছে। একটা পড়া, অন্যটা শোনা। পড়া মানে নিজে নিজে পড়া। বিষয়ভিত্তিক বই, পত্রপত্রিকা, কিম্বা ম্যাগাজিন ইত্যাদি সংগ্রহ করে নিজে নিজে পড়তে থাকা। আর শোনা মানে, জানা-বোঝা মানুষের (বিভিন্ন বিষয়ে যারা বিশেষ পান্ডিত্ব অর্জন করেছেন) মতামত, বক্তব্য ইত্যাদি শোনার মাধ্যমে জগৎ ও জীবন সম্পর্কে সত্য উপলব্ধি করার চেষ্টা করা। এই দুটো পদ্ধতিতে একজন মানুষ সারা জীবন ধরে পড়াশোনা করতে পারেন। জগৎ ও জীবনের চালিকাশক্তিকে নিজস্ব যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে তার নাগাল পাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। আমরা সাধারণত সেটা করি না। তাই লেখাপড়া শিখেও (এম এ বিএ এমএসসি এম কম পাস করেও) শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারি না। আমাদের ধারণা, শিক্ষিত হতে গেলে বড় বড় ডিগ্রি অর্জন করতে হয় কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এটা একটা পদ্ধতি বটে, কিন্তু একমাত্র নয়। শিক্ষা নিজে-নিজেই এবং নিজের

ধর্মের সঙ্গে গণতন্ত্র ও অসাম্যের সম্পর্ক

The-relationship-between-religion-and-democracy-and-inequality যে দেশের মানুষ যত বেশি ধর্মের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস অবলম্বন করে বাঁচে সেদেশের গণতন্ত্র তত দুর্বল হয় এবং রাজনৈতিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য তত বেশি প্রকট হয়ে ওঠে। আসলে ধর্ম ও অন্ধ বিশ্বাস পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে চলে। বলা ভালো, ধর্মের যারা ধারক ও বাহক বলে নিজেদের দাবি করে, তারাই এই দুটোকে পাশাপাশি রেখে দেয়। এই রাখার পিছনে তাদের প্রধানত দুটো উদ্দেশ্য কাজ করে। ১) আর্থিক এবং ২) রাজনৈতিক। ধর্মের ভিত্তি হচ্ছে একমাত্র বিশ্বাস। কারণ, বিশ্বাস বাদ দিলে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের আর কিছু থাকে না। কেননা, জাগতিক সব কিছুকে যুক্তি বুদ্ধি ও তথ্য দিয়ে বিচার করা সম্ভব। কিন্তু ঈশ্বেরর ধারণা এভাবে বিচার করা যায় না। বিচার করা যায় না তার বড় কারণ, ধর্ম দর্শন অনুযায়ী স্বয়ং ঈশ্বর-ই এ বিষয়ে গোপনীয়তা অবলম্বন করেন। তার স্পষ্ট বক্তব্য, তাঁকে নিশর্ত বিশ্বাস করতে হবে। কোনো প্রশ্ন বা সংশয় প্রকাশ করা যাবে না। এই বিশ্বাসের দর্শন সবচেয়ে সহজ একটা পন্থা যা দিয়ে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ধর্মের এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর আদি লগ্ন থেকে এক শ্রেণির মানুষ তাদের আর্থি

পৃথিবী কেমন, সুন্দর না অসুন্দর?

পৃথিবীর সব কিছুই সুন্দর। যা কিছু অসুন্দর তা কেবল মানুষেরই তৈরি।

স্বামীজির সমাজ দর্শনের মূল কথা

স্বামীজির সমাজ দর্শনের মূল কথা The-essence of Swamiji's social philosophy আপনি কি স্বামীজির ভক্ত? বেশ। তাহলে তো স্বামীজির সমাজ ও ধর্ম-দর্শনকে শ্রদ্ধা করেন। তাই তো? তাহলে আগামীতে ভারতে শূদ্রদের আধিপত্য কায়েম হবে। মানতে পারবেন? এটা তাঁর ভবিষ্যৎবাণী এবং তাঁর একান্ত চাওয়া। আপনি কি সেই চাওয়াকে পূর্ণতা দেওয়ার চেষ্টায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন? কী? উত্তর দিতে সমস্যা হচ্ছে? তাহলে স্বামীজির 'বর্তমান ভারত' পড়ুন। বর্তমান ভারতে স্বামী বিবেকানন্দ বৈদিক যুগ থেকে ব্রিটিশ শাসন পর্যন্ত ভারতের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস পর্যালোচনা করেছেন। এই পর্যালোচনার মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন, বৈদিক যুগে ব্রাহ্মণ পুরোহিত, পরে শক্তিশালী যোদ্ধা বা ক্ষত্রিয়রা এবং সবশেষে বৈশ্যরা আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিল। ইতিহাসের এই ব্যাখ্যা শেষে তিনি ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন যে, চক্রাকার পথে বৈশ্যের পর এবার ভারতীয় সমাজে শূদ্রের জাগরণ ঘটবে এবং তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। শুধু হবে না, তার ভাবনায় এবং চাওয়ায় - এটা হতে বাধ্য। এভাবে সমাজের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের হাতেই ভবিষ্যত ভারতীয় সমাজ গড়ে উঠবে - এটাই ছিল তার ভবিষ্যৎবাণী। তিনি এই গ্রন্থ

শিক্ষার দৈনতা

শিক্ষার দৈনতা কী? What is the poverty of education? যিনি যতটুকু জানেন তিনি ততটুকুই বলেন। কিন্তু ভুলে যান যে, তার বাইরেও অনেক কিছু থাকতে পারে, যা তিনি জানেন না। এই ভুলে যাওয়াটা আসলে তার শিক্ষার দৈন্যতা।

হিংসা দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়

হিংসা দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা কিংবা ঐক্যবদ্ধ জাতি গড়ে তোলার চেষ্টা, আসলে সাঁতার না জানা মানুষকে সমুদ্রে ফেলে দিয়ে সাঁতার শেখানোর চেষ্টার মত অবাস্তব চিন্তা। তাছাড়া জোর করে শান্তি, ঐক্য, প্রেম বা ভালবাসা কোনটাই আসেনা। কারণ, এসব কিছুর সঙ্গে মত ও পথের সমন্বয় সাধনের অলঙ্ঘনীয় শর্ত সম্পর্কযুক্ত। এই শর্ত পূরণ না হলে ঐক্য, শান্তি, প্রেম বা ভালোবাসা কোনটাই শক্তপোক্ত ভিত পায় না। এই সহজ সত্য যারা উপলব্ধি করতে পারে না কিংবা মানে না তাদের দিয়ে দেশের ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনা। যা হয় তা আসলে ঐক্য সংহতির ফানুস। দেশের বর্তমান সরকার অখণ্ড ভারতের কথা ভাবছে। অথচ তা গড়ার জন্য যে নীতি ও কৌশল অবলম্বন করছে তা কখনোই সমানুপাতিক নয়। বিদ্বেষ বিচ্ছিন্নতাই বয়ে আনে, তা কখনোই ঐক্য বা সমন্বয় সাধন করতে পারেনা। অথচ এই সরকার ঐক্যের জন্য বিদ্বেষকেই, যা আসলে বিচ্ছিন্নতাকে শক্তিশালী করে বা মদত যোগায়, তাকেই আশ্রয় করছে। আমেরিকার কিংবা রাশিয়ার সহ যে সমস্ত বৃহৎ রাষ্ট্র ব্যবস্থা পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে তাদের রাষ্ট্রনীতি এখনো পর্যন্ত অদ্বিতীয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ এর চেয়ে উন্নত ও সফল রাষ্

স্বাধীনতার আগের ও পরের শাসনের পার্থক্য

১৯৪৭ সালের আগে প্রায় ২০০ বছর দেশ শাসন করেছে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি । কোম্পানির বোর্ড অফ ডিরেক্টররা সরাসরি এই শাসন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকত না। তারা তাদের সমর্থক রাজনিতিকদের দেশ শাসনের দায়িত্বে বসাতেন। তাদের দিয়েই কোম্পানি ভারত সহ অন্যান্য উপনিবেশগুলোর নীতি নির্ধারণ ও তার প্রয়োগ ঘটাতেন। বলা বাহুল্য, এই নীতি নির্ধারণ ও প্রয়োগের মূল উদ্দ্যেশ্য ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্যিক লাভ। ভারতীয় অর্থনিতির সঙ্গে সম্পর্কিত সব ক্ষেত্র যেমন শিল্প নীতি, কৃষি নীতি, বাণিজ্য নীতি - সবই নির্ধারিত ও পরিচালিত হত ইস্ট ইন্ডিয়ার কোম্পানির স্বার্থকে সামনে রেখে। ভুরিভুরি উদাহরণ রয়েছে কোম্পানির সঙ্গে তৎকালীন ভারত সরকারের এই অশুভ আঁতাতের। মাত্র দুটো উদাহরণ দেখুন।  ১৮৩২ সালে ভারতে রেলপথ স্থাপনের প্রস্তাব ওঠে। কেন? ব্রিটিশ পুঁজির বিনিয়োগের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা এবং বিদ্রোহ দমন সহ অন্যান্য সামরিক প্রয়োজন মেটানো। ভারতের সাধারণ মানুষের ভালোমন্দের বিষয় এখানে একরত্তিও গুরুত্ব পায়নি। ইচ্ছা করলেই রেলপথ নির্মাণের দায়িত্ব সরকার নিতে পারত। কিন্তু নেয় নি। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের পুঁজিপতিদের চাপে এই দায়িত্ব বেসরকারি ক

শাশুড়ি-বউয়ের সম্পর্ক

শাশুড়ি-বউয়ের এক হাড়ির ভাত খাওয়ানো আর বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খাওয়ানো - উভয় সমান। যে পুরুষ তা পারে, তাকে আর যাই বলা হোক, অশিক্ষিত বলা যাবে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অধিকাংশ শিক্ষিত মানুষই লেখাপড়া জানা মানুষ হয়। কিন্তু অধিকাংশ লেখাপড়া জানা মানুষ শিক্ষিত নাও হতে পারে। Relationship-betwee-mother-in-law-and-wife Relationship between mother-in-law and wife

নিজের সমস্যা সম্পর্কে মানুষের ধারণা

প্রায় সব মানুষই ভাবে, তার জীবনের সমস্যাটাই পৃথিবীর সব মানুষের সব সমস্যার চেয়েও বড় সমস্যা। এমন ভাবার কারণ হল, এক-জীবন সময়টা এত ছোট যে তা দিয়ে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে বিবর্তিত হয়ে আসা মানবজীবন ও তার মনস্তত্ত্ব বুঝতে পারা প্রায় অসম্ভব। ফলে আমাদের এই জীবনের ক্ষুদ্র পরিসরে এ বিশাল জগৎ ও জীবন জুড়ে যে জটিলতা বর্তমান তা বুঝতে পারাও প্রায় অসম্ভব। তবু আমরা চেষ্টা করি বোঝার। বুঝতে বুঝতে এমন একটা সময় আসে যখন আমার মনে হয় যে, এখন আমি সব বুঝতে শিখেছি। এটা একটা মারাত্মক ভ্রান্তি। এই ভ্রান্তিই আমাদের ভুলিয়ে রাখে যে, জীবনের শেষ ক্ষণে এসেও জগৎ ও জীবন সম্পর্কিত শিক্ষার শেষ হয়েছে ভাবাটা মস্ত বড় বোকামি। People's-perceptions-of-their-own-problems People's perceptions of their own problems

আপনি কী চালাক?

 কাছের লোকের অপরাধ বা ভুল দেখতে পান যিনি, তিনি হয় সৎ, নয় তো বোকা। চালাক মোটেও নয়। Are you clever? Are-you-clever

চালাক ও বুদ্ধিমান শব্দের পার্থক্য কোথায়?

চালাক হওয়ার চেয়ে বুদ্ধিমান হওয়া জরুরি। কারণ, চালাকির মধ্যে অসততার আস্ফালন থাকে আর বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে থাকে বৈধ যুক্তিবোধ, সততা ও সারল্যের প্রাচুর্যতা। এরাই সাফল্যের মূল চালিকাশক্তি। ফলে সততা সাফল্য বয়ে আনে আর চালাকি আনে অধঃপতন। চালাকির ভিত্তি হচ্ছে অসততা, আর বুদ্ধিমত্তার ভিত্তি সততা। তাই চালাক হওয়ার চেয়ে বুদ্ধিমান হওয়া জরুরি। কারণ, অসৎ  অসততা আরও এক অসত্যকে ডেকে আনে। ফলে সমস্যা আড়ে-বহরে বাড়তেই থাকে। অন্যদিকে সততা সমস্যাকে ডেকে তো আনেই না বরং তাকে সমূলে উৎখাত করতে সাহায্য করে। একটু খেয়াল করলেই দেখা যায়, একটা মিথ্যাকে ঢাকতে আরও চারটে মিথ্যার আশ্রয় নিতে হচ্ছে। কিন্তু সত্যকে কখনোই মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয় না। কারণ, সততার সঙ্গে সত্যের গভীর সম্পর্ক থাকে। সততাকে বাদ দিয়ে সত্য এক পা-ও চলতে পারে না। তাই বুদ্ধিমান লোকেরা কখনোই সততাকে উপেক্ষা করে না। উল্টোদিকে, মিথ্যাকে সব সময় অসততাকে আশ্রয় করেই চলতে হয়। কেননা, মিথ্যার সঙ্গে অসততার সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। মিথ্যা ছাড়া অসততা আর অসততা ছাড়া মিথ্যা কখনোই সক্রিয় হতে পারে না। সোজা কথায় এরা একে অপরের পরিপূরক। Where-is-the-difference-betwe

বর্তমান সময়েও ধর্মের টিকে থাকার কারণ

ধর্ম দু'ধরনের। একটা মানসিক বা মানবিক। অন্যটা প্রাতিষ্ঠানিক। মানবিক ধর্মের জন্ম হয় মানুষের অন্তরে। এর কোন প্রতিষ্ঠাতা নেই। মানুষের জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই তার অন্তরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে জন্ম নেয় এই ধর্মবোধ। অন্যদিকে, পূর্ণবয়স্ক একজন মানুষ তার অন্তরে জীবন ও জগত সম্পর্কে যে অভিজ্ঞতা, ভালোলাগা, ভালোবাসা ইত্যাদির জন্ম হয়, তার উপর ভিত্তি করে তার যে বিশ্বাস গড়ে ওঠে, তা-ই প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম। তাই এর প্রতিষ্ঠাতা আছে। আছে প্রচারক সংগঠন। একজন মানব শিশু যখন জন্মায় তখন তাকে শিখিয়ে দিতে হয় না মানুষকে ভালোবাসার কথা, টিফিন ভাগ করে খাওয়ার কথা। এগুলো তার মানবিক ধর্মের প্রতিফলন। এগুলো নিয়েই সে জন্মায়। কিন্তু তাকে শিখিয়ে দিতে হয় কে আপন, কে পর। তাকে শিখিয়ে দিতে হয় তার প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম কী। কীভাবে চালাকির আশ্রয় নিয়ে, সত্য গোপন করে, নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতে হয়। মৃত্যু ভয় ও রোগ-ব্যাধির ভয় আছে বলেই ধর্ম নামক প্রতিষ্ঠানটা এখনো টিকে আছে। যারা এই ভয় পায় না, তারাই প্রাতিষ্ঠানিক ধার্মিকদের কাছে নাস্তিক নামে পরিচিতি পেয়ে যায়। প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম তারা পালন করে না। অন্যদিকে মানব ধর্মকে তারা অক্ষরে অ

ধর্ম সম্পর্কে শিবাজী

ধর্ম সম্পর্কে শিবাজীর বক্তব্য ছত্রপতি শিবাজী অন্য কোন ধর্মের বিরুদ্ধাচারণ করার অর্থ নিজের ধর্ম পরিত্যাগ করা। জানেন, কে বলেছিলেন? বলেছিলেন ছত্রপতি শিবাজি। পাঠকের প্রতিক্রিয়া দেখুন ফেসবুকে

সত্য উপলব্ধির উপায় কী?

আমরা যা কিছু দেখি বা শুনি তাকে যুক্তি, বুদ্ধি এবং তথ্য দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে তার সত্য সত্য যাচাই করে তবে তাকে গ্রহণ বা বর্জন করতে হয়। এটাই সত্য উপলব্ধির একমাত্র উপায়। যারা এই উপায় অবলম্বন করে, তারাই প্রকৃত সত্যের সন্ধান পায়। এবং যারাই জগৎ ও জীবন সম্পর্কে এই চরম পরম প্রকৃত সত্যের সন্ধান পায় বা পাওয়ার চেষ্টা করে তারাই শিক্ষিত। What-is the-way-to-realize-the-truth

ধর্ম সম্পর্কে ঔরাংজেবের বক্তব্য

১৬৫৮ সাল। মেবারের রানা তখন রাজসিংহ। মুঘল সম্রাট লিখছেন রাজসিংহ কে, “বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষকে শান্তিতে দিন কাটাতে হলে একে অপরের ধর্মকে গ্রহণ করতে হবে। তবেই দেশের সমৃদ্ধি আসবে।” বলুন তো কে এই মুঘল সম্রাট? শুনলে বিভেদপন্থী রাজনীতিকরা চমকে যাবেন। নাম ঔরঙ্গজেব। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন তথ্যসূত্র : Nargis Akhter আবুল ফজলের লেখা পড়ুন।  অথবা, ন্যাশনাল বুক এজেন্সি একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস বই প্রকাশ করেছে। ওটা পড়তে পারেন। নাম ‘ভারতীয় সভ্যতার বিকাশের ধারা’।  এছাড়া মধ্যযুগের ভারত - সতীশ চন্দ্র, মধ্যকালীন ভারত - সম্পাদনা ইরফান হাবিব পড়ুন।

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

প্রার্থনার জন্য কী নামাজ পড়ার দরকার আছে?

What is the need to pray (Namaz) for prayer? সালাত ( যার প্রচলিত অর্থ নামাজ ) প্রার্থনা করার জন্য নয়। প্রার্থনার জন্য নির্জন বা নিভৃত স্থান দরকার হয়। যেখানে মন সংযোগের ব্যঘাত ঘটে না, সেটাই প্রার্থনার জন্য উত্তম স্থান। নামাজ বা সালাতের প্রধান উদ্দেশ্য হল কোরানের পাঠচক্র। এখানে মানুষ দলবদ্ধ হয়ে জীবনের সহজ সরলভাবে পথ চলার উপায় খোঁজার চেষ্টা করেন। ইসলামি ধর্ম দর্শন অনুযায়ী, কোরআনে তা সহজ ও সরলভাবে বর্ননা ও ব্যাখ্যা করা আছে। তাই নিয়মিত কোরান পাঠের মাধ্যমে তা খুঁজে বের করা এবং তা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার শক্তি অর্জন করাই নামাজে হাজির হওয়ার গুরুত্ব। কীভাবে 

সত্য মোটেও সহজপাচ্য নয়

Truth is not easy to digest সত্য মোটেই সহজপাচ্য নয়। স্বাভাবিক কারণেই সবার তা সহজে হজমও হয় না। তাই বদহজম এড়াতে, আমরা অজুহাত খুঁজি। যার অন্য নাম 'অসত্য বচন'। 'অসত্য বচন'-এর ভিত্তিভুমি হচ্ছে অসততা। আমরা অধিকাংশই জানি না, অসততার জন্ম হয় অশিক্ষার অন্ধকার থেকে।

নিন্মবর্গের মানুষ কীভাবে পিছিয়ে পড়েছেন? পাঠকের মত ও তার উত্তর - ৩

নিন্মবর্গের মানুষ কীভাবে পিছিয়ে পড়েছেন? পাঠকের মত ও তার উত্তর - ৩ Abunafiz Abunafiz মতামত দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। কোন বিষয়ে সবাই একমত হবেন এটা অবাস্তব কল্পনা। তাই সে কল্পনা আমি করি না। আপনার যেমন মনে হয়েছে, আপনি তেমন বলেছেন। তা বলার অধিকার আপনার আছে। তাই ক্ষমা করার প্রসঙ্গ অবান্তর। তবে ইতিহাসে যা আছে বলে বলছেন, তা আসলে ইতিহাস না। ইতিহাসের নামে বানানো গল্প। সে গল্প আপনি বিশ্বাস করতে পারেন, আবার নাও পারেন। আমি করি না। কারণ কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে সার্বিক বলে মনে করা ঠিক নয়। কিছু কথা বলেছেন আপনি আপনার আবেগের জায়গা থেকে। ইতিহাসে কোন আবেগের জায়গা নেই। মা বোনদের বিক্রি করা কিংবা নিলামে তোলা কোন ঐতিহাসিক সাধারণ ঘটনা নয়। স্বাধীনতা আন্দোলনে মুসলমানদেরকে কী ভূমিকা আছে তা ইতিহাস সচেতন মানুষ সবাই জানে। আমিও জানি। কিন্তু এই প্রবন্ধের উদ্দেশ্য তো সেটা প্রমাণ করা নয়। তাই তা বলা নেই এখানে। পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষই সুযোগ সন্ধানী। আমার মনে হয় সুযোগ সন্ধান না করাটা বোকামি। তবে তা সততার সঙ্গেই করা উচিত।  আমি মানুষকে উচুবর্ণ নিচু বর্ণ হিসেবে দেখিনা। মানুষের মধ্যে বর্ণভেদকে আমি মানি না। তথাকথিত উচুবর্ণে

বিজেপির হিন্দু-তাস ও বাঙালি জাতি

বিজেপির হিন্দু-তাস গিল্লেই বাঙালি জাতি নিজের স্বাতন্ত্র ও সংস্কৃতি হারাবে।

নিন্মবর্গের মানুষ কীভাবে পিছিয়ে পড়েছেন? পাঠকের মত ও তার উত্তর - ২

Bashisthadev Thakur কেমন স্ববিরোধী হয়ে গেল না সাথি, আপনার মতামত? প্রথমে বললেন আমার কথাটা ফালতু। আবার যুক্তি দিতে গিয়ে আমার কথাটাই তো তুলে আনলেন। ঠিক বুঝলাম না। কি বোঝাতে চাইলেন। বৌদ্ধ ধর্ম ভারতের সমাজবিন্যাস পাল্টায়নি? বলুন পাল্টে গেছে সেটা আপনার নজরে পড়েনি। 'অষ্টাঙ্গিক মার্গে'র কথা পড়েননি? যদিও পরিবর্তিত সমাজবিন্যাস বোঝার মত অবস্থায় বর্তমানে বৌদ্ধ ধর্ম নেই। ব্রাহ্মণ্য ধর্মের আক্রমণের মুখে তা তো সেই কবেই দেশছাড়া হয়ে গেছে। তাই না দেখতে পাওয়াটাই স্বাভাবিক। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে যান, দেখতে পাবেন বৌদ্ধ ধর্মের সমাজ বিন্যাস কেমন? বৌদ্ধধর্ম কোন রিলিজিয়ান ছিল না? কীভাবে বলছেন? 'হীনযান' 'মহাজানে'র কথা পড়েননি? খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে প্রতিবাদী আন্দোলনের ইতিহাস জানেন না? শুধু বৌদ্ধ ধর্ম না, ব্রাহ্মণ্য ধর্মের প্রতিবাদে সেই সময় ৬০টিরও বেশি ধর্ম সম্প্রদায়ের জন্ম হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত টিকে আছে দুটো। তাও তাদের এদেশে ঠাঁই হয়নি। এখনো ভারতের যেখানে যেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বৌদ্ধ ধর্মের মানুষ আছেন, তাদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেই এর উত্তর পেয়ে যাবেন। পূর্ববঙ্গে ইস

সত্য কী?

যে সত্য যার বিরুদ্ধে যায় তার কাছে তা-ই অসত্য হয় আসলে সাধারণ মানুষের কাছে সার্বজনীন ও চিরন্তন সত্য বলে কিছু নেই। ২০/০৮/২০২২, ৫ঃ৪৮ সন্ধ্যা। ছড়া আকারে দেখুন এখানে ক্লিক করে ।

নিন্মবর্গের মানুষ কীভাবে পিছিয়ে পড়েছেন? পাঠকের মত ও তার উত্তর

Subrata Kumar Biswas বিভাজন যাদের মজ্জাগত, এবং শোষনের হাতিয়ার, তারা ভারতের মানুষকে হাজার ভাগে বিভক্ত করবেন সেটাই স্বাভাবিক। আপনি যদি সেই দলের হন তবে আপনি ঠিকই বলেছেন। আমি আপনার দলে নই। আমি সমাজের মানুষকে দুইভাগে বিভক্ত হতে দেখেছি। সুবিধাভোগী আর সুবিধা বঞ্চিত। বুঝবার সুবিধার জন্য তাই তাদেরকে উচ্চবর্গ আর নিম্নবর্গ বলেছি। আপনি নিজেকে ‘সম্যক ধারণার’ অধিকারী বলে দাবি করছেন, অথচ উচ্চবর্গ এবং নিম্নবর্গ শব্দ দুটিকে উচ্চবর্ণ ও নিম্নবর্ণের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছেন। বুঝদার মানুষ হিসেবে আপনার বোঝা উচিত ছিল বর্গ আর বর্ণের পার্থক্যের কথা। হিন্দু সমাজ সম্পর্কে আমার কি ধারণা আছে তা প্রকাশ করার জন্য এই নিবন্ধ আমি লিখিনি। সুতরাং তা আপনি এখান থেকে পাবেন না।  আমার লেখার উদ্দেশ্য যেটা, সেটা প্রকাশ করার জন্য যেটুকু বলা দরকার সেটুকুই বলেছি। আপনি যদি সেটা ধরতে না পারেন, তার দায় বোধহয় আপনারই। আমার নয়। বুঝতে না পারলে জিজ্ঞাসা করতে পারতেন। তখন ব্যাখ্যার দায় খানিকটা আমার ওপর পড়ত বটে। কিন্তু আপনি তো সে পথে হাঁটেননি। নিজেকে পন্ডিত আর আমাকে মূর্খ ভেবেছেন। ভাবতেই পারেন। ভাবুন। কে  আটকাবে আপনাকে? তবে আমি নিজেক

ইতিহাস কী?

ইতিহাস কী? ইতিহাস হচ্ছে মানুষের তৃতীয় নয়ন। এই তৃতীয় নয়ন মানুষকে অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যৎকে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে। এই পর্যবেক্ষণই জগত এবং জীবনের প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। একজন মানুষ জগত ও জীবনের প্রকৃত সত্য যতটা উপলব্ধি করতে পারেন তিনি ততটাই শিক্ষিত। তাই ইতিহাস জানা এবং বোঝা ছাড়া একজন মানুষ পূর্ণাঙ্গ শিক্ষিত হতে পারেন না। খেয়াল করলেই বুঝতে পারি, জগতের সব বিষয়েরই ইতিহাস হয় বা আছে। অর্থাৎ সমস্ত বিষয়কে ঠিকঠাক বুঝতে আপনাকে ইতিহাসের সাহায্য নিতে হবে। যেমন, বিজ্ঞানকে বুঝতে বিজ্ঞানের ইতিহাস জানতে ও বুঝতে হবে, সাহিত্যকে বুঝতে সাহিত্যের ইতিহাস। একমাত্র ব্যতিক্রম ইতিহাস নিজেই। ইতিহাসকে বুঝতে অন্য কাউকে নয়, ইতিহাসেরই সাহায্য নিতে হয়। এই কারণে আমরা বিজ্ঞানের ইতিহাস আছে বলে জানি, সাহিত্যের ইতিহাস আছে জানি। কিন্তু উল্টোটা জানি না। অর্থাৎ ইতিহাসের বিজ্ঞান বা ইতিহাসের সাহিত্য আছে বলে কিছু হয় না। তাই, এককথায় ইতিহাসকে ধরতে হলে বলতে হবে, ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ। উল্লেখ্য, অনেকেই ইতিহাসের সংজ্ঞায় বিবরণের জায়গায় কাহিনি শব্দ ব্

রাজতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক শাসব্যবস্থায় রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ের সাধারণ মানুষের অবস্থা

রাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে সেনা বা শাসকের জীবন বিপন্ন হত। সাধারণ মানুষের জীবন বাজি রাখা হত না। এখন ঘটে উল্টো। অর্থাৎ গণতান্ত্রিক শাসব্যবস্থায় রাজনৈতিক নেতা বা শাসক নিরাপদ থাকে, বিপন্ন হয় সাধারণ মানুষের জীবন।

কোরআন বাংলায় পড়ার প্রয়োজন কেন

কোরআন না পড়ে তথাকথিত আলেম ও হুজুরদের কথা মত ধর্ম পালন করতে গেলে নবীজির সম্মান বাড়বে না বরং নষ্ট হবে। অনুগ্রহ একটু বাংলায় কোরআন পড়ার অভ্যাস করুন। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন 

শিক্ষা ও লেখাপড়ার মধ্যে সম্পর্ক কী?

শিক্ষা ও লেখাপড়ার মধ্যে সম্পর্ক কী? শিক্ষা হল একটি চলমান প্রক্রিয়া। এর শেষ হয় না। কিন্তু লেখাপড়া শেষ হয়। সর্বোচ্চ ডিগ্রি প্রাপ্তির মাধ্যমে তার সমাপ্তি ঘটে। তাই লেখাপড়া জানা মানুষ মাত্রই পূর্নমত্রায় শিক্ষিত হবেন তা কখনই বলা যায় না। লেখাপড়া শেষ করেই তাই প্রত্যেক মানুষের পড়াশোনা শুরু করা উচিত। এটা না করলে একজন মানুষ লেখাপড়ার মাধ্যমে যে শিক্ষা অর্জন করেছেন তা ক্রমশ হারাতে থাকবেন। একটা সময় গিয়ে তিনি তথাকথিত শিক্ষিত মানুষে রূপান্তরিত হয়ে যাবেন। শিক্ষিত হওয়ার এই প্রক্রিয়া মৃত্যুর মুহূর্ত পর্যন্ত চলমান থাকে। কারণ, এই সময়ও মানুষ কিছু উপলব্ধি করে যা সে এর পূর্বে করেনি। আর সেটা হল মৃত্যুর স্বাদ বা যন্ত্রনা যা এক বিশেষ ধরণের শিক্ষার জন্ম দেয়। কিন্তু এই অর্জিত শিক্ষা মানুষ তার জীবনে কাজে লাগাতে পারেন না। পৃথিবীতে এই একমাত্র শিক্ষা মানুষ লাভ করে যা সে চাইলেও তার জীবনে কাজে লাগাতে পারবেন না (এখনও পর্যন্ত, ভবিষ্যত জানিনা)। আসলে শিক্ষা আর লেখাপড়া দুটো ভিন্ন বিষয়। তবে উভয়ের সম্পর্ক গভীর। এরা একে অপরের পরিপূরক নয় বটে, তবে একমুখী এবং সমান্তরাল বলা যায়। লেখাপড়া কী? লেখাপড়া আসলে শিক্ষা

কোন পশু কুরবানী করা উচিৎ

বনের পশুর চেয়ে মনের পশুর কুরবানী অনেক বেশি জরুরি।

ধর্ম ও বিজ্ঞানের পার্থক্য

বিজ্ঞান অর্থ বিশেষ জ্ঞান। বিশেষ জ্ঞান হল সেই জ্ঞান যা অলংঘনীয়। এটাকেই আবার অন্যভাবে বলা হয় প্রাকৃতিক নিয়ম। একজন শিক্ষিত মানুষের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো তিনি এই প্রাকৃতিক নিয়মগুলো জানেন, বোঝেন এবং মেনে চলেন। যারা এটা মেনে চলেন না বা বোঝেন না তারা লেখাপড়া শিখতে পারেন কিন্তু শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারেননি। ধর্ম এ ধরনের কোনো বিশেষ জ্ঞান বা বিজ্ঞান নয়। অর্থাৎ প্রাকৃতিক নিয়ম নয়। এটা একটা সামাজিক নিয়ম বা বিধি যার ভিত্তি বিশ্বাস। এগুলো মেনে চললে কখনও কখনও মানুষের সমাজ জীবন ও ব্যক্তিজীবন অনেকটাই সুশৃঙ্খলিত হয়। জীবনযাত্রার মান কোন কোন ক্ষেত্রে বাড়ে। এই ইতিবাচক ফলাফল কেবল তখনই লক্ষ্য করা যায়, যখন এই বিধিবিধানগুলির সঙ্গে প্রাকৃতিক নিয়মের সামঞ্জস্য থাকে। তবে এই ধর্ম সেই ধর্ম নয়, যা প্রাতিষ্ঠানিক বা আচার-বিচার সর্বস্ব।

কার লাভ, কার ক্ষতি। ভেবে দেখুন মহামতি

রাষ্ট্রের সম্পদ (শিল্প-কারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) মানে জনগণের সম্পদ। তা যেমন আমার, তেমন একজন রিকশাচালকেরও। সেখানকার আয় ও শিক্ষা পরোক্ষভাবে আমরা সবাই লাভ করি। কখনও ভর্তুকি হিসেবে, আবার কখনো সামাজিক প্রকল্প হিসেবে। কিন্তু সেই সম্পদ যদি চলে যায় ধনিক বণিকদের হাতে, তবে তা কেবল তার (ধনিক ও বনিক শ্রেণির) সম্পত্তি হয়ে গেল।  তার লাভ খাবে কে? খুব সহজ উত্তর। খাবে কেবল ধনিক আর বনিক শ্রেণির মানুষ নিজেরাই। আপনি কি একথা বোঝেন? বুঝলে আপনার লাভ। না বুঝলে দেশের ধনিক ও বণিকদের লাভ। বনিকের টাকায় ভোটে জিতে আপনার সম্পত্তি (দেশের সম্পত্তি) বণিকদের হাতে তুলে দেবে। এতে অবাক হওয়ার কী কিছু আছে? না নেই। আর এই কারণেই একশ্রেণির রাজনৈতিক দল আপনার কাছ থেকে চাঁদা নেয় না রাজনৈতিক ফান্ডের জন্য। নেয় ধনিক ও বনিক শ্রেণির কাছ থেকে। আমি আপনি ভাবি দলগুলো কী ভালো, কী ভালো। আমাদের কাছ থেকে চাঁদা নেয় না। বোঝেন আপনি? বুঝলে আপনার লাভ। না বুঝলে দেশের ধনিক ও বণিকদের (কর্পোরেটদের) লাভ।  আমরা বোকা এবং অর্ধ-শিক্ষিত বলেই এই সত্য বুঝতে পারিনা। দেখুন ফেসবুক পেজে: এখানে ক্লিক করুন 
ধর্মান্ধ আর ধর্মবিদ্বেষী। একই মুদ্রার দুই পিঠ। সমাজের জন্য উভয়ই ভয়ংকর ক্ষতিকারক।

সভ্য সমাজের শ্রদ্ধা ও সম্মানের বিষয় কী?

সভ্য সমাজে জীবশ্রেষ্ঠ মানুষ, ধর্মশ্রেষ্ঠ মানবতা, আর চিন্তনশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানমনস্কতা ছাড়া আর কী কিছু আছে, যাকে শ্রদ্ধা কিম্বা সম্মান করা যায়? ১ জুলাই ২০০১৭ দেখুন ফেসবুকেই এখানে ক্লিক করুন ।

কোরআন শব্দের অর্থ

বারবার পড়। ইকরা শব্দের অর্থ পড়। আলেম অর্থ জ্ঞানী।

প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মকে যে কারণে আমি অপছন্দ করি

প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মকে যে কারণে আমি অপছন্দ করি উদয়পুরে কানাইয়ালালকে গলা কেটে হত্যা করা শুধু ধর্মবিরুদ্ধ নয়, মানবতাবিরোধী কাজ। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দরকার। প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মকে এই কারণে আমি অপছন্দ করি। ধর্ম ব্যক্তিগত বিশ্বাসের বিষয়। তা ব্যক্তিকেন্দ্রীক হওয়াই উচিত। প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম মানুষকে ধর্মান্ধ হতে শেখায়। তাই যতদিন মানুষ প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মকে অস্বীকার না করবে ততদিন ধর্মের নামে খুনোখুনি আর রাজনীতি বন্ধ হবে না।

ধর্মান্ধরা চারিদিকে নেচে নেচে বেড়াচ্ছে

ধর্মান্ধরা চারিদিকে নেচে নেচে বেড়াচ্ছে। উভয় সম্প্রদায়ের ধর্মান্ধরা একে অপরের পরিপূরক। তাই উভয় সম্প্রদায়কেই (সচেতন মানুষকে) এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ধর্মান্ধদের মানুষ ভয় করে, ভক্তি নয়

ধর্মান্ধদের মানুষ ভয় করে, ভক্তি নয়। ভক্তি করে কেবল আর একজন ধর্মান্ধই।

ধর্ম ও পেটের ক্ষিধে

ধর্ম আপনার মনের ক্ষুধা মেটাতে পারে (মানসিক প্রশান্তি এনে দিতে পারে), পেটের ক্ষুধা নয়। ব্যতিক্রম ধর্ম ব্যবসায়ীরা। এরাও না খেয়ে মরবে, যদি আপনি ধর্মটাকে যুক্তিবোধের ছাঁকনিতে ছাঁকতে পারেন।

আমরা কেন মার খাচ্ছি

এদেশের নিম্নবর্গের মানুষরা নিজেদের বাঁচাতে যুগ যুগ ধরে ধর্ম পরিবর্তন করেছে। কখনো বৌদ্ধ, কখনো মুসলিম, কখনো খ্রিস্টান হয়েছে তারা। কিন্তু কখনই নিজেদের চিন্তা-চেতনাকে পাল্টানোর কথা ভাবেনি। পরিবর্তন হচ্ছে প্রাকৃতিক নিয়ম। যারা এই নিয়ম মেনে সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে পারে তারাই লাভবান হয়,টিকে থাকে। পৃথিবীর যেকোন উন্নত জাতির দিকে তাকান, তারা দ্রুততার সঙ্গে এই পরিবর্তনকে মেনে নিজেদেরকে পুনর্গঠন করে নিয়েছে। যারা পারেনি বা নেয়নি তারাই মার খাচ্ছে। চিন জাপান ইউরোপ সহ যারাই এবং যখনই এই পরিবর্তন মেনে নিয়েছে তখনই উন্নত এবং শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। বিস্তারিত পড়ুন এখানে ক্লিক করে।

বিশ্বাস ও অন্ধবিশ্বাস : পার্থক্য

বিশ্বাস ও অন্ধবিশ্বাস : পার্থক্য  বিশ্বাস অবিশ্বাসের পার্থক্য : আলী হোসেন   সব অন্ধবিশ্বাসই বিশ্বাস কিন্তু সব বিশ্বাসই অন্ধবিশ্বাস নয়।

তুরস্কের নতুন নাম তুর্কিয়ে

তুরস্কের নাম পরিবর্তনের কারণ,তুরস্কের নতুন নাম, বাংলায় তুরস্ক, ইংরেজিতে টার্কি। কোনটাই এখন তুরস্কের নাম নয়। তাকে এখন থেকে নতুন নামে ডাকতে হবে:‘তুর্কিয়ে’। এই নামেই পরিচিত হতে চায় তারা সারা বিশ্বে। জাতি সংঘ গতকাল এই নাম গ্রহণ করেছে। কেন এই নামের পরিবর্তন? জাতিগোষ্ঠী,সভ্যতা,সংস্কৃতি ও মতাদর্শের সঙ্গে এই নামটি সামঞ্জ্যপূর্ণ। ইংরেজি শব্দ টার্কি আসলে একটি পাখির নাম। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি অভিধান অনুযায়ী শব্দটির অর্থ ‘বোকা মানুষ’ বা ‘ব্যর্থ হওয়া’ বোঝায়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তইয়েপ এরদোগান এই নামে দেশের পরিচিতিকে অসম্মাজনক বলে মনে করেন। তাই জাতি সংঘের কাছে নাম পরিবর্তনের আর্জি জানান তিনি। গত বুধবার  সেই নাম পরিবর্তনের আর্জিতে সীলমোহর দিয়েছে জাতিসংঘ। ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুরস্ক এখন তুর্কিয়ে নামে পরিচিতি লাভ করল। যদিও কয়েক মাস আগ থেকেই তুর্কিরা তাদের দেশকে তুর্কিয়ে বলেই অভিহিত করছেন। দেশের ঐতিহাসিক শহর ইস্তাম্বুলের জন্মের ৫৬৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে তারা দেশের এই নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। সারাবিশ্বে নতুন করে ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য এই নাম বেছে নেয়া

রেজাল্ট করার ক্ষেত্রে শিক্ষক বা অভিভাবকের ভূমিকা

ছাত্র বা ছাত্রীর ভালো রেজাল্ট করার ক্ষেত্রে শিক্ষক বা অভিভাবকের ভূমিকা কী এবং কতটা? আসলে এক্ষেত্রে অভিভাবকের ভূমিকার প্রধানত দুটি। একটা বৌদ্ধিক ও অন্য টি আর্থিক। এছাড়া তাদের আর কোনো ভূমিকা থাকে না। এক্ষেত্রে আর্থিক ভূমিকার চেয়ে বৌদ্ধিক ভূমিকার গুরুত্ব বেশি।এক্ষেত্রে শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভূমিকা আরও কম। কারণ,তারা একমাত্র বৌদ্ধিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন

সংসার আসলে একটা নৌকা

সংসার আসলে একটা নৌকার মতো। এই নৌকার দাঁড় ও হাল যদি সমমনস্ক হয় অর্থাৎ একই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকরী নীতি ও পদ্ধতি অবলম্বন করে তবে সে সহজেই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে। আর দুজন যদি দুই লক্ষ্য নিয়ে ভিন্ন পদ্ধতিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করে তবে তা বিলম্বিত হয় বা ব্যর্থ হয়। একটা সংসারে স্বামী ও স্ত্রী হল ওই দাঁড় এবং হালের মত। তাই এই দুইজন যদি একই লক্ষ্যে একই পদ্ধতিতে এগোতে চায় তবে সাফল্য অনেকটাই নিশ্চিত করা যায়। আর পরস্পরের মত ও পথ যদি পরস্পর বিপরীত মুখী হয় তবে তা সাফল্যের অন্তরায় তো হায়ই অনেক সময় ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়।

সাংবাদিকতা?হলুদ সাংবাদিকতা ? না কি সুপ্ত সাম্প্রদায়িকতা?

হলুদ সাংবাদিকতা? ---------------- কাশ্মীর। সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনজন মারা গেলেন। ১) শাহিদ শাকিলা (সাধারণ নাগরিক ২) জাভেদ আহমেদ (সরকারি কর্মী) 🔴 কোন খবর হল না। কয়দিন পর খুন হলেন ৩) রজনী বালা (কাশ্মীরি পন্ডিত, স্কুল শিক্ষিকা) 🛑 ছবিসহ বড় হেড লাইনে খরব হল :  “কাশ্মীরি পন্ডিত,তাই হত্যা এবার স্কুল শিক্ষিকাকে”। কী বলবেন? সাংবাদিকতা?হলুদ সাংবাদিকতা? না, সুপ্ত সাম্প্রদায়িকতা? 📰 গতকালের সংবাদপত্র দেখুন। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান মনস্ক হওয়া বা না হওয়া স্কুল না মাদ্রাসায় পড়ছি শুধুমাত্র তার ওপর নির্ভর করে না

বিজ্ঞান মনস্ক হওয়া না হওয়া স্কুল না মাদ্রাসায় পড়া তার ওপর নির্ভর করে না  আনন্দবাজার ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে ঃ "টাকা কি আটকাতে পারবে স্বপ্নকে?" "দশের মধ্যে স্থান, আজিজা-রৌনক-সানিয়াদের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নপূরণে বাধা হতে পারে টাকা" - খবরটি আনন্দবাজার পত্রিকা ফেসবুক পেজে শেয়ার করলে Anindita Dey মন্তব্য করেছেন, “মাদ্রাসা থেকে পাশ ডাক্তার হলে সেটা যেন লেখা থাকে ডিগ্ৰীতে” 😌 আমি লিখলাম, “বোন Anindita Dey তোমার প্রোফাইলের নিচে যে বিখ্যাত কবিতার লাইনটি লিখে রেখেছো, তুমি কি জানো, ওই লাইনের স্রষ্টাও একজন মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন?" Anindita তার উত্তরে যা লিখল তার মূল কথা  হলো : মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা করলে কেউ বিজ্ঞানমনস্ক হয়না, হয় সন্ত্রাসী। ✒️ এ প্রসঙ্গেই নিচের লেখাটা লেখা হয়েছে।✍️ ✍️ অনিন্দিতা কে খোলা চিঠি: আজ আনন্দবাজার অনলাইন খবর করেছে “দশ এর মধ্যে স্থান পাওয়া আজিজিয়া রৌণক ও সানিয়াদের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে বাধা হতে পারে টাকা।” ফেসবুক পেজে এই খবর শেয়ার করায় Anindita Dey মন্তব্য করেছেন : “মাদ্রাসা থেকে পাশ করা ডাক্তার হলে সেটা যেন লেখা থাকে ডিগ্রিতে”। অনি

যা খেয়ে হজম করা যায় না

যা খেয়ে হজম করা যায় না তাকে উগরে দেওয়ায় ভাল। আপনার প্রত্যেক কথার উত্তর নীচে দেওয়া হল। 1) আপনার মাকে বলতে শুনেছি এতটাকা কোনো মেয়ের বিয়েয় দেয়নি । দ্বিতীয়তঃ  টাকাটা আমি পন হিসাবে নেয়নি, ধার হিসাবে নিয়েছি। অতএব ধার শোধ করা বাঞ্ছনীয়। আপনি বলছেন চাকরির টাকা বলে টাকা দিচ্ছি? আপনিও আমাকে চাকরির টাকায় দিয়েছিলেন। তাছাড়া যে বছর চাকরি হয় সেই বছর ভাবি ( অহনার মা )বলেছিল চাকরি আপনার হবে না। তখন ভাড়া থাকতেন সেখ পাড়ায়। এতে যদি প্রমাণিত না হয় সানা কে জিজ্ঞাসা করবেন। আর আড়াই হাজার টাকা নিয়ে আপনার আব্বা ঠিক যা বলেছিল তা হল ----"আলি বলে তোমার আড়িই হাজার টাকা দিয়েছে।" **আর সম্পর্ক বাঁধা থাকে কতগুলো সুতোয়,সেগুলো যত ছেঁড়ে সম্পর্ক তত দূর্বল হয়।    **আপনি আমার পিছনে কিছু সময় ব্যয় করেছেন।যেমন - তিন বার ইন্টারভিউ,একবার কাউন্সিলিং,একবার স্কুল দেখতে যাওয়া।আর আপনাদের কারোরই কিছু করিনি এমন কিন্তু নয়। তাছাড়া আমি লোককে যেমন উপকার করেছি লোকে আমাকে তেমন উপকার ফিরিয়ে ছিয়েছে। সব ঋন টাকা দিয়ে শৌধ হয় না তবুও যতটা হয় তার চেষ্টা।আপনার টাকা আমি কোনো অহঙ্কারের বশে ফেরত দিচ্ছি না। শুকর

শিক্ষক দিবস : এক অনন্য অনুভুতি

আজ শিক্ষক দিবস আজ শিক্ষক দিবস। ম্যাসেঞ্জার-এ উপচে পড়া শুভেচ্ছা বার্তা আর  শ্রদ্ধার বন্যা দেখে আমি আপ্লুত না হয়ে পারছি না। ছেলেমেয়েদের এই ভালোবাসাই মনে করিয়ে দিল কিছু স্মৃতি, যা  অবশ্যই স্কুল জীবনের। আজ ভারতজুড়ে যে অবিশ্বাসের ঝোড়ো হাওয়া মানুষকে অস্থির করে তুলছে প্রায়শঃই, তা আমি প্রায় দেখিনি বললেই চলে। ছোট থেকে যে পরিমন্ডলে বড় হয়ে উঠেছি সেখানে এসবের প্রায় কিছুই ছিলোনা। যা ছিল তা একেবারেই অন্য রকম। আর আমার এই অন্য রকম অভিজ্ঞতা হওয়ার মূলে যে মানুষটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তিনি একজন শিক্ষক। তবে তিনি কোনও স্কুলে পড়াতেন না। বুঝতেই পারছেন তিনি আসলে একজন গৃহ-শিক্ষক। আজ এই শিক্ষক দিবসে ছেলেমেয়েদের ভালোবাসার জোয়ারে ভাসতে ভাসতে তাই কখন যেন পৌঁছে গেলাম গাইঘাটার যমুনা নদীর পাড়ে, যেখানকার একটি অনামি গ্রামের মানুষ আমার জীবনে দ্বিতীয় পিতা হয়ে এসেছিলেন। তিনি এসেছিলেন বলেই আজ আমি অসংখ্য ছেলেমেয়েদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছি।  কী নাম তাঁর? নিশ্চয় অনুমান করছেন রহিম, করিম, বা এই রকম কেউ হবেন তিনি? ভুল বুঝেছেন। এমন হলে এলেখার সূচনা অন্য রকম হত। কে সেই মানুষ, যাকে আমি দ্বিতী

ধর্ম কী

ধর্ম আসলে একটা পোশাক, যা আমাদের বহিরঙ্গের পরিচয় দেয়। শিক্ষা হচ্ছে আমার আত্মা যা অন্তরাত্মার পরিচয় দেয়। সত্যিকার মানুষের পরিচয় দেয় এই শিক্ষা। আকাডেমিক শিক্ষা আসলে একটি মাধ্যম যা প্রকৃত শিক্ষা অর্জনে সাহায্য করে।

লেনিনের মূর্তি ভাঙা

লেনিনের মূর্তি ভাঙা  যারা গতকাল গড়বেতায় লেনিনের মূর্তি ভাঙলেন তারা হতভাগ্য। কারণ পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলে যেমন প্রত্যুষে বসে গভীর রাতের অন্ধকারের গভীরতা উপলব্ধি করা যায় না, তেমনই রুশ বিপ্লব পূর্ববর্তী পৃথিবীতে খেটে খাওয়া মানুষের যে করুন অবস্থা ছিল তাও এই সময় বসে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। যারা লেনিনের মূর্তি ভাঙলেন, তারা সে কারণেই উপলব্ধি করতে পারলেন না যে, তারা কত বড় হতভাগ্য মানুষ। মানব সভ্যতার ইতিহাসের বিবর্তন যারা পড়েছেন, তারা জানেন, আজ যেটুকু অধিকার এই হতভাগ্য মানুষগুলো ভোগ করছেন তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল এই মানুষটির (লেনিন) হাত ধরেই। ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা আজ যেটুকু অধিকার মেহনতী মানুষকে দিয়েছে, তা বাধ্য হয়েই দিয়েছে। বাধ্য হওয়ার পিছনে যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি, তিনি আর কেউ নন, এই মানুষটিই। ভি আই লেনিন। এদের দুর্ভাগ্য, তারা এই ইতিহাস জানে না, যাদের নির্দেশে তারা লেনিনের মূর্তি ভাঙলেন, তারা কিন্তু এই ইতিহাস জানে। জানে বলেই তারা ভয় পায়। ভয় পায় এই ব্যক্তির ভূমিকা জেনে এবং তাঁর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যদি এই বঞ্চিত মানুষগুলো আবার রুখে দাঁড়ায় পুঁজিবাদের ধারক ও বাহকদে

করপোরেট মিডিয়া আসলে তোতাপাখি : ইসরাইল, ভারতের সহ গোটা পৃথিবীতেই তারা এক সুরে গান গায়

ইসরাইলের তোতা পাখি পশ্চিমী মিডিয়া আর ভারতে বিজেপির তোতাপাখি ভারতীয় করপোরেট মিডিয়া যা নিন্দুকেরা 'গোদী মিডিয়া' নামে অভিহিত করে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনা সম্পর্কে ইসরাইল যা বলে ইউরোপ ও আমেরিকার মিডিয়া তোতা পাখির মতো তা-ই প্রচার করে। সাংবাদিকতার প্রধান প্রধান শর্তগুলোকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইসরাইলের দেওয়া তথ্যই তারা প্রচার করে অন্ধ ও নির্ল্জভাবে। ভারতের ক্ষেত্রেও করপোরেট মিডিয়া সেটাই করে। আসলে মিডিয়ার মালিক হচ্ছেন করপোরেট পুঁজির মালিক বা পুঁজিপতিরা। এরা কি কখনও নিজের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় - এমন খবর, তথ্য বা তত্ত্ব প্রচার করবে? করবে না, করেও না। আর এটাই স্বাভাবিক। আমরা দেশের অধিকাংশ মানুষই জানি না এই সত্য। এও জানি না যে, সাধারণ মানুষের স্বার্থের সঙ্গে কর্পোরেটদের স্বার্থ পরস্পর বিপরীত মেরুর। এরা একে ওপরের পরিপূরক নয়। যদিও পরিপূরক হিসেবেই ওরা দেখাতে চায়। প্রচারও সেভাবেই করে। কিন্তু সত্য হল,  কর্পোরেটরা চায় সমাজে আর্থিক বৈষম্য থাক। কারণ, বৈষম্য জন্ম দেয় অভাব। অভাব থাকলেই অভাবীকে কম মজুরিতে খাটানো যায় এবং তার ফলেই পুঁজির পাহাড় জমানো সম্ভব হয়। সুতরাং যেকোন মূল্যে বৈষম্য ট

বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারের জন্য টিভি চ্যানেল করা কি সম্ভব?

বাঙালির সমস্ত ভুবন মিলে একটি সাধারণ সংবাদ ,সংস্কৃতির চ্যানেল করা সম্ভব?বাংলাদেশ ,পশ্চিম বাংলা,অসম,ত্রিপুরা বা ঝাড়খণ্ড সব জায়গা থেকেই সেটি পরিচালিত ও অ্যাকসেস করা সম্ভব। প্রস্তাবটি ভালো এবং অবশ্যই প্রয়োজনীয়। কিন্তু টাকা দেবে কে? পুঁজিই তো আসল চালিকা শক্তি। আর পুঁজির মালিকরা শুধু পুঁজি বাড়াতেই পুঁজি বিনিয়োগ করতে ব্যস্ত থাকে। বাঙালির সংস্কৃতি রক্ষায় পুঁজি বিনিয়োগ করার মত বাঙালি পুঁজির মালিক কি আছে? থাকলে কোথায়? ক্লাউড ফান্ডিংই এক্ষেত্রে একমাত্র বিকল্প। কিন্তু সেখানেও সমস্যা আছে। এই ধরণের ফান্ডিংয়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার মানুষের আবেগ ও সহানুভূতি। বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতি সম্পর্কে আম জনতার সেই আবেগ ও সহানুভূতি কি আছে অবশিষ্ট ? আমার মনে হয়, নেই বললেই চলে। না থাকার কারণও আছে। সেখানেও চলছে পুঁজির খেলা। উত্তর ও পশ্চিম ভারতীয় করপোরেট পুঁজির মালিকরা বেশ পরিকল্পনা করে বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতিকে মুছে দিতে চেষ্টা করছে। এবং আম বাঙালি অতি উৎসাহের সঙ্গে সেই পরিকল্পনার সঙ্গে নিজের শরীর ও মনকে ভাসিয়ে দিচ্ছে। প্রতিদিন বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো (যার সবকটাই উত্তর পশ্চিম ভারতীয় পুঁজিপতিদের দ্বার

সাধারণত্বের মধ্যেই থাকে অসাধারণত্ব

অসাধারণ কথাগুলো সাধারণভাবে বলার মধ্যেও থাকে এক ধরনের অসাধারণত্ব। এভাবে বলার ক্ষমতা যাদের থাকে তারাই প্রকৃতপক্ষে অসাধারণ।

রাজ ভিক্ষা

ভক্ত বানাও ফ্রীতে যত অন্ধত্ব তত রাজত্ব, খুশির খবর শোনো পেলে শিক্ষা রাজ ভিক্ষা, চাইবে না কেউ কোনো চাইবে যা তা দুর্মূল্য, না চাও যদি দিতে শিক্ষা দীক্ষা লাটে তুলে, ভক্ত বানাও ফ্রীতে। 24/05/2022, 11:22 AM

ইতিহাসের কাজ বীর পূজা করা নয়

ইতিহাসের কাজ বীর পূজা করা নয়, তার কাজ নির্মোহ এবং নৈর্ব্যক্তিকভাবে সত্যকে তুলে ধরা। একাজে দরকার যুক্তি, বুদ্ধি, ও তথ্যের সাহায্যে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে বিচার-বিশ্লেষণ করে সত্যে উপনীত হওয়ার মত মনস্তাত্ত্বিক শক্তি। এই শক্তির নাম বিজ্ঞান মানসিকতা বা বিজ্ঞানমনস্কতা। বীরপূজা রাজনীতিকের কাজ, বিশেষ করে দক্ষিণপন্থী রাজনীতিবিদরা এটাকে একটা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। বামপন্থী রাজনৈতিকরা যদি এই পথের পথিক হয়, তাহলে বুঝতে হবে এই বামপন্থা ক্রমশ দক্ষিণ পন্থার দিকে ঢলে পড়ছে। ঐতিহাসিকদের বা ইতিহাসবীদর কাজ হচ্ছে রাজনীতিকদের কবল থেকে ইতিহাসকে মুক্ত রাখা। ইতিহাসকে নৈর্ব্যক্তিক চেহারায় টিকিয়ে রাখা।

ধর্মীয় নয়, মানবতাবাদী ভাবাবেগই একটি জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

যে দেশে মানবতাবাদি ভাবাবেগের চেয়ে ধর্মীয় ভাবাবেগ বেশি গুরুত্ব পায় সে দেশ বা জাতি পিছিয়ে পড়তে বাধ্য। আমরা তাই পিছিয়ে পড়ছি। প্রসঙ্গ : 

কোরআন পাঠের তাৎপর্য

এখন কোরআন পড়ছি। যত পড়ছি, গভীরে ঢুকছি, তত মনে হচ্ছে চারপাশে মুসলমানের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কেন বলুন তো এমন মনে হচ্ছে? কারণ, কো রা নি (কোরআন অনুসরণকারী) মুসলমানের চেয়ে দেশে হাদিসি (হাদিস অনুসরণকারী) মুসলমানের সংখ্যা ভয়ঙ্কর রকম বেশি।  তাতে সমস্যা কোথায়? বিস্তারিত পড়ুন এখানে ক্লিক করে

হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না, কারণ অসাম্যই হিংসার জন্ম দেয়।

হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না। তাকে সাময়িকভাবে দমিয়ে রাখা যায় মাত্র। মানুষের সমান অধিকার কায়েম করার মধ্য দিয়েই আসে হিংসার সমাপ্তি। কারণ, অসাম্যই জন্ম দেয় হিংসার এবং অসাম্যই হিংসার একমাত্র কারণ। গতকাল নতুন করে কাশ্মীরে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যা সেটাই প্রমাণ করে। এ দায় রাষ্ট্রশক্তিকেই (সরকারকে) নিতে হবে। কারণ, তারই একমাত্র দায় থাকে মানুষের জীবন ও নিরাপত্তা বিধানকল্পে সমাজ থেকে অসাম্য দূর করে একটি সুস্থ্য ও শোষণহীন সমাজ গড়ে তোলার। আর সেটা সেটা না করে, আলোচনা ও সমানাধিকারের প্রশ্নকে উপেক্ষা করে, হিংসা দিয়ে হিংসার মোকাবেলার রাস্তায় যারা হেঁটেছেন তারা এর দায় এড়াতে পারেন না। যারা বিভাজনের অস্ত্র ব্যবহার করে, অসাম্য জিইয়ে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চায়, তারাই একমাত্র দায়বদ্ধ এর জন্য। বন্ধ হোক সাধারণ মানুষকে জিম্মি রেখে বিভাজনকারী রাজনীতিকদের রাজনৈতিক চালাকি। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন 

সমালোচনা আর খিল্লি এক নয়

বামপন্থা খিল্লি শেখায় না, শেখায় গঠনমূলক সমালোচনা। সমালোচনা সৃষ্টিশীল আর খিল্লি ধ্বংসাত্মক বিকারগ্রস্থ মানসিকতার পরিচয় বহন করে। জন্ম দেয় অপসংস্কৃতির, যা বামপন্থার পক্ষে অস্বাস্থ্যকর। যে প্রক্রিয়ায় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে একাদেমির পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তা হয় তো সমালোচনার উর্ধে নয়। হয় তো বলছি এই কারণে যে, তাঁর লেখা আমি পড়িনি। কারও সমালোচনা করতে হলে তাঁর সম্পর্কে গভীরভাবে জানা প্রয়োজন, তাঁর লেখার সঙ্গে প্রত্যক্ষ পরিচয় থাকা দরকার, যা আমার নেই। রাজনৈতিক বিশ্বাস বা আদর্শগত পার্থক্য আছে যাদের, তারা রাজনৈতিক ইস্যুতে সমালোচনা করবেন - সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু লেখক হিসাবে তাঁর সমালোচনা করার সময়, তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় উপেক্ষণীয় না হলেও তা কখনই প্রধান বা একমাত্র বিষয় হিসাবে বিবেচিত হয় না - একথা মনে রাখা প্রয়োজন। বিস্তারিত পড়ুন এখানে ক্লিক করে

বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের মূল্য

বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের মূল্য বিশ্বাসের চেয়ে অবিশ্বাসের মূল্য বেশি। কারণ অবিশ্বাস সত্য অনুসন্ধানের সাহায্য করে এবং বিশ্বাস অন্ধত্বকে ডেকে আনে; বলা ভালো প্রশ্রয় দেয়। আমি যখন কোনো কিছুকে বিশ্বাস করি, তখন তা প্রশ্নহীন সিদ্ধান্ত হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে যে কথাটা আমি বিশ্বাস করছি, সেই কথার বক্তার দ্বারা আমি সম্মোহিত হয়ে যাই। তাই প্রশ্ন করার অবকাশ এখানে থাকে না। যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্য দিয়ে যাচাই করার যুক্তিবাদী চিন্তাশক্তি এক্ষেত্রে কার্যকর থাকে না। তাহলে কি বিশ্বাসের কোন মূল্য নেই? আছে। বিশ্বাস মানুষের মনকে শান্ত করে। আবার অশান্তও করে। কিন্তু যখন দুশ্চিন্তায় শরীর ও মনের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে অথচ দুশ্চিন্তার সত্যিই কোন কারণ নেই তখন বিশ্বাসই মনের জোর বাড়িয়ে দেয়। এসময় ঝাড় ফুঁক বা জল পড়া-পানি পড়াতেও কাজ হয়। ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস এবং সেই বিশ্বাসে ভর করে প্রার্থনায় বসেও মানুষের মনের মুক্তি আসে। উল্টো দিকে, যদি স্বাস্থ্যহানির কারণ হয় শারিরীক, তবে এই বিশ্বাস সাময়িক কাজে আসলেও দীর্ঘমেয়াদী ফললাভ হয় না।

সম্মোহন কী? সম্মোহন করার ক্ষমতা কার বেশি?

সম্মোহন কী? সম্মোহন করার ক্ষমতা কার বেশি? পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই কারও না কারও দ্বারা সম্মোহিত। জন্মের পর থেকেই এই সম্মোহন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রথম শুরু করেন তার মা। মা হচ্ছেন সদ্যজাত মানুষের প্রথম এবং শক্তিশালী সম্মোহনকারী।

মা

মা হচ্ছেন পৃথিবীর বেহেস্তি (স্বর্গ) বাগান। সন্তান হচ্ছে তার মালি। কিন্তু সেই মা যদি হন অবুঝ, তবে সন্তানের কাছে এই দুনিয়াই হয়ে ওঠে দোজখ যন্ত্রণার আঁধার কূপ। তবে  উপেক্ষা করার ক্ষমতা যারা রাখে, তারা নিরাপদ থাকে বটে, কিন্তু প্রিয় বেহেস্তি বাগানটা তার তছনছ হয়ে যায়, সবার অলক্ষ্যে। কিন্তু এই বাগানটা যে অক্ষত রাখার চেষ্টা করে, সেই হল প্রকৃত মানুষ, সত্যিকারের মালি।

গো হত্যা, এ অন্ধত্ব কাটবে কবে?

গরিব মানুষ গরুর মাংস খেলে বা তা নিয়ে ব্যবসা করলে গোমাতা হত্যার অপরাধ হয়। আর কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা গো হত্যা করে বিদেশে মাংস রপ্তানি করলে তা অপরাধ নয়। সাধারণ জনগণ এই সত্য জানা সত্বেও অন্ধ হয়ে থাকে কি করে? এ অন্ধত্ব কাটবে কবে? এই মুহূর্তে গোটা পৃথিবীতে গো-মাংস রপ্তানিতে ভারত শীর্ষ স্থান অধিকার করে রেখেছে। সারা পৃথিবীর ১৯.৭ শতাংশ গোমাংস ভারত একাই রপ্তানি করে। গরিব মানুষ করলে গো হত্যা আর কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা করলে বৈদেশিক মুদ্রা? মনে রাখা দরকার, ঋকবেদে দেবরাজ ইন্দ্র একাধিক শ্লোকে বলেছেন,  পঁয়ত্রিশটি বলদ, ষাড়, তিনশত মহিষ আগুনে পুড়িয়ে রোস্ট করে তাকে খেতে দেয়া হয়েছে। দেবতা অগ্নির প্রিয় খাদ্য ছিল গরু, মহিষ, বলদ, ঘোড়া ইত্যাদির মাংস। দেবতাদের খাদ্যাভ্যাস যে সম্পূর্ণ দুগ্ধজাত দ্রব্য ও গো-মাংসের উপর নির্ভরশীল ছিল তার অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে ঋকবেদে। অশ্বমেধ যজ্ঞে গো উৎসর্গ ছিল প্রধানতম রীতি। ঋগ্বেদ পরবর্তী তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণ, তৈত্তিরীয় সংহিতা, গোপথ ব্রাহ্মণ বা অথর্ব বেদে খাদ্য হিসাবে যে গোমাংসের উৎকর্ষতা স্বীকার করা হয়েছে একথা বেদ খুললেই জানা যায়। শুধু তাই নয়, ঋগ্বেদ পরবর্তী একাধিক গ্রন্

বিজেপির দ্বিচারিতা

৩৭০ নিয়ে বিজেপি অন্দোলন করে। কিন্তু ৩৭১ নং ধারা নিয়ে চুপ কেন?

প্রকৃত ধর্ম বিদ্বেষ শেখায় না

মানুষ হয়েও যারা জাত ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষ পোষণ করেন এবং তা ছড়ান, তিনি মানুষ তো নয়ই, ধার্মিকও নয়।  কারণ প্রকৃত ধর্ম (সে যে ধর্মই হোক) মানুষকে ভালোবাসতে শেখায়। বিদ্বেষ শেখায় বকধার্মিক বা ধর্ম ব্যবসায়ীরা। এই বিদ্বেষ ভযঙ্কর হয়ে ওঠে যখন তা রাজনৈতিক নেতারা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে।

ভারত আমার বাবা, বাংলা আমার মা

ভারত আমার বাবা, বাংলা আমার মা ভারত আমার বাবা এবং বাংলা আমার মায়ের মত। আমি কাউকে অস্বীকার করতে পারি না। মাকে মুছে ফেলে বাবাকে নিয়ে নাচানাচি করতে পারি না। যারা একদেশ একজাতির নাম করে এককেন্দ্রিক শাসনের কথা বলছেন, তারা জীবনের এই দ্বৈত সত্তাকে অস্বীকার করছেন। এতে একটা পরিবারের বন্ধন যেমন আলগা হয়ে ভঙ্গুর হয়ে যাজায়,তেমনি এই এককেন্দ্রিক শাসনের ভাবনা দেশের জাতীয়তাবাদকে নড়বড় করে দেবে।

দোষ খোঁজার দোষ

পরের দোষ খুঁজছেন, খুঁজুন। এটা আপনার একটা অন্যতম নৈতিক দায়িত্ব। তবে তার আগে নিজের দোষ খুঁজুন। কারণ, পরের দোষ খোঁজার চেয়ে নিজের দোষ খোঁজার প্রয়োজন বেশি। কেননা, নিজের দোষ, অন্যকে দোষ করতে উৎসাহিত অথবা প্ররোচিত করে; যার দায় আপনি এড়িয়ে যেতে পারেন না। এবং তা পরোক্ষে নিজেরই ক্ষতি ডেকে আনে। তাছাড়া, এটা না করতে পারলে অন্যের দোষ খোঁজার অধিকারও জন্মায় না।

কি পড়ব, কেন পড়ব

জানার জন্য ইতিহাস আর বিজ্ঞান পড়তে হয়। আর জানা বিষয়কে বোঝার জন্য বা বোঝার ক্ষমতা অর্জনের জন্য ইতিহাস, দর্শন ও যুক্তি বিজ্ঞান পড়তে হয়।

মনুষ্যত্বের আদর্শ ও তার উৎস

বিন কাসিম,  জগৎ ও জীবন থেকে শিক্ষা নিলেই আদর্শের সন্ধান পাওয়া যায়। সততা আর ভালোবাসার মধ্যেই সেই আদর্শ নিহিত আছে। অনুসন্ধিৎসু মন আর যুক্তিবাদী চিন্তাশক্তি থাকলেই সেই আদর্শের সন্ধান মানুষ নিজে নিজে, নিজের মধ্যেই খুঁজে পাবে। তাই মানুষ নিজেই নিজের আদর্শ। কারণ, মানুষের মধ্যেই নিহিত রয়েছে মনুষ্যত্বের ও সততার আদর্শ। এটা তার জন্মগত। খেয়াল করলে দেখবেন, একজন শিশু, যার মধ্যে জগতের ধান্দাবাজ ও অসৎ মানুষের প্রভাব পড়েনি, সে যা দেখে সেটাই বলে দেয় এবং অন্যের দুঃখ কষ্টে কাতর হয়। অর্থাৎ সেটা (সততা ও ভালোবাসার আদর্শ) জাগানো ও তার অনুশীলন করার জন্য চাই সততা ও ভালোবাসায় মোড়া একটা মন, যেটা শিশু বয়সে মানুষের মধ্যে সাধারণভাবেই থাকে, জন্মসূত্রেই পায়। সেটার চর্চা যে করে মনুষ্যত্বের আদর্শ তার মধ্যে নিজে নিজেই জন্ম নেয়। এবং জীবনে সে অনুসরণও করে। এর জন্য আস্তিকতা বা নাস্তিকতার চর্চার প্রয়োজন হয় না। আমি আপনার ক্ষতি করলে আপনিও আমার ক্ষতির চেষ্টা করতে পারেন এটা বোঝার জন্য অন্য কিছুই লাগে না, একটা যুক্তিবাদী চেতনা বা মন ছাড়া। আর এটার উদাহরণ জগৎ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। তাই এটা পাওয়ার জন্য আস্তিক বা নাস্

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে