সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2024 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার স্বরূপ

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার স্বরূপ আমরা সবাই স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করি। একটা সময় পাশ করে বের হই। প্রমাণ হিসেবে সঙ্গে থাকে একগুচ্ছ সার্টিফিকেট। শিক্ষা শেষে যদি নিজেকে প্রশ্ন করি, কী পেলাম? সহজ উত্তর হল, শিক্ষা। এই শিক্ষাটা , আসলে একটা খোসাওয়ালা রসুনের মত। বাইরে থেকে দেখলে পুরোটাই রসুন এবং রসুনের মত গুণমান সম্পন্ন বলে মনে হয়। প্রশ্ন হল, আসলেই কি তা-ই? উত্তর হল, ‘না’। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আসলে একটা খোসাওয়ালা আস্ত রসুনের মতো, যার সাথে কিছু অবাঞ্চিত এবং গুরুত্বহীন অংশ যুক্ত থাকে। অর্থাৎ এর পুরোটাই রসুন নয়। রসুনের প্রকৃত সত্তায় পৌঁছাতে গেলে আমাদের তাকে বাড়িতে এনে সযত্নে একটা একটা করে তার খোসাগুলো ছাড়িয়ে ফেলতে হয়। অবাঞ্চিত অংশগুলো সাবধানে বাদ দিতে হয়। তারপর একটা সময় আমরা তার প্রকৃত-সত্তার সাথে পরিচিত হতে পারি। ঠিক তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে প্রকৃত শিক্ষায় পৌঁছাতে গেলে আমাদের রসুনের খোসা ছাড়ানোর মত করে তার সংগে জড়িয়ে থাকা অসার বিষয়গুলো সরিয়ে ফেলতে হয়। যুক্তি, বুদ্ধি এবং আরও আরও তথ্য সহযোগে বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই কাজটি সম্পন্ন করতে হয়। এই প্রক্রিয়ার সহজ অর্থ হল, প্রাতিষ...

শিক্ষার দুরবস্থা ও তার কারণ

শিক্ষার দুরবস্থা ও তার কারণ শিক্ষকদের দায়ী করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে না দাদা। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, পড়াশোনাটা স্কুল ও পরিবার — এই যৌথ প্রচেষ্টার ফসল। তাই দুই তরফকেই দায়িত্ব নিতে হবে। একটাকে ছেড়ে অন্যটার ঘাড়ে দায় চাপিয়ে দিলেই সমস্যার সমাধান হবে না। মনে রাখতে হবে, অন্য কাজের মত পড়াশোনাকে জোর করে করানো যায় না। ভয় দেখিয়েও হয় না। যে করবে, তার ইচ্ছা থাকাটাও জরুরী। এই ইচ্ছা তৈরিতে তার বাড়ির পরিবার ও পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। এই পরিবেশ যদি পরিবার তৈরি করতে না পারে, স্কুলের ক্ষমতা নেই তাকে পড়াশোনায় ধরে রাখবে এবং তাকে ভালো রেজাল্ট করাবে। তাই পরিবারের পরিবেশ অনুকূল থাকাটাও জরুরী। এই পরিবেশ তৈরিতে অর্থের ভূমিকা থাকলেও তা প্রধান নয়। প্রধান হল পিতা-মাতার শিক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা ও তার দায়বদ্ধতা। সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের যোগ্যতার কমতি নেই। ফাঁকি দেওয়ার মানসিকতা খুবই সামান্য পরিমাণ শিক্ষকের মধ্যে থাকে। শ্রেণীবিভক্ত সমাজ ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় এটাকে শূন্যে আনা অবাস্তব ভাবনা। তাই এটা কখনোই মূল সমস্যা নয়। তাই তাদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলে, ‘অ...

কারা হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়ায়?

কারা হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়ায়? ব্যর্থতার ভার বইতে না পারার কারণে মানুষ মানসিক ভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। নিজের ব্যর্থতার দায় ঝেড়ে ফেলে, সহজেই মনের বাসনা পূরণের আশায় ঘৃণা ও বিদ্বেষের পথ বেছে নেয়। কারণ, হতাশাকে কাটিয়ে সফল হওয়ার নৈতিক ও যৌক্তিক পথ যারা খুঁজে পায় না, তারাই ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে সফল হওয়ার চেষ্টা করে। অবলীলায় এরা মানুষ হয়েও আর একজন মানুষকে হত্যা করে বসে। অশিক্ষিত ও অযোগ্য হতাশা গ্রস্থ নেতাদের কাছে এরাই দাবার বড়ে হয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। সুতরাং যারা ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ায় এবং সমর্থন করে তারা আসলেই হতাশাগ্রস্থ মানুষ। এদের সঙ্গ এড়িয়ে চলতে পারে তারাই প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ, তিনি লেখাপড়া জানুন আর না জানুন। সাধারণ মানুষ, যাদের মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি, তারা ইতিবাচক ভাবনার চেয়ে নেতিবাচক ভাবনার দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়, আন্দোলিত হয়। এদেরকে সহজেই ঘৃণা ও বিদ্বেষ ভাষণের দ্বারা সহজেই নিজের নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। ঘৃণা এবং বিদ্বেষের চর্চা যারা করে, নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য যারা এই চর্চাকে কাজে লাগায়, তাদের অনুসারীরাদের অধিকাংশই বেকার ও হতাশাগ্রস্থ যুব সম্প্রদায়ের ...

জ্ঞান মানুষকে সহিষ্ণু করে

জ্ঞান মানুষকে সহিষ্ণু করে জগত ও জীবন সম্পর্কে সঠিক (পরম) জ্ঞান মানুষকে সহিষ্ণু করে তোলে। অজ্ঞানতা হিংস্র করে তোলে। তাই প্রকৃত জ্ঞানী মানুষ কখনও সহিষ্ণুতার বিপক্ষে কথা বলতে পারেন না। Absolute knowledge about the world and life makes people tolerant. Ignorance makes violent. So a truly wise man can never speak against tolerance.

ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ালে কাদের লাভ?

ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ালে কাদের লাভ? টিভি এবং সোস্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখা যাচ্ছে না। ঘৃণা আর বিদ্বেষ ভাষণে ছেয়ে গেছে এইসব প্ল্যাটফর্ম। সাম্প্রতিক কালে (৫ আগষ্ট ২০২৪) বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে। গণ আন্দোলনের জেরে সেখানে রাজনৈতিক ক্ষমতায় বদল ঘটেছে। তাকে কেন্দ্র করেই এই পরিস্থিতি।  সেখানে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার কতটা সত্যি, কতটা মিথ্যা — আমরা, যারা সাধারণ মানুষ, তাদের পক্ষে তা জানা বা বোঝা খুবই কঠিন। সত্য মিথ্যা যাই হোক, তা জানা, বোঝা এবং তা নিবারণের ক্ষমতা আছে একমাত্র রাষ্টের হাতে। সেদেশের সরকারের দায়িত্ব সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া। তারা ব্যর্থ হলে তার প্রতিবাদ বা চাপ সৃষ্টি করার রীতি ও নীতি দুইই আছে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইন ও তা প্রয়োগের নির্দিষ্ট পথও আছে। প্রত্যেক দেশের কেন্দ্রীয় সরকার সেই পথ অবলম্বন করে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য অভিযুক্ত দেশের ওপর চাপ তৈরি করতে পারে। আমরা সাধারণ মানুষ, কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর দাবি করতে পারি সেই চাপ তৈরির প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে। কিন্ত আমরা যেটা পারিনা, তা হল এই বিষয় নিয়ে এমনভাবে ...

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য সফল হলে, সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম তোমার বাবা-মা। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, তাঁরা চাইলেও আজীবন তোমার সঙ্গে থাকতে পারবেন না। সফল হলে সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম বাবা-মা। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হওয়া জরুরী। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রধান পরিচয় (মানুষ হিসাবে) নির্ণায়ক মাপকাঠি। তাই এই অর্থব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রাথমিক লক্ষ্য। এটা পূর্ণ হওয়ার পরই কেবল অন্যান্য লক্ষ্যে এগোনোর কথা ভাবা উচিৎ। প্রসঙ্গত বলে রাখি, অন্য লক্ষ্য মানে মানুষে জন্য কিছু করা, সমাজের জন্য যতটা সম্ভব অবদান রাখা। একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ এই লক্ষ্যকে অস্বীকার করতে পারেন না। এখন প্রশ্ন হল, এই সাফল্যের প্রধান চাবিকাঠি কী? চাবিকাঠি হল শিক্ষা। উপযুক্ত শিক্ষাই একমাত্র তোমাকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। সুতরাং শিক্ষা অর্জনকে প্রাথমিক পর্যায়ে একমাত্র লক্ষ্য করতে হবে এবং শিক্ষা অর্জনের এই প্রচেষ্টাকে সাধনার পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তবেই তুমি সফল হবে। সফল হলেই সবাই তোমার, সবই তোমার। ----------xx----------

ভারত উপমহাদেশের ভরকেন্দ্র

ভারত উপমহাদেশের ভরকেন্দ্র ভারত হল ভারতীয় উপমহাদেশের ভরকেন্দ্র। ভারত হাসলে এই উপমহাদেশ হাসবে, কাঁদলে কাঁদবে। ভারত ধর্মনিরপেক্ষ থাকলে, তারাও ধর্মনিরপেক্ষ থাকতে বাধ্য হবে। উপমহাদেশের অতীত ও বর্তমান ইতিহাস ও অবস্থা সেকথাই প্রমাণ করছে। সমগ্র উপমহাদেশকে এই সত্য স্মরণ রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, এই সুযোগে যদি ভারত সহ কোন একটি দেশের সরকার অন্য কোন দেশকে কাঁদাতে চায়, তার প্রভাব অনিবার্যভাবে সেই দেশেও যেমন পড়বে, তেমনই ভারতেও পড়বে। বৃহৎ শক্তি হিসেবে, এক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকাই হবে নিয়ন্ত্রক এবং অতীব গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলো যে ধর্মনিরপেক্ষ ছিল, তার অন্যতম প্রধান কারণ, ভারত ধর্মনিরপেক্ষতাকে মোটামুটি গুরুত্ব দিত এবং তার পরিচর্যা করত। আজ ভারত সরকার সেই অবস্থায় নেই। তাই চারপাশটায় টালমাটাল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।  ----------xx----------

সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য

সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য : মিথ্যার সে শক্তি নেই, যে সত্যকে ঢেকে দেবে। কারণ, মিথ্যার ভিত্তি হল অর্ধ-সত্য কিম্বা অপ-তথ্য, যা চালাকির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর সত্যের ভিত্তি হল এক সাধারণ ন্যায়, নীতি আর বাস্তবতা, যা যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্য দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে পাওয়া যায়। সুতরাং মিথ্যার সাথে সত্যকে গুলিয়ে দেওয়া, কিম্বা সত্যকে মিথ্যা সাহায্যে স্থায়ী ভাবে ঢেকে ফেলা বা মুছে ফেলা যায় না।

পরিবার ভেঙে যায় কেন?

পরিবার ভেঙে যায় কেন? একটা পরিবার ভেঙে যায় কখন? যখন পরিবারের সদস্যরা পরস্পর পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস হারায়। কারণ, পরস্পরের প্রতি বিশ্বাসই হল সেই বন্ধন, যা সকলকে একসূত্রে বেঁধে রাখে। বিশ্বাস ভাঙ্গার প্রধান লক্ষণ হল, কোন কিছু গোপন করা। পরিবারের একজন সদস্য যখন আরেকজন সদস্যকে কোন কিছু গোপন করে, তখন জন্ম নেয় সন্দেহ। ‘ সন্দেহ ’ হল সেই ‘ স্টেম সেল ’ বা কোষ যা ক্যান্সারের মত ছড়িয়ে পড়ে এবং পরস্পরের প্রতি বিদ্যমান ‘ বিশ্বাস ’ নামক ‘ স্টেম কোষকে ’ নষ্ট করে দেয়। ফলে বিশ্বাস বাড়ার পরিবর্তে কমতে থাকে এবং সন্দেহ কমার পরিবর্তে বাড়তে থাকে। এটা হল একটা পরিবারকে ভেঙ্গে ফেলার জন্য বিকল্পহীন আদর্শ পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতি যখন কোনো প্রয়োজন পরিবারে জন্ম নেয়, সে পরিবার ভেঙে যেতে বাধ্য। গোপন করার মুলে রয়েছে লোভ ও কাউকে বঞ্চিত করে, অন্ধকারে রেখে, অধিক লাভবান হওয়ার সুপ্ত ইচ্ছা। সুতরাং একটা পরিবারকে শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করানোর একমাত্র উপায় হল লোভ সংবরণ করা এবং অপরকে বঞ্চিত করে নিজেকে আরও লাভবান করে তোলার ইচ্ছাকে দমন করা। একটা করতে পারলেই পরিবারের ভাঙ্গন রোধ করা যায় এবং পরিবার উত্তরোত্তর উন্নতি ও সমৃ...

ভারতীয় মধ্যবিত্তের চরিত্র

ভারতীয় মধ্যবিত্তের চরিত্র ভারতীয় মধ্যবিত্ত শ্রেণির একটা বড় অংশই একাধারে চরম স্বার্থপর, নির্বোধ (বোধ বুদ্ধিহীন); কিন্তু প্রচন্ড চালাক এবং ধর্মান্ধ। আর এটা আজ থেকে নয়, ঐতিহাসিক কাল থেকেই তাদের এই চরিত্রের প্রকাশ ঘটেছে। ইদানিং এটা বেড়েছে। এরা ব্যক্তি এবং শ্রেণি স্বার্থে করতে পারে না এমন কাজ নেই বললেই চলে।

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ও তার ভিত্তি

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ও তার ভিত্তি বাংলাদেশ ভারতের এমন এক প্রতিবেশী, যে ভারত যেভাবে পথ দেখাবে, তারাও সেভাবেই চলবে। চলছেও তাই। আরও একটু পরিষ্কার করে বললে সেটা হবে এমন, ভারতের শাসক দল যে নীতিতে চলবে, বাংলাদেশেও সেই নীতি মাথাচাড়া দেবে। এটা একটা স্বাভাবিক প্রবণতা।  ভারতে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ যখন শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে ছিল, সেই প্রেক্ষাপটেই বাংলাদেশ ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং সফল হয়েছে। এবং সেখানে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ছিল। সুতরাং এখানে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা শক্তিশালী হলে, ওখানেও তা হবে। হতে বাধ্য। এখানে ধর্মান্ধতা বাড়লে, ওখানেও বাড়বে। এখানে সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে ওখানেও সেই পরিস্থিতি তৈরি হবে। বড়দের দেখেই তো ছোটরা শেখে। তাই না? তাই দু দেশের সরকারেরই গুরুত্ব সহকারে সংখ্যালঘুদের জীবন ও সম্পত্তির এবং নাগরিক অধিকারের নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে। এক জায়গায় তা ক্ষুন্ন হলে অন্য জায়গায় তার প্রতিক্রিয়া আসতে বাধ্য। এটা উভয় সরকারকে বুঝতে হবে।

ধর্মনিরপেক্ষতা কেন এবং কতটা জরুরী

ধর্মনিরপেক্ষতা কেন এবং কতটা জরুরী ভারতের মতো বহুজাতিক রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করার অপরিহার্য দর্শন হলো ধর্মনিরপেক্ষতা। ধর্মনিরপেক্ষতা আধুনিক রাষ্ট্র দর্শনের একটি অপরিহার্য অঙ্গ। এটাকে বাদ দিলে আপনাকে প্রাচীন যুগে সরে যেতে হবে। যেখানে রাজনীতিকে কন্ট্রোল করার বিষয়ে দুটো পরস্পর বিরোধী শক্তির মধ্যে সীমাহীন সংঘাতের জন্ম দিয়েছিল। গৃহযুদ্ধ যেখানে রাজনীতির অপরিহার্য অঙ্গ ছিল। রাষ্ট্রনেতা আর ধর্ম নেতার মধ্যে এই দ্বন্দ্ব জীবন এবং সম্পদের অবলীলায় ধ্বংস ডেকে এনেছে। মানব সভ্যতা লক্ষ্য লক্ষ্য বছর ধরে স্থবির হয়ে পড়েছিল। উন্নয়ন ছিল অধরা। সাধারণ মানুষের জীবন ছিল দাস ব্যবস্থার মোড়কে আষ্টেপৃষ্ঠে বাধা। আমাদের ভাবতে হবে, আমরা কি সেখানে ফিরে যেতে চাই। না উন্নত থেকে উন্নততর কোন রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থায় বেঁচে থাকতে চাই। গড়ে তুলতে চাই একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র ব্যবস্থা যেখানে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে কিন্তু প্রতি হিংসা নয়। যেখানে মানুষ থাকবেন, কিন্তু জাতি হিংসা নয়। পৃথিবীর উন্নত ও শক্তিশালী বহুজাতিক দেশগুলো এভাবেই শক্তিশালী হয়েছে। যারা একথা ভুলে যাচ্ছেন, তারা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত বলে দাবি করতে প...

দীর্ঘ জীবন লাভের উপায়

দীর্ঘ জীবন লাভের উপায় দীর্ঘ জীবন লাভের জন্য প্রয়োজন দুটো জিনিস। একটা হল জীবনভর কঠোর পরিশ্রম। দ্বিতীয়টা হল পরিমিত ও সময় মত প্রাকৃতিক খাদ্য গ্রহণ। আমার ক্ষেত্রে প্রথমটা ঠিকঠাক হয়েছে। এখনও ঠিকঠাক আছে। কিন্তু দ্বিতীয়টার  ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর ঘাটতি রয়ে গেছে। আজ, তা পূরণ করার সামর্থ্য থাকলেও, সম্ভব নয়। কারণ, সব কিছু খওয়ার অভ্যাসটাই তৈরি হয়নি। এই বয়েসে তা নতুন করে তৈরি করা সম্ভবও নয়। তাই বহুদিন বেঁচে থাকার বাসনা আমার নেই। তবে, চেষ্টা করি যে ক’দিন বাঁচি, যেন ভালভাবে, আনন্দের সঙ্গে বাঁচি। মানুষের জন্য, মানুষের সাথে বাঁচি। তার জন্য প্রাকৃতিক ও রাষ্ট্রীয় নিয়ম কানুন মেনে চলার চেষ্টা করি। কিন্তু আধুনিক সাস্থ্যবিজ্ঞান বলছে, শুধু শরীর ভালো রাখলেই হবে না। মনকেও ভালো রাখতে হবে। আর ভোগবাদী সমাজ ও অর্থব্যবস্থায় মন ভালো রাখা খুবই কঠিন কাজ। কারণ, নিজের মন শুধুমাত্র নিজের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী প্রভাব থাকে পরিবারের খুব কাছের মানুষগুলোর। এই কাছের মানুষগুলোই হল একজন মানুষের আশা আকাঙ্খা পূরণের একমাত্র অবলম্বন। তাই তারা মুখ ফেরালে, মনের ওপর গভীর চাপ তৈরি হয়। মানুষ হতাশ...

ধর্ম বোঝার উপায়

ধর্ম বোঝার উপায় ধর্মকে বুঝতে হলে কেবল ধার্মিক হলেই হবে না, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়াও জরুরী। বিশেষভাবে, যুক্তিবিজ্ঞান জানা ও বোঝা জরুরী। না হলে, ধর্মের নামে অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার —এক কথায় অধর্ম আপনাকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে।

নারীবাদ কী? নারীবাদী হওয়া কী যৌক্তিক?

নারীবাদ কী? নারীবাদী হওয়া কী যৌক্তিক? নারীবাদ, কোন বিশ্বাস নয়, এটা একটা ধারণা বা মতবাদ। এই মতবাদ অনুসারে, একজন নারী একজন মানুষ হিসাবে ‘পূর্ণ মানবিক অধিকার ও মর্যাদা’ দাবি করে। অর্থাৎ একজন নারী তার অর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে লিঙ্গ ভেদে সমতার দাবি করে। এই মতবাদের ওপর ভিত্তি করে প্রথমে ইউরোপে এবং ক্রমশ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছে তা ‘নারী আন্দোলন’ নামে পরিচিতি। মূলত আধুনিক ইউরোপীয় চিন্তাধারা থেকে এই আন্দোলনের উৎপত্তি। খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দীতে রোমান রাষ্ট্রনায়ক মার্কাস পোরসিয়াস ক্যাটো নারীদের ব্যয়বহুল পণ্য ব্যবহার সীমিত করার জন্য একটি আইন করার চেষ্টা করলে, রোমান মহিলারা ক্যাপিটোলিন হিল (রাষ্টনেতার দূর্গ) অবরোধ করেন। এই ঘটনায় ক্যাটো আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, এবং কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “যদি তারা আপনার সমান হতে শুরু করে, তারা আপনার ঊর্ধ্বতন হয়ে উঠবে।” (As soon as they begin to be your equals, they will have become your superiors.” — Encyclopædia Britannica ) ১৪ শতকের শেষ এবং ১৫ শতকের প্রথম দিকে ফ্রান্সে, প্রথম নারীবাদী দার্শনিক, ক্রিস্টি...

সম্মান কী শুধু শিক্ষকের প্রাপ্য?

সম্মান কী শুধু শিক্ষকের প্রাপ্য? শিশুমঙ্গল (রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান) থেকে নিজের কান দেখিয়ে ফিরছি। ওষুধ কিনতে হবে, তাই অটো থেকে নেমে গেলাম। ঢুকলাম ওষুধের দোকানে...। ওষুধও নেওয়া হল। এবার দাম মেটানোর পালা। এমন সময় করিম ভাই ঢুকলেন। সঙ্গে একজন ভদ্রলোক। করিম ভাই আমাকে দেখেই অবাক হয়ে গেলেন। জিজ্ঞাস করলেন, আপনি এখানে? আমি বললাম, ‘হু...।’ ওষুধ নিচ্ছি— বলার সুযোগ দিলেন না। জিজ্ঞেস করলেন, অফিস জাননি? আমি বললাম, ছুটি তো! করিম ভাই দ্বিতীয়বার অবাক হলেন! তারপর, যেন সম্বিত ফিরে পেলেন। বললেন, ‘ওহ! আপনি তো আবার মাস্টারমশাই। মাস্টার মানেই ছুটি।’ সঙ্গে এক গাল (দাঁত বের করে) হাসি। হাসির মধ্যে যে উপহাসটা ছিল, সেটা ওনার সঙ্গে থাকা ভদ্রলোক, সম্ভবত আমার আগেই বুঝেছেন। তাই আমার প্রতিক্রিয়া দেওয়ার আগেই বললেন, এভাবে বলবেন না। শিক্ষকতা অত্যন্ত সম্মানের পেশা এবং শিক্ষক সমাজ সবচেয়ে বেশি সম্মান পাওয়ার যোগ্য একমাত্র সাম্প্রদায়। কথাগুলো বলার সাথে সাথে তিনি অভিনয় করে দেখালেন, ওনার শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা হলে, এই বয়সেও কীভাবে তাঁদের প্রণাম করেন। ভদ্রলোকের উল্টো দিকে বসে আছেন আর একজন ভদ্রলোক (সম্ভবত, ওষুধের ...

পৃথিবীজুড়ে অশান্তির মূল কারণ

পৃথিবীজুড়ে অশান্তির মূল কারণ পৃথিবীর সিংহভাগ মানুষ শান্তির পক্ষে, ভালোবাসার পক্ষে। তবুও পৃথিবীতে শান্তি ও ভালোবাসা ‘বড়ই বাড়ন্ত’। কারণ, সিংহভাগ রাজনীতিক ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অথবা ক্ষমতায় আসার জন্য এ-দুটোকে জিম্মি করে আর হিংসা ও ঘৃণার বেসাতি করে।

ধর্ম চেনার উপায়

ধর্ম চেনার উপায় হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিকদের দেখে যেমন হিন্দু ধর্মকে বোঝা যায় না, তেমনি ইসলামিক রাষ্ট্রবাদীদের কার্যকলাপ দেখে ইসলাম ধর্মকে চেনা যাবে না।

ভুল ধরার সময় যা আমরা ভুলে যাই

ভুল ধরার সময় যা আমরা ভুলে যাই কেউ যদি কিছু করে এবং তা যদি ভুল হয়, মনে রাখতে হবে, আমরা যদি সেটাই করি, তবে সেটাও সমান ভুল। আমাদের সমস্যা হল, অন্যের ভুলকে ভুল বলার সময়, নিজের করা ভুলকে ভুলে যাই এবং সগর্বে সেটাকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করি এই বলে যে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করা উচিত --------xx-------

প্রিয় হয়ে ওঠার কারণ কী?

প্রিয় হয়ে ওঠার কারণ কী? প্রিয় হওয়ার উপায় কী? আমরা হর-হামেশাই বলে থাকি ‘সে আমার প্রিয়’ বা ‘আমি তার খুব প্রিয় মানুষ’। কিংবা বলে থাকি, ও আমার ভালবাসার মানুষ। কেউ কেউ গর্ব করে বর্ননা করেন, কারও কাছে কীভাবে তিনি একজন প্রিয় মানুষ হয়ে উঠেছেন তার দারুণ কাহিনি। প্রশ্ন হল, একজন মানুষ কীভাবে আরেকজন মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন? এই প্রশ্নটার একটি যথাযথ উত্তর দীর্ঘদিন ধরে খুঁজেছি। কারণ, আমি কখনও কারও প্রিয় মানুষ হয়ে উঠতে পেরেছি বলে মনে হয়নি। বলা ভালো, তেমন গুণের অধিকারী বলে কেউ আমাকে এখনও প্রত্যায়িত করেনি। কেউ করলেও তার মধ্যে যে কতটা নিঃশর্ত আন্তরিকতা রয়েছে, সে বিষয়ে আমি এখনও সংশয়াতীত হতে পারিনি। অথচ প্রিয় মানুষ বা ভালো মানুষ হয়ে ওঠার বাসনা, অন্য অনেকের মত, আমার মধ্যেও আছে। ছোটবেলা থেকেই রয়েছে। বিশেষ করে মায়ের কাছে প্রিয় সন্তান হয়ে ওঠার অদম্য বাসনা আমার এখনও পূরণ হয়নি। ফলে সব সময় এই বিষয়টা আমার মাথায় ঘুরপাক খায়। মাঝে মাঝে অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব করি। ব্যর্থতার চাপে। সঙ্গে চেষ্টা করি, প্রত্যেক মানুষের কাছে, বিশেষ করে আমার মায়ের কাছে, তার একজন প্রিয় সন্তান হিসেবে নিজেকে তুলে ধর...

বড়ো হওয়ার বয়স কত?

বড়ো হওয়ার বয়স কত? বড়ো হওয়ার কোন শেষ নেই। তা মৃত্যুর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। শারীরিক ও বৌদ্ধিক —কোনদিক দিয়েই কেউ দাবি করতে পারে না, বড়ো হওয়ার শেষ সীমা সে অতিক্রম করেছে। একজন মানুষ প্রতিদিন এবং প্রতি মুহূর্ত বয়সে এবং বুদ্ধিতে বাড়তে থাকে।

পড়াশোনার সঙ্গে শিক্ষার সম্পর্ক

পড়াশোনার সঙ্গে শিক্ষার সম্পর্ক কিভাবে পড়াশোনা করা উচিত এবং কেন পড়াশোনা যদি বুঝে বুঝে না করা হয়, তবে তা মানুষের জীবনে কোন কাজে আসে না। কারণ, পড়াশোনার মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষিত হওয়া। এবং শিক্ষিত হওয়ার একমাত্র উপায় হল পড়াশোনা করা। আর এই পড়াশোনা যখন বুঝে বুঝে করা হয় তখনই বেরিয়ে আসে জগৎ ও জীবনের গভীর রহস্য ও সত্য। জগৎ ও জীবন সম্পর্কে এই সত্য উপলব্ধি করার অর্থই হলো শিক্ষা। আপনি শিক্ষিত মানে এই সত্য আপনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন, সেই উপলব্ধি কি আপনি ব্যবহারিক বা তাত্ত্বিক জীবনে প্রয়োগ করতে পারেন, এবং তার ফলাফল মূল্যায়ন করতে পারেন। সেই সঙ্গে সেই সত্যই যে আসল সত্য তা যাচাইও করতে পারেন। এই সামগ্রিক সক্ষমতার নামই হল শিক্ষা।  এই শিক্ষাই মানুষের জীবনে কাজে লাগে। নিজের জীবন এবং সমাজকে উন্নততর পর্যায়ে পৌঁছে দিতে এই শিক্ষাই একমাত্র হাতিয়ার। এটাই শিক্ষার কাজ । বুঝে বুঝে না পড়লে, এই হাতিয়ার আপনি স্পর্শ করতে পারবেন না। জোর করে স্পর্শ করার চেষ্টা করলে, তা অনর্থক, কখনো কখনো ননর্থক ফলাফল বয়ে আনবে। যা জীবনকে সহজ করার পরিবর্তে আরো জটিল আবর্তের মধ্যে ঠেলে দেবে। তাই আমাদের মনে রাখতে হবে : পড়া...

মৌলবাদী কারা?

মৌলবাদী কারা? মৌলবাদের কোন দেশ হয় না সাথি Goutam Ra y আমার কাছে মানুষের একটিই পরিচয় আর তা হল, সে শুধুমাত্র মানুষ। সেখানে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান... —এসবের কিছুই নেই। ধর্মীয় পরিচয় ধুরন্ধর রাজনীতিকদের (যাদের সিংহভাগ স্বৈরশাসক) তৈরি করা ও তাদের দ্বারা চাপিয়ে দেওয়া একটি কৃত্রিম সত্তা। যতদিন না আপনি নিজে এবং পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে এই চাপিয়ে দেওয়া পরিচয় সম্পর্কে সচেতন করতে পারবেন এবং এই পরিচয়ের বাইরে মনুষ্যত্বের সার্বিক পরিচয়ের আঙিনায় জড়ো করতে পারবেন, ততদিন মুক্তি নেই। তাই মানুষ আর মানবতার পক্ষে আমার কণ্ঠ কখনও বন্ধ হয় না। সে পৃথিবীর যে প্রান্তেই হোক। আমি আমার লেখার মাধ্যমে তা প্রকাশও করি। সময় পেলে। সবকিছু আমি ফেসবুকে লিখিনা। আমার নিজস্ব ব্লগ আছে। চাইলে সেখানে উঁকি (https://alirkotha.blogspot.com) দিতে পারেন। সমস্যা কোথায় জানেন? এই চেষ্টা যুগ যুগ ধরে কিছু মানুষ করে চলেছেন। কিন্তু কেউই সম্পূর্ণ সফল হতে পারেননি। এই না পারার পিছনেও রয়েছে পরবর্তীকালের রাজনৈতিকদের ক্ষমতালিপ্সা। এটা করতে গিয়েই যীশু খ্রীষ্ট ক্রুশবিদ্ধ হয়েছেন, হযরত মুহাম্মদ বিষ প্রয়োগের শিকার হয়েছেন, শ্রী চৈতন...

শিক্ষার কাজ কী?

শিক্ষার কাজ কী? “শিক্ষা সত্যের সন্ধান দেয়, অসত্যকে চিহ্নিত করে।” জগৎ এবং জীবন পরিচালিত হয় দুই ধরনের নিয়ম অনুযায়ী। একটি প্রাকৃতিক নিয়ম, অন্যটি রাষ্ট্রীয় আইন। এই দুই আইন জানা বোঝা ও প্রয়োগ করার সক্ষমতাই হল শিক্ষা। এই সক্ষমতা অর্জন করতে পারলেই সত্যের সন্ধান পাওয়া যায়।  এই সত্যই মানদণ্ড হিসাবে ব্যবহার করলে অসত্য খুঁজে পাওয়া যায়। তাই শিক্ষার কাজ হল সত্যের সন্ধান দেয়া এবং অসত্যকে খুঁজে বের করতে সাহায্য করা।  যিনি এই কাজ সঠিকভাবে করতে পারেন তিনিই শিক্ষিত। মনে রাখতে হবে, এ পৃথিবীতে সম্পূর্ণ শিক্ষা অর্জন করা কোন ব্যক্তির পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয়। তাই পূর্ণাঙ্গ শিক্ষিত মানুষ আপনি পাবেন না এবং নিজেও হতে পারবেন না। অর্থাৎ শিক্ষা একটা চলমান এবং সীমাহীন প্রক্রিয়া, যা যুগ যুগ ধরে পরিমার্জিত ও পরিবর্তিত হচ্ছে। এই ধারা পৃথিবীর অস্তিত্ব যতদিন থাকবে ততদিন বজায় থাকবে। সুতরাং সুতরাং, প্রতিটি মানুষের কাজ হল জগৎ ও জীবন পরিচালিত হবার নিয়ম অর্থাৎ প্রাকৃতিক ও রাষ্ট্রীয় আইন গুলো সম্পর্কে জানা বোঝা এবং তা প্রয়োগ করার সক্ষমতা অর্জন করার আজীবন প্রক্রিয়ায় নিজেকে নিয়োজিত রাখা।  এই কা...

ধনতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোর স্বরূপ

ধনতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোর স্বরূপ সরকার পাল্টায় কিন্তু সমাজ পাল্টায় না কেন? ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্র-ব্যবস্থায় বিশ্বাসী প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল আসলে একটি আরেকটির পরিপূরক। একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। তাই প্রকৃতপক্ষে কোন সরকারের দুর্নীতির বা সাধারণ জনগণের ওপর চালানো শোষণ বা নির্যাতনের কোন বিচার হয় না। বিচারের দাবিতে আন্দোলন হয়, শুধুমাত্র ক্ষমতায় ফেরার তাগিদে। ক্ষমতায় আসলে তারা বেমালুম চেপে যায় দুর্নীতি শাসন নির্যাতন সম্পর্কে সঠিক বিচারের প্রক্রিয়াকে। রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন করে অন্যায় অবিচার বা দুর্নীতি রোধ করার জন্য নয়, করে ক্ষমতায় আসার জন্য। ফলে সরকার পাল্টায়, কিন্তু সমাজ সংসার পাল্টায় না। অন্যায় অপরাধ দুর্নীতি কমে না, উল্টে আরও এক নতুন পর্বের সূচনা হয়। জনগণ সমাজ বদলের নেশায় অঘোরে শুধু জীবন দিয়ে যায়। বদলা নয়, বদল চাই। শুনতে দারুন ভালো লাগে। মানবিক মূল্যবোধে মোড়া এই স্লোগানের মধ্যে রয়েছে এক দারুণ মন্ত্র যা রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিশ্রুতি ভুলে যাওয়া এবং নিজেকে আর একজন শোষকে পরিণত করার কার্যকরী উপায়।  বদলা শব্দের মধ্যে যে প্রতিহিংসা রয়েছে তাকে তো মান্যতা দেয়া ...

মানব সভ্যতার স্বরূপ

মানব সভ্যতার স্বরূপ মানুষ স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক বিষয়, কিন্তু মানব সভ্যতা কৃত্রিম। তাই তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। প্রত্যেক কৃত্রিম বিষয়ের যেমন থাকে। প্রকৃতি তার ইচ্ছেমতো বিশ্ব প্রকৃতিকে সাজিয়েছেন। তার সেই ইচ্ছারই সর্বশ্রেষ্ঠ প্রকাশ হল মানুষ। তাই মানুষ একটি প্রাকৃতিক জীব। কিন্তু মানব সভ্যতা মানুষের তৈরি। তাই তা কৃত্রিম। কৃত্রিম বা অপ্রাকৃতিক সবকিছুর সবকিছুর মতোই মানব সভ্যতার কিছু সাইডএফেক্ট বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। সেই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকেই জন্ম নিয়েছে সমাজে অন্যায় অবিচার খুব বিক্ষোভ দ্বন্দ্ব সংঘাত। সভ্যতার জন্মের আগে পৃথিবী ছিল

ধর্ষণের কারণ কী?

ধর্ষণের কারণ ধর্ষণ হচ্ছে একটি মানসিক ও শরীরবৃত্তীয় ব্যাধির সামাজিক রূপ। এর ভিত্তি হচ্ছে আর্থসামাজিক বৈষম্য। তাই বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা না বলে, শুধু কঠোর শাস্তির কথা বললে, ধর্ষণ বন্ধ হবে না। সমাজের সবাই ধর্ষক নয়। তবে, কেউ কেউ ধর্ষক। ধর্ষকের কোন লিঙ্গভেদ হয় না। দৈহিক চাহিদা নারী পুরুষ উভয়ের মধ্যেই বর্তমান। এটা প্রাকৃতিক নিয়ম দ্বারা নির্ধারিত ও নিয়ন্ত্রিত। তাই একে কেউ অস্বীকার করতে পারে না। সমাজ সভ্যতার পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখেছে। যে এই নিয়ন্ত্রণের বলয়ে নিজেকে সুচারু রূপে আবদ্ধ রাখতে শিখেছে, তাকে আমরা সভ্য বলি। যে শেখেনি, তাকে অসভ্য এবং ধর্ষক বলি। সুতরাং স্ত্রী পুরুষ উভয়ই ধর্ষক মানসিকতা সম্পন্ন হতে পারে। কে কতটা ধর্ষক হয়ে উঠবে, তা নির্ভর করে তার আর্থসামাজিক অবস্থা ও ব্যবস্থার ওপর।  এই ধর্ষক মানসিকতা প্রধানত দু’ভাবে প্রকাশ পায়। একটি লোকচক্ষুর অন্তরালে, গোপনে। হিসেব-নিকেশ করে। অন্যটি হয় বেহিসেবী ও বেপরোয়াভাবে। লোক লজ্জার ভয় কিংবা গোপনীয়তার ধার না ধেরেই। যারা বেপরোয়াভাবে এবং বেহিসেবী হয়ে এই কাজ করে, সভ্য সমাজ তাকেই ধর্ষক বলে দেগে দেয়। এবং গে...

নিয়ম কী?

নিয়ম কী? নিয়ম সেটাই যেটা মানলে লাভ হয়, আর ভাঙলে ক্ষতি হয়। বাকিটা সংস্কার অথবা কুসংস্কার। ক্ষতি না হলে তা সংস্কার, আর ক্ষতি হলে তা কুসংস্কার। The rule is that which is followed by gain, and broken by which results in loss. The rest is custom or superstition. If there is no harm, it is custom, and if there is harm, it is superstition. সংস্কার আসলে বিশ্বাস নির্ভর কিছু রীতিনীতি, যা মানা বা না মানায় তেমন কিছু যায় আসে না, কিন্তু মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে কুসংস্কার হল সেগুলো, যা মানলে ক্ষতি হয়।  এক্ষেত্রে যে মনের জোর তৈরি হয়, তা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ক্ষতিই করে বেশি। কখনও কখনও তা ভয়ংকর ক্ষতির সম্মুখীন করে দেয়।

মানুষের প্রকৃত কল্যাণ কীভাবে সম্ভব?

মানুষের প্রকৃত কল্যাণ কীভাবে সম্ভব? মানুষ ঘৃণা নিয়ে জন্মায়, জন্মায় ভালোবাসার অসীম ক্ষমতা নিয়ে। ঘৃণা করতে শেখায় তার সমাজ, তার পরিবার। কারণ, মানুষ জন্মগতভাবে ভালোবাসার অকৃত্রিম বন্ধনে আবদ্ধ থাকে এবং তা সে পায় তার মায়ের কাছ থেকে পাওয়া অকৃত্রিম ভালোবাসার সূত্র ধরে। তাই মানুষ জন্মগতভাবে মানবতাবাদী, বিদ্বেষী নয়। বিদ্বেষী হয়ে ওঠে সমাজের ধান্দাবাজ ও কুচক্রী গোষ্ঠীর মদতে। তাই আসুন, আমরা মানবতাবাদের চর্চা করি, বিদ্বেষের নয়। এতেই মানুষের প্রকৃত কল্যাণ।

শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য

শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য একজন শিক্ষকের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হল তার ছাত্রকে যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলা। কারণ, একজন যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ জগৎ ও জীবন সম্পর্কে সত্য উপলব্ধিতে সক্ষম হয় এবং নিজে নিজেই শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারে।

মানব সম্পদের গুরুত্ব

মানব সম্পদের গুরুত্ব “মানবসম্পদ হল পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। কারণ, মানবসম্পদ ছাড়া প্রকৃতির কোন কিছুই সম্পদে পরিণত হয় না।”  

গণতান্ত্রিক দেশে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব

গণতান্ত্রিক দেশে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব “গণতান্ত্রিক দেশে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব জনগণকে রক্ষা করা, কোন সরকারকে রক্ষা করা নয়। সরকার রক্ষার দায়িত্ব জনগণের।”  “In a democratic country the duty of the army chief is to protect the people, not to protect any government. It is the responsibility of the people to protect the government.”

ধর্ম সম্পর্কে আলী হোসেনের মন্তব্য

ধর্ম সম্পর্কে আলী হোসেনের মন্তব্য ধর্মের ভিত্তি হল বিশ্বাস। তাই যে যেভাবে বিশ্বাস করে, ধর্ম তার কাছে সেভাবেই আত্মপ্রকাশ করে। আর সেটাই হায়ে ওঠে তার ধর্ম।  মূলত এ কারণেই বিশ্বজুড়ে নানান ধর্মমতের উদ্ভব হয়েছে। ধর্ম যদি কার্যকারণ সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠত, তবে বিশ্বজুড়ে একটি ধর্মই বিকাশ লাভ করত। এবং তা হত মানব ধর্ম। প্রকৃতি জগতে আমরা যা কিছু ঘটতে দেখি তা ঘটে নির্দিষ্ট নিয়মের বন্ধনে আবদ্ধ থেকে। এই নিয়ম আসলে কার্যকারণ সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া লক্ষ লক্ষ প্রাকৃতিক নিয়ম। যে ঘটনা যে নিয়মের শৃঙ্খলে বাঁধা আছে তার উপস্থিতিই সেই ঘটনাকে সম্ভব করে তোলে। তার কোন ব্যত্যয় ঘটতে দেখি না। আমরা কখনও কখনও কিছু বিষয়কে ব্যতিক্রম হিসাবে চিহ্নিত করে থাকি। কারণ, প্রচলিত নিয়মের বন্ধনে বেঁধে তাকে ব্যাখ্যা করা যায় না। আসলে, গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় এই ব্যতিক্রমটিও আসলে একধরণের নিয়মের আগলে বাঁধা আছে। অর্থাৎ ব্যতিক্রমটাও একটি অপ্রচলিত নিয়ম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। সুতরাং নিয়মের বাইরে গিয়ে জগতে কিছু ঘটে না। আর লক্ষ্য করলে দেখা যায়, যা নিয়মের বা কার্যকারণ সম্পর্কের ওপর ভিত...

শিক্ষিত মানুষের বৈশিষ্ট

শিক্ষিত মানুষ সম্পর্কে আলী হোসেন যার কথায় ও কাজে মানবতা স্থান পায় না, উল্টে  মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি হয়, সে আর যাই হোক, শিক্ষিত মানুষ নয়। — আলী হোসেন শিক্ষা এক ধরণের আলো যা সব রকমের অন্ধকার থেকে মানব আত্মাকে মুক্তি দেয়। এই আলো যদি আপনার মধ্যে পড়ে আপনার ভেতরে থাকা জাত, ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় ইত্যাদির মধ্যে যে বিষাক্ত অংশ আছে তা মুছে যাবে। ধুয়ে যাবে মনের কোণে জমে থাকা মানুষে মানুষে বিদ্বেষের বিষ। কোন অবস্থাতেই, কোন মানুষের প্রতিই আপনি বিদ্বেষ ভাষণ দিতে পারবেন না। আধুনিক শিক্ষার আলো আপনার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসা এই বিদ্বেষভাবকে মুছে দেবে। যদি তা না হয়, তবে আপনি শিক্ষিত মানুষ নন। লেখাপড়া জানা একজন অশিক্ষিত মানুষ। আপনার সঙ্গে অন্য প্রাণীর তেমন কোন পার্থক্য থাকবে না। পার্থক্য সেটা থাকবে, তা হল মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীদের পরস্পরের মধ্যে যে প্রকৃতি প্রদত্ত আকারগত ও স্বভাবগত যে পার্থক্য থাকে, সেটুকুই।

মেধা ও স্মৃতির মধ্যে পার্থক্য

 মেধা ও স্মৃতির মধ্যে পার্থক্য জানা থেকে অজানায় পৌঁছানোর স্ব-ক্ষমতাকে বলে মেধা। আর জানা তথ্যকে ধরে রাখার ক্ষমতাকে বলে স্মৃতি। Intelligence is the self-ability to reach from the known to the unknown. And the ability to retain known information is called memory.

রাজনৈতিক মারণ ব্যাধি, শহীদের রাজনীতি

শহীদের রাজনীতি, ভয়ংকর রাজনৈতিক মারণ ব্যাধি কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ আবু সাইদ  Martyr politics is a terrible political fatal disease স্বাধীন দেশেও যখন মানুষের মৃত্যু ছাড়া রাজনৈতিক আন্দোলন সফল হয় না, তখন প্রমাণ হয়, দেশের মানুষ আধুনিক শিক্ষা ও আধুনিক রাষ্ট্রনীতির (যার মূল কথা, সাম্য মৈত্রী ও স্বাধীনতা এবং মানবতা) এক কণাও অর্জন করতে পারেনি। শুধুই লেখাপড়া শিখেছে বা শিখছে। ফলে জন্ম হচ্ছে লেখাপড়া জানা শিক্ষাহীন এক বিকলাঙ্গ জাতি। আর এই শিক্ষাহীনতাকে হাতিয়ার করে সরকার ও বিরোধী দল একযোগে আধুনিক রাষ্ট্রনীতির সবচেয়ে শক্তিশালী স্বত্বা (প্রাণ ভোমরা) গণতন্ত্রকে অবলীলায় ধর্ষণ করে চলেছে। স্বাধীন দেশেও তাই রমরমিয়ে চলছে ‘শহীদের রাজনীতি’। সমগ্র উপমহাদেশ আজ এই ভয়ঙ্কর ‘রাজনৈতিক মারণ ব্যাধিতে’ আক্রান্ত। অর্থাৎ শাসক, বিরোধী ও জনগণ যদি গণতন্ত্র বোঝেন এবং তাকে সম্মান করেন, একটা মৃত্যুরও প্রয়োজন পড়ে না। শাসকও স্বৈরাচারী হতে পারে না, বিরোধীদের মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে হয় না, জনগণের প্রাণ দিতে হয় না। আর এই তিন পক্ষের যে কোন একপক্ষ যদি এই শিক্ষা থেকে চ্যুত হয়ে যায়, তখন সংকট তৈরি হয়। আ...

ধর্ম দর্শন পরিবর্তনশীল?

 ধর্ম দর্শন কী পরিবর্তনশীল? Is the philosophy of religion, changing? ধর্ম দর্শনের ভিত্তি হল ঈশ্বর-কেন্দ্রিক বিশ্বাস। যারা ধর্ম বিশ্বাসী, তারা বিশ্বাস করেন ঈশ্বরের দ্বারাই এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয় এবং হচ্ছে। তার নির্দেশ ছাড়া গাছের পাতা পর্যন্ত নড়ে না। এখন প্রকৃতির দিকে যদি তাকাই, তাহলে দেখতে পাই, প্রকৃতিতে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। এবং অবশ্যই এই পরিবর্তন একটি নির্দিষ্ট নিয়মের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এই নিয়ম আবার কার্যকারণ সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠছে, যার স্রষ্টা বা নিয়ন্ত্রক, ধর্ম দর্শন অনুযায়ী, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বা আল্লাহ। আমরা প্রতিদিন দেখছি এই পৃথিবী সহ বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড একটু একটু করে পরিবর্তিত হচ্ছে। পাহাড় ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সমতল ভূমিতে পরিণত হচ্ছে। নদী গভীরতা হারিয়ে স্থল ভূমিতে পরিণত হচ্ছে। মানুষের পোশাক পরিচ্ছদ থেকে খাদ্যাভ্যাস পাল্টে যাচ্ছে। জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো পাল্টে যাচ্ছে। নতুন নতুন উপকরণ যোগ হচ্ছে। জীবন ও মৃত্যু আংশিক হলেও নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। ধর্ম দর্শন অনুযায়ী সব কিছুই যখন তাঁর নির্দেশে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয...

মানুষ জন্মগতভাবে যুক্তিবাদী

মানুষ জন্মগতভাবে যুক্তিবাদী মানুষ জন্মগতভাবে যুক্তিবাদী ও স্বাধীনচেতা। বড় হওয়ার সাথে সাথে তাকে বিশ্বাসী করে তোলা হয়। এবং নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্যে তাকে শৃঙ্খলিত করে ফেলার চেষ্টা হয়। এই কাজে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নেয় তার পরিবার। তারপর সমাজ এবং সবশেষে রাষ্ট্র।

সেকু, মাকু কী এবং কেন?

‘সেকু’, ‘মাকু’ কী এবং কেন? ‘সেকু’, এবং ‘মাকু’। শব্দ দুটো ইদানিং বেশ চলছে। কারণ কী জানেন? কারণ হল, বিভাজনের রাজনীতি বাড়ছে। কিছু কিছু রাজনৈতিক দল আছে, দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের উন্নয়নের জন্য, যাদের তেমন কোন বিশেষ রাজনৈতিক এজেন্ডা বা কর্মসূচি নেই। নেই কোন সাফল্যের অতীত খতিয়ানও। তাই তারা মানুষে মানুষে সম্প্রদায়িক বিভাজনের মাধ্যমে রাজনীতি করে। বিভাজনকে হাতিয়ার করে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে এবং রাখতে চায়। পরাধীন ভারতে ইংরেজরা একারণেই সাম্প্রদায়িক রাজনীতির জন্ম দিয়েছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে দাঁড়াল দুটি আধুনিক ইউরোপীয় মতাদর্শ। যা এই দুটি শব্দের সংক্ষিপ্ত উচ্চারণের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে। একসময় এদের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তার কারণে, এরাই বিভাজনকারীদের সবচেয়ে বড় শত্রু বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী এলিমেন্ট হিসাবে উঠে আসে। যেমন জার্মানিতে হিটলার। স্বাধীনতা উত্তর কালে, ব্রিটিশরা চলে গেলে, সাম্প্রদায়িক বিভাজনকেই প্রধান অস্ত্র করে নেয় কিছু রাজনৈতিক সংগঠন। বর্তমানে তারা অনেকটাই সাফল্যের মুখ দেখেছে। আর এজন্য এই শব্দ দুটোর উচ্চারণও অনেকটা বেড়ে গেছে। ...

পরিবার ও নৌকা মধ্যে সাদৃশ্য

পরিবার ও নৌকা মধ্যে সাদৃশ্য একটা পরিবার, আসলে একটা নৌকা। স্বামী-স্ত্রী যথাক্রমে তার দাঁড় ও হালের মত। সন্তানসন্ততি ও পিতামাতা, ওই নৌকার সহায়-সম্বলহীন সহযাত্রী মাত্র। আর প্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান, অনেকটা পালের মতো। দাঁড় ও হালের মধ্যে যথাযথ সমন্বয় হলেই যেমন নৌকা সঠিক সময়ে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারে, ঠিক তেমনই একটি পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মত ও পথ সংক্রান্ত ভাবনার সমন্বয় ঘটাতে (সমমনস্ক ও সমদর্শি হলেই) পারলেই পরিবারটি সঠিক সময়ে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে। প্রতিষ্ঠিত হয় পারিবারিক শান্তি । প্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান হল নৌকার পালের মতো। পরিবেশের আবহাওয়া বুঝে তাকে অনুকূলে ব্যবহার করার কৌশল আয়ত্ত করতে পারলে (সমমনস্ক করে তুলতে পারলে) গন্তব্যে পৌঁছানোর কাজটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। আর এ কাজে ব্যর্থ হলে অর্থাৎ আবহাওযার অনুকূলে না বইলে বা বওয়াতে না পারলে সলিল সমাধি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। প্রতিকূলে বইলে তো কথাই নেই, সলিল সমাধি নিশ্চিত। এর থেকে মুক্তির উপায় আছে। এবং তা হল : ১) পরিবারের প্রতিটি মানুষের মধ্যে পরস্পরের প্রতি বিশ্বস্ত (বিশ্বাসী হওয়া) থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা,  ২) কোনও বিষয়...

ধর্ম সম্পর্কে আলী হোসেনের মন্তব্য

  ধর্ম সম্পর্কে আলী হোসেনের মন্তব্য মানুষ যেদিন ভয়, আর লোভকে জয় করতে পারবে, সেদিন প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের বিলুপ্তি ঘটবে। থাকবে শুধু মানবধর্ম। — আলী হোসেন

সরকারি স্কুল ও শিক্ষকদের মানসিকতা

সরকারি স্কুল ও শিক্ষকদের মানসিকতা যারা সরকারি স্কুলে নিজে পড়াতে চান, কিন্তু নিজের সন্তানকে পড়ান না, তারা চালাক বিবেচিত হতে পারেন, কিন্তু বুদ্ধিমান মোটেই না।

বেদ কি ধর্মগ্রন্থ?

বেদ কি ধর্মগ্রন্থ? Ashoke Mukhopadhyay ধন্যবাদ সাথি। মনোযোগ দিয়ে পড়া এবং মতামত দেয়ার জন্য। সঙ্গে মূল্যবান পরামর্শ।❤️ পরামর্শের গুরুত্ব বুঝি। কিন্তু মাঝে মাঝে মুখ না খুলে পারি না। কারণ, সবাই যদি বিতর্ক এড়িয়ে চলি, তবে তো মিথ্যা সত্য বলে প্রচারিত হতে থাকবে। আমি আপনি থেমে থাকলেও মিথ্যার পসারিরা তো থেমে থাকবে না। একসময় সত্য মিথ্যা আর মিথ্যা সত্য বলে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে যাবে। আর এক জার্মানির জন্ম হবে। তাই ..... আমার আপনার মত অনেক আলোকপ্রাপ্ত যুক্তিবাদী মানুষের কাছে ওটা প্রাচীনতম সাহিত্যই। কিন্তু লক্ষ কোটি বিশ্বাসী মানুষের কাছে এটাই ধর্ম গ্রন্থ। তাই ধর্ম গ্রন্থ হিসাবেই উল্লেখ করেছি। প্রাসঙ্গিকতাই এই বিবেচনার কারণ। ধর্ম ব্যবসায়ীদের মোকাবিলা ধর্ম দিয়েই করলে ফলপ্রসূ হয় বলে আমার উপলব্ধি। না হলে ধার্মিক মানুষের কাছে তা গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। -----------xx---------- Ali Hossain খুব ভালো লিখেছেন। তবে মার্ক টোয়েন-এর পরামর্শ মনে রাখবেন। সবার সঙ্গে তর্ক করতে যাবেন না। আর একটা কথা। বেদ কোনো ধর্ম গ্রন্থ নয়। বেদ সাড়ে তিন হাজার বছর আগেকার কিছু পশ্চিমি জনজাতি যারা উত্তরে পশ্চিম ভারতে এস...

হিন্দু কি ধর্ম?

হিন্দু কী ধর্ম? Is Hindu a religion? লেখাটা পড়ার আগে সুরঞ্জন অধিকারীর মন্তব্যটি, লেখার শেষ অংশে আছে, একটু দেখে নিন। Suranjan Adhikari আমি ভারতীয় সংস্কৃতির পক্ষে বিপদজনক? আপনি বলছেন? তার মানে, আপনি আমাকে ভয় দেখাচ্ছেন?😄 যারা যুক্তি তর্কে ও তথ্যে পারেন না, তারা ভয় দেখান। ওটাই তাদের শেষ অস্ত্র। এটা আমি জানি। সেই সঙ্গে এটাও জানি এবং বুঝিও যে : সততার শক্তি কত, অসৎ জনে জানে না, শিক্ষার শক্তি কত, অশিক্ষিত বোঝে না। সুতরাং ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।  আসুন মূল কথায় আসা যাক। আপনি সনাতন ধর্মকেই হিন্দু ধর্ম বলছেন? 😄 আপনি তো নিজের ধর্মটাই ঠিকঠাক জানেন না বন্ধু। আমাকে কীভাবে ভালো ভাবে চর্চা করার পরামর্শ দিচ্ছেন? আগে তো নিজে ভালো করে জানুন। আসুন জেনে নেই। সনাতন হল একটা ধর্ম দর্শন, যার আর এক নাম ব্রাহ্মণ্য ধর্ম। আরও পূর্বে এটাই বৈদিক ধর্ম নামে পরিচিত ছিল। এর কোন প্রবর্তক নেই। ধর্ম গ্রন্থের নাম হল বেদ, যার কোন লেখক নেই। বৈদিক ধর্মদর্শন অনুযায়ী এটি ঐশ্বরিক গ্রন্থ। ঐতিহাসিকদের মতে, যুগ যুগ ধরে অসংখ্য মনীষীর অবদানে তা গড়ে উঠেছে চতুর্বেদ। বেদটা পড়েছেন কখনও? না পড়লে পড়ে নিন। জানতে পারবেন। আপনি কতটা...

ব্রাহ্মণ ও ব্রাহ্মণ্যবাদ

ব্রাহ্মণ ও ব্রাহ্মণ্যবাদ Goutam Ray ইতিহাস বলে, হিন্দু বলে কোন ধর্মীয় গোষ্ঠী নেই। ইসলাম ও বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি কোন বিশেষ দুর্বলতাও আমার নেই, আপনার যেমন তথাকথিত হিন্দু ধর্মের প্রতি আছে। একমাত্র মানুষের প্রতিই আমি দুর্বলতা অনুভব করি। তাই মানুষের কথা বলি। ব্রাহ্মণ আর ব্রাহ্মণ্যবাদ আলাদা। এটা সম্ভবত আপনার জানা বোঝার বাইরে আছে। সম্প্রদায় এবং সাম্প্রদায়িকতা যেমন আলাদা - এটাও তেমনি। ব্রাহ্মণ হচ্ছে একটা সামাজিক গোষ্ঠী যার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। আর ব্রাহ্মণ্যবাদ একটি পুরোপুরি রাজনৈতিক মতাদর্শ। যার দ্বারা মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করে একটা ক্ষুদ্র গোষ্ঠী রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক আধিপত্য কায়েম করে। যুগ যুগ ধরে পৃথিবী জুড়ে এই আধিপত্যবাদ কায়েম ছিল, গণতন্ত্র আসার আগে পর্যন্ত। কোন কোন দেশে এখনো তা বজায় আছে। একজন মানুষ হিসেবে আমি এর বিরোধিতা করি। এখানে কোন হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নেই।  একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের প্রতি আপনার ভালোবাসা এবং একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের প্রতি ভয় ও বিদ্বেষ আপনাকে আষ্টেপিষ্ট বেধে ফেলেছে। এই ভয় ব্রাহ্মণ্যবাদীরাই আপনার মধ্যে ঢুকিয়েছে। আমি এটারই বিরোধি...

ইরফান হাবিব ও নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়

 ইরফান হাবিব ও নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ইরফান হাবিব প্রথিতযশা ঐতিহাসিক। তাকে অশ্রদ্ধা জানানোর স্পর্ধা আমার নেই। কিন্তু বিনয়ের সঙ্গে বলছি : ১) তিনি যখন এই গ্রন্থ লিখেছেন নিশ্চয়ই তার কাছে এ বিষয়ে আধুনিক গবেষণার ফলাফল ছিল না।  ২) এই গ্রন্থটি নালানন্দ বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত কোনো গবেষণা গ্রন্থও নয়। মধ্যযুগের ইতিহাস বর্ণনায় একটি সাধারণ তথ্য হিসাবে তিনি এ কথা বলেছেন, যেটা আমি আপনি দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আসছি।  ৩) আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন এই বিতর্কিত তথ্যের সমর্থনে তিনি কোন তথ্যসূত্র উল্লেখ করেননি। সুতরাং ইরফান হাবিব বলেছেন বলেই তা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। এই আলোচনায় বেশ কয়েকজন মন্তব্যকারী বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ করেছেন। সেগুলো দেখুন। আমার কাছেও প্রচুর তথ্য আছে যার ভিত্তিতে আমি আমার মতামত রেখেছি। সমসাময়িক কোনো ঐতিহাসিক আকর গ্রন্থ নেই যা দিয়ে প্রমাণ করা যায় বক্তিয়ার খিলজী নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধংস করেছেন।  উল্লেখ্য, এ কারণেই নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ‘ ইতিহাস এবং পুনরুজ্জীবন ’ নামক পাতায় এই বিষয়টির উল্লেখ পর্যন্ত ...

বাংলাদেশী সংখ্যালঘু ও মোদি প্রেম

বাংলাদেশী সংখ্যালঘু ও মোদি প্রেম আপনি বাংলাদেশী। ভারতে মোদী আবার ক্ষমতায় এসেছেন। গর্ব ও আনন্দ করছেন, ‘হিন্দু সম্রাট’ ক্ষমতায় এসেছেন। জয় শ্রীরাম। আচ্ছা বাংলাদেশে জামাত শিবিরের শাসক ক্ষমতায় এসে শরিয়তি শাসন শুরু করলে, আপনার বক্তব্য কী হবে?

কারা কেন অশিক্ষিত বলে বিবেচিত হয়?

 Moti Lal Deb Nath ঠিকই, যিনি যেমন দেখবেন, এবং যেমন বুঝবেন, তেমনই বলবেন। এতে কোন দ্বিমত নেই। তা দোষেরও নয়। দোষের তখনই হয়, যখন কেউ অপ্রাসঙ্গিক বিষয় টেনে আনেন। আমি আপনার ভিতরটা যদি স্পস্ট করে বুঝতে পারতাম, ‘অশিক্ষিত' এবং অথবা দিয়ে 'জেনে বুঝে না বোঝার ভান’ - এভাবে শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করতাম না। আমি যাকে যেভাবে বুঝি, তাকে সেভাবেই সোজা সাপটা বলতে স্বচ্ছন্দ্যবোধ করি। আপনাকে ওই দুটোর কোনটাই বলিনি। কারণ, আমি এখনও বুঝিনি, কেন আপনি অপ্রাসঙ্গিক কথা টেনে এনে পোষ্টের মূল উদ্দেশ্যকে অন্যদিকে নিয়ে গেলেন। বুঝিনি বলেই আগের মন্তব্যে দু-দুবার ‘অবাক হওয়ার’ কথা উল্লেখ করেছি। যদি বুঝতাম, তাহলে সরাসরি আপনাকে হয় অশিক্ষিত বলতাম, আর না হয় ‘না বোঝার ভান করছেন’ বলে অভিযোগ করতাম। কারণ, মারপ্যাঁচ করে কথা বলা, আমার স্বভাবের বিরুদ্ধ। আমি শুধু বলেছি, এভাবে যারা প্রসঙ্গ ছেড়ে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে নিয়ে যায়, তারা ওই দুটোর কোন একটার কারণে নিয়ে যান। সেই অপশন দুটো আপনার সামনে তুলে এনেছি মাত্র। আপনি ওই দুটোর কোনটার মধ্যে পড়েন, অথবা আদৌ পড়েন কি না, সেটা তো আমি জানি না। কারণ, জানাটা অতটা সহজ কাজ নয়। ওটা আপনিই...

মুসলিম ভোট সব তৃণমূল পায়?

মুসলিম ভোট সব তৃণমূল পায়? Does the Muslim vote get all TMC? যারা বলে মুসলিম ভোট সব তৃণমূল পায়, তারা জেনে বুঝেই এই মিথ্যাটা বলে। উদ্দেশ্য, হিন্দু ভোটের সিংহভাগ কৌশলে বিজেপির পক্ষে নিয়ে যাওয়া। ---------xx-------- এটা একমত হ‌ওয়া গেল না । সব ভোট না গেলেও গত দুটি বিধানসভা এবং সাম্প্রতিক লোকসভা ভোটে একটা বড় অংশের ভোট‌ রাজ্যের শাসকদলের অনুকূলে গেছে । খুব যে ভালোবেসে গেছে তা হয়তো নয় , কিন্তু গেছে এটা সত্য । আগে এই ভোটটা বামেরা পেতো । এখন আর পায় না । আপনার কথা যদি সত্য হতো তাহলে অধীর চৌধুরী ভোটে হারার কথা নয় । এবার আপনি বলতে পারেন ভোট দিতে বাধ্য হয় । কেন বাধ্য হয় তার দুটো দিক আছে । প্রথমটা হলো পক্ষপাতদুষ্ট প্রচারে মুসলিম জনমানসে একটা ভীতির সঞ্চার হয়েছে । আর দ্বিতীয়টা হলো রাজ্যের শাসকদল এমন একটা ইমেজের সৃষ্টি করতে সফল হয়েছে যে তারাই হলো সংখ্যালঘুদের রক্ষাকর্তা। আর সংখ্যালঘুরাও ধর্মনিরপেক্ষ সংখ্যাগুরু জনগণের চেয়ে একটা রাজনৈতিক দলকেই বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে করেছে । এটার একটা বিরাট কুফল আছে । তবে সেটা বুঝতে একটু সময় লাগবে । ------------- Moti Lal Deb Nath সাথি, আপনার ব্যাখ্যার উত্তর ...

এক্সিট পোল অবৈজ্ঞানিক অনুমান মাত্র।

এক্সিট পোল অবৈজ্ঞানিক অনুমান মাত্র। Exit polls are just unscientific guesses. একজিট পোল অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে করা একটি অনুমান মাত্র। টিভির টিআরপি বাড়ানোর একটি জনপ্রিয় কৌশল। তাই নাচানাচি না করে ৪ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। মিডিয়া বললেই সেটা সত্যি বা মিথ্যা হয় না। হতে গেলে পদ্ধতিটা বিজ্ঞান সম্মত হওয়া প্রয়োজন। বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতির মাধ্যমে করা সমীক্ষার বিশ্লেষণ, ফলাফল এবং ডাটা বা তথ্য প্রকাশ্যে আনতে হয়। এরা তা করে না। শুধু ফলাফল বলে। তাই এই ফলাফল বিশ্বাস করার মত কোন বিষয় নয়। এদের ফলাফল লটারি ফলাফলের সংগে তুলনা করা যায়। যতটা মেলার সম্ভানা থাকে, ততটাই না মেলার সম্ভাবনা থাকে। তাই নাচানাচি করার কিছুই নেই। ৪ তারিখ বলে দেবে মানুষ কী করেছেন। একটাই সতর্কতা দরকার গণনা প্রক্রিয়া যেন নিরপেক্ষ হয় ও বিজ্ঞানসম্মত হয়।

শিক্ষা সম্পর্কে আলী হোসেন

শিক্ষা সম্পর্কে আলী হোসেন শিক্ষার আর এক নাম আলো। আলো যত উজ্জ্বল হয়, অন্ধকার ততো মুছে যায়। তাই, প্রকৃত শিক্ষার আলো যত উজ্জ্বল হবে, সমাজ থেকে উঁচুনিচু, জাতপাত, ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, নারী পুরুষের বৈষম্য ইত্যাদির মত অন্ধকার (অসুস্থ ভাবনা চিন্তা) তত মুছে যায়। তাই সমাজ পরিবর্তনের জন্য দরকার প্রকৃত শিক্ষার প্রসার ঘটানো। আর এ কারণেই বলা হয় : শিক্ষা আনে চেতনা, আর চেতনা আনে বিপ্লব।

মানুষে মানুষে বিভাজনের কারণ কী?

প্রকৃত (আসল) ধর্ম কি? What is the real religion? মানুষের মধ্যে বিভাজন কিংবা ভেদাভেদ - যাই বলুন না কেন, তা করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হল প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম। কারণ, মানুষের জন্য যে ধর্ম, সে ধর্ম মানুষকে ভাগাভাগি করেনা।  প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম, যার ভিত্তি হল অলৌকিক শক্তিতে বিশ্বাস, ভীরু মানুষেরা তার দ্বারা সহজেই প্রভাবিত হন। কারণ, প্রচলিত ধারণা হল, এই বিশ্বাসের সঙ্গে একটু ভক্তি মেশালেই ঈশ্বরের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।  মৃত্যু ভয় আর সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা প্রত্যেক মানুষকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। একটা বহল প্রচলিত ধারণা হল, সাফল্য লাভ কিংবা মৃত্যু ভয় এড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় অলৌকিক শক্তিতে বিশ্বাস এবং তার ভজনা করা। সহজেই পাওয়ার আশ্বাস থাকে বলে, এমন বিষয় ও বিশ্বাসের প্রতি মানুষ বেশি আগ্রহ দেখায়। এবং সে কারণেই এই পথকেই মানুষ বেশি বেশি করে আঁকড়ে ধরতে চায়। এই মৃত্যুকে জয় করা যাবে না জেনেও, তাকে ঠেকিয়ে রাখার আকাঙ্খা থেকেই অলৌকিক শক্তির প্রতি বিশ্বাস তৈরি হয়। কিন্তু এটা প্রকৃত ধর্ম নয়। ধর্মের স্বঘোষিত প্রচারক যারা, তারা নির্দিষ্ট কিছু রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে এই ধারার ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা...

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে, ...

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য সফল হলে, সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম তোমার বাবা-মা। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, তাঁরা চাইলেও আজীবন তোমার সঙ্গে থাকতে পারবেন না। সফল হলে সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম বাবা-মা। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হওয়া জরুরী। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রধান পরিচয় (মানুষ হিসাবে) নির্ণায়ক মাপকাঠি। তাই এই অর্থব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রাথমিক লক্ষ্য। এটা পূর্ণ হওয়ার পরই কেবল অন্যান্য লক্ষ্যে এগোনোর কথা ভাবা উচিৎ। প্রসঙ্গত বলে রাখি, অন্য লক্ষ্য মানে মানুষে জন্য কিছু করা, সমাজের জন্য যতটা সম্ভব অবদান রাখা। একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ এই লক্ষ্যকে অস্বীকার করতে পারেন না। এখন প্রশ্ন হল, এই সাফল্যের প্রধান চাবিকাঠি কী? চাবিকাঠি হল শিক্ষা। উপযুক্ত শিক্ষাই একমাত্র তোমাকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। সুতরাং শিক্ষা অর্জনকে প্রাথমিক পর্যায়ে একমাত্র লক্ষ্য করতে হবে এবং শিক্ষা অর্জনের এই প্রচেষ্টাকে সাধনার পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তবেই তুমি সফল হবে। সফল হলেই সবাই তোমার, সবই তোমার। ----------xx----------

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষার প্রভাব দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে