সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2021 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ঈশ্বরকে (সৃষ্টিকর্তাকে) পাওয়ার উপায়

ঈশ্বরকে (সৃষ্টিকর্তাকে) পাওয়ার উপায় - আলী হোসেন  সৃষ্টিকর্তাকে পাওয়ার জন্য (খুশি করার জন্য) তার নামে প্রার্থনার প্রয়োজন হয় না; প্রয়োজন হয় তাঁর সৃষ্টিকে ভালোবাসার। আর সৃষ্টিকর্তার সেরা সৃষ্টি হলো মানুষ। যে মানুষ এটাই বোঝেনা, সে আর যাই হোক, ধার্মিক নয়। দেখুন Your Quote এ

ধর্মান্ধতা কী?

ধর্মান্ধতা কী? - আলী হোসেন  ধর্মান্ধতা, এক ধরণের মানসিক রোগ বা বিকার । এর জন্ম হয় কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ক্ষুদ্রস্বার্থকে খুব সহজেই চরিতার্থ করার আগ্রাসী ও অনৈতিক মানসিকতা থেকে। এবং প্রকট হয় দীর্ঘ চেষ্টার পরও যখন তা সফল হয় না। সূত্র : ১) Your Quote-এ দেখতে এখানে ক্লিক করুন । ২) ফেসবুক-এ দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

অংশ দিয়ে সম্পূর্ণকে বোঝা যায় না।

প্রসঙ্গ সুরা তওবা, অংশ দিয়ে সম্পূর্ণকে বোঝা যায় না - আলী হোসেন।  Sumanta Bose Majumder সাথি, আপনি হয় তো কোরআন পড়েছেন অথবা অংশটি কোথাও থেকে সংগ্রহ করেছেন। তবে আমার ধারণা, অংশটি সংগ্ৰহ করা। আপনি পড়েন নি। এই সুরাটির (অধ্যায়টির) নাম তওবা। এখানে ১২৯ টি বাক্য লেখা আছে। তার মধ্যে আপনি ৫ নং আয়াতটি (বাক্যটি) উল্লেখ করেছেন। আপনি এককাজ করুন। পরের মুখে ঝাল না খেয়ে (যদি খেয়ে থাকেন) গিরিশ চন্দ্র সেনের অনুবাদ করা কোরানটি একবার পড়ুন। তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার ভাবনাটার কোথায় অসঙ্গতি আছে। ১২৯ বাক্যের একটি প্রবন্ধ থেকে একটি বাক্য তুলে ধরলে কি ওই প্রবন্ধের মূল কথা বোঝা যায় ভাই! ওই বাক্যটি কোন স্বাধীন ও সম্পূর্ণ বাক্য নয়। সুরা তওবার এই বাক্যের আগে পরে অনেক যদি, তবে, কিন্ত, পরন্তু আছে। সেগুলোকে বাদ দিয়ে ওই বাক্যটি অর্থহীন হয়ে পড়ে। যেমন ধরুন, আমি বললাম ' ‛আমাকে কেউ মারতে এসো না। যদি আসো, আমি তোমাকে মারব‘। এখন আপনি যদি আমার আগের বাক্যটির উল্লেখ না করে পরের বাক্যটি তুলে ধরেন তবে, সবাই আমাকে অপরাধী হিসাবে ভেবে নেবে। আপনি সেটাই করেছেন। অংশ দিয়ে সম্পূর্ণকে বোঝানোর চাতুরী করেছেন,যা আসলে অসত্য ও অসঙ্গত।

স্বঘোষিত ধর্মগুরু, যার শিক্ষিত মানুষের মানবিক অভিধান মতে অর্থ দাঁড়ায় ধর্ম-ব্যবসায়ী

স্বঘোষিত ধর্মগুরু, যার শিক্ষিত মানুষের মানবিক অভিধান মতে অর্থ দাঁড়ায় ধর্ম-ব্যবসায়ী Avishek Sarkar ভাই/দাদা, আপনার প্রফাইল লক করা কেন? আপনার পরিচয় জানতে দেন না কেন? এমন কিছু কি গোপন করার চেষ্টা করছেন যা প্রকাশ হলে অসুবিধায় পড়বেন? আচ্ছা বাদ দিন। আপনি কীভাবে বুঝলেন যে, রূ প সা  মুসলমান, কিংবা তিনি এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন নি? আপনিও কি পোশাক দেখেই মানুষ চিনতে পারার মত ক্ষমতা রাখেন নাকি? যদি রাখেন, তবে আপনি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সমকক্ষ। সেক্ষেত্রে কিছু বলার ক্ষমতা আমার নেই। যদি তা না রাখেন, তবে কটা কথা বলি। ১) উনি ওই ঘটনার প্রতিবাদ নিশ্চয়ই করেছেন। ওনার মতো করেই করেছেন। এক হাতে তালি বাজেনা, জানেন তো? তাই তালির শব্দে যখন কানের পর্দা ফাটার উপক্রম হয়, শিক্ষিত ও সচেতন মানুষ দুই হাতের কারসাজির কথাটা সহজেই ধরতে পারেন। উনিও পেরেছেন। তাই প্রতিবাদটা সেভাবেই করেছেন। ২) বাংলাদেশে যেমন মৌলবাদী মুসলমান আছে, তেমনি এদেশেও মৌলবাদী হিন্দু আছে। জানেন তো? অথবা মানেন তো? আপনি কি জানেন এই তালি দেওয়ার ক্ষেত্রে এরা একে অপরের পরিপূরক? বোধ হয় জানেন না। আপনার মন্তব্যগুলো পড়ে আমার তেমনই মনে হল। ক্ষমা করবেন য

প্রসঙ্গ : প্রকৃত ইসলাম ও মৌলবাদ

প্রসঙ্গ : প্রকৃত ইসলাম ও মৌলবাদ, কুমিল্লার দাঙ্গা ২০২১ - আলী হোসেন।  বাংলাদেশ ও ভারত দুটো প্রতিবেশী দেশ। দুই দেশের সংখ্যাগুরু মৌলবাদীর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। পার্থক্য শুধু ধর্ম-দর্শনে। একদল নিজেদেরকে ইসলাম ধর্মাবলম্বী বলে দাবি করে এবং অন্যটি হিন্দু ধর্মাবলম্বী বলে। দুটো দলই মূলত তাদের ধর্ম নিয়ে যথাক্রমে ব্যবসা ও রাজনীতি করছে। আর এর কারণে মরতে হয়, ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয়, উভয় সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষের। এরা ধর্মের কথা বলে মানুষকে উত্তেজিত করে। কিন্তু নিজের ধর্মের মানুষ, যারা অন্য দেশে সংখ্যালঘু, তাদের কথা মোটেই ভাবে না। উভয় সম্প্রদায়ই বিপরীত সম্প্রদায়ের ধর্ম বিষয়ে বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দেয় এবং উত্তেজনা ছড়ায়। নিজ ধর্মের প্রতি প্রেম সধর্মীয়দের জন্য দরদ দেখাতে গিয়ে যে পরোক্ষভাবে নিজের ধর্মকে অসম্মান ও  সধর্মীয়দের বিপদের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়, তা এই সব ধর্মান্ধ মানুষরা বোঝে না। আর বোঝে না বলেই এদের এই নির্বুদ্ধিতার সুযোগ নেয় মৌলবাদী সমাজ। অথচ উভয় সম্প্রদায়ের ধর্মগ্রন্থে এ ধরনের বিদ্বেষ-বিভেদমূলক কোন কিছু আছে বলে আমি এখনো কিছু খুঁজে পাইনি। উল্টে সহাবস্থান ও সহমর্মিতার কথাই লক্ষ্য করেছি

প্রসঙ্গ : প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষতা।

Somen Sengupta পারতাম যদি তো দিয়েই দিতাম। তাই না? সত্যিকারের ধর্মনিরপেক্ষ হতে গেলে তো কমিউনিস্ট হতে হবে। তা কি হজম হতো আমাদের? অথবা, তাহলে তো নেতাজির নেতৃত্ব মেনে নিতে হতো। পেরেছিলাম কি তা? আসলে আপনার প্রশ্নটা ঠিক পূর্ণাঙ্গ প্রশ্ন হয়ে উঠতে পারেনি। কারণ প্রশ্ন হল সেটাই, যার সুনির্দিষ্ট একটি উত্তর আছে। কিন্তু আপনার প্রশ্নের সে ধরণের কোন উত্তর হয় না। উল্টে আরও কিছু প্রশ্নের জন্ম দেয়। যার কিছু আমিই করে বসেছি আপনাকে।😀😀 প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

প্রেম নয়, মোহ

যে প্রেম আপনকে পর করতে শেখায়,সে-প্রেম প্রেম নয়,মোহ। তাই প্রেম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা উচিৎ নয়। দেখুন ফেসবুকে দেখুন YourQuote এ

ছদ্ম ধর্মনিরপেক্ষতা : সৌম্য বসুর বক্তব্য ও তার উত্তর

সৌম্য বসুর বক্তব্য ও তার উত্তর এটা যেমন সত্যি। এর উল্টো দিকটাও সত্যি। আমার নিজের অভিজ্ঞতা তা-ই বলছে।  আমি যখন মুসলিম হয়ে মুসলিম সমাজের সমালোচনা করছি তখন হিন্দু বন্ধুদের কাছ থেকে প্রশংসার বন্যা বয়ে যাচ্ছে। মুসলিমদের অনেকেই মৌন ব্রত পালন করেছেন। দু-একজন অসন্তোষ প্রকাশও করেন। আবার, আর এস এস বিজেপির সমালোচনা করলে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠছেন। আর হিন্দু সম্প্রদায়ের বন্ধুদের অধিকাংশ মৌন ব্রত পালন করছেন। এইদিকটা আপনার আলোচনায় ধরা পড়েনি। সুতরাং আপনার ভাবনায় সীমাবদ্ধতা আছে বলেই আমার মনে হচ্ছে। আসামের ঘটনা নিয়ে আমি একটা কবিতা লিখেছি। সম্ভবত গতকাল। একটু ঘুরে আসুন ওয়ালে। বুঝতে পারবেন। আর পিছনের দিকে গিয়ে দেখুন ঠিক উল্টো ছবি। আসলে সমাজে সব সম্প্রদায়ের মধ্যে এই প্রবণতা আছে। বললে সবার কথা বলাটা খুবই প্রয়োজন। না হলে মানুষ আপনাকে ভুল বুঝবেন। কোন সমালোচনা করার সময় এ বিষয়ে সতর্ক থাকাটা প্রত্যেক প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের জন্য জরুরি। ---------------- 🔳 প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

সৎ ও সত্যবাদীরা সংখ্যালঘু - ৩

Musiar Rahaman প্রকৃত শিক্ষাই একমাত্র মানুষকে সঠিক পথ দেখতে পারে। কারণ, জগৎ ও জীবনের জটিল ও কঠিন পথের সূলুকসন্ধান একমাত্র শিক্ষার আলোতেই পাওয়া যায়। আর শিক্ষার এই আলোর মাধ্যমেই আসে আত্মপলব্ধি। তখনই মানুষ জেনে ফেলে জগৎ ও জীবনের প্রকৃত সত্য। এই সত্য যারা উপলব্ধি করে তারা সৎ হওয়ার চেষ্টা না করে পারে না।

সৎ ও সত্যবাদীরা সংখ্যালঘু - ২

সৎ ও সত্যবাদীরা আজীবন সংখ্যালঘু। ছোট্টবেলা থেকে বয়ে বেড়ানো এই ধারণা থেকে এখনও বের হতে পারলাম না। ---------------- মহ অনির্বাণ ইসলাম : যুক্তির বাঁধনটা বড়ই শক্ত। মোড়কও। মানুষ চিরন্তন বলে সব তত্ত্বকে নির্দ্বিধায় মেনে নেয় নি। নিতে চায়ও না। মানুষের জন্য কল্যাণকর নয়, এমন সব তত্ত্বকে মানুষ তার চিন্তা-চেতনায় ও প্রকৃতির গর্ভে থাকা শিক্ষার আলোয় বিজারিত করে নিত্য-নতুন তত্ত্বের জন্ম দিয়েছে। প্রকৃতির নিয়ম যে যুক্তির আগলে বাঁধা, সেই আগল থেকে খসিয়ে নেওয়া সুতো দিয়েই বুনে নিয়েছে প্রকৃতিকে বেঁধে ফেলার নতুন তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক কৌশল। এমনই এক কৌশলের নাম শিক্ষা। আমার ধারণা ছিল, এই শিক্ষাই মানুষকে একদিন যুগ যুগ ধরে বয়ে চলা অকল্যাণকর সত্যকে, যা আমাদের কাছে তত্বের রূপ ধারণ করে রয়েছে, তাকে অতিক্রম করে নতুন তত্বের জন্ম দিতে সক্ষম করে তুলবে। প্রকৃতির কাছ থেকে পাওয়া একটি তত্ত্ব দিয়েই অন্য  অকল্যাণকর তত্ত্বকে কল্যাণকর মোড়কে রূপান্তরিত করে নেবে। পাল্টে যাবে আমার ধারণা। সংখ্যালঘুরাই হয়ে উঠবে সংখ্যাগুরু। কিন্তু এখন দেখছি আমি আসলে জগৎ ও জীবন সম্পর্কে ‛জ্ঞানের অসম্পূর্ণতা‛র আবর্ত থেকে এখনও বের হতে পারি নি। তবে এ বিশ্ব

সৎ ও সত্যবাদীরা সংখ্যালঘু - ১

সৎ ও সত্যবাদীরা আজীবন সংখ্যালঘু। ছোট্টবেলা থেকে বয়ে বেড়ানো এই ধারণা থেকে এখনও বের হতে পারলাম না। Ayesha Khatun আসলে এই সত্য পাল্টানোর চাবিকাঠি তো কারও একার হাতে থাকে না। সমষ্টির হাতের ও মনের ছোঁয়ায় এর জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। তাই আমার একার হাতেও তা নেই। তাই তুমি ঠিক। কিন্তু আশা করতাম, মানুষ যত শিক্ষার আলোয় আসবে, ততই সৎ ও সত্যের আবর্তে ঢুকে পড়বে। ফলে এক সময় আমার ধারণা ভুল প্রমাণিত হবে। ছোটবেলার অদূরদৃষ্টির পরিণাম হিসাবে এই ধারণা বাতিল এর খাতায় জমা হবে। কিন্তু এখন দেখছি আমি আসলে জগৎ ও জীবন সম্পর্কে ‛জ্ঞানের অসম্পূর্ণতা‛র আবর্ত থেকে এখনও বের হতে পারি নি। তবে এ বিশ্বাস এখনও আমি হারাই নি যে, সংখ্যায় সংখ্যালঘু হলেও এরাই জগতের সত্যিকারের সত্য উপলব্ধিতে শক্তিশালী ও অগ্রণী বাহিনী।. .......... এবিষয়ে অন্যান্য মতামত এখানে মূল পোস্ট দেখুন ফেসবুক  এ। এবং দেখুন YourQuote এ।

দেশভাগের যন্ত্রনা ও বুদ্ধিজীবী

এপার বাংলার কোন সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের বুদ্ধিজীবী এই প্রথম (আমার জানা মতে) প্রকাশ্যে আনলেন এবং  বিষয়টি স্বীকার করলেন। এই সত্য কথনের সাহসই সৌমিত্র দস্তিদারকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।

দেশভাগের যন্ত্রনা

দেশভাগ। যন্ত্রণা শুধু ওপার বাংলার হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়, এপার বাংলার মুসলমানদেরও সমানভাবে কাতর করেছিল। এই সহজ সত্যটা উপলব্ধি করার জন্য বিশেষ তাত্ত্বিক হওয়ার প্রয়োজন হয় না। সাধারণ যুক্তি বুদ্ধিতেই তা উপলব্ধ হয়। রাজনীতির জটিল ও কুটিল চক্রান্তে এই সত্য দীর্ঘ সাত দশক ধরে চাপা পড়ে আছে। দুটি সম্প্রদায়ের মানুষ তাই পাশাপাশি বাস করেও পরস্পর পরস্পরকে সন্দেহের চোখে দেখে। একজন মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষের কাছে এটা যে কত বড় লজ্জার এবং কষ্টের তা বুঝিয়ে বলা মুশকিল। কেন এই পরিস্থিতি? কারণ, ইতিহাস তো বটেই, সাহিত্য, সিনেমা, নাটক সহ এপার বাংলার কোনও সাংস্কৃতিক মঞ্চে এর একরত্তি ছোঁয়া পড়েনি। সেখানে মঞ্চস্থ হয়েছে স্বাধীনতা-উত্তর ও পূর্বের সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনায় মোড়া একই মুদ্রার বাছাই করা পিঠের ছবি নিয়ে তৈরি পান্ডুলিপির বাছাই করা পর্ব। অন্য পিঠে থাকা চিত্রগুলি পান্ডুলিপি হওয়ার মর্যাদা লাভ করেনি আজও। ফলে অন্য পর্বগুলি তরুণ প্রজন্মের কাছে এসে পৌঁছায়নি। এই একপেশে চালচিত্র দেখে দেখে বড় হওয়া প্রজন্মের একজন জ্বলছে ঘৃণার আগুনে, অন্যজন সীমাহীন গ্লানির অতলে ডুকছে অসহায় ভাবে। এই কারণেই এপার বাংলার

কাব্য সাহিত্যে শব্দ চয়ন সময়কে অতিক্রম করতে পারে কিন্তু সময়ের চেয়ে পিছিয়ে পড়তে পারে না।

কাব্য সাহিত্যে শব্দ চয়ন সময়কে অতিক্রম করতে পারে কিন্তু সময়ের চেয়ে  পিছিয়ে পড়তে পারে না। Jakir Hossain আমার মনে হয়, ঝঞ্ঝাটের উচ্চমাত্রা ভাববাচ্যে কথা বলার মধ্যেই প্রকাশ পাচ্ছে। তার জন্য কথোপকথনের প্রাচীন রীতির প্রাচীন শব্দ ব্যবহার না করাই ভালো । দ্বিতীয়ত, পুরো ছড়াটার মধ্যে যে কথোপকথন, যে সব শব্দ ব্যবহার করে করা হয়েছে, তাতে ঝঞ্ঝাটের মাত্রা খুব উচ্চ বলে মনে হচ্ছে না আমার কাছে। মনে হচ্ছে উচ্চমাত্রার মান-অভিমান চলছে। তৃতীয়ত, ঝঞ্ঝাট যে মাত্রারই হোক,  তা যখন এই সময়ের, তখন উচ্চমাত্রা বোঝানোর জন্য এই সময়ের শব্দই ব্যবহার করাই বাঞ্চনীয়। কারণ,  কাব্য সাহিত্যে শব্দ চয়ন সময়কে অতিক্রম করতে পারে কিন্তু সময়ের চেয়ে  পিছিয়ে পড়তে পারে না। যদিও অনেক সময় উপযুক্ত সমসায়িক শব্দ না পাওয়ার কারণে পুরনো শব্দ ব্যবহার করতে হয়। কারণ, তাছাড়া উপায় থাকে না। তবে, বিষয়টি যদি অতীতের কোন সময়কে ধারণ করে এগোয়, তবে অবশ্যই সেখানে পুরানো সময়ের শব্দ ব্যবহার বাঞ্চনীয় । যাই হোক, কবির ভাবনার স্বাধীনতাকে সম্মান জানাতেই হবে। আমি শুধু আমার ভাবনা আপনার সঙ্গে সংক্ষেপে শেয়ার করলাম। ভেবে দেখতে পারেন। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। আর অবশ্যই লিখত

দেশ বেচে দিলপুঁজিপতিদের হাতে

মুসলমান আর কাগুজে বাঘ পাকিস্তানের ভয় দেখিয়েই পুরো দেশটা বেঁচে দিল পুঁজিপতিদের কাছে। আমরা এমন শিক্ষিত যে বুঝতেই পারলাম না। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

কেউ কাউকে ভোলে না

জগতে কেউ কাউকে ভোলে না, শুধু প্রয়োজন ফুরালে এড়িয়ে চলে। এবং এড়িয়ে চলতে চলতে একসময় আড়ালে চলে যায়।

মুসলিম আইডেন্টিটি কি কেবল টুপি?

টুপি ছাড়া কি মুসলিম সম্প্রদায়ের আইডেন্টিটি ক্রাইসিস তৈরি হয়? এটাকে বাদ রেখেও এই প্রচ্ছদ আঁকা যেত না? মুসলিম সম্প্রদায়ের কতজন টুপি পড়েন? টুপি যাঁরা ধর্মপ্রাণ, তাঁরা নামাজ পড়ার সময় কেবল টুপি পড়েন। শতকরা একজনেরও কম যাঁরা দিনের অধিকাংশ সময় এটা পরে থাকেন। টুপি দিয়ে বাঙালি মুসলিমকে সামগ্রিকভাবে ধরা যায় না। 🔴 বিশ্বজিৎ পন্ডার লেখা প্রবন্ধ সংকলনের ( স্বাধীনতা-উত্তর বাংলা ছোটোগল্পে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম-মানস ) প্রচ্ছদ সম্পর্কে মন্তব্য।

ট্যাব দিলেই হয় না, সময় মতো দিতে হয়

সুপ্রিয় সাথি, প্রথমেই অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানাই এত বড় একটা লেখা সময় দিয়ে পড়া ও সুচিন্তিত মতামত দেওয়ার জন্য। সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি প্রাসঙ্গিক কথা। ১) সরকার ট্যাব দিয়েছে। ঠিক। কিন্তু প্রশ্ন হলো কখন দিয়েছে? দিলেই হয় না, সময় মতো দিতে হয়, এবং তা ব্যবহার করে তারা পরীক্ষা দিতে পারবে কিনা সেটাও বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় এবং সময় মত ব্যবস্থা নিতে হয়। কিন্তু তা করা হয় নি। তাই রাজ্য সরকার সময়মত মনোযোগী না হওয়ার কথা আমার লেখাতেই উল্লেখ করেছি। ২) দ্বিতীয়ত, অনলাইনে পড়তে গেলে একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে টেকসেভি হতে হয় না, কিন্তু পরীক্ষা দিতে হলে টেকসেভি হতে হয়। এটা গরিব ও নিম্নবিত্ত এমনকি নিন্মম্মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। এই টেকনোলজি সম্পর্কে সম্যক ধারণা যাদের আছে তারা আমার এই মতকে অস্বীকার করতে পারবেন না। সুতরাং অনলাইনে পড়াশোনা করা গেলে পরীক্ষাও নেওয়া যায় - এই মতের সঙ্গে একমত হতে পারছি না। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে কিছুটা সম্ভব হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও স্কুল স্তরে একেবারেই সম্ভব নয়। এই স্তরের অভিভাবকদের আর্থিক অবস্থা এর প্রধান অন্তরায়। ৩) অফলাইনে হয় তো নেওয়া যেত। কিন্তু কোনো সরকারই সেই ঝুঁকি নেবে ন

অনলাইনে পড়াশোনা গেলেও পরীক্ষা নেওয়া যায় না।

Mahafuzur Rahaman সাথি, সময় করে পড়েছেন এবং মতামত দিয়েছেন। তাই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। অনলাইলে পড়ালে যেমন সকলের কাছে পৌঁছানো যাবে না, তেমন পরীক্ষায়ও সকলকে আনা যাবে না। সকল অভিভাবকদের সেই আর্থিক সামর্থ্য নেই। আমার ঘরের সন্তান তা দিতে পারলেও অধিকাংশ মানুষের ঘরের ছেলেমেয়েদের পক্ষে তা সম্ভব নয়। দ্বিতীয়ত, অনলাইনে পড়তে গেলে একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে টেকসেভি হতে হয় না, কিন্তু পরীক্ষা দিতে হলে টেকসেভি হতে হয়। এটা গরিব ও নিম্নবিত্ত এমনকি নিন্মম্মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েদের পক্ষে প্রায় সম্ভব। এই টেকনোলজি সম্পর্কে সম্যক ধারণা যাদের আছে তারা আমার এই মতকে অস্বীকার করতে পারবেন না। সুতরাং অনলাইনে পড়াশোনা করা গেলে পরীক্ষাও নেওয়া যায় - এই মতের সঙ্গে একমত হতে পারছি না। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে কিছুটা সম্ভব হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও স্কুল স্তরে একেবারেই সম্ভব নয়। এই স্তরের অভিভাবকদের আর্থিক অবস্থা এর প্রধান অন্তরায়। অফলাইনে হয় তো নেওয়া যেত। কিন্তু কোনো সরকারই সেই ঝুঁকি নেবে না। কারণ, তাতে সংক্রমন বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে। যদিও এই বিষয়ে আমার লেখায় কোনও মন্তব্য আমি করি নি। কারণ, সংক্রমন বাড়ার বিষয়ে আগবাড়িয়ে ভ

যুক্তি ছাড়া মুক্তি নাই

Ziya Hasan প্রথমটা ততটা যথাযথ নয়, দ্বিতীয়টা যতটা মনে হয়। কারণ, যুক্তিতে মেলায় মুক্তি বিশ্বাসে বহুদূর। যুক্তি-তর্কই জগতের চালিকাশক্তি। বিশ্বস কেবল বিশ্বাসীদের মনের জোর বাড়ায় মাত্র, এছাড়া আর কোনো শক্তি এর নেই। সুতরাং মন খুলে দ্বিধা ভুলে তর্ক করা চাই, যুক্তি-তর্ক ছাড়া কিন্তু চিন্তার মুক্তি নাই। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

গণতন্ত্র ও বিজেপির রাষ্ট্রভাবনার সম্পর্ক

"বিক্ষোভ দমনের তাড়নায় রাষ্ট্রের মনে সংবিধানস্বীকৃত প্রতিবাদের অধিকার এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের তফাত যেন কিছুটা ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। এই মানসিকতা যদি প্রাধান্য পায়, তা হবে গণতন্ত্রের পক্ষে দুঃখের দিন।" -- বিচারপতি অনুপ ভস্তানি ও বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল বিজেপি কি এসব কথা বোঝে না? না, তাদের বোঝার ইচ্ছা আছে? অথবা বলা ভালো, বোঝার দরকার আছে বলে কি তারা মনে করে? এটাই হলো লাখ টাকার প্রশ্ন। ওরা বোঝে, শুধুই রাজনৈতিক ক্ষমতা। আর বোঝে, তা অর্জন ও ধরে রাখতে গেলে দরকার পুঁজির দালালি। কারণ, গরিবের ভোট টাকা দিয়ে সহজেই কেনা যায় - এ সত্য ওরা জানে, এবং মনে প্রাণে বিশ্বাসও করে। আর কেউ কেউ জানে, সেই টাকার যোগান দেয় পুঁজির মালিকরা। তাই তারা গণতন্ত্র বা গরিবের কথা নয়, ভাববে পুঁজির মালিকদের কথা। এবং একথা না বোঝাটা হলো মস্তবড় বোকামি। পুঁজির মালিকদের সৌভাগ্য, এই সত্যটি অধিকাংশ সাধারণ মানুষই জানেন না এবং বোঝেনও না। ২০২০-২১ (আর্থিক বছরে) করোনা অতিমারী যেখানে বিশ্বের একাধিক দেশ সহ ভারতের জিডিপি'কেও তলানিতে টেনে নামিয়ে দিয়েছে, সেখানে একই সময়ে নিজের সম্পত্তির পরিমাণ ৩.১৪ লক্ষ কোটি টাক

বামপন্থীদের ভরাডুবি : বিজেপির অভিযোগ

আপনার ভাবনা কে সম্মান জানাই। কিন্তু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন‍্য যারা একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের আর্থসামাজিক উন্নয়নের দিকে ধ‍্যান না দিয়ে শুধুমাত্র ঐ সম্প্রদায়কে বিরোধীদলের জুজু দেখিয়ে সস্তা সমর্থন আদায় করতে চায় (যে কাজে তারা দারুন ভাবে সফল) তারা কি বিদ্বেষের বীজ জিইয়ে রাখবে না? উন্নয়নের প্রশ্নে ভোট হলে বাম কংগ্রেস কি একটাও আসন পেত না? তাই ভোট পরবর্তী হিংসা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে হওয়ার কোনো কারন নেই। এক শ্রেনীর ক্ষমতালোভী রাজনীতিকের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার একটা হীন প্রচেস্টা। সাথি, আপনার কিছু কিছু ভাবনাকে আমিও সম্মান জানাই। আপনার সাহিত্য কর্মকে আমি সম্মানের চেখেই দেখি। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষণের সাথে একমত হতে পারি না। কারণ, ১) আপনার ভাবনার সঙ্গে আপনার দলের ভাবনা ও পরিকল্পনা অনেক ক্ষেত্রেই বিপরীতমুখী। যেমন ধরুণ, আপনি যে বিশেষ সম্প্রদায়ের জন্য তৃণমূল সরকার কিছুই করে নি বলছেন, আপনার দল কিন্তু লাগাতার প্রচার করে যাচ্ছে যে এই দলটি ওই বিশেষ সম্প্রদায়কে তোষণ করে চলেছে। আর সংখ্যাগুরুদের স্বার্থ উপেক্ষিত হচ্ছে। ২) এই সম্প্রদায়কে কেউ কেউ সরাসরি ভয় দেখছে (যেমন বিজেপি) আর কেউ পরোক্ষে ভয় পাওয়াচ্ছে ( যেমন

সবিনয় নিবেদন : প্রসঙ্গ সাম্প্রদায়িকতা ও দেশপ্রেম

আপনার Whatsapp কথার মানে বুঝতে পারছি না। কী সব আজে-বাজে কথা বলছেন। আপনার চেয়ে আমি অনেক বেশি ভারতীয়। ভারতই আমার জন্মভূমি, পাকিস্তান নয়। একথা ভুলে যাওয়ার স্পর্ধা দেখাবেন না। পাকিস্তানের সঙ্গে আমার কিসের সম্পর্ক যে তার সপক্ষে আমি কথা বলবো? আমি না সেদেশে থাকি, না সেদেশ ছেড়ে এদেশে চলে এসেছি। তাহলে কিসের টান থাকবে আর কি কারণে তার পক্ষে কথা বলবো? একাজ তো বোকারা করে। আপনার কি মনে হয় আমি তেমন ধরণের বোকা?  যারা ওদেশে থেকে এদেশে বিভিন্ন কারণে চলে এসেছেন তাদের মধ্যে সেদেশে প্রতি একটা টান থাকতে পারে। আপনি যদি এসে থাকেন, তবে আপনার মধ্যে সেটান থাকা সম্ভব। কিন্তু আমার কেন থাকবে? যুক্তি-বুদ্ধিও কি কাজ করে না আপনার মধ্যে? দ্বিতীত, যারা সুবিধা পাওয়া কিংবা অসুবিধা দূর করার জন্য কিংবা সাম্প্রদায়িক রাজনীতিক কুমন্ত্রণায় মাতৃভূমি ত্যাগ করে অন্যদেশে চলে আসে তারা দেশভক্ত হয়ে যায় আর যারা মাতৃভূমিকে ভালোবেসে মাটি কামড়ে পড়ে থাকে তারা দেশদ্রোহী? বলিহারি আপনার বিবেচনা বোধ! আপনি তো শিক্ষিত মানুষ। অন্তত তাইই তো দাবি করেন। তাহলে কীভাবে ভাবেন, যে একজন আপনার মতের সঙ্গে একমত না হলেই তিনি পাকিস্তানি হয়ে যাবে? আ

উই দা টিচার ও আমার কথা

আমার লেখা ওনারা যত্ন সহকারে ডিলিট করে দেন। এমনকি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করলে ওনারা কষ্ট পান বলে আমার মনে হয়েছে। তাই আমার মন্তব্য সহ অন্যের পোস্ট পর্যন্ত হঠাৎ করে উধাও হয়ে যায়। ধর্মের প্রচার বা ধর্মীয় সংস্কারের পক্ষে বলুন অসুবিধা নেই। অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বলুন। সমস্যা আছে। ছাত্রছাত্রীদের উপকারে আসে এমন পোস্ট করলে ওনারা তা প্রকাশ করেন না। সমালোচনা করলেও প্রকাশের সততা দেখান না। এগুলো আমার ক্ষেত্রে হয়েছে। অন্যের ক্ষেত্রে কি হয়েছে বা আপনার ক্ষেত্রে কী হবে দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারবো না। আমার ক্ষেত্রে ঘটা ঘটনার যা ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা বড়ই হাস্যকর ঠেকেছে আমার কাছে। ওনাদের দেওয়া শর্ত যা আমাকে জানানো হয়েছে, দেখলাম সবার জন্য তা প্রযোজ্য হয় নি। আসলে ছোটখাটো মানুষদের কথা 'বড়ো বড়ো' মানুষরা পাত্তা দেবেন না, এটাই জগতের অলিখিত নিয়ম। তাই ওনাদের দোষ দেখিনা। সেজন্য ঠিক করেছি আর পোস্ট করবো না। তবে জ্ঞানার্জনের জন্য ওনাদের মত 'বড়ো' মানুষদের সঙ্গ ছাড়বো না। যদি ওনারা এই ক্ষুদ্র মানুষটিকে বের না করে নেন।😀😀 জানিনা এই মন্তব্যটি দীর্ঘ জীবন পাবে কিনা! প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক

শিক্ষক গ্ৰুপ ও তার চরিত্র বিশ্লেষণ

আপনি কোন গ্ৰুপের কথা বলছেন জানি না। আমি একটা বিরাট গ্ৰুপের সদস্য। আপনিও বোধ হয় সেই গ্ৰুপরের কথাই বলছেন। যদি তাই হয়, তবে এদের এডমিনদের মানসিকতা খুব সুস্থ ও শিক্ষিত বলে মনে হয় নি আমার। এরা কুসংস্কার ও সংস্কার বাড়ে এমন সব পোস্টকে এপ্রুভ করে। আর যারা এর বিরুদ্ধে বলে তাদের পোস্ট আটকে দেয়। কোনো পোস্ট কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে করলে ওরা তা ততক্ষণ রাখে যতক্ষণ ওই পোস্ট দাতাকে নিয়ে খিল্লি করা চলে। কিন্তু আপনি যখন উপযুক্ত তথ্য  যুক্তি দিয়ে পোস্টদাতার মতামতকে সমর্থন ও মতামত প্রকাশ করবেন এবং যখন কেউ উপযুক্ত জবাব দিতে পারবেন না, তখনই আপনার মন্তব্য সহ পুরো পোস্টাই ডিলিট করে দেয়। এই গ্ৰুপে একটি নির্দিষ্ট দলের লোক শিক্ষক সেজে ঢুকে বসে লাগাতার ধর্মীয় আবেগ যা আদতে সংস্কার কিম্বা কুসংস্কার, তার চর্চা করে যাচ্ছে যা আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যায় না। সুতরাং সেখান থেকে আপনি কী আশা করবেন। ওদের মতের বিরুদ্ধে গেলে ওরা পোস্ট এপ্রুভ করে না তো। খোলা মনে কাউকে ওখানে কথা বলার সুযোগ রাখে না। আপনি যুক্তি দিয়ে পরীক্ষা না নেওয়ার কথা লিখে পোস্ট করে দেখুন। ওরা তা এপ্রুভ করবে না।

বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দেওয়া।

সাথি, ছুটি দেওয়াটা বোধ হয় ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ, ১) আপনি এদের মুখোশ খোলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। ২) এরা যে বিষ ছড়াচ্ছে তা কিছু মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে এবং তারা উপযুক্ত ব্যাখ্যা পাচ্ছেন না বলে বিষের বাঁশি বাজানোর অভ্যাস করে ফেলছেন। তাই ছুটি না দিয়ে উপযুক্ত তথ্য দিয়ে পরিশীলিত ভাষায় জবাব দিন। বুঝিয়ে দিন শিক্ষা আর অশিক্ষার মধ্যে পার্থক্য কোথায়। উনি না বুঝতে চাইলেও ওনার সঙ্গে থাকা অনেক মানুষ নিশ্চয়ই বুঝবেন। সেটাই আসল লাভ। সমাজের জন্য। ছুটি না দিলে ওনার বন্ধু তালিকায় থাকা সত্যিকারের ভালো মানুষ ভুল পথ থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ পাবেন আপনার শিক্ষার আলোয় আলোকিত হওয়ার কারণে এবং নতুন করে অনেকেই ওই বিষের বাঁশি মুখে নেওয়া থেকে পিছিয়ে যাবেন। কারণ, মুখে না নেওয়ার সুবিধা কিংবা অসুবিধাটা আপনার কাছ থেকে বুঝে নেওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবেন। ভালো মানুষদের সঙ্গে ভালো মানুষের গুণাবলী নিয়ে আলোচনা যেমন খুব বেশি গুরুত্ব রাখে না তেমনি আপনার সমমনষ্ক মানুষদের মধ্যে আপনার আলোচনা সীমাবদ্ধ হয়ে গেলে তার গুরুত্ব যথাযথ মর্যাদা পায় না। কিছুটা ঘাটতি থেকে যায়। তেলা মাথায় তেল দেওয়ার মতো তাৎপর্যহীন হয়ে পড়ে। আপনি যাকে ছুটি দিলেন, তার বন্

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক

Aptabul Islam Ahmed বিকল্প ব্যবস্থা ভাবতে বাধা নেই। কিন্তু পড়ালেন না অথচ পরীক্ষা নেবেন কোন যুক্তিতে? অবস্থাপন্ন মানুষের ছেলেমেয়েরা অনলাইনে প্রাইভেট টিউশন হয়তো পেয়েছেন। এবং এক্ষেত্রে প্রায় সবাই সিবিএসসি বা আইসিএসসি স্কুলের পড়ে। তাদের কোনো পরীক্ষা দিতে হচ্ছে না। পরের ক্লাসে উঠে পড়াশুনা করতে শুরু করেছে। আর আমরা গরিব মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েদের, যারা তেমন কোনো সুবিধাই পেলো না। নানা অজুহাতে অনলাইন ক্লাস নিতেও অস্বীকার করলাম। তাদেরই আবার কোন যুক্তিতে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করছি? Samim Saif Alam তুমি ঠিকই বলেছো। এটা নিয়ে নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই পরীক্ষা নেয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে। অবস্থাপন্ন ঘরের ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা না দিয়ে পার পেয়ে যাবে। আর যারা সারা বছর পড়ার সুযোগ পেলো না সেই অভাবী ঘরের ছেলেমেয়েদের জোর করে পরীক্ষায় বসাচ্ছি। এরা কীভাবে ভালো রেজাল্ট করবে? একটা গোষ্ঠী কোনো পরীক্ষা না দিয়ে ভালো রেজাল্ট পাবে আর অভাবীরা পরীক্ষার যাঁতাকলে পড়ে বাজে রেজাল্ট করে পিছিয়ে পড়বে? এটা কতটা যৌক্তিক? Samim Saif Alam তুমি ঠিকই বলেছো। এটা নিয়ে নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই পরীক্ষা নেয়ার

নাস্তিক না আস্তিক

নাস্তিক কিংবা আস্তিক হওয়ার চেয়ে প্রকৃত মানুষ হওয়াটা খুব জরুরি।

মুসলমানদের করণীয় কী?

এদের সম্পর্কে আমার জানা বোঝা আছে। এরাও চেয়েছে মমতা ক্ষমতায় আসুক। কাজও করেছে বিজেপিকে ঠেকাতে ও মমতাকে আনতে। খানিকটা বাধ্য হয়েই। শুধু মুলনিবাসীদের বিরুদ্ধেই আরএসএস কাজ করছে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে নয় - এই ধারণাটা ভুল। কারণ মুলনিবাসী যাদের বলা হয়, তারই একটা অংশ হল মুসলিম। ধর্মান্তরিত মুসলিম। আমরা সবাই ধর্মান্তরিত মুসলিম। অর্থাৎ মুলনিবাসী। তাই মুসলিরাও আরএসএসের টার্গেট। এটা ভুলে গেলে ভয়ংকর ভুল হবে। আমি জানি না, যিনি বলছেন, তিনি সত্যিকারের বাপসেপ, না বিজেপির বানানো বামসেপের নকল কোনো সংগঠন। মুসলিমদের বোঝানোর আগে ওনাকে মুলনিবাসীদের বোঝাতে হবে। কারণ, তারাই সংখ্যায় বেশি। তাদের বোঝাতে না পারলে কাজের কাজ কিছু হবে না। যতদিন না এরা এই 70-75% মানুষকে বোঝাতে পারছেন ততদিন মুসলিমদের কখনও তৃণমূল আবার কখনও সিপিএমকে ভোট দিয়ে যেতে হবে। কিছু করার নেই। কারণ, এই 70-75% মানুষকে ব্রাহ্মণ্যবাদীদের খপ্পর থেকে না বের করে যদি শুধু মুসলিমরা বেরিয়ে আসে, তবে বিজেপি ক্ষমতায় চলে আসবে। কারণ, এরা অর্থাৎ মুসলিম সম্প্রদায় বর্তমানে ভোটের ফলাফলকে পরোক্ষে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই এরা আগেভাগেই বেরিয়ে এলে সেটা হবে আরও মারাত্মক ভুল। ব্রাহ

বিজ্ঞান আর ধর্মের পার্থক্য

ধর্ম অপরিবর্তনীয়। ধর্মগুরু জগৎ ও জীবন সম্পর্কে যা বলে (আবিষ্কার করে) গেছেন তাকে যুগ যুগ ধরে মেনে নিতে হয়। বিরোধিতা করলেই প্রচন্ড রোষের কোপে পড়ে অনুসন্ধিৎসু মানুষ। কিন্তু বিজ্ঞান পরিবর্তন যোগ্য। একজন বিজ্ঞানি যা বলে গেছেন, হামেশাই তার বিরুদ্ধে বলা যায়। তাকে পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করা যায়। এখানেই বিজ্ঞান ধর্মের থেকে এগিয়ে। একজন বিজ্ঞানি তার গবেষণা ও অধ্যবসায় দিয়ে, জগৎ ও জীবন সম্পর্কে যতটুকু আবিষ্কার করে যান, তা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। আরও অনুসন্ধানের মাধ্যমে তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা যায়। এই কাজ আবিষ্কারক বিজ্ঞানী তার অনুগামীদের দিয়ে যান। বলা ভালো, এতে কেউ কোন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে না। কিন্তু ধর্মের ক্ষেত্রে সেটা ধর্মগুরুর স্বঘোষিত অনুগামীরা অন্য কাউকে করতে দেননা। এখানেই ধর্ম বিজ্ঞানের চেয়ে পিছিয়ে গেছে। প্রত্যেক ধর্মের ধর্মগুরু জগৎ ও জীবন সম্পর্কে অনেক মূল্যবান তথ্য দিয়ে গিয়েছেন। তাদের মধ্যে যেমন কিছু তথ্য যুগান্তকারী, তেমনি কিছু তথ্য একটি যুগের কাছে সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। তা যুগ অতিক্রম করতে পারে নি। কিন্তু এই সীমাবদ্ধতা ধর্মগুরুর স্বঘোষিত অনুগামীরা দূর করতে দেন না। ফ

নেই কাজ তো খই ভাজ

নেই কাজ তো খই ভাজ। বাঙালি পারেও ভালো। এখন আলাপন নিয়ে পড়েছেন। প্রায় সবাই। কেউ বলছেন তিনিই (আলাপন) একমাত্র মেরুদন্ডী প্রাণী, তো অন্যজন তাঁকে অমেরুদন্ডী প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লাগছেন। কেউ আবার বাম আমলের মেরুদন্ডী প্রাণীদের খুঁজে এনে দাড়ি পাল্লায় চড়িয়ে দিচ্ছেন। প্রমাণ করতে চাইছেন, তারাই আসল মেরুদন্ডী প্রাণী ছিলেন। যারা এসব করছেন তাদের অধিকাংশই সরাসরি রাজনীতি করেন না। কোনো সামাজিক কাজেও নেই। কারা কাজ করছেন? পরে বলছি। আরে বাবা, মেরুদন্ডী প্রাণী আগেও ছিল। এখনও আছে। যাঁরা মেরুদন্ড নিয়ে জন্মায়, আর তার যত্ন নেয়, তাঁরা মেরুদন্ডীই থাকে। আমার আপনার বলায় কিছু যায় আসে না। বিষয়টা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক? পুরোপুরি না। বলা ভালো, খানিকটা রাজনৈতিক ইগোর লড়াই। খানিকটা তথাকথিত রাজনীতি। রাজনীতিকরা করছেন। এগুলো করছেন সমস্যা থেকে মানুষের মুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য। করোনা ও ইয়াস সংক্রান্ত সংকটই এখন মূল আলোচ্য বিষয়। কীভাবে এই সংকট থেকে মুক্তি আসবে তা-ই এখন প্রধান আলোচ্য হওয়ার কথা। বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। কোন আর্থিক পরিকল্পনায় এই সংকট থেকে মুক্তির পথ বের হবে - আলোচনার কেন্দ্রে থাকার কথা সেই বিচার বিশ্লেষণ। আমরা সেখানে নেই। সেখান

WE THE TEACHERS গ্রুপের এডমিনকে

সাথি, ব্যক্তির পরিচয় দেখে পোস্ট অনুমোদিত হবে না - এটা খুবই যুক্তিযুক্ত কথা। একজন শিক্ষক হিসাবে এটুকু বোধ আমার আছে এটা নিশ্চিত করছি। সেটা আলাদা করে জানানোর খুব প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। আর সেটা জানার জন্যও আপনাদের কাছে পোস্ট করিনি। যাই হোক, সব পোস্টের স্ক্রিন শর্ট নেওয়া নেই। কারণ প্রয়োজন পড়বে বুঝি নি। তবে দুটো তথ্য আপনাদের দিতে পারি। ১) একটা ইতিসাসের ছাত্রছাত্রীদের জন্য পোস্ট করেছিলাম দুতিনদিন আগে। আজ অথবা গতকাল সেটা ডিলিট করেছেন। এর আগেও একবার দিয়েছিলাম। প্রকাশ করেন নি। ভেবেছিলাম হয়তো ছাত্রছাত্রীদের জন্য করা কোনো পোস্ট  আপনারা অনুমোদন করেন না। ওটা নিয়ম ভেবে নিয়ে আর কিছু বলি নি। কিন্তু তারপর তো অনেক পোস্ট দেখলাম ছাত্রছাত্রীদের জন্য করা হচ্ছে। তাই এবার দিয়েছিলাম। ২) অন্যটি নির্বাচনের আগে একজন আমাকে অসম্মানজনক কথা বলেছিলেন ও হুমকি দিয়েছিলেন। তাই অভিযোগ করে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। এর কোনটাই আপনারা প্রকাশ করেন নি এবং দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপও নেন নি। আরও অনেক ঘটনা ঘটেছে যার কোনো স্ক্রিনশট আমি রাখিনি। এতবড় একটা গ্ৰুপ। তাও আবার শিক্ষকদের। বুঝিনি যে স্ক্রিনশর্ট নিয়ে রাখতে হবে। এটা হয় তো

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

স্বাধীনতা ও শৃঙ্খলা

স্বাধীনতা ও শৃঙ্খল পরস্পরের পরিপূরক। একটা ছাড়া অন্যটার মর্ম উপলব্ধি করা যায় না।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র

ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র যে আমেরিকা, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর তা লাগামহীন হয়ে উঠেছে। মূলত, গায়ের জোরে পেরে ওঠেনা বলে অধিকাংশ দেশ মুখ বন্ধ করে থাকে। ব্যতিক্রম শুধু মধ্যপ্রাচ্যের গুটিকতক (ইরান, তুরস্ক ইত্যাদি) দেশ। চিনের উইঘুরদের নিয়ে আমেরিকার মায়া কান্নার শেষ নেই। অথচ, প্যালেস্টাইনিদের বেলায় চোখ বন্ধ করে থাকে সে। ইসরাইলকে নির্লজ্জভাবে অস্ত্র যোগান দিয়ে আসছে এবং এখনও দিচ্ছে। এই অস্ত্র প্যালেস্টাইনি নিরীহ নারী-শিশুদের নির্বিচারে হত্যার কাজে ব্যবহার করছে ইসরাইল সে। উদ্দেশ্য একটাই, জোর করে ফিলিস্তিনিদের নতুন নতুন এলাকা জবর দখল করা এবং ইতিমধ্যেই অধিকৃত অঞ্চলে জবরদখল কায়েম রাখা। এই সব কর্মকাণ্ড দেখেও না দেখার ভান করে আসছে আমেরিকা। অথচ, এরাই মানবাধিকারের কথা বলে, জাতির আত্মনিয়ন্ত্রের কথা বলে। এরাই গণতন্ত্রের কথা বলে চিনের বিরোধিতা করে। আবার এরাই মধ্যপ্রাচ্যের রাজতান্ত্রিক স্বৈরশাসকদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে যুগের পর যুগ। নির্লজ্জ দ্বিচারিতা এর চাইতে বেশি কী হতে পারে? বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

কেউ কাউকে ভোলে না

জগতে কেউ কাউকে ভোলে না, শুধু প্রয়োজন ফুরালে এড়িয়ে চলে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন 

ভুতের মুখে রাম নাম

প্রশাসনিক সুবিধা ও উন্নয়নের লক্ষমাত্রা পূরণের উদ্দেশ্য নিয়ে জেলা ভেঙে নতুন জেলা তৈরি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সেই লক্ষ্যেই পাঞ্জাবে ২৩ তম জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে মালেরকোটলা । জেলাটি মুসলিম প্রধান হওয়ায়, মুখমন্ত্রী অমরিন্দর সিং টুইট করে জানায়, এটা ইদের উপহার। এতেই যোগী সাহেবের (উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী) ভারতের সংবিধানের ওপর তার 'অগাধ বিশ্বাস' ও  'ধর্মনিরপেক্ষ' আবেগ প্রচন্ডভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তিনি পাল্টা টুইট করে এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছেন। লিখেছেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে কোনো ধরণের বিভাজন ভারতীয় সংবিধানের মতাদর্শের বিরোধী। এটা কংগ্রেসের বিভেদপন্থী নীতির প্রতিফলন। এখন প্রশ্ন হলো : ১) বাবরি মসজিদ ভাঙা এবং সেখানে মন্দির করা ভারতীয় সংবিধানের কোন ধারা মতে বৈধ ছিল? সেটা কি বিভেদপন্থী নয়? সেটা কি বিশেষ কোন ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে হয় নি? ২) না কি সংখ্যাগুরুর ধর্মবিশ্বাসকে ভিত্তি করলে তাকে বিভাজন বলে না। শুধুমাত্র সংখ্যালঘুদের ধর্মবিশ্বাসকে ভিত্তি করাকেই কেবল বিভাজন বলা হয়? সংবিধানের কোন ধারা ও উপধারা মতে এই ভাবনা বৈধতা পায়, যোগিজি? ৩) এই সৌধটি ভাঙা

বামপন্থীদের পরাজয়ের কিছু কারণ

এবারের বিধান সভার নির্বাচন দ্বিমুখী লড়াই। এই দুটো মুখ হলো বিজেপি বিরোধী মুখ ও বিজেপির মুখ। মূলতঃ এই দুইভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিলেন বাংলার মানুষ। বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে তৃণমূল নিজেকে যতটা শক্তিশালী পক্ষ হিসাবে তুলে ধরতে পেরেছে, বামপন্থীরা ততটা পারে নি। বলা ভালো, তুলে ধরে নি। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন ধরেনি?  ১) নিচতলার কর্মীরা বিজেপিকে প্রধান শত্রু হিসাবে ভাবেন নি। বিজেমূল শব্দটি তার বড় প্রমাণ। ২) নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করার মত ভুল রণনীতি। তৃণমূলকে আগে সরাও, তাতে বিজেপি আসে আসুক। ৩) বামপন্থীরা ভুলে গিয়েছিলেন যে, তাদের ৩৪ বছরের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার অন্যতম প্রধান কারণ তাদের অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি। বাংলার মানুষের এটা একান্ত নিজস্ব অর্জন। তৃণমূল বিজেপির সাথে জোট করেও সেই কারণেই ক্ষমতায় আসতে পারে নি। ৪) বামপন্থীদের অনেকেই ভুলতে বসেছেন যে, অসাম্প্রদায়িক বাঙালির যুগযুগ ধরে অর্জিত একটি স্বত্বা। শ্রীচৈতন্য, রামকৃষ্ণ, রবীন্দ্র-নজরুলের হাত ধরে আবহমানকাল ধরে এই ধারা চলে আসছে। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হওয়ার পরও বাংলাদেশে ইসলামিক মৌলবাদী শক্তি এখনও মাথা তুলতে পারেনি এই ধারার সক্রিয় অবস্থানের কারণে। ৪

দেশের দুর্দশা ও শাসকদলের ভূমিকা

এই অবৈজ্ঞানিক ভাবনা যখন কোনো দেশের মানুষ বয়ে বেড়ায় এবং কোনো শাসক দল যখন তাকে উৎসাহিত করে তখন সেদেশের দুর্দশা সহজে ঘোচার নয়। আধুনিক দেশ হিসেবে সেদেশের দাবি আধুনিক বিশ্বে মান্যতাও পায় না। পৃথিবীর প্রত্যেক দেশ যখন প্রগতির পথে একটু একটু করে এগোচ্ছে, আমরা তখন ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছি। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য নয়, শাসকদলের কৃতকর্মের ফল।

হানাহানির উৎস

কাড়াকাড়িই জন্ম দেয় হানাহানির। কেননা, কাড়াকাড়িই হল বঞ্চনার কারণ। তাই বঞ্চনার অবসান না করতে পারলে, হানাহানি বন্ধ হবে না। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

দেশ সেবা মানে মানুষের সেবা

Debdip Dutta বাহ! খুব ভালো। খুব ভালো লাগলো সেবা করার কথাটা শুনে। তা কীভাবে সেবা করছিস? যেভাবেই করিস বাবা, মানুষের মধ্যে অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার আর জাতি ও ধর্মীয় বিদ্বেষ যেন না ছড়ায়, সেটা লক্ষ্য রাখিস। কারণ, দেশ সেবা মানে মানুষের সেবা। মানুষকে বাদ দিয়ে দেশ  হয় না, তাই দেশসেবাও হয় না। দেশ সেবা মানে মানুষকে মানুষের বিরুদ্ধে বিষিয়ে দেওয়া নয়। মানুষের সঙ্গে মানুষের ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপন করা এবং মানুষের পাশে থেকে মানুষের উপকার করার চেষ্টাটাই (আজকের সময়ে) সবচেয়ে বড় দেশ সেবা। তাই মানুষে মানুষে বিদ্বেষ ছড়ায় এমন কোনো কাজ বা কথা যেন ভুলেও করিস না বা বলিস না। তাহলে ওটা আর দেশ সেবা থাকবে না। মানুষের মনে কষ্ট দিয়ে আর যাই হোক, দেশ সেবা হয় না। কারণ, মানুষকে নিয়েই দেশ। মানুষ না থাকলে দেশ বলেও আর কিছু থাকে না। আমাদের মনে রাখতে হবে, মানুষের সব চেয়ে বড় পরিচয়, তার ধর্ম নয়, তার মনুষত্ব। কারণ, ধর্ম নিয়ে মানুষ জন্মায় না, যা নিয়ে জন্মায় সেটা মনুষত্ব। ওটা না থাকলে, বনের পশুর সঙ্গে মানুষের আর কোন পার্থক্য থাকে না। আর মানুষ না থাকলে, দেশ কথাটাও অলীক বস্তুতে পরিণত হয়। সেজন্যই বন্য প্রাণীদের কাছে দেশ বা দেশপ্রেম

অন্ধবিশ্বাস নিয়ে সুশাসক হওয়া যায় না

আপাদমস্তক অন্ধ-বিশ্বাস ও কুসংস্কারে মোড়া মানুষ ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা যদি দেশ পরিচালনার দায়িত্বে বসে, সে দেশ জাহান্নামে (নরকে) পরিণত হতে বাধ্য।

মেধা ও সাফল্য

মেধা থাকলেই সাফল্য আসে না। মেধাকে যুক্তি-বুদ্ধি ও বিজ্ঞানসম্মত ভাবে কাজে লাগাতে হয়। তবেই সাফল্য মেলে। আমার কষ্ট হয় এটা দেখে যে আমার সবচেয়ে কাছের মানুষদের একজন শুধুমাত্র মেধাকে ভর করে পথ হাঁটছে। তাকে বোঝানো যাচ্ছে না যে........।

আনন্দিত নই, খুশি হয়েছি

Bhabani Sankar Chatterjee হয় তো তা-ই। হয়তো আসবে না। সত্যি কী হবে, সময়ই বলে দেবে সে প্রশ্নের উত্তর। তবে, মানুষ যে রায় দিয়েছে, তাকে সম্মান না জানানোর কোনও কারণ দেখছি না। এর চেয়ে বেশি ভালো কোনো বিকল্প যদি কোনো দিন কোন দল হয়ে উঠতে পারে, নিশ্চয়ই সেদিন মানুষ তার মত পাল্টাবে। আপাততঃ সে বিকল্প নেই। হয়ে উঠতে পারেনি অন্যকোন রাজনৈতিক দলও। বামপন্থীরা যে পারবে না, তা আব্বাস-সিদ্দিকীর সঙ্গে জোট করার সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার হয়ে ওঠে। এ সিদ্ধান্ত বামপন্থীদের (বামপন্থার নয়) দেউলিয়াপনার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ছিল। বিগত লোকসভার ভোটের সময় নিজের ভোটারদের নিজেদের কাছে ধরে রাখার ক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ করে নি। কেন করে নি তা বিস্তারিত বলার পরিসর এখানে নেই। কিন্তু সেটা ভুল ছিল সেটা প্রমাণিত সত্য। আত্মসমালোচনা ও সেখান থেকে বের হওয়ার পথ এখনও পায় নি বামপন্থীরা। দ্বিতীয়ত, জাত-ধর্মের বিভেদ সৃষ্টিকারী কোন শক্তিকে মানতে খুবই কষ্ট হয়। পারিনা। পারিনা তাদের আর্থিক নীতির কারণেও। সুতরাং আনন্দিত না হলেও খুশি না হওয়ার কারণ দেখছি না। তাছাড়া, কোন লজেনচুস বা রাজভোগ পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ভাবি না। ভাবি শুধু মানুষের ভালো। এটা ছাড়া আর স

অন্ধ-বিশ্বাস দিয়ে ধর্মপ্রতিষ্ঠান চালানো যায়, দেশ না।

অন্ধ-বিশ্বাস দিয়ে ধর্মপ্রতিষ্ঠান চালানো যায়, দেশ চালানো যায় না। কারণ, আধুনিক রাষ্টব্যবস্থা ও জগৎ চলে যুক্তি ও কার্যকারণ সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা নিয়ম-কানুনের দ্বারা। তাই ধর্মান্ধদের হাতে দেশের শাসনভার পড়লে দেশে বিপর্যয় নেমে আসে। আমাদের দেশ তার জলন্ত উদাহরণ হয়ে রইলো ইতিহাসে।

দলবদল ও গণতন্ত্র : একটি চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা

দলবদল একটা চুড়ান্ত অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। গণতন্ত্র মানে জনগণের তন্ত্র অর্থাৎ জনগণের শাসন। জনগণই এখানে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। জনমতই এখানে শাসকের মত। কিন্তু জনপ্রিনিধি যখন দল বদলান তখন তিনি নিজের মতকেই প্রাধান্য দেন। যাদের ভোটে তিনি নির্বাচিত হলেন তাদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে অন্য দলে চলে যাচ্ছেন। একটা নির্দিষ্ট দলকে জনগন পছন্দ করেন না বলেই তো তিনি আপনাকে ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনের পরে যদি সেই দলেই চলে যান তবে অন্যায়, ভোটারের প্রতি অসম্মানজনক ও চূড়ান্তভাবে অগণতান্ত্রিক। এক কথায় এটা একধরনের চিটিংবাজি। রাজনৈতিক দল গুলি এসব জানে। কিন্তু কিছুই বলে না। কারণ, তারা অধিকাংশই এই ধরণেরচিটিংবাজি করতে সিদ্ধহস্ত। জনগন তাদের কাছে ক্ষমতা দখলের হাতিয়ার মাত্র। হাতিয়ার যেমন কাজের সময় যত্ন পায়, কাজ ফুরালে অনাদরে অযত্নে ফেলে রাখা হয়, জনগণও ঠিক সেরকমই মূল্য পায় রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে। তাই এর বিরুদ্ধে জনগণকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। দলবদল করলেই, যাঁরা ভোট দিয়েছেন তাঁদের দলবদল করা জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে মুখ খোলা দরকার। এমনকি দরকার হলে অরাজনৈতিক সংগঠন তৈরি করে আইনেই কাঠগড়ায় তোলা দরকার। না হলে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যব

ভ্যাকসিন ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন

কেন কেবল দু’টি সংস্থা? আইসিএমআর'র গবেষণা থেকে টিকা তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক। কেবল একটি বেসরকারি সংস্থাকে উৎপাদনের দায়িত্ব। সরকারি বা বেসরকারি অন্য সংস্থাগুলিকে দায়িত্ব দেওয়া হল না কেন? বাতিল রাষ্ট্রায়ত্ত টিকা সংস্থা। কিন্তু কেন কার স্বার্থে? সাতটি (৭টি) রাষ্ট্রায়ত্ত টিকা উৎপাদক সংস্থাকে বসিয়ে রেখেছিল কেন্দ্র। ভারত ইমিউনোলজিক্যালস অ্যান্ড বায়োলজিক্যালস কর্পোরেশন, হাফকাইন বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কর্পোরেশন, হিউম্যান বায়োলজিক্যালস ইনস্টিটিউট, এইচএলএল বায়োটেক, বিসিজি ভ্যাকসিন ল্যাবরেটরি, সেন্ট্রাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, পাস্তুর ইনস্টিটিউট। ১৬ এপ্রিল প্রথম দু’টিকে উৎপাদনে যুক্ত করা হয়। সুপারিশ ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার মধ্যমে টিকা উৎপাদনের পক্ষে। কিন্তু বাতিল হল কেন? ২০০৮-এ তিন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার লাইসেন্স বাতিলের বিরোধিতা করা হয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পরপর দু’টি রিপোর্টে। মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টেও। জাবিদ চৌধুরি কমিটি তিন সংস্থা- সিআরআই, পিআইআই এবং বিসিজিডিএল পুনরুজ্জীবনের পক্ষেই সুপারিশ করেছিল। রিপোর্টে দেখানো হয় যে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বন্ধের ফলে ২০০৮-০৯ এবং ২০০৯ ১০ অর্থবর্ষে

বাংলা নববর্ষ : উৎপত্তি ও বিকাশ

এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির, কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। এই কৃষিকাজের সুবিধার্থেই মুগল সম্রাট   আকবর  ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০/১১ মার্চ বাংলা সন প্রবর্তন করেন এবং তা কার্যকর হয় তাঁর সিংহাসন-আরোহণের সময় থেকে (৫ নভেম্বর ১৫৫৬)। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌরসনকে ভিত্তি করে বাংলা সন প্রবর্তিত হয়। নতুন সনটি প্রথমে ‘ফসলি সন’ নামে পরিচিত ছিল, পরে তা   বঙ্গাব্দ  নামে পরিচিত হয়। বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত আকবরের সময় থেকেই। সে সময় বাংলার কৃষকরা চৈত্রমাসের শেষদিন পর্যন্ত জমিদার, তালুকদার এবং অন্যান্য ভূ-স্বামীর খাজনা পরিশোধ করত। পরদিন নববর্ষে ভূস্বামীরা তাদের মিষ্টিমুখ করাতেন। এ উপলক্ষে তখন মেলা এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। ক্রমান্বয়ে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশে পহেলা বৈশাখ আনন্দময় ও উৎসবমুখী হয়ে ওঠে এবং বাংলা নববর্ষ শুভদিন হিসেবে পালিত হতে থাকে

হিন্দু নববর্ষ : কল্পনা ও বাস্তব

হিন্দু নববর্ষের সূচনা করেছিলেন নাকি বিক্রমাদিত্য। বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের এই দাবিটি নিতান্তই হাস্যকর। কারণ, ১) বিক্রমাদিত্য বলে কোন রাজা আদতে ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত ভাবে প্রমাণ হয় নি। লোককাহিনীর একটি চরিত্র বিখ্যাত হয়ে আছে। ২) সবচেয়ে বড় কথা, এই লোককথার রাজার (বিক্রমাদিত্যের) সময় হিন্দু শব্দটিরই উৎপত্তি হয় নি। ঊনবিংশ শতাব্দীতে Hinduism বা হিন্দুধর্ম শব্দটি ইংরেজি ভাষায় সূচিত হয় ভারতীয়দের ধর্ম বিশ্বাস, দর্শন এবং সংস্কৃতিকে বোঝানোর জন্য। ৩) লোককথার রাজার প্রবর্তিত বর্ষের নাম বিক্রম সংবৎ। বাংলা অনুবাদের বিক্রমাব্দ। আসলে এটা গুপ্তাব্দ। গুপ্তাব্দের প্রথম ব্যবহার দেখা যায় দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের মথুরা স্তম্ভলেখতে। তিনি তার রাজত্বের ৫৬ বছর পূর্বে প্রথম চন্দ্রগুপ্তের দ্বারা গুপ্ত সাম্রাজ্যের সূচনার সময়কালকে এবং একই সঙ্গে নিজের রাজত্বের সূচনাকালকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রবর্তন করেন।
ছি!!  প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন। ...... আমার ধারণা বিজেপি আসতে পারবে না। কারণ, বাঙালি জাতি অনেক বেশি চিন্তা চেতনায় প্রগতিশীল ও রাজনীতি সচেতন। এটা ইতিহাস বলছে। যদি এর উল্টো হয়, তবে জানবেন জাতি হিসাবে বাঙালি পুনরায় অধঃপতিত হয়েছে। যেমন হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধের সময়। ফল স্বরূপ প্রায়, দুশো বছর ধরে ব্রিটিশদের গোলামী ও অপশাসনের শিকার হতে হয়েছিল বাঙালিকে। তেমনি আবার নতুন করে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের দাসত্বের জীবন কাটাতে হবে এদের। স্বাধীনতার সময় এরাই একবার বাঙালিকে ভাগ করে বাঙালির মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে। এবার দ্বিতীয়বার আঘাতের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। বাঙালি না বুঝলে তার খেসারত বাঙালিকেই দিতে হবে।

গনতন্ত্র, না নিধনতন্ত্র?

গণতন্ত্র, না নিধনতন্ত্র? ------------------------ চুপ করে আছেন? ভাবছেন চারটে মুসলমান মরেছে? ভুল। চারজন নিরিহ গরিব মানুষ মরেছে। মেরেছে রাষ্ট্রশক্তি। গণতন্ত্রের নামে নিধনতন্ত্র চালাচ্ছে এরা। থামাতে না পারলে, আপনাকেও ছাড় দেবে না। খোঁজ নিন আর স্মরণ করুন রোহিঙ্গাদের কথা। রাষ্ট্রশক্তির রোষে যখন রোহিঙ্গারা নির্যাতিত ও খুন হচ্ছেন, তখন  জননেত্রী সুকি ও তার দলবল চুপ করে থেকেছেন ধর্ম-পরিচয়কে সামনে রেখে। ভেবেছেন মরছে কিছু গরিব রোহিঙ্গা মুসলিম। আমাদের কিছু হবে না। আজ সেখানে নির্বিচারে মরছে সাধারণ মানুষ। তার বড় অংশই অমুসলিম। রাষ্ট্রশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে এই পরিণতির স্বীকার সবাইকেই হতে হবে একদিন। মনে রাখুন, ক্ষমতা ধর্ম চেনে না। সে ধর্ম-কানা। ধর্মের কালো চশমা ব্যবহার করে নিজেকে আড়াল করার জন্য। তার কাছে ধর্ম-পরিচয় নিছকই একটি আবরণ, বিত্তশালী ক্ষমতার দখলদারদের একটি অস্ত্র ও কৌশল মাত্র। মনে রাখুন আপনিও ছাড় পাবেন না এদের হাত থেকে। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন পাঠকের মতামত ও আমার উত্তর -------------------------------------- ⬛ কই জঙ্গলমহলে তো প্রথম দফায় ভোট হয়ে গেছে এখানে কিন্তু এরকম হয়

নাস্তিকদের ভগবান নেই। তাই বিপদে মানুষের পাশে চায়, পাশে যায়।

নাস্তিকদের ভগবান নেই। তাই বিপদে মানুষের পাশে চায়, পাশে যায়। আর অস্তিকরা ধর্মের নামে ছুটে বেড়ায় ও হোঁচট খেয়ে মরেও। প্রসঙ্গ : চিন। 27/03/2020 উৎস দেখুন এখানে ক্লিক করে

মানুষের তো কোন ধর্ম নেই, মানবধর্ম ছাড়া

শ্রীজাত নিজের জাত চিনিয়েছেন। সেই জাতের নাম মানুষ। মানুষ তো মানুষের জন্য ভাববেন, ভাবাবেন; কখনোও কাঁদবেন,  অন্যকে কাঁদাবেন। সত্যিকারের মানুষের তো কোন ধর্ম নেই, মানবধর্ম ছাড়া। সেই ধর্মকে বাঁচাতেই কবি কলম ধরেছেন। তাতে কার কোন ধর্ম কিম্বা ধর্মগুরু বা তার চ্যালারা খেপে গিয়ে অসভ্যতা করলো তাতে কবির কিছু এসে যায় না। হিন্দু হোন বা মুসলিম ধর্মগুরু, যে-ই হোন 'শ্রীজাত'রা প্রতিবাদ করবেনই। তাতে কোন চ্যালা কতটা ক্ষেপে যাবেন তা বোধ হয় ওঁদের মাথায় রাখার দায় বা দায়িত্ব কোনটাই নেই। আমরা আপনার সাথে আছি কবি। কোনও মুসলিম ধর্ম গুরুর এমন কোন নোংরা ভাসনের বিরুদ্ধে কবিতা লিখলেও থাকবো। কথা দিলাম। উৎস জানতে এখানে ক্লিক করুন

মানুষের প্রতিভা ও মূল্যবোধের সম্পর্ক : কিছু কথা

প্রতিভা। বিশেষ্য পদ। পদটি (শব্দটি) স্বভাবজাত ও অসামান্য বুদ্ধি অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন কবিপ্রতিভা, বৈজ্ঞানিক প্রতিভা ইত্যাদি। এছাড়া  প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব, উদ্ভাবনী বুদ্ধি, সৃজনশীল প্রজ্ঞা, প্রভা বা দীপ্তি অর্থেও এর ব্যবহার রয়েছে। আসলে সকল সৃষ্টিধর্মী প্রয়াসই প্রতিভা বলে চিহ্নিত হয়। অন্যদিকে মূল্যবোধ শব্দের মধ্যে দুটো কথা আছে। মূল্য আর বোধ। কিসের মূল্য? মানুষের অর্থাৎ জীবনের মূল্য। এখানে উল্লেখ্য, জীবন বা মানুষ খুব মূল্যবান সম্পদ। শুধু মূল্যবান নয়, সব সম্পদের সেরা সম্পদ  হল মানব সম্পদ। কারণ, মনুষ্য সম্পদ ছাড়া অন্য কোনো সম্পদই আসলে সম্পদে পরিণত হতে পারে না। তাই মানুষ তথা  মানুষের জীবন খুবই মূল্যবান সম্পদ হিসাবে বিবেচিত হয় অর্থনীতিতে। বোধ মানে কী? চেতনা। তাহলে দাঁড়াচ্ছে মানুষের মূল্য সম্পর্কে সম্যক চেতনা থাকাই হল মূল্যবোধ। মানুষের প্রতিভা ও মূল্যবোধ অধিকাংশ সময়ই সমানুপাতিক বা সমান্তরাল হয় না। উল্টে ব্যস্তানুপাতিক বা অসমান্তরাল হতে দেখা যায় আকছারই। কারণ, এই দুটির মধ্যে অনেক সময়ই সহবস্থানিক সম্পর্ক থাকলেও উভয়ের মধ্যে একটি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। প্রতিভা মূলত জন্মগত (সচেতন ভাবেই বংশগত বলছি না)। স

ন্যাৎসিবাদের ভারতীয় সংস্করণ

এই হল বিজেপি সরকারের আসল রূপ। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা। ধর্মীয় আবেগকে ও ইসলামোফোবিয়ার কল্পিত দানবকে  ( হিটলারের ইহুদিফোবিয়ার মত) দেখিয়ে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়কে কাজে লাগিয়ে গণতন্ত্রকেই গলা টিপে হত্যা করার চক্রান্ত। এখনও সতর্ক না হলে জার্মানির ন্যাৎসিবাদের মত ভারতেও জন্ম নেবে ন্যাৎসিবাদের ভারতীয় সংস্করণ, যার পরিণতি গরিব ও মধ্যবিত্তের সর্বনাশ। হিটলার যখন একই কাজ একই ভাবে করছিলেন, জার্মানির গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষ তা বুঝতে পারেননি। ইহুদিবিদ্বেষ প্রসূত কল্পিত কাহিনীর প্রভাবে সবাই চুপ করেছিলেন। ফলে জার্মান জাতিকেই তার খেসারত দিতে হয়েছিল। সুতরাং সাধূ সাবধান। এখনও সময় আছে ভাবার। উৎস : দেখুন ফেসবুকে

ধর্ম আর রাজনীতি এক নয়, আলাদা বিষয়।

ধর্ম আর রাজনীতি, আলাদা বিষয়। ধর্মের ভিত্তি ধর্মগ্রন্থ আর রাজনীতির সংবিধান। আবার এই ধর্মগ্রন্থের ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস। অন্যদিকে সংবিধানের ভিত্তি তথ্য, যুক্তি ও কার্যকারণ সম্পর্ক। তাই দুটোর অবস্থান দুই মেরুতে।আজকের পৃথিবীতে তাদের সহাবস্থান অসম্ভব। এটা আগে বুঝতে হবে আব্বাসকে সিদ্দিকীকে। গুলিয়ে ফেললেই সমস্যা। মনে রাখতে হবে, এদুটো আসলে একসঙ্গে চালানো যায় না। আধুনিককালে তো নয়ই। এ'দুটোকে মেলানোর চেষ্টা করছেন বলেই শিক্ষিত মানুষেরা বিজেপিকে সমর্থন করেন না। একই কারণে ISF ও আব্বাস সিদ্দিকীকে সমালোচনার মুখে পড়তে হবে। রাজনৈতিক আন্দোলনের আগে মুসলিম সমাজে আধুনিক ও যুক্তিবাদ ভিত্তিক শিক্ষা আন্দোলন জরুরি। উপযুক্ত শিক্ষা ছাড়া কোনো জনগোষ্ঠীর সত্যিকারের উন্নতি সম্ভব নয়। আধুনিক গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বাহুবল নয়, শিক্ষাবলই প্রকৃত বল। তার সঞ্চয় যদি না বাড়ানো যায়, তবে রাজনীতিতে কিছু আসন হয়তো তাৎক্ষনিক ভাবে পাওয়া যাবে, কিন্তু তা দিয়ে সত্যিকারের উন্নয়ন কখনই সম্ভব নয়। জগৎ চলে কার্যকারণ সম্পর্কের ভিত্তিতে, যা যুক্তি নির্ভর একটি প্রক্রিয়া। বিশ্বাস সেখানে অকার্যকর। মানুষের মন ছাড়া এই বিশ্বাস জগতব্যাপি কোনো প্রভাব

তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএম-এর পার্থক্য

আমি তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএম-এর পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছি না। সত্যিই কি আছে আর?

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

সংখ্যালঘু স্বার্থরক্ষায় আলাদা রাজনৈতিক দল গঠন কতটা যৌক্তিক?

রাজনৈতিক দল তৈরি করে সংখ্যালঘু স্বার্থরক্ষার স্বার্থক সমাধান আদেও কি সম্ভব? স্বার্থক হয়েছে, এমন কোনো উদাহরণ কি আছে পৃথিবীতে? মনে হয় নেই। আমার ধারণা, এটা একটা ভুল ভাবনা। তাই সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। বিশেষ করে ধর্মগুরুদের দ্বারা পরিচালিত হলে তো তা একেবারেই সম্ভব নয়। কারণ, তাতে সংখ্যাগুরুর সাম্প্রদায়িক মানসিকতা বাড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সাম্প্রদায়িকতা এমন অস্ত্র যা কেবলমাত্র সংখ্যাগুরুর জন্যই কিছুটা হলেও সুযোগ তৈরি করে। যদিও তা যে দেশের সার্বিক উন্নয়নে কখনোই হিতকর হতে পারেনা। বর্তমানে আমাদের দেশের দিকে তাকালেই তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অতীতে জার্মানির ইতিহাস উদাহরণ হিসেবে সামনে রয়েছে। তাই শিক্ষিত ও সচেতন সংখ্যাগুরু মানুষজন কখনই একে সমর্থন করবেন না। কারণ, আধুনিক রাজনৈতিক দর্শনে সাম্প্রদায়িকতা কিংবা রাজনীতির সঙ্গে ধর্ম ও জাতিগত সেন্টিমেন্ট-এর মেলবন্ধন সম্পুর্ন অযৌক্তিক ও অনুপযুক্ত।  যেখানে বিজেপির মত সরাসরি সাম্প্রদায়িক তাস খেলায় মত্ত একটি রাজনৈতিক দল ও কিছু সংগঠন অতি সক্রিয় রয়েছে (ভারতের রাজনৈতিক মঞ্চে), সেখানে সংখ্যালঘুর পৃথক রাজনৈতিক সত্তা অর্থহীন। উল্টে এতে সংখ্যালঘুরা আরও সমস্যার সম্মুখীন হ

প্রসঙ্গ : কৃষক আন্দোলনের পক্ষে ও বিপক্ষে মতপ্রকাশ ও কাটুন কাণ্ডে মুন্ডু কাটা

🔴 আর cartoon এর জন্য মুন্ডু কাটা? 😆 প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন Anirban De যদিও অপ্রাসঙ্গিক। তবুও বলি। ফ্রিজে গরুর মাংস আছে সন্দেহ করে মানুষ মারার মতই জঘন্য কাজ। আপনি কী বলেন? দুটোই জঘন্য। মানেন তো? আর একটা কথা। অনুগ্রহ করে পোস্টের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক কথা বলবেন। তাতে আলোচনাটা মূল্যবান হয়ে ওঠে। অপ্রাসঙ্গিক কথা শিক্ষিত মানুষের মুখে বড্ড বেমানান লাগে। আপনি শিক্ষিত মানুষ বলে এই অনুরোধটা রাখলাম। আশা করি বিমুখ করবেন না। 🔴 না মানে, মুন্ডু কাটার বিরোধিতা করে তেমন প্রতিবাদ-টতিবাদ তো দেখিনি, মনে হয়েছিল ওই মুন্ডু কাটাই ঠিক! কারণ ওই কার্টুনের বিরোধিতা করে পৃথিবী জুড়ে কোনো একটা ইস্যুতে এতবড় প্রতিবাদ আমার এই ক্ষুদ্র জীবনে দেখিনি। আর আমি নিজে শিক্ষিত হতে আর পারলাম কোথায়? এমন একটা রাজ্যে জন্মেছিলাম যেখানে রাজ্যের মাথারা নিজের ছেলেমেয়েদের ইংরেজি মাধ্যমে বা ইউরোপ-আমেরিকা পাঠিয়ে আমাদের জন্য ইংরেজিটাই তুলে দিলেন। আর গোটা রাজ্যটা মোটামুটি প্রাথমিক শিক্ষায় দেশের মধ্যে প্রথম কুড়ি-পঁচিশের মধ্যে সহজে আসতো না! শেখবার মধ্যে ইস্কুল-কলেজে ক্লাস বন্ধ করে ছাত্র এবং সরকারি মাইনে পাওয়া শিক্ষকদের দেখে বিপ্লব দী

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে