সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2020 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে অমর্ত্য সেনের মতামত ও আলী হোসেন

ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে অমর্ত্য সেনের মতামত ও আলী হোসেন: শ্রদ্ধেয় অমর্ত্য সেনের কথার সঙ্গে আমার মতামতের বোধহয় কোনো পার্থক্য নেই। আমি যে শিক্ষিত মানুষদের কথা সেদিন বলেছিলাম , তা এই মতের অনুসারীদের কথাই, যা গতকাল অমর্ত্য সেন বললেন। অমর্ত্য সেন সেই শিক্ষিত মানুষদেরই প্রতিনিধি ও পথপ্রদর্শক। বাংলার ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তুলনায় বাম এবং অন্যান্য ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির দায়বদ্ধতা কোনও অংশেই কম হওয়া উচিত নয়। — অমর্ত্য সেন আসুন দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই নিজেদের শুধরে নেই। সাম্প্রদায়িক দল ও মতকে উপেক্ষা করি। মনে রাখি, জাতি কিংবা ধর্মবিদ্বেষ কখনই কোনো দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না। ইতিহাসের পাতায় পাতায় তার প্রমাণ রয়েছে। আসুন সত্য ও নিরপেক্ষ ইতিহাসের পাতায় নজর রাখি আর জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একটা সুন্দর মানব সমাজ গড়ে তোলার জন্য হাতে হাত মেলাই। প্রসঙ্গ দেখুন এখানে  এবং এখানে

আধুনিক শিক্ষা ও ধর্মের সম্পর্ক

দেশে তথাকথিত শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বেশি। এরজন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাই সবচেয়ে বেশী দায়ী। আর এগুলোকে চালায় সরকার তথা রাজনৈতিক দলগুলো। তারা চায় বলেই স্কুলগুলোতে এসব চলে। এরা চায় শুধুমাত্র তাদের প্রশাসন চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী তৈরি হোক, এই সমস্ত শিক্ষাকেন্দ্রগুলো থেকে। প্রকৃত শিক্ষিত মানুষকে এরা ভয় পায়। তাই তারা চায় না এখন থেকে ধর্মীয় সংস্কারমুক্ত নাগরিক সমাজ জন্ম নিক। তাই ইচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষার সঙ্গে ধর্মকে সুক্ষভাবে যুক্ত রেখেছেন। ইংরেজরা যেমন শুধুমাত্র কেরানি তৈরির জন্য ইংরেজি শিক্ষা (পাশ্চাত্য শিক্ষা) চালু করেছিল, এটা তেমনি স্বদেশি শাসকদের একটা স্বদেশি সংস্করনমাত্র। আমরা যাঁরা আজকের শিক্ষক, তাঁরাও তো এই শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়েই শিক্ষা পেয়েছি, যেখানে ধর্মচর্চাকেও শিক্ষার একটি অন্যতম অঙ্গ হিসাবে দেখানো ও শেখানও হয়েছে। তাই আমরাও বিশ্বাস করি, ভগবান বা আল্লা না চাইলে আপনার আমার কোনো উন্নতিই সম্ভব নয়। তাই আমাদের অনেকেই ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার সাথে সাথে ধর্মশিক্ষার মোড়ক থেকে বেরোতে পারিনা। তাই নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর নির্দিষ্ট কিছু নোট মুখস্ত করে পরীক্ষায় পাশ করেই আমরা আমাদের পড়াশোনার কাজ ...

অগ্নিপরীক্ষা - ২০২১

অগ্নিপরীক্ষা - ২০২১ “বিজেপি জিতলে বাম-কং-তৃণমূলের ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। কারণ, শিক্ষিত মানুষ সংবিধান বাঁচানোকেই প্রধান দায়িত্ব বলে মনে করেন। পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুকে  

আইনের শাসনের প্রধান ভিত্তি হল সংবিধান

Bhabani Sankar Chatterjee আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে আগে সংবিধানকে রক্ষা করতে হবে। কারণ, আইনের শাসনের প্রধান হাতিয়ারই হল সংবিধান। তাকে রক্ষা করতে না পারলে আইনের শাসন 'সোনার পাথর বাটি' হয়ে উঠবে। কেননা, আইনের শাসনকে শক্তি যোগায় সংবিধান। সংবিধানই আইনের শাসনের প্রধান ভিত্তি। তাই সংবিধান ভেঙে পড়লেই আইনের শাসন ভেঙে পড়ে। বর্তমান কেন্দ্র সরকার সংবিধান রক্ষায় নজিরবিহীন ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আইনের শাসনও ভেঙে পড়েছে সারা দেশের বেশিরভাগ অংশ জুড়েই। এটা শুধু পশ্চিমবাংলার সমস্যা নয়।

সংসারে ভাঙন ও তার লক্ষণ

একটা সংসার তখন ভাঙে যখন পরস্পরের মধ্যে অবিশ্বাস ও সন্দেহ ডানা বাঁধে। আর অবিশ্বাস ও সন্দেহের বিষয়টি পরিষ্কার হয় যখন পরস্পর পরষ্পরকে গোপন করে।

হিন্দি বেশিরভাগ মানুষের কথ্যভাষা - একথা অসত্য

Bubai Gupta হিন্দি থাকলে অসুবিধা নেই। কিন্তু আঞ্চলিক ভাষার মাথায় চেপে বসার চেষ্টা করলে প্রতিবাদ হবে। হিন্দি বেশিরভাগ মানুষের কথ্য ভাষা একথা কিভাবে জানলেন? আমার মনে হয় কথ্য ভাষা সম্পর্কে আপনার ধারণায় অসম্পূর্ণতা রয়েছে। হিন্দি গুটিকতক রাজ্যের অফিসিয়াল ভাষা। বর্তমান সরকার এটাকে রাষ্ট্রভাষা করার চেষ্টা করছে। দক্ষিণ ভারতের কোন রাজ্যের কথ্য ভাষা হিন্দি? বাংলার কথা বলছি না। সেটা আপনি জানেন। পূর্বভারতের কোন রাজ্যের? আচ্ছা পাঞ্জাব, গুজরাট, বিহার, ঝাড়খন্ড, উড়িষ্যা, জম্মু কাশ্মীর, লাদাখ, কোন রাজ্যের কথ্য ভাষা হিন্দি? বাকি থাকলো কটা? সেখানেও দেখবেন তাদের কথ্য ভাষার মধ্যে ভিন্নতা আছে। যেমন পশ্চিম বাংলা এবং বাংলাদেশের বাংলা ভাষায় অনেকগুলি কথ্যরূপ আছে। নাম বলে দিলে মুখস্ত করতে আপনার-আমার অনেক দিন সময় লাগবে। তেমনই ওই বাকি রাজ্যগুলিরও একই অবস্থা। আমরা যে বাংলায় লেখাপড়া করি তা কলকাতা নামক একটা ক্ষুদ্র জেলার কথ্য বাংলা। আপনি কি জানেন এটাই পশ্চিমবাংলা ও বাংলাদেশের মান্য অফিসিয়াল ভাষা? সুতরাং গুটি কতক রাজ্যের অফিসিয়াল ভাষাকে যা আসলে একটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অঞ্চলের (দিল্লির) কথ্যভাষা, তাকে বেশিরভাগ মানুষে...

অন্ধকার ক্ষণস্থায়ী

Atanu Das ধর্মীয় আবেগ মানুষকে অন্ধ করে ফেলেছে। আগে ভাবতাম মুসলিমদের মধ্যেই ধর্মান্ধতা বেশি। এখন দেখছি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষও কম যান না। এখন তাদের পাল্লাই ভারী হয়ে গেছে মনে হচ্ছে। বাংলার নবজাগরণ ও তার প্রভাব এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল? তবে আমি আশাবাদী অন্ধকার নেমে আসা মানেই মানুষের জীবনে দিনের শেষ নয়, মানুষই পারে রাতকেও দিনের চেহারা দিতে। তাই অন্ধকার ক্ষণস্থায়ী।

আমি কি সত্যিই সাম্প্রদায়িক?

"আপনারা এই কিছু মুসলিম বুদ্ধিজীবী এত সাম্প্রদায়িক আর নির্দয় কেন !  যে মানুষগুলো জান, মান ধর্ম রাখতে পালিয়ে এসে ছিন্নভিন্ন উদ্বাস্তু জীবন পালন করলেন তাঁদের প্রতি কোনও মায়া নেই ?  সব কিছু ছেড়ে মানুষ কখন উদ্বাস্ত হয় সেটা উপলব্ধি করেন না ! এই নিম্ন, নির্দয় উপলব্ধি নিয়ে আপনি কি সাহিত্য করবেন যদি মানুষের কষ্ট না বুঝলেন।  জন্মসূত্রে মুসলমান বলে আপনাদের তো কেউ দেশ ভাগের জন্য দায়ি করেন নি, তা যিনি করবেন তিনিও সাম্প্রদায়িক। যে মুসলিম লিগ নেতারা আলাদা জাতি এ বিধায় পাকিস্তান সৃষ্ট করেছিনেন এবং হিন্দু বলেই মেরে, ভয় দেখিয়ে, দখলদারি করে তাড়িয়েছিলেন তাঁদের দায়ি করা হচ্ছে। ও বিসর্জনে আপনারা কাঁধ দিতে হাজির হচ্ছেন কেন ? আর ওই একই কারণে অভিন্ন বাংলা মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। খ্যাদানি খেয়ে এসে এখানে সর্বস্ব দখল করা কিছু বাঙাল কমিউনিস্ট আর সেকুলার অভিনেতা গোঁড়া মুসলমান ছাড়া অমন অন্যায় কথা কেউ বলেন না।" ---- গৌতম রায়। গৌতম বাবুর মন্তব্য এই👇লিঙ্কে :  https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=3462640180524283&id=100003350041426 এখানে ক্লিক করুন সাথি গৌতম বাবু, আপনার মন্তব্য পড়ে রাগবো ...

দেশভাগ ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ভূমিকা

দেশভাগ তথা বাংলাভাগ কারা করেছিলেন? এ দেশের যেখানে যাকে এই প্রশ্ন করবেন, সে-ই সবিস্ময়ে আপনাকে পাল্টা প্রশ্ন করবেন - কেন, জানেন না? আপনার অজ্ঞতার জন্য লজ্জা পাওয়ার একমুহূর্ত অবকাশ না দিয়ে নিজেই সগর্বে উত্তর দিয়ে দেবেন। বলবেন, শুনুন, মুসলিমরা অর্থাৎ মুসলিম লীগ দেশভাগ তথা বাংলাভাগ চেয়েছিল এবং তাদের কারণেই দেশভাগ হয়েছিল! আর তিনি যদি ভক্ত হন, তাহলে তো কথাই নেই, তিনি সেই সঙ্গে মুসলিমদের এই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত কীভাবে করতে হবে তারও বিধান দিয়ে দেবেন। একদম বিনামূল্যে। কিন্তু সত্যিই কি মুসলিমরা দেশভাগ তথা বাংলা ভাগ চেয়েছিলেন? কী বলছে ইতিহাস? আসুন শুনে নেওয়া যাক দক্ষিন চাতরা হাই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক শ্রী নকুল চন্দ্র মল্লিকের বক্তব্য ও বিশ্লেষণ। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

কৃষক ও কৃষিশ্রমিক একনয়

Satya Gopal Mukherjee এঁরা কৃষিশ্রমিক (প্রথম ছবি)। কৃষক ও কৃষিশ্রমিকের পার্থক্যটা জানা দরকার। না হলে এঁরা কারা বোঝা মুশকিল হবে আপনার পক্ষে। যদিও আপনি দাবি করেছেন আপনি একজন কৃষক। তাই অবাক হচ্ছি এই ভেবে যে আপনি এই পার্থক্যটা জানেন না কেন! কৃষক হলে আপনি এই পার্থক্যটা জানতেন। যাইহোক প্রথম ছবি (কৃষিশ্রমিক) ও দ্বিতীয় ছবির (কৃষক) পার্থক্যটা আশাকরি এবার বুঝতে পারছেন। বুঝতে সমস্যা হলে বলবেন অবশ্যই আরও ব্যাখ্যা করে বলবো। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

কৃষক ও কৃষিশ্রমিক এক নয়

Bhabani Sankar Chatterjee ছবিতে যে মানুষগুলোকে দেখছেন 'এতটা অবস্থাপন্ন' বলে যা বোঝাতে চাইছেন তা তো আমার মনে হচ্ছে না। আমার মনে হয় আপনি কৃষক ও কৃষিশ্রমিকের মধ্যে যে পার্থক্য সেটা গুলিয়ে ফেলেছেন। এখানকার কৃষিশ্রমিকদের সঙ্গে পাঞ্জাবের কৃষকদের এক ফ্রেমে রেখে দেখতে চাইছেন। তাই মিলছে না। তবে বাংলাসহ দেশের অন্যান্য কৃষকদের থেকে ওঁরা একটু সম্পন্ন। সেটা ওখানকার কৃষিব্যবস্থ্যার বিশেষ পরিকাঠামো ও সরকারের কিছু নীতির কারণে। সেটাই তুলে দিতে চাইছে সরকার। এটাই সমস্যার মূল। আর সারাদেশে সবুজ বিপ্লব করা যায় নি সেটা পরবর্তী সরকারের ব্যর্থতা। সেজন্যই তো তাদের সরিয়ে বর্তমান সরকারকে জনগন ক্ষমতায় বসিয়েছেন। তাই তাদের ব্যর্থতা তুলে ধরে আজকের বিলের ক্ষতিকারক দিকগুলোকে কি আড়াল করার চেষ্টা করা উচিত? মনে হয় না। উৎস দেখতে  এখানে ক্লিক করুন

প্রসঙ্গ : কৃষিবিল ও তার প্রভাব

Bhabani Sankar Chatterjee কিন্তু এই বিল সম্পন্ন, ক্ষুদ্র, এবং ভাগ চাষি - সবাইকে দারুণ দুরাবস্থার মধ্যে ফেলে দেবে। কর্পোরেট পুঁজির নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে সমস্ত কৃষি ব্যবস্থাই। সবচেয়ে বিপদজনক হল চুক্তিচাষের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়টি। বৃটিশ আমলে নীল বিদ্রোহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল এই চুক্তি চাষ। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অর্থাৎ কর্পোরেট পুঁজির সুবিধা দিতেই এই প্রথা চালু করেছিল ব্রিটিশ সরকার। এবং আপনার নিশ্চয় মনে আছে, নীল বিদ্রোহের কারণে ব্রিটিশ সরকার চুক্তিচাষ বেআইনি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছিল। বর্তমান কৃষি বিলে সেই ব্যবস্থাই ফিরিয়ে আনতে চাইছে সরকার। দেশীয় কর্পোরেট পুঁজির সুবিধা করে দিতে। এটাই সমস্যার। আর এই সমস্যা আমারকে বা আপনাকেও দারুণ ভাবে ক্ষতির মুখে ফেলবে। শুধু তাই নয়, আগেই বলেছি পাঞ্জাব হরিয়ানার সম্পন্ন কৃষকসহ সারা দেশের সমস্ত কৃষককে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে তুলবে এই বিল বা আইন। সুতরাং ........... উৎস দেখতে এখানে ক্লিক করুন

শুধু লেটে না, কমও বোঝে😀😀

Nripen Mondal শুধু লেটে না, কমও বোঝে। আর শুধু পাঞ্জাবি নয়, বাঙালিও। দেখুন না, স্বাধীনতা আন্দোলনে জেল খাটলো, ফাঁসি কাঠে ঝুললো কারা? পাঞ্জাবি এবং বাঙালিরাই। আর আজ মধু খাচ্ছে কারা? আজ দেশ চালাচ্ছে যারা,তারা। যাদের একজনও জেল খাটেনি, কিংবা ফাঁসিতে ঝোলেনি। উল্টে ঠিক সময় বুঝে মুচলেকা দিয়ে ঘর গুছিয়ে নিয়েছে। লেটে না বুঝলে কি এমন ঘটতো? ঘটতো না। উল্টোটা ঘটতো। তাই না? কায়দা করে এই দুটো জাতিকে দুভাগে ভাগ করে এমন দুর্বল করে দিলো যে, ভারতীয় রাজনীতিতে তাঁরা থেকেও নেই। এঁরা কিছুই করতে পারলো না। কি বলেন?😀😀

ভারতীয় রাজনীতির একটি ভয়ঙ্কর দুর্বলতা

ভারতীয় রাজনীতির একটি ভয়ঙ্কর দুর্বলতা Weaknesses of Indian politics Aminuddin Seikh Aminuddin Seikh আপনি শিক্ষিত মানুষ, যতটুকু জানি আপনি একজন ইতিহাসের অধ্যাপক। আমার এক ইতিহাসের ছাত্র, যে আপনার সঙ্গে একই সময় অধ্যাপনার পেশায় নিযুক্ত হয়েছে। তার সাথে তার ভাইভার সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম এবং আপনার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। আমি সেদিন থেকে আপনাকে চিনি। (আপনি হয়তো আমাকে সেভাবে চেনেন না)। আপনার শিক্ষা এবং রাজনীতি সংক্রান্ত পড়াশোনা, নিশ্চয়ই কী করতে হবে আর কী করা যাবেনা, তা বুঝতে সাহায্য করবে। বিজেপি ও তৃণমূল দু'জনকেই হটানো সম্ভব কিনা এ প্রশ্নের উত্তর তাই আপনি নিজেই জানেন বলে আমার বিশ্বাস। আপনি ভাবুন। শিক্ষিত মানুষের নিজের কাছেই নিজের প্রশ্নের উত্তর থাকে। ভাবতে থাকুন, নিশ্চয়ই উত্তর পেয়ে যাবেন। আমি শুধু কয়েকটা কথা বলি আপনাকে। ১) রাজনীতি, তা যদি সত্যিকারের মানুষের কল্যাণের জন্য করা হয়, এবং মানুষ যদি সত্যিকারের রাজনৈতিক সচেতন হয়, তাহলে সে নিজেই বুঝতে পারবে এই মুহূর্তে তার কি করা উচিত। তাই মানুষ চাইলে দু'জনকেই হারাতে পারে। আমি আপনি সেটা ঠিক করে দিতে পারি না। আমরা শুধু আমাদের মতামতট...
Shakiruddin Shaikh অনুগ্রহ করে আপনি সংশোধিত শব্দটি পড়ার সময় মনে মনে বসিয়ে নিন এবং তারপর পড়ুন। কেমন? আর ওর পরিবর্তে কোন শব্দটি যথাযথ তা যুক্তি ও তথ্য  সহকারে এখানে একটু লিখে জানান। যদি যুক্তি বুদ্ধিতে আসে যে সংশোধন করা দরকার তবে তা নিশ্চয়ই করব। তবে তা মোটেই আপনার নির্দেশ অনুযায়ী নয়। আপনার বক্তব্যের মধ্যে কমান্ডিং টোন আছে। ইসলাম ধর্ম কাউকে এই টোনে কথা বলতে শেখায় না। যদি আমি ভুল বলে না থাকি, অনুগ্রহ করে আপনিও সেটা সংশোধন করে নেবেন। ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

প্রসঙ্গ : ইসলাম ধর্মে ধর্মগুরু শব্দের ব্যবহার

Shakiruddin Shaikh অনুগ্রহ করে আপনি সংশোধিত শব্দটি পড়ার সময় মনে মনে বসিয়ে নিন এবং তারপর পড়ুন। কেমন? আর ওর পরিবর্তে কোন শব্দটি যথাযথ তা যুক্তি ও তথ্য  সহকারে এখানে একটু লিখে জানান। যদি যুক্তি বুদ্ধিতে আসে যে সংশোধন করা দরকার তবে তা নিশ্চয়ই করব। তবে তা মোটেই আপনার নির্দেশ অনুযায়ী নয়। আপনার বক্তব্যের মধ্যে কমান্ডিং টোন আছে। ইসলাম ধর্ম কাউকে এই টোনে কথা বলতে শেখায় না। যদি আমি ভুল বলে না থাকি, অনুগ্রহ করে আপনিও সেটা সংশোধন করে নেবেন। ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

মুসলিম সমাজের বঞ্চনা ও তার প্রকৃত কারণ

Monirul Islam একটু শিক্ষা-দীক্ষা যাদের মধ্যে আছে, তারা এটা ধরতে পারেন। মুশকিল হচ্ছে, পারেন না ধর্মান্ধ মুসলিমরা। কারণ, তারা নিজেরা ধর্মগ্রন্থ নিজের ভাষায় পড়ে ধর্ম পালন করেন না। তারা ধর্ম পালন করেন তথাকথিত ধর্মগুরুদের পরামর্শ এবং নির্দেশ মত। তারা ভাবেন এটাই ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সমস্ত রকম প্রাপ্তির যথাযথ রাস্তা। এই ভুল থেকে যতদিন মুসলিমরা বেরোতে না পারবেন, ততদিন মুসলিম সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন কখনোই হবে না। হিন্দু ধর্মব্যবসায়ী ও রাজনীতিকরা যেমনভাবে হিন্দু সাধারণ মানুষকে ধর্মের নামে ঠকাচ্ছেন, ঠিক তেমনিভাবেই মুসলিম ধর্মব্যবসায়ী ও রাজনীতিকরা ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসলমানকেও ঠকিয়ে চলেছেন। আধুনিক শিক্ষার প্রচার ও প্রসার যে একমাত্র রাস্তা -  এই সত্য, এই সমস্ত ধর্ম ব্যবসায়ী ও রাজনীতিকরা কখনোই সাধারন মুসলমানকে বুঝতে দেবেন না। এবং নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে সেই কাজে এগিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা তারা করবেন না। তারা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মাদ্রাসা তৈরি করবেন, কিন্তু আধুনিক শিক্ষার জন্য স্কুল কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করবেন না। অথচ আসল মুক্তির রসদ রয়েছে এখানেই।

প্রসঙ্গ মুসলিম ভোট বিভাজন ও বিজেপির উত্থান - ২

MD Mazharul Islam আমার লেখা পড়ে আপনি কোথায়  কীভাবে বুঝলেন, যে আসাদুদ্দিনকে কেস দেয়া দরকার এমন কথা আমি বলেছি? আপনার চিন্তাভাবনার দুর্বলতা আছে! তাই এসব আলপটকা ভাবছেন। আপনাকে সবিনয়ে বলছি, কথার মানে আগে ভালো করে বুঝতে শিখুন। গভীরে গিয়ে ভাবার অভ্যাস করুন। তারপর মন্তব্য করুন। আমি যে পাঁচটা প্রশ্ন করেছি তার উত্তর একটা একটা করে দিন তো? সেটা করতে পারলেন না বলে আমি লেখক কিনা প্রশ্ন তুললেন? হ্যাঁ তুলতে তো আপনি পারেনই। আপনি কাকে লেখক হিসাবে মানবে, অথবা মানবেন না, সেটা সম্পূর্ণ আপনারই ব্যক্তিগত ইচ্ছা। আমি কি আপনার কাছে দাবি করেছি যে, আমি একজন লেখক, আপনি মেনে নিন? কেউ নিজেই নিজেকে লেখক দাবি করলেই তিনি লেখক হয়ে যান না। এটা না বোঝার মত নির্বোধ আমি নই। কোন লেখক কোনদিন নিজেকে লেখক বলে দাবি করেন না। দেখেছেন কোনদিন কাউকে দাবি করতে? রবীন্দ্রনাথ নজরুল থেকে শুরু করে পৃথিবীর নামি-অনামি যত লেখক আছেন তারা কখনো নিজেকে লেখক বলে দাবি করেছেন? দেখেছেন এমন কোন লেখা, যেখানে তিনি নিজেই সেই দাবি তুলেছেন? তাহলে আমি কীভাবে করব  সে দাবি? আমিও করিনা। মানুষ যখন কাউকে লেখক বলে মেনে নেন, তখনই তিনি লেখক। এই বোধবুদ...

প্রসঙ্গ মুসলিম ভোট বিভাজন ও বিজেপির উত্থান

MD Mazharul Islam  আপনার যুক্তিগুলো বেশ পলকা এবং হাস্যকর। তবে আপনার কাছে অবশ্যই সেগুলো যুক্তি! মহাজোট হওয়ার বিষয়টা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। হলে সেটা খুবই ভালো হবে। ১) কিন্তু আপনি কোন যুক্তিতে বলছেন, এই মহাজোট শুধুমাত্র টিএমসির চাওয়ার উপরেই নির্ভর করছে? টিএমসি চাইলেই কংগ্রেস এবং বামপন্থীরা মহাজোটে অংশ নেবে? গ্যারান্টিটা কোথায় পেলেন? কে দিলেন আপনাকে? বিহারের সিপিআইএমএলের সম্পাদকের মহাজোটের প্রস্তাব ইতিমধ্যেই সিপিএম খারিজ করেছেন, সেটা শুনেছেন? ২) বাম-কংগ্রেস ভোট কাটবে মানে? এরা কি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন এসে হাজির হয়েছে? স্বাধীনতার পর থেকে তারা এখানকার জাতীয় রাজনৈতিক দল। তাদের তো  নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক রয়েছেই কমবেশি। এতদিন তো তারা ভোট পেয়ে এসেছেন। এদেরকে আপনি ভোট কাটুয়া বলছেন কি করে? Congress-tmc বামফ্রন্ট এবং বিজেপি কেউ এ রাজ্যে নতুন নয়। এদের উপস্থিতিতেই বিজেপি দীর্ঘদিন এখানে পরাজিত হয়েছে। গত লোকসভা ভোটে কিছু সিট বিজেপি পেয়েছে ঠিক। কিন্তু তাতে ক্ষমতা দখল করার মত পর্যায়ে পৌঁছতে পেরেছে কি? তা যদি না পেরে থাকে, আজ কোন জাদুতে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে? ৩) যারা এ রাজ্যের রাজনীতিতে ...

আসুন আমরা মানুষ হয়ে উঠি, ধার্মিক হয়ে ওঠার আগে।

Amal Roy ধন্যবাদ সাথি, সাথে থাকার জন্য। আসুন চেষ্টা করি এই বিভাজন এর খেলা বন্ধ করতে। না হলে বিভাজিত হতে হতে একদিন আমরা অস্তিত্বহীন হয়ে যাব। ইতিহাস বলছে বিভাজনের কারণেই পৃথিবীতে বিভিন্ন জনজাতি অন্যের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে এবং নিজেরা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বিভাজন করা আর বিবেচিত হওয়া মানুষের কাজ নয়। আসুন আমরা মানুষ হয়ে উঠি, ধার্মিক হয়ে ওঠার আগে। প্রসঙ্গে জানতে এখানে ক্লিক করুন

আনফ্রেন্ড করার প্রয়োজনীয়তা কতটা যুক্তিযুক্ত

এই ভদ্রলোক হিন্দু ব্রাহ্মণ এবং মুসলিম হুজুরদের সম্পর্কে বেশি লিখছেন। একটু মাথামোটা গোছের আছেন। এদের নিয়ে বেশি ভেবে লাভ নেই। আনফ্রেন্ড করলেই যে ইনি ভালো হয়ে যাবেন তারও কোনো মানে নেই। বরং ফ্রেড হিসাবে থাকলে আমাদের কথাগুলো অন্তত এনার কাছে পৌঁছবে এবং যারা ওনার ফ্রেন্ড লিস্টে আছে তাদের কাছেও। এদের সঙ্গে অনেক সাধারণ মানুষ আছেন যারা আদতে ভালো,  যাদের মাখা খাছে আইটি সেল। এই ধরণের মানুষের কাছে আমাদের পৌঁছাতে হবে, আমাদের কথা নিয়ে। ইনিই হবেন আমাদের মাধ্যম। ওনাকে আনফ্রেন্ড করলে এদের সঙ্গে যুক্ত যে সমস্ত ভালো মানুষরা আছেন তাদের কাছে আমাদের কথাগুলো আর পৌঁছবে না। ওই ভালো মানুষগুলো ক্রমশ আমাদের থেকে দূরে সরে যাবে। অনেক মানুষ আছেন যারা ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানে না। তাদের কাছে  আমাদের পৌঁছাতে হবে।  আমাদের কথা এনার কাছেও পৌঁছতে হবে। যে পোস্ট উনি করেছেন তার কতটা সত্য কিংবা কতটা মিথ্যা তা উনি জানেন না। তাই এদের কাছে পৌঁছাতে পারলে এবং সত্য তুলে ধরতে পারলে এদের সঙ্গে থাকা অনেক মানুষ বুঝতে পারবেন হিন্দুত্ববাদীরা যা তাদের  বোঝাচ্ছে তা  ভুল। আমাদের কাছ থেকে তারা বোঝার সুযোগ পাবে। বুঝতে প...

ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ

এই কথাগুলি যিনি বলেছেন তিনি একজন মহাপুরুষ। এই কথাগুলো পড়ার পর আপনার কি মনে হচ্ছে না, যিনি কার্টুন আঁকলেন, যিনি কার্টুন টিকে ছাত্রদের দেখালেন, আর দেখানোর অপরাধে যিনি ওই শিক্ষককে হত্যা করলেন এই তিনজনই আসলে উন্মাদ।

প্রসঙ্গ ফ্রান্স: আমি কিছু বলব কি না

Sk Minhajul এটাতো ফ্রান্স-এর ঘটনা। এখান থেকে অনেক দূর। ওখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করা অনেকটাই কঠিন কাজ। আগে একটু তথ্য সংগ্রহ করি। ভালো করে বোঝার চেষ্টা করি। তখন যদি প্রয়োজন মনে হয় নিশ্চয়ই বলবো। কোন ঘটনা ঘটলো, আর ভালো করে না জেনে, না বুঝে মন্তব্য করে দিলাম। এটা আমার স্বভাব নয়। পৃথিবীর সব কিছুর সঙ্গে রাজনীতি জড়িয়ে থাকে। আর রাজনীতি বোঝাটা অতটা সহজ কাজ না। অনেক সময় লাগে। পক্ষে-বিপক্ষে ওঠা কথাগুলো সোনা লাগে। তারপর যুক্তি-বুদ্ধি তথ্য দিয়ে তা বিচার বিশ্লেষণ করে মতামত দিতে হয়। তাই সময় লাগে। আমি তো  তসবি গোনা  কোন হুজুর নই, কিংবা টিকি ধারী কোন পন্ডিতও নই, যাদের সাথে নাকি  স্বয়ং উপরওয়ালার  যোগাযোগ থাকে। দুনিয়ার কেউ না বুঝুক, তারা সব আগে ভাগে বুঝে ফেলে। তেমন ক্ষমতা তো আমার নেই। তাই না? আমি একজন সাধারণ মানুষ। তাই সময় লাগে। তাই বুঝতে পারলে বলি। না-বুঝতে না পারলে সে সম্পর্কে চুপ থাকি। কারণ, এক্ষেত্রে চুপ থাকাটাই শিক্ষিত মানুষের কাজ। বলার মত তথ্য যখন পাবো। চেষ্টা করবো বলার। ঘটনাটা ঘটেছে ফ্রান্সে। সেখানে তো মানুষ আছে। তারা তো তাদের মতো করে প্রতিবাদ করছে। সপক্ষে বিপক্ষে তারা...

এটা স্পর্শকাতর' বিষয় নয়, দুই ভাইয়ের সমস্যা।

Monoj Bag আমার কাছে এটা কোন স্পর্শকাতর বিষয় বলে মনে হয় নি। এটা একটা সামাজিক সমস্যা। একটা পরিবারের দুই ভাইয়ের মধ্যে যেমন মতপার্থক্য থাকে এবং তা কখনো কখনো সমস্যা সৃষ্টি করে, আমার কাছে এটা সেই ধরনের একটা সমস্যা। এই সমস্যা গোপন করলে বা এড়িয়ে গেলে পারস্পরিক দূরত্ব বেড়ে যায়। এবং সেই দূরত্ব একসময় মহাসমুদ্রের আকার ধারণ করে। সেই সমুদ্রেই একসময় দুই ভাইকে ডুবিয়ে মারে। তাই পালিয়ে যাওয়া নয়, কিংবা এড়িয়ে যাওয়া নয়, শ্রদ্ধেয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মত সত্যকে উপলব্ধি করা এবং সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমাদের চেষ্টা করা খুবই উচিত বলেই আমার মনে হয়েছে। কবিগুরুর কথায়, ভালো-মন্দ যাহাই আসুক সত্যরে লও সহজে। আশা করি বিষয়টি আমরা সহজেই নিতে পারব এবং আপনাকে পাশে পাব। এবং সে কারণেই এই পোস্ট টা করা। আসুন দূরত্বটা কমানোর চেষ্টা করি, এবং আস্তে আস্তে মুছে দেয়ার চেষ্টা করি। যদিও এই আহ্বানটাই ছিল আমার পোষ্টের মূল বক্তব্য বা লক্ষ্য। তবু আপনি এবং প্রভাতদা ভুল বুঝলেন - এটা আমার দুর্ভাগ্য।

সংখ্যালঘু, ধর্মনিরপেক্ষতা ও ভারতীয় সংবিধান

Subhankar Chakaraborty বা! বেছে বেছে সেইটুকুই বললেন, যেটুকু দিয়ে আপনার বিভেদ নীতিকে গ্রহণযোগ্য প্রমাণ করা যায়। আর বাকিটুকুকে বাদ দিয়ে দিলেন! ১) সংখ্যালঘু শব্দটার অস্তিত্ব স্বীকার করেন? যদি করেন, তাহলে বলুন তো, পৃথিবীতে যত ভাষার অভিধান আছে বা আপনার ডিকশনারিতে সংখ্যালঘু শব্দটা কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য বলে বলা আছে? সেখানে কি ধর্ম কথাটা বাদ দেয়া আছে? অর্থাৎ ধর্মের ভিত্তিতে সংখ্যালঘু হওয়ার বিষয়টি অভিধানিক শব্দ নয় কিংবা সংবিধানসম্মত নয়? ২) এক দেশ ভিন্ন আইন মানে কী? একজন হিন্দু খুনিকে আইনের যে ধারায় বিচার করা হয়, একজন মুসলিম খুনিকে কি সেই ধারায় বিচার করা যায় না? অর্থাৎ আলাদা ধারায় বিচার করা হয়? যদি না হয় তাহলে এক দেশ ভিন্ন আইন হলো কোথায়? বিনয়ের সঙ্গে আপনাকে একটা পরামর্শ দেই, যদি মানেন, বন্ধু হিসেবেও ধরতে পারেন, পরের মুখে ঝাল খেলে ঝালের স্বাদটা ঠিকঠাক বোঝা যায় না। ঝালটা একটু নিজের মুখে নিজে দিয়ে দেখুন বুঝতে পারবেন, ঝালের আসল স্বাদটা কী।😀 ৩) ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থা। উদ্দেশ্যটা নিশ্চয়ই মাদ্রাসা শিক্ষা। বেশ বলেছেন। ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থা দেশ থেকে উঠে যাওয়াই উচিত। আপনি তার...

ধার্মিক হওয়ার আগে মানুষ হয়ে ওঠা জরুরি

ধার্মিক হওয়ার আগে মানুষ হয়ে ওঠা জরুরি। আর মানুষ হয়ে উঠতে পারলে কারও আর ধার্মিক সাজার প্রয়োজন হয় না।

প্রসঙ্গ সাম্প্রদায়িকতা ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

Soumitra Chakraborty  উদ্ধৃতিটা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়-এরই। এবং একটি বিশেষ ধর্মের অনুসারী সব মানুষকে তিনি সাম্প্রদায়িক বলেননি। আমার তো অন্তত তা মনে হয় নি। একটু বোঝার ভুল হয়ে যাচ্ছে হয়। আর একবার উদ্ধৃতিটা পড়ুন। নিশ্চয় বিষয়টা আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে। খেয়াল করে দেখুন, তিনি 'সব হিন্দু সাম্প্রদায়িক' এই অর্থে কথাটা বলেননি। বলেছেন হিন্দুদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতাটা বেশি - এই অর্থে। অর্থাৎ লক্ষ্য 'সব হিন্দু' নয়, লক্ষ্য 'সাম্প্রদায়িকতার পরিমাণ'। কথা দুটোর মধ্যে গুরুতর পার্থক্য আছে। অর্থাৎ বিষয়টি সংখ্যাবাচক (সব হিন্দু) নয়, পরিমাণ বাচক (কতটা সাম্প্রদায়িক। আশা করি আপনার জিজ্ঞাসার বিষয়টি পরিষ্কার করতে পেরেছি।

আপডেটেড হওয়ার অর্থ কী?

Monoj Bag ছি ছি। মাপ চাইছেন কেন? আপনি আপনার মতামত বলবেন, এটা তো আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার। শুধুমাত্র ভাষাটা সংযত হওয়া খুবই জরুরী। কারো কথায় কেউ যাতে আঘাত না পায়, অসম্মানিত বোধ না করেন সেদিকটা একটু খেয়াল রাখা দরকার। তবে আপনার আগের মন্তব্যে সংযত শব্দচয়নের ক্ষেত্রে কিছুটা ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে বৈকি। সাথি, আপনি কি জানেন, উদ্ধৃতির মধ্যে থাকা কথাটা কার? আমার মনে হয় কোনভাবে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আপডেটেড মানে কি সত্য গোপন করা, এবং অসংযত ভাষা প্রয়োগ করা? নিশ্চয় নয়। আশা করি আপনি এটা মানেন। আমার মনে হয় আপনি ভুল বুঝে শব্দ চয়নের ক্ষেত্রে অসতর্ক হয়ে পড়েছেন। যাই হোক ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন এবং অবশ্যই শারদীয়ার শুভেচ্ছা গ্রহন করুন। ◾আবারও অনুরোধ করছি, আপডেটেড হাওয়া বলতে আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন অনুগ্রহ করে যদি একটু খুলে বলেন। চেষ্টা করব আপনার মতামতকে সম্মান জানানোর।

রোগ গোপন করে শরীরকে সুস্থ রাখা কি সম্ভব?

Prabhat Choudhuri জানলাম। কিন্তু সত্য কীভাবে উস্কানিমূলক হয় সেটা বোধগম্য হলো না। সত্যকে সামনে আনা এবং তার ভিতরে থাকা সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করাই তো বুদ্ধিমান ও সচেতন মানুষের কাজ। রোগ গোপন রেখে কি শরীরকে সুস্থ করা সম্ভব? আমার যদিও কথাটা উস্কানিমূলক মনে হয়নি। কিন্তু এটা মনে হয়েছিল যে, কেউ কেউ এটাকে উস্কানিমূলক ভাবতে পারেন। আর সেটা ভেবেই আমার কিছু কথা নিচে যোগ করেছি, যাতে ভুল বার্তা না যায়। আমার কথাগুলো মাথায় রাখলে উদ্ধৃতির কথাগুলো আর উস্কানিমূলক থাকে না বলেই আমার মনে হয়েছে। যাই হোক, আপনি শ্রদ্ধেয় মানুষ। আপনার মতামতকে অশ্রদ্ধা বা উপেক্ষা করতে পারিনা। আশা করি যারা দেখছেন পোস্টটা, তারা আপনার পরামর্শটা মাথায় রেখেই বিষয়টি নিয়ে ভাববেন এবং তা গ্রহণ করবেন।

মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্প্রীতি প্রকৃতির নিয়ম বিরুদ্ধ নয় বরং তার উল্টোটাই প্রকৃতির নিয়ম বিরুদ্ধ কাজ

Bhabani Sankar Chatterjee আপনি ধর্ম নিয়ে থাকুন। আমরা ধর্ম নিয়ে মাথা ঘামাই না। শ্রদ্ধেয় সৌমিত্র বাবুও নির্দ্বিধায় জানিয়েছেন, তিনিও ধর্ম নিয়ে মাথা ঘামান না। ধর্ম মানুষের বিশ্বাসের বিষয়, ঘরের কোণে নিভৃতে বসে তাকে ঈশ্বরকে স্মরণ করাই ধার্মিক এর কাজ। এখানে দেখনদারির কিছু থাকেনা। কিন্তু ধর্মের নামে যারা মানুষে মানুষে বিভেদ ছড়ায় তাদের তিনিও যেমন মানুষ ভাবেন না, আমিও তেমনি তাদের মানুষ ভাবি না। সাপ আর  নেউল দুটো ভিন্ন প্রজাতির প্রাণী। তাদের মধ্যে সখ্যতা না হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মানুষ তো ভিন্ন প্ৰজাতির নয়, মানুষকে মানুষ ছাড়া আর অন্য কিছু কি বলা হয় পৃথিবীতে? হয় না। সাপের সঙ্গে নেউলের মিলনে সন্তানের জন্ম হওয়া সম্ভব নয়। কারণ তাদের মিলন প্রকৃতির আইন অনুযায়ী  নিষিদ্ধ। তাই কোনমতেই তাদের মধ্যে অপত্য ভ্রূণ জন্মানোও সম্ভব নয়। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো  বিধি নিষেধ প্রকৃতির নিয়মের মধ্যে নেই। পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের নর-নারীর মধ্যে  মিলন হলেই অপত্যের জন্ম হয়। কোন ধর্মের তা এখানে বিচার্য বলে বিবেচিত হয় না। তাহলে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্প্রীতিতে আপনার কোথা...

অপেক্ষা, অহিংসা অস্ত্র

উপেক্ষা হলো একটি অহিংস অস্ত্র যা সশস্ত্রতার চেয়েও শক্তিশালী। শুধু প্রয়োগের উপযুক্ত কৌশল এবং সময় জানাটার উপর এই অস্ত্রের কার্যকারিতা নির্ভর করে।

ধর্ম ও ধর্মান্ধতা

ধর্মকে স্বীকার করে, ধর্মান্ধতাকে অস্বীকার করা খুবই কঠিন কাজ।

হিন্দু মুসলিম নয়, সবার আগে আমরা মানুষ

◾জানতাম, জানিও। আপনি উচ্চারণ করলেন, তাই সাহস পাচ্ছি বলতে। এটা সব দেশের সংখ্যালঘুদের সমস্যা। সত্য জেনেও চুপ করে থাকতে হয় সাম্প্রদায়িক তকমা লেগে যাওয়ার ভয়ে। কিন্তু আপনার সে সমস্যা নেই। তাই বললেন : 'তবে একটা জিনিস খুব চোখে পড়তো, মুসলিমরা যত হিন্দুদের বাড়ি যেতেন, হিন্দুরা তত যেতেন না মুসলমানদের বাড়ি। সে দিক থেকে আমি বলব, হিন্দুরা অনেক বেশি সাম্প্রদায়িক। এখন তারই উগ্র চেহারা দেখতে পাচ্ছি।' আচ্ছা, এ সত্যকে আমরা অসত্য প্রমাণ করতে পারি না? পারি। আসুন একসাথে লড়াই করি। বলুন, হিন্দু-মুসলিম নয়, আমরা সবার আগে মানুষ। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন   তথ্য সূত্র : গণশক্তি, শারদ সংখ্যা ১৪২৭, নিবন্ধ ' এখনও বিশ্বাস করি, বামপন্থাই বিকল্প'। পৃষ্ঠা - ৫২

ব্যক্তির সঙ্গে পদের পার্থক্য আছে

Bhabani Sankar Chatterjee আপনাকে বিনয়ের সঙ্গে একটা প্রশ্ন করি। 'ব্যক্তিগত' বলতে আপনি কী বোঝেন? নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনদিন কথা বলতে শুনেছেন আমাকে? প্রধানমন্ত্রী আমার আপনার মত সাধারন কোন ব্যক্তি নয়, তা কি আপনি জানেন? নরেন্দ্র মোদী আপনার যেমন প্রধানমন্ত্রী, আমারও তেমনই প্রধানমন্ত্রী। প্রত্যেকটা ভারতবাসীর তিনি প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কোন ভুল থাকলে আর তার ফল সবাইকে ভুগতে হলে, তার সমালোচনা করার অধিকার প্রত্যেক ভারতবাসীরই আছে। সেই সমালোচনাকে ব্যক্তি সমালোচনা বলে না। অর্ণব গোস্বামী একজন সাংবাদিক। তার ব্যক্তিগত জীবন তিনি কিভাবে কাটান, তা নিয়ে কেউ প্রশ্ন করে না। আমিও করিনি। তিনি সাংবাদিকতার পেশাটাকে যেভাবে নিচে নামিয়েছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে তার দৃষ্টান্ত খুবই বিরল। সাম্প্রদায়িক বিভেদ ছড়ানোর যে কাজ তিনি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন, তার সেই কাজের বিরোধিতা করাকে ব্যক্তি আক্রমণ বলে না। এটা আপনাকে বুঝতে হবে। না হলে আপনার এই ভাবনা থেকে বের হতে পারবেন না। ব্যক্তির সঙ্গে প্রতিষ্ঠান বা পদের যে পার্থক্য আছে, সেটা জানা না থাকলে এ ধরনের ভুল বোঝাবুঝি হয়। আশা করি আপনাকে আশ্বস্ত...

সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব

কর্পোরেট মিডিয়া (টিভি, সংবাদপত্র ইত্যাদি) আপনার কথা শোনে না, আপনার কথাও বলে না। বলে কর্পোরেট দুনিয়ার কথা, আর শোনাতে চায় তাদেরই কথা তাদের স্বার্থে। তাই আপনার পিডিয়া সোশ্যাল মিডিয়া। সেখানেই মুখ খুলুন।এই মিডিয়াই আপনার কথা পৌঁছে দেবে আপনার সহযাত্রীর কাছে। সরকারের কাছে।

বামপন্থী কারা?

বামপন্থী তো তারাই, যাদের কথায়, যাদের ব্যবহারে, বিতর্কের সময়ে শব্দচয়নে যুক্তি থাকে, তথ্য থাকে, আর থাকে অহংকারহীন বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণ। যা দেখে অথবা শুনে একজন অবামপন্থী মানুষও মুগ্ধ হয়ে যায়। বামপন্থাকে ভালবেসে ফেলে।  আপনারা যারা বিতর্ক করছেন, আমার মনে হচ্ছে না, তারা বামপন্থার জন্য, বামপন্থীদের দ্বারা বামপন্থার কথা উচ্চারণ করছেন। প্রায় অধিকাংশের কথার মধ্যেই নিজের মধ্যে বামপন্থী মানসিকতা থাকার জন্য অহংকার বোধ ঝরে পড়ছে। কে কত বড় বামপন্থী তা প্রমান করা, আর প্রমাণ চাওয়ার অহংকার আছড়ে পড়ছে। মার্জনা করবেন,  এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি বামপন্থী মানুষদের জন্য বড়ই বেমানান। এই বিতর্ক বামপন্থার স্বাস্থ্যহানি ছাড়া আর কোন কাজে আসবে না। আমার মনে হয় এবার আপনাদের থামা উচিত। এত সুন্দর একটা পোস্টকে কেন্দ্র করে যে উচ্চমানের আলোচনা এবং তা যে মার্জিত ভাষায় হওয়ার কথা ছিল, তা হচ্ছে না বলেই আমার ধারণা। বামপন্থীদের বক্তব্য, বক্তব্য প্রকাশের ভঙ্গি এবং তার দৃষ্টিকোণ যদি অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে আলাদা না হয়, তাহলে কীভাবে সাধারণ মানুষ আমাদেরকে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে এবং তাদের কর্মীদের থেকে ...

সমাজতন্ত্র গণতান্ত্রিক পথেই আসবে।

সমাজতন্ত্র গণতান্ত্রিক পথেই আসবে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে লক্ষ্যে পৌঁছানোর পদ্ধতি এবং প্রকৌশল বদলায়। বিংশ শতাব্দীর পৃথিবীতে যে পদ্ধতিতে বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে, সেই পদ্ধতিতে বিপ্লব (পরিবর্তন) করা আজ অনেক কঠিন। তার প্রয়োজন আছে বলেও আমার মনে হয় না। আর মতপার্থক্যের কথা বলছেন? তা তো থাকবেই। ধনতান্ত্রিকদের মধ্যে মত পার্থক্য নেই? তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত নয়? সুতরাং মতপার্থক্য থাকবেই। আর এটাই স্বাভাবিক। এই মতপার্থক্যকে মতৈক্যে পরিণত করার দায় এবং দায়িত্ব একমাত্র জনগণেরই নিতে হয়। আমার, আপনার এবং আমাদের। আমরা যদি বুঝতে পারি, দুটো অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে কোনটা আমাদের জন্য উপযুক্ত, তাহলে সেই ব্যবস্থার সমর্থকদেরকে আমাকে নির্বাচিত করতে হবে। তারা বহু দলে বিভক্ত হলেও, একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শের ভিত্তিতে তারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। ঐক্যবদ্ধ যে হতে পারে, তার উদাহরণ বামফ্রন্ট তৈরি হওয়া, ইউপিএ তৈরি হওয়া এবং এনডিএ তৈরি হওয়া। মানুষ যেদিকে যাবে, রাজনৈতিক দল সেই দিকেই পথ হাঁটতে বাধ্য হবে। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা। এখন আমি বা আপনি, এককথায় আমাদেরকেই ঠিক করতে হবে, আমরা কোন মতাদর্শের পক্ষে থাকবো। যেটা আমার শ্রে...

বিকল্প সমাজতন্ত্র, বিকল্প সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা

Bhabani Sankar Chatterjee সংকট থাকলে সংকট থেকে বের হওয়ার পথও থাকে। প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছা এবং উপযুক্ত পরিকল্পনার। দায়সারা সমালোচনা করা আমার কাজ নয়। বিকল্প কারা হতে পারে সে সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েই সাধারণত আমি পোস্ট করি। শুনুন তাহলে...... বিশ্ব ক্ষুধা তালিকায় ভারতের স্থান এখন  বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মায়ানমারের মত দেশেরও পিছনে। গ্লোবাল হাংগার ইনডেক্স এর রিপোর্ট অনুযায়ী 107 দেশের মধ্যে ভারতের স্থান 94 নম্বরে। পাকিস্তান 88 বাংলাদেশ 75 আর নেপাল 73।  এই পরিসংখ্যান থেকে আপনি কি কোন ধারনা করতে পারছেন? কারা বিকল্প হতে পারে? পাচ্ছেন না তো? এই দেশগুলোর মধ্যে জনসংখ্যা এবং প্রাকৃতিক সম্পদে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া দেশ হল নেপাল। তা সত্ত্বেও তারাই ক্ষুধার তালিকায় সবার চেয়ে নিচে। এবার নিজের মনের কাছে প্রশ্ন করুন এই দেশটা এখন কারা চালাচ্ছে? প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকলে শুনে নিন। এ দেশটা চালাচ্ছে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে বিশ্বাসী একটি রাজনৈতিক দল। পৃথিবীতে আর যে কটা রাষ্ট্র ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ঝেড়ে ফেলে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কায়েম রেখেছে তাদের সবারই স্থান আরো নিচে। কিউবা, ভ...

ক্ষুদ্র বলা মানেই ছোট করা বোঝায় না : পর্ব - ২

শেখ আবুল কালাম আজাদ অহেতুক বিতর্ক উচিত নয়। ঠিকই বলেছেন। কিন্তু বিতর্ক বিষয়টা খুবই জরুরী একটা বিষয়। কারণ, বিতর্ক মানুষকে সমৃদ্ধ করে, চেতনার মান বাড়িয়ে দেয়। আপনার সঙ্গে আমার যে বিতর্ক, সেটা যদি  অহেতুক হয়, তবে তার দায় কিন্তু আমার না। কারণ, সেটার আপনিই সূচনা করেছেন। আশাকরি মানবেন। আপনার মতে 'ছোট' শব্দটি এখানে জুতসই হত। হয়তো হতো। সেটা আপনার মত। আপনার মতকে অসম্মান করার স্পর্ধা আমার নেই। এই শব্দ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমারও কোন দ্বিধা থাকার কথা নয়। কারণ, আমার বক্তব্যের উদ্দেশ্য কখনোই ছিল না প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে ছোট (অসম্মান) করা। আমার ব্যবহার করা 'ক্ষুদ্র' শব্দটি আপনাকে কষ্ট দিয়ে দিয়েছে জেনে ব্যাখ্যা দেওয়াটা আমার জরুরী ছিল। এটা আমার দায়িত্ব বা বক্তব্যও বটে। তাই দিয়েছি। কিন্তু একবারও ভেবে দেখেছেন কি? ১) 'ক্ষুদ্র' শব্দের জায়গায় 'ছোট' শব্দটা ব্যবহার করলে আপনি হয়তো খুশি হতেন কিন্তু অন্য কেউ যে অখুশি হতেন না তার গ্যারান্টি কোথায়? ২) ক্ষুদ্র এবং ছোট - দুটো আলাদা শব্দ। কোনটা কোথায় ব্যবহার হবে সেটা নির্ভর করে বক্তব্য প্রকাশের মোটিভের ওপর এবং বিষয়ের...

ক্ষুদ্র বলা মানেই ছোট করা বোঝায় না : পর্ব - ১

শেখ আবুল কালাম আজাদ সাথি, একটা শব্দ ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে। অর্থাৎ একটা শব্দ একাধিক অর্থে ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী তার অর্থ অনুধাবন করতে হয়। আমার পোস্টটি আরেকবার পড়ুন। আর ভাবুন, যে ঠিক আপনি যেভাবে ভাবছেন, আমি সেভাবে ক্ষুদ্র শব্দটা ব্যবহার করেছি কিনা। একটু খেয়াল করলেই দেখবেন ক্ষুদ্র শব্দটা এখানে 'আয়তন' বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে, 'নীচতা' বোঝাতে নয়। হীনমন্যতায় ভুগবেন না। সুতরাং অহেতুক কষ্ট পাবেন না। একই শব্দের ভিন্ন ভিন্ন অর্থ থাকার ব্যাপারটা মাথায় রেখে ভাবুন, দেখবেন কষ্ট আর থাকবে না, এরং বুঝতে পারবেন অভদ্রতারও কিছুই এখানে নেই। আয়তনে বড় হলে একটা বৃহৎ রাষ্ট্র যে সুবিধা পায় আয়তনে ক্ষুদ্র হলে  বা ছোট হলে সেদেশ সেই ধরনের সুবিধা পায় না। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে তাদের চলতে হয়। সেই সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তাদের জিডিপি যদি বাড়ে এবং তা স্বীকার করা হয় কোনো পোষ্টে, তাতে অভদ্রতার প্রকাশ হয় বলে আমি মনে করিনা। উল্টে এই ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলোর প্রশংসা করার অর্থই প্ৰকাশ পায় এবং এটা তাদের কাছে গর্ব করার বিষয় হিসাবে বিবেচিত হয়। সুত...

ড. কালাম, ধান্দাবাজি বীর পূজায় বিশ্বাস করতেন না

Bhabani Sankar Chatterjee এটা কবিতা। বলা ভালো ছড়া। অবশ্যই রাজনৈতিক ছড়া। ভুল বুঝেছেন। ব্যক্তি আক্রমণ করা আমার কাজ না। সিস্টেম এর দুর্বলতা ও অসঙ্গতি তুলে ধরাই এর মূল উদ্দেশ্য। পুরানো কাসুন্দি ঘাটা এ পোস্টের উদ্দেশ্য নয়। এটা সমকালীন ছড়া। সময়কে ধরাই এর উদ্দেশ্য। এখানে কাসুন্দি ঘাটার সুযোগ নেই বললেই চলে। পুরানো কাসুন্দি ঘাঁটতে হলে ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখতে হবে। চাইলে নিশ্চয় ইতিহাস বিষয়ক পোস্ট যখন করবো তখন হবে। তৈরি থাকুন। আমি অপেক্ষায় থাকলাম। আর আজ শুধু ড. কালামের জন্মদিন নয়। অসংখ্য ভারতীয় সন্তান এই দিনে জন্মেছেন। যাঁদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তাঁরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, যাওয়ার চেষ্টা করছেন এবং করে গেছেন। অসংখ্য মানুষ যাঁরা কৃষক, ক্ষেত মজুর, শ্রমিক এবং অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত থেকে দেশকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। দেশের সেবা করে যাচ্ছেন। সেবা করে গেছেন। ভুলে যাবেন না তাঁদের অনেকেরও আজ জন্মদিন। ড. কালামকে ভালো করে পড়লে জানবেন তিনি নিজেকে এঁদেরই একজন বলে ভাবতেন। কারণ, তিনি জানতেন, একজন বিজ্ঞানীর চেয়ে দেশমাতার সেবায় একজন কৃষক বা শ্রমিকের অবদান কোনও অংশে কম নয়। আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা তাঁর কথা গর্...

বাপের সম্পত্তির গুরুত্ব

ফকির হওয়ার আগে কেউ বুঝবে না বাপের থেকে পাওয়া সম্পত্তির গুরুত্ব কত ছিল। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

ব্যক্তিস্বার্থটা আসলে ক্ষুদ্র স্বার্থ

ব্যক্তিস্বার্থ আসলে ক্ষুদ্র স্বার্থ। সে (ব্যক্তি স্বার্থ) নিজেই নিজের পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারে না। তাই ব্যক্তি স্বার্থে শিক্ষিত মানুষ চুপ করে থাকলে, সমাজ পিছিয়ে পড়ে, অশিক্ষিত মানুষের দৌরাত্ম্য বাড়ে। তাই ভুল বা অন্যায় দেখলেই মুখ খুলন, জাত-ধর্ম না দেখেই। Sk Minhajul রাস্তায় নামাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সময়টা রাস্তায় নামার পক্ষে ততটা অনুকূল নয়। তাই ফেসবুকে মুখ খেলাটা খুবই প্রাসঙ্গিক ও জরুরি। কারণ এটা একটা সামাজিক মাধ্যম, যা কর্পোরেট মিডিয়ার একমাত্র বিকল্প। কর্পোরেট মিডিয়া (ডিজিটাল মিডিয়া), যাকে আমরা টিভি বা খবরের কাগজ বলে জানি, তারা কখনোই সাধারন মানুষের স্বার্থে কথা বলে না। তারা ততটুকুই বলবে, যতটুকু কর্পোরেট গোষ্ঠীগুলির স্বার্থ চরিতার্থ হয়। তাই সাধারণ মানুষের, পথে নামার সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্ খোলাও খুব জরুরী। কারণ আমার আপনার কথা, কর্পোরেট মিডিয়া নয়, সোশ্যাল মিডিয়াই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে। Nazrul Islam Molla অশিক্ষিত মানুষের মুখের ভাষা নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না। ভুল বুঝে অন্যায় ভাবে যদি কেউ বাজে কথা বলে, তার দায় আপনার নয়। অপরাধটাও আপনার নয়। সে দায়...

ধর্ষণ ও তার প্রতিবাদ এর ধরণ

Moti Lal Deb Nath মার্জনা চাওয়ার কিছু নেই। আপনি আপনার মতামত বলবেন - এটা আপনার অধিকার। তবে আমার পোস্টটি আর একবার মন দিয়ে পড়ে দেখুন। দেখবেন সেখানে আমার কথার সঙ্গে আপনার কথার তেমন কোনো পার্থক্য নেই। শুধুমাত্র ভাষার এবং বাক্য গঠনের ধরনের পার্থক্য রয়েছে। আর মুখোশ খুলে দেয়ার কথা বলছেন? সম্ভবত এখানকার শাসকদলের কথা বলছেন। আমি তাদের মুখোশ খোলার কথাও বলেছি। কিন্তু সতর্ক থাকতে বলেছি মুখোশ খুলতে গিয়ে অপরাধী এবং অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করছেন যারা, তাদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা প্রতিবাদের ভার ও ধার যেন ভোতা হয়ে না যায়। সারাবছর চুপ করে থাকলে, আর যখন অন্য রাজ্যে বা অন্য কোনোখানে একই রকমের জঘন্যতম ঘটনা (ধর্ষণ, হত্যা এবং লুকিয়ে ধর্ষিতার দেহ জ্বালিয়ে দেয়া) ঘটলে এবং মানুষ তার প্রতিবাদ করলে, তখন পিছনের কোন ঘটনাকে টেনে এনে বর্তমান ঘটনাকে তুলনা করতে গেলে মুখোশ খোলার ইচ্ছা ও সার্থকতা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠে যাবে। অর্থাৎ মুখোশ খোলার জন্য উপযুক্ত সময়ে নির্বাচন করতে হবে। সারাবছর পড়ে আছে, বছরের পর বছর চলে যাচ্ছে। আমি-আপনি প্রতিবাদ করছি না, মিছিল করছি না। এক কলম লিখছি না। অথচ যখনই আরেকটা অপরাধ ঘটছে এবং মানুষ প্রতিব...

ধর্ষণ এবং প্রতিবাদ-এর ধরন

Sk Nasrat Ali  প্রথমেই আপনার মতামতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তারপর কিছু কথা বিনিময়......... আপনার একটু বোঝার ভুল হচ্ছে বোধ হয়। ১) সংঘটিত দল হিসেবে কোন রাজনৈতিক দলকে ছাড় দেয়া হয়নি আমার মতামত এর মধ্যে। উল্টে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কথা বলা হয়েছে। ২) ভারতবর্ষের যে প্রান্তেই ধর্ষণ সংঘটিত হোক না কেন, যারাই এর সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবে, আন্দোলন হবে, এটাই স্বাভাবিক। এর বিরুদ্ধে তো কোনো কথা আমি তো বলিনি! কিন্তু সারাবছর চুপ করে থাকব, আর যখন অন্য একটা অন্যায় সংঘটিত হবে, তখন সেটাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য পিছনে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনাকে তুলে আনবো - সেটা এক ধরনের রাজনৈতিক চালাকি। আর এই চালাকির পরিণতির কথাই পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ৩) রাজনৈতিক দল বা রাজনীতি নিরপেক্ষ থাকার কথাই বা কোথায় বলা হলো? যা বলা হয়েছে তার মূল কথা সাধারণ মানুষের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে রাজনৈতিক দলগুলোর উপর। সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক দলকে নিয়ন্ত্রণ করবেন? না রাজনৈতিক দল সাধারণ মানুষকে নিয়ে করবে? পরোক্ষে এই প্রশ্নই তোলা হয়েছে এখানে। ৪) রাজনৈতিক দল যদি জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে সেই র...

আধুনিক রাজতন্ত্র

গণতন্ত্রের চারটি স্তম্ভ। বিচার বিভাগ, আইনসভা, শাসন বিভাগ এবং সংবাদমাধ্যম। এরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় এবং মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষিত হয়। বর্তমান ভারতে এই চারটি স্তম্ভই এখন একটি রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠী এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। কোন বিভাগই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত দুটি মামলার রায়, হাতরাসে মনীষা বাল্মীকির ধর্ষণ কাণ্ড এবং পুলিশের ভূমিকা, দিল্লির সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং সিএবি কিংবা এনআরসির সময় প্রশাসনের ভূমিকা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আসলে আমরা এক আধুনিক রাজতন্ত্রের নাগরিক হিসাবে সময় কাটাচ্ছি। এখানে শাসকের ধর্মই শাসিতের ধর্ম বলে বিবেচিত হচ্ছে, শাসকের কথাই আইন বলে বিবেচিত হচ্ছে। এবং তার বিরুদ্ধে কথা বললেই দেশদ্রোহী হিসাবে আখ্যায়িত হচ্ছেন। ঠিক যেমন প্রাচীন ও মধ্যযুগে রাজা বা সামন্ত প্রভুরা দেশ শাসনের জন্য করতেন। তবে পার্থক্য শুধু একটাই যে, তা করা হচ্ছে গণতন্ত্র নামে এক আধুনিক আলখাল্লার মোড়কে।

অর্থনীতি মিথ্যা - শব্দবন্ধটি অর্থহীন

Joyanta Roy Chowdhury ধ্বস নামবে কেন বলছ? ইতিমধ্যেই ধ্বস নেমেছে। কিন্তু ধনতান্ত্রিক দেশগুলোর অর্থনীতি যেভাবে ভেঙে পড়েছে, সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর অর্থনীতি সে ভাবে ভেঙে পড়েনি। মৃত্যুহারও সেখানে কম। এখানেই সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার সাফল্য। আর 'অর্থনীতি মিথ্যা' এই শব্দটা প্রকৃত অর্থে অর্থহীন। পৃথিবীতে দুই ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু আছে। একটা ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি আর অন্যটি সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি। এই দুটো মিলে 'সমগ্র অর্থনীতি'। তাই 'অর্থনীতি মিথ্যা' এই কথাটা প্রকৃত অর্থেই অর্থহীন। রাষ্ট্রশক্তি হিসেবে চিনকে আমরা সন্দেহ করতেই পারি। আর যেহেতু সীমান্ত নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ রয়েছে, সেহেতু তারা রাষ্ট্রশক্তি হিসেবে সন্দেহের বাইরে নয়। কিন্তু অর্থনীতি নিয়ে সন্দেহ করার তেমন কোনো কারণ নেই। সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর অর্থনীতির অবস্থা এবং মৃত্যু হার যথাক্রমে ভালো এবং কম। ভিয়েতনামের দিকে তাকালেও তুমি সেটা বুঝতে পারবে। যাই হোক, ভালো থেকো। সাবধানে থেকো। উৎস জানতে এখানে ক্লিক করুন

নেতাজী ও মোদি জি - লজ্জাজনক তুলনা

হাসি পায়, কষ্ট হয় যখন নেতাজিকে দেখিয়ে মোদিরজির ভক্তরা দেশপ্রেমিক' সাজার চেষ্টা করে। নেতাজি পুরো মাত্রায় অসাম্প্রদায়িক এবং সমাজতান্ত্রিক। ভক্তরা ঠিক তাঁর উল্টো। এক আসনে বসাতে গেলে লজ্জা লাগে না? আমার তো ভয়ঙ্কর লাগে। Dibakar Mandal আপনি চোখ কান খোলা রাখুন। যুক্তি বুদ্ধি ব্যবহার করুন। ইতিহাসের শিক্ষক যখন, তখন ইতিহাসের সাহায্য নিন। ঠিক উত্তর পেয়ে যাবেন। আমার ভাবনার বিষয় টা আজকের কোন নেতা কতটা সাম্প্রদায়িক তা নিয়ে নয়। বিষয়টা হচ্ছে রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে। নেতাজির দর্শন কি মোদিজীর দর্শনের সঙ্গে যায়? উত্তর হবে হ্যাঁ অথবা না। যদি না যায় তবে আমাদের ভাবতে হবে, মোদিজীর ভক্তরা নেতাজি কে আঁকড়ে ধরছেন কেন? এভাবে নেতাজিকে একটা সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতের অস্ত্র হতে দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত। অথবা হতে দিলে ভবিষ্যৎ ভারতের অবস্থা কি হতে পারে তা নিয়ে ভাবা। সাম্প্রদায়িকতা কমবেশি সব দলের মধ্যেই আছে। কিন্তু সেটা আছে দলের ভিতরের কিছু ঘাপটি মেরে থাকা সাম্প্রদায়িক নেতার মধ্যে। বিজেপির বাইরে যে দলগুলো আছে তারা আদর্শগতভাবে সাম্প্রদায়িক নয়। কিন্তু তাদের ভিতর কিছু মানুষ আছেন যারা সাম্প্রদায়িক। সব...

মোয়াজ্জেম ভাতা ও পুরোহিত ভাতা

মোয়াজ্জেম ভাতা ও পুরোহিত ভাতা এক ভুলের ক্ষত ঢাকতে আর এক ভুল। মোয়াজ্জেম ভাতা'র মোকাবেলায় পুরোহিত ভাতা। ধর্মীয় আবেগ কেনা বেচায় দুটো দল এখন পাল্লা দিচ্ছে।  আর্থিক নয়, কল্পিত ধর্ম-সংকট এখন রাজনীতির মূল উপজীব্য।  মানুষকে ধর্মান্ধ করে ফেলাই রাজনীতিকদের প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠেছে। একটা দেশের পক্ষে যা মারাত্মক ক্ষতিকর। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এবং তার জনগণ ধর্মের সঙ্গে রাজনীতিকে মিশিয়ে ফেলার খেসারত দিয়ে চলেছে। ভয় পাচ্ছি, আমরাও সেই দিকে পা বাড়াচ্ছি না তো? Nazrul Islam Molla অনেকেই সেটা জানে। কিন্তু সরকার সেকথা স্পষ্টভাবে এবং খোলাখুলিভাবে প্রকাশ্যে বলে না। এই না বলাটা একটা সমস্যা। দ্বিতীয়তঃ সরকারের ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে পাওয়া টাকা সংখ্যালঘু মানুষের শিক্ষার বিস্তারে খরচ করা উচিত ছিল। তা না করাটাও ভুল। ধর্মগুরু তথা ধর্মব্যবসায়ীদের ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের খুশি করাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। এভাবে ভোটে হয়তো জেতা যায়, কিন্তু দেশের কল্যাণ হয় না। সংখ্যালঘুদের প্রকৃত অর্থে কোন লাভ হয় না উৎস দেখুন এখানে Rafikul Islam এর জন্য মুসলমানদের দায়িত্ব কিন্তু কম নয়। অশিক্ষার অন্ধকারে থেকে যত...

রুখে দাঁড়ানোর সময়

Md Samim  সময় হয়েছে বুঝে নেয়ার, সময় হয়েছে রুখে দেয়ার। আসুন রুখে দাঁড়াই, এবং ঘুরে দাঁড়াই।

চুক্তি চাষ - ২০২০

চুক্তি চাষ। ইংরেজ সরকারের সৌজন্যে নীলকরদের কাছে কৃষক ফাঁসানোর হাতিয়ার। পরিণতিতে নীল বিদ্রোহ। দেশি 'নীলকরদের' জন্য ফিরিয়ে আনছেন সেই চুক্তি চাষ। সৌজন্যে দেশি সরকার। বিস্তারিত পড়ুন এখানে ক্লিক করে  পাঠকের মতামত এখানে দেখুন 

চুক্তি চাষ

চুক্তি চাষ। ইংরেজ সরকারের সৌজন্যে নীলকরদের কাছে কৃষক ফাঁসানোর হাতিয়ার। পরিণতিতে নীল বিদ্রোহ ১৮৫৯-৬০। দেশি 'নীলকরদের' জন্য ফিরে আসছে সেই চুক্তি চাষ। সৌজন্যে দেশি সরকার। বিস্তারিত আজ সন্ধ্যায়। এখানে দেখুন

গণতন্ত্রের গোড়ায় গলদ

Monojit Bhowmick আসলে গণতন্ত্রের নাম করে, এ দেশে যা হচ্ছে, তা খুবই লজ্জা কর। আমরা গণতন্ত্রের যে কাঠামোটাকে অনুসরণ করি তাতে রয়েছে ভয়ঙ্কর গলদ। তারই সুযোগ নিচ্ছে অশিক্ষিত এবং অসাধু রাজনীতির কারবারিরা। আপনি ঠিকই ধরেছেন। তবে, এদেশের জন্মানোটা ভুল। এটা বলে মনকে সান্ত্বনা দেয়া যায়। কিন্তু সংকটের মূলে কিন্তু পৌঁছানো যাবে না। তাছাড়া কোন বিশেষ দেশে জন্মানোটা তো আমার আপনার হাতে নির্ভর করে না। সুতরাং সে কথা ভেবে লাভ নেই।😀😀 কি বলেন? আসুন আমরা জনমত গড়ে তুলি, যাতে সবাই মিলে এই দেশটাকে সুন্দর এবং সবার জন্য ভালোবাসার ও ভালোলাগার এবং মায়ের কোলের মত নিরাপদ করে গড়ে তুলতে পারি। শুভকামনা জানবেন। শুভরাত্রি। প্রসঙ্গে জানতে এখানে ক্লিক করুন

রাজনৈতিক ক্ষেত্রে শিক্ষিত মানুষেরা ব্যক্তিপূজায় ও ব্যক্তি-বিরোধিতায় বিশ্বাস করে না।

Debdip Dutta রাজনৈতিক শিক্ষা যাদের আছে  অর্থাৎ শিক্ষিত মানুষেরা কখনো কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে যায় না, আবার তার পুজোও করে না (ব্যক্তির পুজো না।) রাজনৈতিকভাবে শিক্ষিত মানুষেরা তাই ব্যক্তিমানুষের নয়, তার সরকারের নীতির বিরোধিতা করে। সুতরাং বুঝতেই পারছিস আমি তো অশিক্ষিত নই। তাই ব্যক্তি মোদির বিরোধিতা আমি করিনা, তার পূজাও করি না। অর্থাৎ আমি তার ভক্ত নই। মোদির সরকারের যে নীতি, আমি তার বিরোধিতা করি। উপরের পোস্টারে তার সরকারের যে নীতির উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে, আমি ওই নীতির অবশ্যই বিরোধী। ওটাকে ভন্ডামি বলে। আর শিক্ষিত মানুষ এই ভন্ডামি কখনো সমর্থন করতে পারে না, তা মোদি করলেও পারবেনা। রাহুল গান্ধী করলেও পারবেনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করলেও পারবেনা। বা বা অন্য কোন নেতা করলেও নয়। যদি কেউ করে, তাহলে সে রাজনৈতিকভাবে অশিক্ষিত মানুষ। আর এই অশিক্ষিত মানুষ গুলোর জন্যই দেশের নেতারা ভন্ডামি করে যাচ্ছে নিশ্চিন্ত মনে। প্রকৃত রাজনৈতিক শিক্ষা যার মধ্যে ঢোকে, সে পরিষ্কার বুঝতে পারে, যে ব্যক্তি সেখানে একটা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মোদি বিজেপি সরকারের এমনই একটি অস্ত্র। তার বিরোধিতা করে কোন লাভ হয় না। মোদি ...

সংস্কার ও কুসংস্কার এর পার্থক্য

সংস্কারের জন্ম বিশ্বাস থেকে। কুসংস্কারের জন্ম অন্ধবিশ্বাস থেকে।

রাষ্ট্ররোগ

না। একে বলে রাজনৈতিক দ্বিচারিতা। এটা এক ধরণের রাষ্ট্ররোগ। যে দেশের অধিকাংশ মানুষ রাজনৈতিকভাবে অশিক্ষিত হয়, সেদেশেই এই রোগের বাড়বাড়ন্ত হয়, যা ভন্ড নেতার জন্ম দেয়।

মারাঠাদের সম্পর্কে জগন্নাথ সরকার

10. Atrocities and devastation committed by the Marathas, All over the country from which the Nawab’s authority had disappeared, the Maratha hordes committed wanton destruction and unspeakable outrage on the roads and villages. Utter terror raged throughout Bengal in consequence of their atrocities. The state of the country is thus graphically described in the English factory letters : “The Marathas are plundering Birbhum (July, 1742) which has put a stop to all business, the merchants and weavers flying whenever they can. " An eye-witness, the Bengali poet Gangaram, thus des- cribes the sufferings of the people : “The Bargis began to loot the villages. Every class of men took to flight with their property, when suddenly the Bargis came up and encircled them in the plain. They snatched away gold and silver, rejecting eversrthing else. Of some people they cut off the hand, of some the nose and ears ; some they kill- ed outright. They dragged away the beautiful women, tying their fi...

প্রসঙ্গ : ৩% অন্য ধর্মকে নিয়ে নিরপেক্ষতা প্রমান এবং পালন প্রশ্ন চিহ্ন রেখে যেতে পারে - সুকুমার বর্মন

প্রশ্নচিহ্ন ওঠাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। পৃথিবীর এমন কোন দেশ নেই, যার বিরুদ্ধে (শাসকের বিরুদ্ধে) প্রশ্ন চিহ্ন নেই, এমন দাবী করা যাবে। গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র, সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্র ইত্যাদির যেকোন রাষ্ট্রদর্শনকে অবলম্বন করে পৃথিবীব্যাপী যে রাষ্ট্রব্যবস্থা বা সরকার চলছে তার কোনটাই প্রশ্নশূন্য নয়। প্রত্যেকটা দেশের বিরুদ্ধে কোন না কোন অভিযোগ বিপক্ষ শিবিরের লোকজন করে থাকে। সুতরাং 'প্রশ্ন তোলার সম্ভাবনা থেকে যেতে পারে' বলার মধ্যে কোন বিশেষ বার্তা নেই। যা আছে, তা সাধারন। কোন কোন দেশের ক্ষেত্রে তা অতি সাধারণ। সুতরাং প্রশ্ন তোলার ক্ষেত্রে ধর্মটা এবং তার পার্সেন্টেজটা (৩%) কোন গুরুত্ব বহন করে না। কারণ, একটা রাষ্ট্র ব্যবস্থা, সে ধর্মনিরপেক্ষ হবে, না ধর্মীয় শাসন নীতি মেনে চলবে, তা পার্সেন্টেজ এর উপর নির্ভর করে চলেনা। তা যদি হতো, তাহলে : ১) ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার সাথে সাথে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে আত্ম প্রকাশ করত। ২) বর্তমান বাংলাদেশ সংবিধান থেকে 'রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম' বলে যে শব্দবন্ধটি লিপিবদ্ধ আছে ( যা  সামরিক শাসক  তার অবৈধ ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দেওয়া বা টিকিয়ে রাখার জন্য ইসলামকে রাষ্ট্রধ...

যুক্তি ছাড়া মুক্তি নেই, ভক্তিতে সে শক্তি নেই

মুছাদুল ইসলাম  আপনার মতামত প্রকাশের ভঙ্গিটা খুব সুন্দর। শব্দ চয়নের পরতে পরতে রয়েছে সহনশীলতার মসৃন প্রলেপ, যা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আপনার সাথে আমি একমত যে, শব্দ চয়নে আমাদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। আমার খুশির প্রকাশ প্রক্রিয়া বা ভঙ্গি যেন কাউকে কষ্ট না দেয়, তা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা মেনে চলার চেষ্টা করি। কাউকে আঘাত করা নয়, তাকে সম্মানের সঙ্গে তার ভ্রান্ত ভাবনা (যদি থাকে) থেকে আমার কাছেই (সত্যের কাছে) অনাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। তাই বিনয়ের সঙ্গেই আপনাকে আশ্বস্ত করছি যে, শব্দ চয়নের ব্যাপারটায় আমি অসতর্ক ছিলাম না। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন যে, 'মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত' এটা একটা শব্দবন্ধ বা প্রবচন। এখানে 'মোল্লা' শব্দটা একা কোনো অর্থ প্রকাশ করতে পারে না। পুরো প্রবচনটার অর্থ হচ্ছে 'যে দুর্বল সে বেশি দূর যেতে পারে না।' ভক্ত এবং মন্দির সংক্রান্ত বাক্যাংশটিও একই অর্থ বাহক।  সুতরাং বুঝতেই পারছেন শব্দ চয়নে কোনো ত্রুটি আমি জ্ঞানত রাখিনি। যুক্তির ক্ষেত্রে আমি একটু ভিন্ন ধারণা পোষণ করি। সেটা বলার আগে আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা মনের থাকতে থাকতেই বলে নি। আমার সঙ্...

সুদান। ধর্মনিরপেক্ষরাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ

৯৭% মুসলিম। সুদানের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ। আপনি কাঁদতে পারেন। আমি কিন্তু খুব ....খুব খুশি। ভক্তরা কি বলবেন? প্রথম প্রকাশ এখানে দেখুন

আলো-আঁধারের খিচুড়ি

Shilpi Dutta Paul আপনার মতামত খুবই ন্যায্য এবং প্রাসঙ্গিক। শিক্ষাকে যদি ধর্মীয় মোড়ক-মুক্ত না করা যায়, এ রোগ থেকে আমরা মুক্তি পাবো না। আধুনিক শিক্ষার একমাত্র অর্জন হওয়ার কথা হল যুক্তিবাদ, বিজ্ঞানমনস্কতা ও মানবতাবাদ। কিন্তু দুঃখের হলেও সত্যি, এবং আমাদের দুর্ভাগ্য যে, স্বাধীন ভারতের শিক্ষাঙ্গন এখনো ধর্মীয় সংস্কার ও কুসংস্কারে আবহে আচ্ছন্ন হয়ে আছে। সাধারণ স্কুল বলুন কিংবা মাদ্রাসা - সবক্ষেত্রেই একই ছবি। সব জায়গায় বিজ্ঞান পড়ানোর সাথে সাথে সাড়ম্বরে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান উদযাপিত হচ্ছে। পড়াশোনা শিখতে গিয়ে একজন ছাত্র বা ছাত্রী যদি শিক্ষকদের কাছ থেকেই ভাগ্য আর ভগবান বা আল্লার ওপর নির্ভরতাকে একান্ত ও অপরিহার্য বলে ভাবতে শেখে, তবে সে কীভাবে ধর্মীয় কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাস থেকে বেরিয়ে একজন আধুনিক ও আত্মবিশ্বাসী মানুষ হবার সাহস অর্জন করবে? নিজের ভাগ্যকে নিজে জয় করার মানসিক শক্তি কীভাবে অর্জন করবে? মনে রাখতে হবে, এই মানসিক শক্তিই তো আজ পৃথিবীতে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগোষ্ঠীকে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত করেছে। চীন যে আজ পৃথিবীর দ্বিতীয় মহাশক্তিধর জা...

শিক্ষাল্পতা। এক ধরনের রোগ

নামিদামি খাবার খেয়েও যেমন আমরা কেউ কেউ রক্তাল্পতায় (রোগে) ভুগি, তেমনি নামিদামি প্রতিষ্ঠান থেকে লেখাপড়া শিখেও কেউ কেউ শিক্ষাল্পতায় (রোগে) ভুগি। দুর্ভাবনার বিষয় হল, দেশে প্রতিদিন এই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রথম প্রকাশ এখানে দেখুন দেখুন ফেসবুকে এখানে ক্লিক করে

লেখাপড়া আর শিক্ষার সম্পর্ক

Rita Basu 100% ঠিক কথা বলেছেন। সেই জন্যেই আমি সচেতন ভাবেই 'লেখাপড়া' কথাটা না লিখে 'শিক্ষা' কথাটা লিখেছি। লেখাপড়া শিখলেই আর নিজের ঝুলিতে একটা বড় সার্টিফিকেট থাকলেই কেউ নিজেকে লেখাপড়া জানা মানুষ দাবি করতে পারেন ঠিকই, কিন্তু শিক্ষিত দাবি করা যায় না। পূর্বে আমি আমার বিভিন্ন পোস্টে লেখাপড়া জানা মানুষের সঙ্গে শিক্ষিত মানুষের পার্থক্যটা তুলে ধরেছি। লেখাপড়া আর শিক্ষা, দুটো আলাদা শব্দ এবং এদের অর্থ আলাদা। লেখাপড়া জেনেও অনেক মানুষ অশিক্ষায় ডুবে থাকেন, অর্থাৎ শিক্ষাহীনতায় (বা শিক্ষাল্পতা রোগে) ভোগেন। আবার অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা লেখাপড়া বিশেষ শিখতে পারেননি, কিন্তু শিক্ষায় অনেক লেখাপড়া জানা মানুষের তুলনায় অনেক গুণ এগিয়ে থাকেন। জগৎ এবং জীবনকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে তিনি শিক্ষিত হয়ে উঠেছেন, যাকে বলা হয় স্বশিক্ষা। তাই শিক্ষা শব্দটা তখনই শিক্ষা বলে বিবেচিত হবে যখন তার পূর্বে 'যথার্থ' - এই বিশেষণটি, দৃশ্য-শ্রাব্য  না হলেও, উহ্য আবস্থায় নিশ্চিতভাবে থাকবে। আমি আমার পোস্টে এই 'যথার্থ শিক্ষার' কথাই বলেছি। আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদসহ প্রীতি, শুভ...

শিক্ষাই একমাত্র বন্ধু, যে কখনও কোন প্রতিদান চায় না

Babay Mondol শিক্ষাই একমাত্র বন্ধু, যে কখনো কোন প্রতিদান চায়না। তাই তাকে যত আপন করবে, ততই তোমার চলার পথ সহজ হবে।  দেখুন ফেসবুকে দেখুন এখানেও

প্রসঙ্গ : আদর্শ শিক্ষক হওয়ার সঙ্গে বিশেষ সম্প্রদায়ের সম্পর্ক

Goutam Ray আপনার সঙ্গে সহমত। তবে ভুল ধারণাটা আমার মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে নেই। কিন্তু তবু কথাটা আজকের পোস্টের মধ্যে উল্লেখ করাটা খুবই প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে বলেই ওভাবে বলা। আমরা যা জানি, আমরা যা মানি, তার বাইরেও কিছু বিষয় থাকে, যাকে মান্যতা দেয়া যায় না অথচ তা সমাজে থাকে এবং কিছু মানুষ তার মান্যতা দেয়। সেগুলোকে আমরা ব্যতিক্রম বলি। আর ব্যতিক্রম হলেও, সেগুলোও বিষয় এবং তার প্রভাব সমাজে পড়ে। আমি আমার পোস্টে ওই ব্যাতিক্রমী মানুষদের কথাই বলেছি এবং তাদের উদ্দেশ্যেই বলেছি। বলেছি তার কারণ, ব্যতিক্রমকেও উপেক্ষা করা যায় না। উপেক্ষা করলে, ব্যতিক্রমই একদিন সাধারণ হয়ে সাধারণের বুকে দাপিয়ে বেড়ানোর চেষ্টা করে। এবং সে-ই একদিন নিজেকে সাধারণ বলে দাবি করতে থাকে। তাই আঙ্গুলটা সুযোগ বুঝে সেদিকেই তুললাম। আশাকরি আপনি আমাকে ভুল বুঝবেন না। সময় করে মতামত দেয়ার জন্য আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও একরাশ ভালোবাসা। আপনার জন্য। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে, ...

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য সফল হলে, সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম তোমার বাবা-মা। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, তাঁরা চাইলেও আজীবন তোমার সঙ্গে থাকতে পারবেন না। সফল হলে সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম বাবা-মা। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হওয়া জরুরী। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রধান পরিচয় (মানুষ হিসাবে) নির্ণায়ক মাপকাঠি। তাই এই অর্থব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রাথমিক লক্ষ্য। এটা পূর্ণ হওয়ার পরই কেবল অন্যান্য লক্ষ্যে এগোনোর কথা ভাবা উচিৎ। প্রসঙ্গত বলে রাখি, অন্য লক্ষ্য মানে মানুষে জন্য কিছু করা, সমাজের জন্য যতটা সম্ভব অবদান রাখা। একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ এই লক্ষ্যকে অস্বীকার করতে পারেন না। এখন প্রশ্ন হল, এই সাফল্যের প্রধান চাবিকাঠি কী? চাবিকাঠি হল শিক্ষা। উপযুক্ত শিক্ষাই একমাত্র তোমাকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। সুতরাং শিক্ষা অর্জনকে প্রাথমিক পর্যায়ে একমাত্র লক্ষ্য করতে হবে এবং শিক্ষা অর্জনের এই প্রচেষ্টাকে সাধনার পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তবেই তুমি সফল হবে। সফল হলেই সবাই তোমার, সবই তোমার। ----------xx----------

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষার প্রভাব দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে